![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কয়েকটি বিশেষনের প্রয়োগ ঘটিয়ে
কয়েক লাইন পঙক্তি লিখে অামি
অামার জন্মদাত্রীকে অপমান করব না।
কারন সে যোগ্যতাখানা অামার
কক্ষনো ছিলো না, হবেও না।
তবু এই অযোগ্যতার দেয়ালটাকে টপকে
গিয়ে কিছু কথা নাহয় বলেই
ফেলি...........
পৃথিবীর সহস্র কৃত্রিমতার ভেতরে শুধু এই
একজন মানবীর মাঝেই অামি
অকৃত্রিমতার রূপ দেখেছি।
তিনশত দশটি দিন গর্ভে ধারন
করেছিলেন তিনি অামাকে।জন্মের
পরবর্তীতে প্রসববেদনা কাটিয়ে ওঠার
অাগেই বুকের দুধ পান করিয়ে অামার
ক্ষুধা নিবারন করেছেন।
জন্মের পর থেকেই অসুস্থতার পদতলে
চাপা
পড়ে মরতে বসেছিলাম।
মা ছিল,তাই বেঁচে রইলাম।অামার
ছোট্ট দুটি হাত খাবার অাকড়ে ধরতে
পারত না।তখন মায়ের হাতকেই নিজের
করে খাবারের স্বাদ নিয়েছিলাম।
অামার ছোট্ট পা দুটি শরীরের ভর বহন
করতে পারত না।মায়ের কোলই ছিল
একমাত্র ভরসা।
অামি তখন কথা বলতে পারতাম না।তবু
মা কিভাবে যেন অামার
প্রয়োজনগুলোকে উপলব্ধি করে
ফেলতেন।
অাজ যেই অক্ষরগুলোর প্রয়োগ ঘটিয়ে
মাকে নিয়ে লিখে যাচ্ছি,তাও
মায়েরই অবদানে।মায়ের কাছেই এই
অক্ষরগুলোকে চেনার হাতেখড়ি।
মায়ের হাতের অাঙ্গুল ধরে
কাঁধে ব্যাগ,কপালের বাম কোনায়
কাজলের ঘাড় ফোটা নিয়ে গুটি গুটি
পায়ে প্রথম স্কুলে গিয়েছিলাম।
সেইদিনও স্কুলমাস্টারের বেতের ভয়
থেকে বাঁচার জন্য মায়ের অাঁচলে
নিচে লুকিয়েছিলাম।
অাজ অামি বড় হয়েছি।তবু মায়ের উপর
নির্ভরতা অনেকখানি রয়ে গেছে।
অাজও অামার গা সামান্য গরম হলেই
সারারাতটা অামার বালিশের
পাশে বসেই কাটিয়ে দেয়।
কোন কারনে না খেয়ে থাকলে
তিনিও উপোস করে কাটিয়ে দেন।
অথবা হাড়িতে খাবার কম থাকলে
তার সমস্তটুকু অামাদের খাইয়ে
একগ্লাস জলেই পেট ভরে ফেলেন।
তবুও এতটুকু অাক্ষেপ করেননি কোনদিন।
-
স্রষ্টার কাছে অামি শুধু এইটুকুই
চাই,তিনি অামাদের তিনভাইবোনের
মনমানসিকতাকে কোনদিন সেই
পর্যায়ে যেতে দেবেন না,যেই
পর্যায়ে গেলে মা বাবার মনে কষ্ট
অাঘাত হানবে।
অামরা মানুষ হতে অমানুষের পর্যায়ে
যেতে চাই না।কারন অামাদেরকে
মানুষ করতেই মা-বাবা তাদের
অধিকাংশ জীবদ্দশা শেষ করে
ফেলেছেন। অার অামাদের কাছে
সেই জীবদ্দশার মূল্য অাকাশচুম্বি.....
©somewhere in net ltd.