![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বোকাসোকা মানুষ, কঠিন কথা বুঝিনা। মৌলবাদের গুষ্ঠি কিলাই। লিখতে ভাল্লাগে তাই লিখি। যোগাযোগ: [email protected]
ইন্ডিয়াতে বাবরি মসজিদ ভাঙা নিয়ে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়েছিলো। তখন আমার বয়স পাঁচ-সাড়ে পাঁচ। আমাদের গ্রামে অনেক হিন্দু পরিবারের বসত ছিলো। একদিন দেখলাম থমথমে আবহাওয়া, সবাই ফিসফিস করে কথা বলছে, আর বাচ্চাদের দেখলেই চুপ করে যাচ্ছে। সেদিন সকাল সকাল আমাদের গ্রামের বেশ কিছু সচ্ছল হিন্দু পরিবার তাঁদের মূল্যবান জিনিসপত্র এবং টাকাপয়সা আমাদের বাসায় এসে রেখে গেলো। সেসব জিনিসে আম্মু-আব্বুর বেডরুম স্তুপ হয়ে গেলো। সবার জিনিস দেওয়া শেষ হয়ে গেলে আম্মু বেডরুমের দরজায় তালা মেরে দিলো।
ছোটো ছিলাম, কাজেই সেদিন আমাদের গ্রামে ঠিক কী হয়েছিলো আমি জানিনা। তবে মানুষ অনেক আহত হয়েছিলো, মারা গিয়েছিলো সম্ভবত। মন্দির এবং হিন্দু বাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছিলো অনেক। যে লোকগুলো দল বেঁধে এসেছিলো এসব তান্ডব করতে, ওদেরকে দেখে ধার্মিক মনে হয়নি। আমার বাবা-মা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। সকালবেলা আমার ঘুম ভাঙতো আম্মুর সুর করে কোরান শরীফ পড়ার ধ্বনিতে। আবার বাবার গালে দাড়িও নেই, আমার মা বোরকাও পড়ে না। ওঁরা আমাদের দুই ভাইকে শিখিয়েছে- মানুষকে মানুষ হিসাবে সম্মান দিতে। মানুষের জীবনকে সবার থেকে বড় করে দেখতে।
এন্থনি মাসকারেনহাসের 'দ্যা রেইপ অফ বাংলাদেশ' এ তিনি লিখেছিলেন, ১৯৭০ এ যখন নির্বাচন ক্যাম্পেইন চলছিলো রমজান মাসে, শেখ মুজিবুর রহমান কখনও নামাজ কাজা করেননি, একটা রোজাও মিস করেননি। অন্যদিকে জুলফিকার আলি ভুট্টো নামাজও পড়তেন না, রোজাও রাখতেন না, মদ এবং নারী নিয়ে তাঁর কাটতো প্রতিটা রাত। আবার তিনি ইসলামের নামে ভোট চাইতেন পাকিস্তানের জনগণের কাছে। ইসলাম রক্ষার জন্যই ওরা একাত্তরে শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করেছে, বাঙালিকে কচুকাটা করেছে, মসজিদের শহর ঢাকাকে গোরস্তান বানিয়েছে।
কাজেই ধর্মের সংজ্ঞা একেকজন মানুষের কাছে একেক রকম। শেখ মুজিবের কাছে ধর্মের সংজ্ঞা যা ছিলো, তাঁর কন্যার কাছে ধর্মের সংজ্ঞা ভিন্ন। সেটা তিনি প্রমাণ করেই ছেড়েছেন। কিন্তু আমি ধর্মের কোন সংজ্ঞা মানবো? কোনটাকে আমি সত্যিকারের ধর্ম বলে মনে করবো? আমার সিদ্ধান্ত আমি বিবেক দিয়ে চিন্তা করে নিয়েছি। আপনার সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে। সে সিদ্ধান্তের দায়ভারও আপনাকেই বহন করতে হবে।
২| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:১১
অপ্রিয় সত্য বলেছেন: বাংগালী ধর্মভীরু জাতি, ধর্মপ্রান নয়। তাঁরা ধর্মকে ভালবাসে না, ধর্মকর্ম না করলে গুনাহ হবে, জাহান্নামে যাবে, সেই ভয়ে ধর্ম পালন করে।
৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:১৫
দ্য েস্লভ বলেছেন: ইসলাম একের দোষে অন্যকে শাস্তি দেয়না। এমনকি এখন দেখা যায় পুত্র অপরাধী হলে পুলিশ পিতা-মাতাকে আটক করে,এটাও ইসলাম সমর্থন করেনা। বাবরী মসজিদ যেহেতু এদেশের হিন্দুরা ভাঙেনি তাই তাদের ওপর অত্যাচার ইসলামের নীতি বিরুদ্ধ। যারা অপরাধী ইসলাম শুধু তাদের সংশোধন বা শাস্তির বিষয়ে কথা বলে। এটা ইসলামী আইন।
যারা আবেগের বশে অত্যাচার করেছে আল্লাহ তাদের বিচার করবে কিন্তু ইসলাম তাদেরকে এটি করতে বলেনি। আর যারা কতিপয় মানুষের আচরণ দেখে ধর্মের নতুন সংজ্ঞা দেওয়ার চেষ্টা করছেন তারা ভুল করছেন। আগে বুঝতে হবে সত্যিই ইসলামী নীতি কি।
১৯৭১ সালে পাতিস্থানী শাসকরা ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্যে যুদ্ধ করেনি,এমন লক্ষও তাদের ছিলনা। তারা ছিল সেক্যুলারিস্ট । তারা ব্যক্তিগতভাবে ভাল মুসলিম ছিলনা এবং রাস্ট্রেও ইসলাম প্রতিষ্ঠার কোনো পরিকল্পনাও ছিলনা। তারা রাজনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার কারনে হামলা চালিয়েছিল। মুসলিমের জন্যে অপর মুসলিমের রক্ত হারাম। আর যেহেতু সেখানে ইসলাম ইস্যু ছিলনা তাই তাদের সমর্থনের প্রশ্নও আসছে না। ইসলাম মানে হল কুরআন এবং সুন্নাহ। আমরা এটা দেখে মানুষকে বিচার করব। কিছু মানুষের কর্মকান্ড দেখে ইসলামকে বিচার করব না।
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৫
আম-আঁটির ভেঁপু বলেছেন: আপনার বক্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। সম্পূর্ণ একমত হতে পারলাম না। বিশেষ করে লাস্টের প্যারা... পাকিস্তানী শাসকরা সেকুলারিস্ট ছিলো??? মুসলমানদের জন্য পৃথক বাসভূমির দাবিতে যেই পাকিস্তানের জন্ম সেই রাষ্ট্রের প্রণেতারা সেকুলারিস্ট ছিলো??? তারা ভালো মুসলিম ছিলো না, সত্য। তারা রাজনৈতিকভাবে লাভবান হতে চেয়েছিলো- সত্য। কিন্তু তারা এদেশে যা করেছে সেটা ইসলামের নামেই করেছে। এই হত্যাকান্ড জাস্টিফাই করার জন্য ইসলামকেই ব্যবহার করেছে। আমি ইসলামকে বিচার করছি না। ইসলামের অপব্যবহার সম্পর্কে বলছি। কেউ ইসলামের নামে যা খুশি তাই করবে, আর আপনি 'এটা ইসলাম নয়' বলে হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন- সেটা হতে পারে না। মুমিন মুসলমান হিসাবে এসবের বিহিত করা আপনার প্রধান দায়িত্ব হওয়ার কথা।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫০
জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: ধর্মের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি জাতিভেদে ভিন্ন।ধর্মীয় আচারসমূহ সারাবিশ্বে সবসময় যে এক তাও নয়।ধর্মের ব্যবহার তখনই অপব্যবহার হয় যখন ব্যবহারকারী রেসিজমকে ধর্মীয় আইনে বৈধ মনে করে।