![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইন্টারমিডিয়েট ফাষ্ট ইয়ারের
প্রথমদিকে কিডনিতে
ইনফেকশনের কারনে প্রায় একমাসের মত
চিটাগং
এর একটি প্রাইভেট হসপিটালে ভর্তি
ছিলাম।
ছোটখাট একটা অপারেশনও করতে
হয়েছিল।
স্কুল থেকে সবে মাত্র কলেজে
উঠেছি।
তেমন একটা চালাকচতুর হই নি তখনও।
হাবাগোবা টাইপের ছিলাম।এখন যা
অাছি
তার থেকেও খারাপ।
অামার পাশের কেবিনে এক মধ্যবয়সী
মহিলা
ভর্তি ছিলেন।মহিলা বোধহয়
প্যারালাইজড ছিলেন।সাথে ছিল
তার হাসব্যান্ড।দুই কেবিনের দরজার
পাশের থাইগ্লাসের জানালা সবসময়
খোলা থাকত।ওই জানালা দিয়ে
পাশের কেবিনের
সবকিছুই দেখতে পেতাম বেডে শুয়ে
থেকেই।।
একমাস ভর্তি থাকাকালীন যখনই
ওদিকে তাকাতাম তখনই দেখতাম
মহিলার হাসব্যান্ড তার পাশে বসে
শুশ্রূষা করে যাচ্ছে।কখোনো খাইয়ে
দিচ্ছেন,কখনো গা মুছিয়ে
দিচ্ছে,কখনো মাথায় হাত বুলিয়ে
দিচ্ছেন,কখনো ওষুধ খাইয়ে দিচ্ছেন।
সারারাত জেগে থেকেছেন পাশের
চেয়ারটাতে বসেই।একটি মূহুর্তের
চোখে হারা হন নি।
পরে কোনএকভাবে জানতে পারলাম ঐ
মহিলা নিঃসন্ত্বানও ছিলেন।হতভম্ব
হয়ে গেলাম শুনে।
তার স্বামীর কথা ভাবলাম।
একটি মানুষের প্রতি সত্যিকার অর্থে
ভালোবাসা কিরুপ হতে পারে তার
নিজের চোখেই দেখলাম।
প্রতিদিন সকালে হসপিটালের এক বুয়া
কেবিন ঝাড় দিতে অাসতেন।একদম কম
বয়সী মেয়ে।একদিন অামার পিসি
কথায় কথায় বুয়ার সংসার সম্পর্কে
জানতে চাইলেন।ছলছল চোখে বুয়ার
তার জীবনে কিছু কথা বলে ফেললেন।
ভালোবেসে পালিয়ে বিয়ে
করেছিলেন গার্মেন্টসকর্মী
স্বামীকে।তিনবছরের সংসার।দুটি
মেয়েও হয়েছিল তাদের।একদিন
স্বামী ঘর থেকে বের হয়ে অার
ফেরেন নি।তিনি নাকি ঐ মহিলার
সাথে কোনরুপ সম্পর্ক রাখবেন না।
তিনি নতুন করে বিয়ে করেছেন।
দুটি মেয়ে নিয়ে অসহায় মহিলা
বেঁচে থাকার
তাগিদে হসপিটালের চাকরিটি
নিলেন।শতকষ্টের মাঝেও বেঁচে
রয়েছেন তিনি,তার দুটি মেয়ের
দিকে তাকিয়ে।
পাশের কেবিনের সেই মহিলা অার
হসপিটালের সেই বুয়ার সমীকরনটা
মিলিয়ে দেখলাম।কতটা বৈপরীত্য
উভয়ের জীবনে!
তখন থেকেই ধারনা পেয়েছি কত
রকমের মানুষ রয়েছে দুনিয়ায়।ভালো
মন্দ খারাপ,কত রকমের।
জীবনটা অাসলেই নাটকের চেয়েও
বেশি নাটকীয় তা তখন থেকেই বুঝতে
শিখেছি।অাজো বুঝে যাচ্ছি।অামৃত্যু
বুঝে যাব নিজ অভিজ্ঞতা
থেকে,অন্যের জীবনের ঘটনাবহুল মূহুর্ত
থেকে।
সবারই জানা প্রয়োজন,মানুষকে চেনা
প্রয়োজন।ভালোভাবে বেঁচে থাকার
তাগিদে।।
২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯
অবরুদ্ধ অনিক বলেছেন: হুম।জীবনের কিছু বাস্তবতা গল্পকেও হার মানায়। :-)
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:২৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পাশের কেবিনের সেই মহিলা অার হসপিটালের সেই বুয়ার সমীকরনটা মিলিয়ে দেখলাম।কতটা বৈপরীত্য উভয়ের জীবনে!
তখন থেকেই ধারনা পেয়েছি কত রকমের মানুষ রয়েছে দুনিয়ায়।ভালো মন্দ খারাপ,কত রকমের।
জীবনটা অাসলেই নাটকের চেয়েও বেশি নাটকীয় ..
এই নাটকীয়তায় মাঝেই জীবনের বয়ে চলা!