![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তুমি রৌদ্রদাহে শীতল ছায়া,
ঝর বরষার বারি,
তুমি সৃষ্টিকূলে অদ্বিতীয়া
অপরূপা রূপে নারী।
কখনও মাতা, কখনও ভগিনী,
কখনওবা তুমি সহধর্মিণী,
ছায়া হয়ে তুমি রয়েছিলে পাশে,
নব সৃষ্টির নব উছ্বাসে,
যাহা করিয়াছে নর।
তব গুনগান গাহি আমি কবি
সারাটি জনমভর।
গণিকালয়ে রাত্রি যাপিত
পতিরে করেছ
ক্ষমা।
শাড়ির আঁচলে চক্ষু মুছিয়া
করিয়া গিয়াছ সেবা।
দিবসের জ্বালা দিবসে ভাঙিয়া,
নিশীথে সেজেছ বধূ।
ক্লান্ত পতির তিয়াস মেটাতে
যোগায়েছ তুমি মধু।
হে স্থৈর্যশীলা নারী -
যুগে যুগে তুমি বহু রূপে রূপে
হইয়াছ সঞ্চারি।
মাতারূপে তুমি হৃদয় উপাড়ি
দিয়ে গেলে ভালোবাসা,
আদর, স্নেহ, মমতায় বেঁধে
মিটায়ে সকল আশা।
দশটি মাসের কষ্ট সহিয়া
জন্ম দিয়াছ তুমি,
জগতের যত মহামনীষী, মহাজন,
মহাজ্ঞানী।
ভগিনী রূপে ভ্রাতার পাশে রহিয়াছ
সারাবেলা,
কন্যা বলিয়া যদিও তোমায় ,
করিয়া গিয়াছে হেলা।
দেবী রূপে তুমি স্বর্গে আসিয়া,
ছড়াইয়া গেলে আভা,
অসুর বধিয়া ফিরাইয়া দিলে
ইন্দ্রের রাজসভা।
প্রেয়সী হইয়া কাছে আসিয়াছ,
ডেকেছ প্রেমের বাণ,
জন্ম দিলে কতশত কবি,
হাজারো কবিতা গান।
কোনদিন একা বাঁচিয়াছে নর
লেখা নাই ইতিহাসে,
অর্ধাঙ্গী রূপে ছায়ার মত,
তুমি ছিলে তার পাশে।
তোমার প্রেমের স্পর্শ পেয়ে
মাতাল হইল নর।
বিপথগামীর আনিয়াছ পথ,
গড়িয়া দিয়াছ ঘর।
তোমার উপেক্ষা, ছলনার টানে,
ভুলিয়াছে নর জীবনের মানে
আত্মভোলা প্রেমিক রূপে
ছেড়েছে মর্ত্য, স্বর্গটানে।
তোমার স্পর্শে সজীব হইল
তরুলতা মরমর,
গাহিল তব গুনগান তরু
সারাটি জনমভর।
যুগে যুগে যত রণে গেছে বীর,
দিয়া গেছে যত প্রাণ,
উচ্চ কন্ঠে গেয়েছি মোরা
সে বীরের জয়গান।
কখনও ফিরিয়া চাইনি তোমার
নয়ন দুটির পানে,
কাজল যে তার ধুইয়া গিয়াছে
অঝোর অশ্রুস্নানে।
নরের ভ্রূকুটি, ত্রাসন, শাসন
কর্তৃত্বের ছড়ি,
ঘাত-প্রতিঘাত শত আকালের
দুঃখ নিয়াছ বরি।
তুমি নারী চিরকাল,
রুখে দিয়েছ নরের বিপদ,
ছাড়িয়া দাওনি হাল।
কীভাবে করিব তোমার স্তুতি!!
কী দেব তোমায় বর!!
নতঃশিরে করি তোমায় সেলাম
আমি সামান্য নর।
দিবসে হয়েছ নরের ছায়া
তমেও যাওনি ছাড়ি।
মহীয়সী তুমি, প্রেয়সী তুমি,
সর্বংসহা নারী।
অনিক মাহফুজ
২৮/২/১৩
©somewhere in net ltd.