নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আম-আঁটির ভেঁপু

কবে যাবো পাহাড়ে... কবে শাল মহুয়া কণকচাঁপার মালা দেব তাহারে....

আম-আঁটির ভেঁপু

বোকাসোকা মানুষ, কঠিন কথা বুঝিনা। মৌলবাদের গুষ্ঠি কিলাই। লিখতে ভাল্লাগে তাই লিখি। যোগাযোগ: [email protected]

আম-আঁটির ভেঁপু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বোরকা এবং নেকাব পরিধানের অধিকার

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮

প্রসঙ্গ: ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে নেকাব পড়ার অপরাধে ছাত্রী বহিষ্কার।



প্রথমত, কোনো নারীর সম্ভ্রম রক্ষার জন্য তাকে নেকাব পড়তে হবে, অর্থাৎ মুখ ঢেকে চলাফেরা করতে হবে- এটা আমি বিশ্বাস করিনা। তবে কেউ নেকাব পড়তে চাইলে সেটা একেবারেই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।



দ্বিতীয়ত, নেকাব পড়ার কারণে একজন লোককে চেহারা দেখে সনাক্ত করা অসম্ভব। এমনকি- সে পুরুষ না নারী সেটাও বোঝা অসম্ভব। এবং একজন unidentifiable মানুষ অবশ্যই একটা সিকিউরিটি থ্রেট।



তৃতীয়ত, কেউ যদি নেকাব পড়েই ভার্সিটিতে আসা এবং ক্লাস করায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকে, তাহলে তাকে জোর করে নেকাব খুলতে বাধ্য করাটা কখনোই মেনে নেওয়ার মত না। এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিটা চেকপয়েন্টে নারী সিকিউরিটি এবং নেকাব-পরিহিতাদের নেকাব খুলে চেক করার জন্য এনক্লোজড চেকিং রুম থাকতে পারে। কর্তৃপক্ষ যদি এসব না করে নেকাব নিষিদ্ধ করতেই বেশি আগ্রহী হয়- তাহলে সেটা ওই ছাত্রীকে ভার্সিটিতে ভর্তি করার আগেই খোলাসা করে নেয়া উচিত ছিলো। এখন মাঝপথে এসে তাকে নেকাব খুলতে বলা অযৌক্তিক।



সবশেষে, নেকাব পড়ে আসার জন্য কাউকে ভার্সিটি থেকে বের করে দেওয়ার অধিকার ভার্সিটি কর্তৃপক্ষের নাই। নেকাব পড়া নিশ্চয়ই নকল করা কিংবা ইয়াবা খাওয়ার মত বড় অপরাধ না। ইন ফ্যাক্ট, নেকাব পড়াটা অপরাধই না। এই জিনিসটাকে কর্তৃপক্ষের আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত ছিলো যেটা তারা করতে ব্যর্থ হয়েছে। এবং তাকে ভার্সিটি থেকে বের করে দিয়ে বাংলাদেশের একজন নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করেছে।



এক্সট্রা মন্তব্য: নোটিশে নেকাব এবং ফেসিয়াল মাস্কের পাশাপাশি মিনিস্কার্ট, হাফপ্যান্ট এবং থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে- সেটা কি কেউ লক্ষ্য করেছেন?





মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

হিসলা সিবা বলেছেন: সহমত

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৭

কিলার অফ রাজাকার বলেছেন: বোরকা বন্ধ করতে পারে কিন্তু পতিতাগীরি বন্ধ করতেপারে না ভার্সিটি।
আজকে উলঙ্গপনাকে মনে করে স্বাধীনতা। আর ইসলামকে হেয় করার নাম নারী অধিকার।
এগুলো নারী অধিকার আদায়ের কর্মীরা দেখতে পায়না। এখন তারা বোবা শয়তান

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৮

আম-আঁটির ভেঁপু বলেছেন: আমার মনে হয় না ভার্সিটি ইসলামকে হেয় করার জন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছে। আমার পোস্টের সবশেষ লাইনটা পড়ুন। এবং ব্লগের ছবিটা খুলে দেখুন। এমন কিছু লোক যেমন আছে যারা কোনোকিছুর মধ্যে ইসলামের গন্ধ দেখলেই তার বিরোধিতা শুরু করে, তেমনি এমন অনেক লোক আছে যারা এ জগতের যেকোন যেনতেন বিষয়কেই ধর্মের উপর আঘাত হিসেবে দেখতে পছন্দ করে। দু'টাই মানসিক বিকৃতি।

৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
নিষিদ্ধ করিয়ে সেই লোকটি না-কি মুক্তমনা ব্লগের
একজন ব্লগার।



ইশফাক ইলাহি চৌধুরী

সে মুক্তমনা হতে পারেনি। কুপমন্ডুকও হতে পারেনি। মুক্তমনা হতে পারলে আরেকজন মুক্তমনা'র (বোরখা পড়ুয়া সেই ছাত্রী) অধিকারকে সে সম্মান জানাতো। দালাল টাইপের লোক। মিডিয়া এটেনশান পেতে চায়। রাবিশ!

৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১

তানজিম রহমান বলেছেন: ব্রাক ইউনি একটা চরম গাধামি আর ছাগ্লামি করছে, যেটা করা মোটেও উচিত হয়নি... এইটা হইলো কথা!

৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: সহমত। ব্যক্তিগত ভাবে আমি হিজাব পড়াটাকে বেশ ভাল মনে করলেও মুখের সামনে নেকাব পড়াটাকে পছন্দ করিনা। ধারণা করি নেকাবটা খুব সম্ভব মরুভুমির প্রতিকূল আবহাওয়া থেকে আত্মরক্ষার জন্য পরা হয়, এটা ঠিক ধর্মীয় বিধানের অংশ নয়। এবং অনেকসময় দেখেছি নারীপুরুষ নির্বিশেষে ই মুখের এই আবরণীটি পরে থাকেন। তার পরও কেউ যদি এটি পরতেই চায়, পরুক না..।

এখানে একটা ইন্টারেস্টিং ডিবেট শেয়ার করলাম।

Click This Link

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩২

আম-আঁটির ভেঁপু বলেছেন: ধন্যবাদ :)

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৫

আম-আঁটির ভেঁপু বলেছেন: ডিবেটটা দেখলাম। বেগম রোকেয়ার জাগো গো ভগিনী প্রবন্ধটির কথা মনে পড়ে গেলো। একটা পক্ষ মেয়েদেরকে বোরকা-নেকাব পড়িয়ে ঘরে বসিয়ে রাখতে চায় তো অপর পক্ষ মেয়েদেরকে বোরকা-নেকাব খুলে রাস্তায় হাঁটাতে চায়। কিন্তু কেউ বলে না- 'তোমাদের যা খুশি তাই পড়ো। তোমরা কী পোশাক পড়লে তাতে আমাদের কিছু যায়-আসে না।'

৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৯

ক্যাপ্টেন ম্যাকক্লাস্কি বলেছেন:
বোরখা/নেকাবের নাম করে উজবুগের মত মুখঢাকা বিভৎস তালেবানি বোরকা পড়ে আসলে বড় সমস্যা।

নিরাপত্তা সমস্যা,
আইডেন্টিফিকেশন সমস্যা।
cctv তে চেনা যায় না। অকার্যকর করে দেয়!
সর্বপরি অসুন্দর!

বোর্খা না পরেও সালিন ভাবে প্রচলিত পোষাক পরা যায়।

৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৭

ছািব্বর বলেছেন: আবেদকে নাংগা করে কামরুখ কামাক্ষায় পাঠিয়ে দেওয়া হোক ।উহাই তার উপযুক্ত স্থান ।

৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৩

সোহায়লা রিদওয়ান বলেছেন: একমত!!

৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৩

এইস ম্যাকক্লাউড বলেছেন: +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.