নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতীয় সাংবাদিকের চোখে শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর কারণ !

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪৪


ভারতের প্রখ্যাত সাংবাদিক মানস ঘোষ, যিনি একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ কভার করেছিলেন এবং যুদ্ধোত্তর তিন বছর ঢাকায় অবস্থান করেছিলেন, সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন একটি আলোচিত গ্রন্থ : “Mujib’s Blunders – The Powers and the Plot Behind His Killing”। দিল্লির নামী প্রকাশনা সংস্থা নিয়োগী বুকস থেকে প্রকাশিত এই বইটি ইতিমধ্যেই ভারতের বুদ্ধিজীবী মহলে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

মানস ঘোষ তার বইতে উল্লেখ করেছেন, স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে তখনও সক্রিয় ছিল পাকিস্তানপন্থী so-called 'ডিপ স্টেট'। কিন্তু শেখ মুজিব তার আশেপাশের মানুষজন বাছাই করার ক্ষেত্রে একেবারেই 'নির্বোধ' (blunder) ছিলেন বলে মন্তব্য করেন ঘোষ। তিনি পাকিস্তানপন্থী 'কুইসলিং'দেরই সরকার ও প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছিলেন, যারা পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্রে অংশ নেয়। উদাহরণ হিসেবে এক পাকিস্তানি চরকে ভিজিল্যান্স কমিশনার করার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন: “আমি নিজেও জানতাম তার অতীত, কিন্তু কীভাবে এমন পদে বসানো হলো তা আজও রহস্য।” ঘোষ যুক্তি দেন, পাকিস্তান এই চরদের মাধ্যমেই হত্যার ষড়যন্ত্র বুনেছিল এবং ১৯৭১ সালের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল।

লেখক বিশেষভাবে উল্লেখ করেন ১৯৭৪ সালের জুলাই মাসে ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ভারতের গোয়েন্দা কর্মকর্তা পিএন ব্যানার্জির রহস্যজনক মৃত্যুর প্রসঙ্গ। মুজিবের ঘনিষ্ঠ এই কর্মকর্তাকে হত্যা না হলে শেখ মুজিবের প্রাণহানি ঘটানো সম্ভব হতো না বলে তার দৃঢ় বিশ্বাস। এই ঘটনাকে তিনি বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তা ভেদ করার একটি বড় বাঁক হিসেবে দেখেছেন।

বইটিতে মুজিবের সবচেয়ে বড় ভুল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সীমিত করার পাশাপাশি তাজউদ্দীন আহমদকে কোণঠাসা করাটাকেও তিনি ভয়াবহ কৌশলগত ভুল বলেছেন। ঘোষ দাবি করেন, তাজউদ্দীন সতর্ক করেছিলেন এতে ষড়যন্ত্রমূলক রাজনীতি মাথা তুলবে এবং সেটাই শেষ পর্যন্ত ঘটেছিল।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সমালোচনা এসেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়ে। অসাম্প্রদায়িক আদর্শে বিশ্বাসী হয়েও মুজিব এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন, যা পরবর্তীতে মৌলবাদী শক্তির দখলে চলে যায়। মানস ঘোষ মনে করেন, এই প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির একটি প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি তৈরি হয়েছিল।

মানস ঘোষের মতে , যে পাকিস্তানকে ভেঙে বাংলাদেশের জন্ম, তার কাছ থেকেই স্বীকৃতি পেতে শেখ মুজিব অতি আগ্রহী হয়ে পড়েছিলেন। ১৯৭৪ সালে লাহোরে ওআইসি সম্মেলনে যোগদানের পেছনে এই কারণই ছিল প্রধান বলে দাবি করেছেন মানস ঘোষ। এর বিনিময়ে পাকিস্তানের শর্ত ছিল, বাংলাদেশ যেন ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়। শেখ মুজিব তার দেশবাসীকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ভুট্টোর চাপে তিনি সেই প্রতিশ্রুতিও ভঙ্গ করেন।

শেখ মুজিবের ‘বড় বড় ভুল’ নিয়ে দিল্লিতে সাম্প্রতিক যে আলোচনা - Bangla Tribune

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২২

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: নির্বাচনের গরমে এই ধরনের পোষ্ট কেন?
ছাত্রলীগের শুন্যতা অনুভব করেছি।
গত নির্বাচনে তারা হেরে বিজয়ী প্রার্থীদের জড়িয়ে ধরেছিল। :P
এইবার গ্যাঞ্জাম ভরপুর! লীগ থাকলে সেরাম একটা ফাটাফাটি হইতো।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৪০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শিবির নাকি ৩৫ কোটি খরচ করেছে। মাশাল্লাহ!

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৫৫

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



মানস ঘোষের বই তো আপনি পড়েননি, যার লেখা থেকে আপনি লিখেছেন সেজন, কিংবা মানস ঘোষ যা বলেছে ইহা হাজার হাজার বেকুবও বলেছে।

উনাকে আমেরিকা ভুল করে হত্যা করেছিলো, আমেরিকানরা ভেবেছিলো যে, উনি সোভিয়েত ব্লকে চলে যাচ্ছিলেন।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:০২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মানস ঘোষের বই নিয়ে কলিকাতায় আলোচনা করেছেন তিনি নিজে । ভারতিয় সাংবাদিকরা খুব উচু মানের বলেছিলেন তাই শেয়ার করলাম।

উনাকে আমেরিকা ভুল করে হত্যা করেছিলো, আমেরিকানরা ভেবেছিলো যে, উনি সোভিয়েত ব্লকে চলে যাচ্ছিলেন। আপনার এ কথা সামুতে লিখতে আসার আরো আগেই জানতাম ।

৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:২৪

ক্লোন রাফা বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর তখনকার প্রেক্ষাপটে একটাই লক্ষ ছিলো । কত দ্রুত বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্ত করা যায়। দরিদ্র নিরন্ন মানুষের মুখে দু’বেলার আহার যোগার করাই ছিলো লক্ষ।তখন তিনি শত্রু মিত্র পৃথক না করে চেয়েছিলেন। মধ্যপ্রাচ্যের আর্থিক আনুকুল্য । কারন তখন রাশিয়া এবং ভারতের অর্থনীতি বলতে তেমন কিছুই ছিলোনা।

কোনো বাংলাদেশের নাগরিক তাকে হত্যা করবে!এই কথা তিনি স্বপ্নেও চিন্তা করেন নাই। তার দরজা সবার জন্য খোলা ছিলো। একজন অতি সাধারন একজন মানুষ ইচ্ছে করলেই তাকে হত্যা করতে পারতো। তারা কেউ করেনি কাজটা। এতেই প্রমান হয় পরাজিত সম্রাজ্যবাদি অপশক্তি পুরো বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিপন্ন করার জন্য। ক্ষমতালিপ্সু অতি নিচু প্রকৃতির শ্রেনীর কিছু নরপিশাচ নিয়োগ করে । এই হত্যা শুধু বঙ্গবন্ধু’র জন্য নয় । পুরো বাংলাদেশের ধ্বংস নিশ্চিত করার চক্রান্ত ।

ইতিহাসের দিকে তাকালেই বুঝতে পারার কথা , যে কোনো মানুষের। বাংলাদেশের ইতিহাস পড়ুন তাহলেই বুঝতে পারবেন।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:২৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার মতামত দেয়ার জননো ধননোবাদ ।

৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ২:২০

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



আমার আগে আপনি জানতেন; কিন্তু পোষ্টে মুল বাক্যটি ও ধারণাটা নেই, পোষ্ট টি কিজন্য লিখেছেন?

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ২:২৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার আগে আমি কিভাবে জানবো ? :) বলেছি সামুতে আসার আগে জানতাম । পোষ্ট দিয়েছি ভারতিয় সাংবাদিকের মান নিয়ে কে কি বলে সেটা দেখতে । :-B

৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০৮

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



ভারতীয় সাংবদিকের ধারণা সঠিক কিনা, সেটা নিয়ে কিছু বলতে চাননি; সেটাকে পয়েন্ট আউট করার কোন দরকার ছিলো না?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.