![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখির হাতেখড়ি আমার অনেক
ছোটবেলায়। মনের খেয়ালে লিখতাম,
মনের খেয়ালে চলতাম।
একটি ছড়া লিখলে বিশ্বজয়ের
আনন্দে ফেটে পড়তাম। ওটাই ছিল
ছোটবেলার কবিতা। নজরুলের
লেখা বেশি পড়তাম বলে আমার
লেখনীতে তাঁর প্রভাব ছিল ব্যাপক।
অনেক চেষ্টা করেও সেই
ভাবটা কাটাতে পারিনি। একবার
ভেবেছিলাম হাল
ছেড়ে দিয়ে সাঁতরে পাড়ে চলে যাব
কিন্তু সেটা যে সম্ভব নয়
তা বুঝতে পেরেছিলাম ঠিকই কারণ
নেশাটা ততদিনে আমাকে পেয়ে বসেছে।
অনেক চেষ্টা করেও যখন একটা প্রেমের
কবিতা লিখতে পারছিলাম না ঠিক
তখনই একটা শীতল স্পর্শ আমাকে শিহরিত
করতে লাগলো বারবার। আমার হাতের
ওপর হাত রেখে আমায়
শেখালো কীভাবে কল্পলোকে নিজেকে হারিয়ে খুঁজে পেতে হয়,
কীভাবে স্বপ্নের পিঠে সওয়ার
হতে হয়। দখিনের একটু একটু
করে গায়ে লাগছিল।
স্বপ্নগুলো মাকড়সার মতো জাল
বুনে চারদিক
থেকে আমাকে ঘিরে রাখত সবসময়।
সব ছাড়ার পরিকল্পনা লাটে উঠল। তখন
কেবল স্বপ্নের পেছনে ছোটা।
তবে বাস্তবের চোখ
রাঙানিকে অবজ্ঞা করতে পারিনি কিছুতেই।
একদিন পরপর কিংবা প্রতিদিনের
কাঙ্খিত একঘন্টা আর
আস্তে আস্তে গড়ে ওঠা বন্ধন, সবার
চোখ এড়িয়ে কোমল হাতের স্পর্শ,
মায়াবী চাহনি আর হাসিটা আমায়
ঘিরে থাকত সকাল থেকে সন্ধ্যা;
দেখতাম রাতে চোখ মুদলেও।
কলেজগেট, ব্যস্ত সড়ক কিংবা দূর্গন্ধময়
কাঁচাবাজারের মাঝ
দিয়ে হাঁটা কোনটাই বিরক্ত
লাগতোনা প্রখর
রোদে মাটিতে জড়িয়ে থাকা মায়াবী মানবীর
শীতল ছায়াটির দিকে তাকালে, যার
পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে কেবল
স্নিগ্ধতা।
প্রদীপের নিচটা আঁধারে ঢাকা।
তাকে আলোকিত
করতে না পারলে পুরো ঘরে একটুখানি আঁধার
রয়েই যায়। প্রদীপের আয়ু ফুরাবার
সাথে সাথে আঁধারও বেড়ে যায়।
শেষ বিকেলের আলোয় মুখটা জ্বলজ্বল
করছিলো ওর। এ হয়তো আমার চাহনির
দোষও হতে পারে। সূর্যের শেষ আলোটুকু
ঠিকরে পড়ছিল ওর গালে। গাল
বেয়ে শরীরে নামছিলো আলোর শেষ
কণাটুকু। আমি কেবল
চেয়ে চেয়ে দেখছিলাম
শেষক্ষণটি অবোধের মতো। সেই
চেনা হাসিমুখটা আর একবার
দেখতে চেয়েছিলাম জীবনে।
তারপর অনেকগুলো বিকেল কেটেছে,
অনেকগুলো দিন কেটেছে,
পূর্ণিমা কেটেছে, অনেকগুলো মুখ
দেখেছি, হাসিকান্নার
সাক্ষী হয়েছি। কিন্তু সেই
হাসিটা আজও
গেঁথে আছে সোনালী স্মৃতিতে,
মনের গহীনে।
অনিক মাহফুজ।
১৪/১২/১৩
©somewhere in net ltd.