নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেবার মত তেমন কোন পরিচয় এখনো অর্জন করতে পারিনি। আরও কিছুদিন সময় দিন.।।

আনন্দ কুটুম

কে আমাকে ফুলের মালায় বরণ করল, আর কে আমাকে জুতার মালায় বরণ করল ! তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আমি যেন সব সময় সত্য দ্বারা পক্ষপাত দুষ্ট হই। এটাই নিজের কাছে নিজের প্রত্যাশা।

আনন্দ কুটুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার মৃত্যু ভয়.।.।.।।

২৬ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:০৩

আমি বিশ্বাস করি না দাঁড়ি টুপিই খুন খারাপির প্রতীক। কেননা, এই জাতিকে উদ্ধার করার জন্য অনেক মনি ঋষিই এসেছেন যাদের দাঁড়ি টুপি দিয়েই তাঁদের প্রোট্টেট আঁকা হয়। লালন শাহ্‌, রবীন্দ্রনাথ, মাউলানা ভাসানি, কাজী নজরুল, আরজ আলী মাতব্বর, তিতুমির, নিরমলেন্দু গুন আরও অনেকে...
জন্মের ব্যাথায় কাতরানো একটুকরো সবুজ ভূমিকে সেদিন যারা জন্ম দিয়েছিল, সেই বীর সৈনিকদের অনেকের মুখেই আমি দাঁড়ি দেখেছি, তাদেরকেও দেখেছি টুপি পড়তে। সুতারাং এটা বিশ্বাস করা আমার জন্য কঠিন যে দাঁড়ি টুপিই রাজাকারের প্রতীক, বা দাঁড়ি টুপি মানেই মৌলবাদী... তার পরেও দাঁড়ি টুপি ওয়ালা মানুষ দেখলেই আমি ভয়ে শিথিল হয়ে যাই। কল্পনায় দেখি নিজের রক্তাক্ত মুণ্ডু হীন দেহটি মাটিতে পড়ে ছটফট করছে। প্রতিটি নিঃশ্বাসই টেনে টেনে নেই। মনে হয় এটাই আমার শেষ নিঃশ্বাস...
গতকাল টিএসসি-তে গিয়েছিলাম। অভিজিৎ দাদাকে যেখানে খুন করা হয়েছিল সেখানে দাঁড়িয়ে আমি চমকে উঠেছি। ঐ গোল চত্বরে যে ইটের মূর্তি গুলো দাঁড়িয়ে আছে, তাঁদের নিঃশ্বাসের সমান দূরত্বে ফেলে কি করে সম্ভব হল একজন মানুষকে খুন করা? মানুষ হিসেবে আমরা তা হলে কতোটা অসহায়!!! অভজিৎ দাদা পরম আত্মায় বিশ্বাসী ছিলেন না। তাই তাঁর জন্য মোনাজাত করা বা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর কাজ আমি করিনি। কারণ এই ফুলের সুবাস বা দোয়া কোন কিছুই তাঁর এথিকের সাথে যায় না।
হাটতে হাটতে চারুকলার সামনে এসে দাঁড়ালাম। নানা বিধ বইয়ের পসরা সাজিয়ে বসে থাকা বইয়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে নানা মতের নানা জাতের বই গুলো উল্টে পাল্টে দেখছিলাম। হাঁতে এসে পড়ল তসলিমার মেয়ে বেলা। ঠিক এমন সময় দুজন মাদ্রাসা ছাত্র প্রকৃতির ছেলে এসে আমার শরীর ঘেঁসে দুই পাশে দাঁড়ালো। আমি আমি ভয়ে নিমিশেই আতকে উঠলাম। বইটা ফেলে দৌড়ে পালিয়ে আসতে পারলে স্বস্তি পাব কিন্তু দৌড়ানোর মত আমার শক্তি নেই। আমি বইয়ের দিকে তাকিয়ে আছি। কিন্তু আমার মনোযোগ আমার প্রতিটা লোমকূপের আগায় আগায়। হটাত নিঃশ্বাস গুলো বড় বড় হয়ে গেল। আমি টেনে টেনে নিঃশ্বাস নিতে লাগলাম। প্রীতিটা মুহূর্তে মনে হচ্ছিল এখনি একটা ধারালো ছুড়ি আমার ঘাড় বরাবর বসিয়ে দেওয়া হবে। এই চোখের পলকই আমার শেষ পলক... আমি তাড়াতাড়ি সেখান থেকে সরে পড়লাম। বার বার পেছন ফিরে দেখলাম আমার দিকে তারা ছুটে আসছে কি না। না তারা আসেনি। কিন্তু পাবলিক লাইব্রেরীর সামনে থেকে আবার একজন টুপি পড়া লোক আমার পেছন পেছন হাটতে লাগলো। আমার পায়ের শিরা গুলো সব জটলা পাকিয়ে যেতে থাকল।
সাইকোলজির ভাষায় কে কি ব্যাখ্যা দেবে জানি না। কিন্তু আমি কাল মৃত্যুভয় খুব কাছ থেকে অনুভব করেছি। নিজের মৃত্যু কেমন হবে সেটা আমি দেখেছি। ভাবলে এখনো আমি চমকে উঠি...
*
আমি চাইনি এভাবে তোমাকে ভাবতে। কিন্তু তোমার কাজ, তোমার চলাবলা আমাকে মৃত্যু ভয়ে তাড়িত করে। এর দায় নিশ্চয়ই আমার নয়...

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.