নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান নিজের কাছে না রেখে সবাইকে জানানো উচিত

আনাস হাসান

শখের বসে লিখি। অল্প জানি সেটাই সবাইকে জানাই

আনাস হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্যা লাস্ট ওয়ার্ডস পার্ট ৩

০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় অপারেশন রুমে। গুলিটা বেশ যায়গা-মতোই লেগেছিলো তবে ডানপাশে লাগায় কিছুটা রেহাই। ঠিক এই যায়গায় বাম পাশে হলেই আর কিছু করার ছিলো না। অপারেশন শেষে রাখা হয়েছে আইসিএউ তে । বাইরে পরিবারের সবাই। অফিসার সাকিব পৌঁছানোর পর সবাই তাকে খুব বিস্ময় নিয়ে দেখেছিলো। আসলে ডিবি এই কেসে এটা দেখে সবাই অবাক হচ্ছে তবে কেউ জিজ্ঞেস করছে না। আইসিএউ রুমের দরজায় লাগানো ছোট গ্লাস দিয়ে সাকিব দেখলো ছেলেটিকে ঘুমিয়ে থাকতে। কি সুন্দর ঘুমাচ্ছে। কেউ দেখে বলবে এই ছেলেকে নিয়ে কত তোলপাড় চলছে। উপর থেকে কড়া নির্দেশ যে করেই হোক কাউকে না জানিয়ে এই রহস্য বের করতে হবে।

অফিসে ফিরেই রুম থেকে পাওয়া মোবাইল এবং ল্যাপটপ সম্পর্কে জানতে চাইলেন সাইবার ইউনিটের কাছে। তারা সব লক খুলে ফাইলগুলো দেখছে কিছু পাওয়া যায় কিনা। মোবাইল থেকে তেমন কিছু পাওয়া যায় নি। সব ক্লিয়ার করা। মনে হচ্ছে একদম নতুন মোবাইল। ল্যাপটপের ব্রাউজিং হিস্টোরি থেকে শুরু করে সবকিছুই ডিলিট করা। শুধু ওয়াল পেপারে লিখা

You can find me inside me ! :)

সাকিব সব-শুনে হতাশ হলেন। কিছুই নেই যাতে করে ঘটনা বের করার কোন আলামত পাওয়া যায়? ?

সাইবার ইউনিট অফিসার রাশেদ বললো "স্যার ল্যাপটপের কী-বোর্ড পর্যন্ত ক্লিয়ার করা যাতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট মুছে ফেলা"
অন্য কেউ হলে এটা হত্যা ধরে নেয়া যেতো কিন্তু NSI থেকে বলেই দেয়া আছে সবকিছুকে ভিন্ন ভাবে দেখতে। সাকিব ল্যাপটপ তার রুমে দিয়ে যেতে বললেন। নিজেই দেখবে কি করা যায়।

৫ মিনিট ঘেটে কিছু না পেয়ে টেবিলের উপর রাখা ল্যাপটপের স্ক্রিনের দিকে চোখ জমে আছে সাকিবের। ছবিটায় কি বিশেষ কিছু আছে। ভাবছে সে। কেনো তার মনে হলো আচ্ছা কোথাও কোন ফাইল নেই তাহলে এই ছবিটি কিভাবে ওয়ালপেপারে দেয়া। নিশ্চয়ই এটা তাকে নামাতে হয়েছে।
সোজা হয়ে বসলো সাকিব। দ্রুত একটা স্ক্রীনশট নিয়ে সেটা সেভ করে গুগোল করবে বলে ঠিক করলো সে। যদি যেখান থেকে নামানো হয়েছে সেখানে কোন ক্লু থাকে। স্ক্রীনশট নিয়ে যেই সেভ করতে যাবে সিস্টেম ডিফল্ট লোকেশন দেখালো এমন এক ফোল্ডার যা সাকিবকে
অবাক করে দিলো।

সিস্টেম ফাইলের এতো ভিতরে কেউ কি এমন কিছু রেখে যেতে পারে। তাকে বলা সব কথা এখন সব কথা যৌক্তিক মনে হচ্ছে। ছেলেটা এখনেই লুকিয়ে রেখে গেছে সব রহস্য।

ছেলেটার নাম আহাত। কোড নাম মৃন্ময়।

প্রথম পার্ট

২য় পার্ট

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২০

রাজীব নুর বলেছেন:

২| ০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

আনাস হাসান বলেছেন: বুঝলাম না ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.