নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেবার মত তেমন কোন পরিচয় এখনো অর্জন করতে পারিনি। আরও কিছুদিন সময় দিন.।।

আনন্দ কুটুম

কে আমাকে ফুলের মালায় বরণ করল, আর কে আমাকে জুতার মালায় বরণ করল ! তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আমি যেন সব সময় সত্য দ্বারা পক্ষপাত দুষ্ট হই। এটাই নিজের কাছে নিজের প্রত্যাশা।

আনন্দ কুটুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মা\'ই হবে সন্তানের অভিভাবক...

০৮ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩

কারো একটি হাত দুর্ঘটনায় হারিয়ে গেলে তাকে শান্তনা দেওয়া হয়, যেন সে শক্তি পায় অপর হাতটি দিয়ে জীবন চালিয়ে নেওয়ার। এর মানে এটা নয় যে সেই শান্তনা শুনে আপনিও আপনার একটা হাত কেটে ফেলবেন। বিষয়টা কি আপনার কাছে ক্লিয়ার??
একজন মেয়ে দুর্ভাগ্য ক্রমে ধর্ষিতা হলে তাকে সাপোর্ট দেওয়া হয়। এর মানে এই না যে আপনাকেও আমরা ধর্ষিতা হতে বলছি। এই জায়গা গুলো সবাইকে ক্লিয়ার হতে অনুরধ করছি।
ভারতীয় হাই কোর্ট সিঙ্গেল মাদারের পক্ষে রায় দিয়েছে, এর মানে এই না যে আপনাকেও সিঙ্গেল মাদারই হতে হবে। এর মানে হল এটা যে, দুর্ঘটনা বসত কেউ গর্ভবতী হয়ে হেলে সে যেন সসম্মানে তার সন্তানকে পৃথিবীর মুখ দেখাতে পারে। কেননা অবিবাহিত যৌন সম্পর্কের অপরাধ থেকেও ভ্রুন হত্যা আরও বেশি অপরাধ।
সন্তান উৎপাদনে মায়ের ভুমিকাই মুখ্য। বাবা সহায়ক মাত্র। সুতরাং মা'ই সিদ্ধান্ত নেবেন যে তিনি সন্তান উৎপাদন করবেন কি না। এর মানে এটা নয় যে বাবাকে অবমুল্যায়ন করা হল। বাচ্চা উৎপাদনে বায়োলজিক্যাল ফাংশনিং এ মায়ের যে ভূমিকা বাবার ভূমিকা সেই তুলনায় খুবই খুদ্র।
পৃথিবীতে এমন অনেক বাবা পাওয়া যাবে যারা সন্তান উৎপাদনের পরে তার কোন দায় নিতে নারাজ। পতিতা পল্লিতে যান লাখে লাখে পেয়ে যাবেন। শুধু পতিতা পল্লি কেন এই সভ্য সমাজে কি এমন পিতার সংখ্যা কম নাকি?? কিন্তু ঐ সকল পতিতা পল্লিতে গিয়ে দেখুন মা কিন্তু ঠিকই তার সন্তানদের বুকে চেপে রেখেছে। মা সন্তান জন্ম দেয় নিজের রক্ত, মাংস, নাড়ি কেটে। সে জানে সন্তান উৎপাদনের কষ্ট কি। একারনে নবী সঃ পর পর তিন বারই মায়ের হক আদায়ের কথা বলেছেন। বাবার না।
মাদার মেরী যীশুকে জন্ম দিয়েছিল পিতার ভূমিকা ছাড়া। কোন মেয়ে যদি মনে করে যে সে বিয়ে না করেই মা হবে তো তাতে বাচ্চা উৎপাদনে কোন ব্যাঘাত ঘটে না। সুতরাং মায়ের পরিচয়ই সন্তানের প্রথম পরিচয় হওয়া উচিৎ। বাবা ২য়।
একটা বাচ্চা জন্মের পরে মায়ের মত বাবাকেও প্রয়োজন হয়। ভালোবাসা, শাসন, শিক্ষা দিক্ষা এগুলো সমান ভাবে পাওয়ার জন্য। কিন্তু কোন কারনে বাবা যদি না থাকে জীবনে তা হলে কি জীবন থেমে থাকবে?? কে কার সাথে ঘুমিয়ে সন্তান উৎপাদন করল, কে কার শূককিটে জন্ম হল এগুলো খুব গৌণ প্রশ্ন। মুখ্য প্রশ্ন হল মা হওয়াটা। আজকাল মায়েরা অনেক শিক্ষিত, অর্থ উপার্জনে সক্ষম, সন্তান পালনে সক্ষম। সুতরাং আজকের দিনে মাই যথেষ্ট সন্তানের এক মাত্র পরিচয় হওয়ার জন্য। এক সময় ছিল যে মায়েরা সন্তান লালন পালনের জন্য বাবাদের উপরে নির্ভরশীল ছিল। আজ আর ততোটা নয়। তবে সন্তানের মালিকানা প্রসঙ্গে মায়েরা পিছিয়ে থাকবে কেন?? পুরুষ হিংসা প্রবন প্রাণী বলেই সে কোন মতেই মেনে নিতে পারেনা যে তার কর্তৃত্বর বাইরে গিয়ে নারী সন্তান উৎপাদন করুক। এ কারনেই পুরুষ প্ররিচয় প্রধান হয়ে উঠতে চায়। কিন্তু এটা খুবই অর্থহীন। যদি কোন পরিবারে স্বামী স্ত্রী মিলেই সংসার সাজাতে চায়, সন্তান উৎপাদন ও লালন পালন করতে চায় তো সেটাকেও স্বাগত জানাই। আমি চাই পরিবার টিকে থাকুক। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে কোন মেয়ে একা সন্তানের অভিভাবকত্ব দাবী করলে তাকে দমন করাকে সমর্থন করব। নারীর জরায়ু, নারীই সিদ্ধান্ত নেবে সে সন্তান জন্ম দেবে কি না। সেই সন্তানের অভিভাবকত্ব সে নিজের কাছে রাখবে কি না, অথবা বাবার সাথে শেয়ার করবে কি না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.