![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কে আমাকে ফুলের মালায় বরণ করল, আর কে আমাকে জুতার মালায় বরণ করল ! তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আমি যেন সব সময় সত্য দ্বারা পক্ষপাত দুষ্ট হই। এটাই নিজের কাছে নিজের প্রত্যাশা।
যদি সকল পরিস্থিতি ও সৃষ্টিকে পজিটিভলি বিচারই না করতে পারলেন তবে মুক্ত মনা হলেন কি করে?? মুক্ত মনা মানেই হল মনের সকল প্রকার সংকীর্ণ বাধন মুক্ত। ভ্যালুজ মানুষ সৃষ্টি করে। মানুষই সেটা ভাংবে। ভাঙা ময়দানে নতুন ভ্যালুজ তৈরি হবে। এটা একটি বাইসাইকেলিক ইস্টেম। সুতরাং ভ্যালুজকে আঁকড়ে থাকার তো কোন মানে হয় না...কারন এটা পরিবর্তনশীল।
ভ্যালুজ ভেঙ্গে দিলেই শিল্প হবে এমন চিন্তা প্রকৃত শিল্পী করে না। করতে পারে না। যে মৃৎশিল্পী দুর্গার মূর্তি বানায় সেটাও শিল্প, আবার যে শিল্পী কালীর নুড ছবি আকে তার সৃষ্টিও শিল্প। সুতরাং শিল্পের বিচার কিন্তু ভ্যালুজের উপরে নিরভর করে না। বরং কত সুন্দর করে গুছিয়ে নিজের কথাটা বলা হল সেটার উপরে নির্ভর করে। হোক সেটা ভ্যালুজের পক্ষে বা বিপক্ষে।
নতুন কিছুর আবির্ভাব হলেই মানুষের মস্তিষ্ক হোঁচট খায়। হোক সেটা ভাল বা খারাপ। মানুষের শরীর ও মন পরিবর্তনের পরিপন্থি। বিতর্ক আসলে তখনই সৃষ্টি হয় যখন আমি ভাবি আমার ভাবনাটাই একমাত্র সঠিক। বিষয়টাকে যখন আমরা ভাবতে শিখব যে, আমার ভাবনা সঠিক হবার পরেও তোমার ভাবনাটি সঠিক। তখনই আসলে আমরা সত্যকে ভিন্ন ভাবে উপলব্ধি করার ক্ষমতা অর্জন করব। কেন আমরা সব সময় এটা ভাবি যে প্রচলিত ধ্যান ধারনার বাইরেই সব কিছু খারাপ ও অকল্যাণকর?? কেন আমরা এক মুখি চিন্তা করি?? কেন বায়োনারি হিসাবে আমরা বিশ্বাসী?? খুদ্র খুদ্র একককে কেন আমরা মূল্যায়ন করব না?? আমরা কেন একটি নিদ্রিস্ট সংজ্ঞাকে শ্রেষ্ঠ বলছি??
সিনেমাটা ব্রাজিলিয়ান সিনেমার কপি পেস্ট। তাছাড়া আরও বড় বিষয় হল আমাদের উপমহাদেশে নারীর পঞ্চ স্বামী ভোগ প্রথা হিসেবে না হলেও কিন্তু একক হিসেবে নজির আছে।
যদি ন্যুড শরীর নিয়ে কের আপত্তি থাকে তা হলে আমার কিছু বলার নাই। ন্যুডকে গ্রহন করা বা না করা প্রত্যেকের নিজেস্য বিষয়। শিল্পী কিভাবে তার গল্প বলবে সেটাও তার নিজেস্য বিষয়। আমি বেধে দেওয়ার কেউ না। কিন্তু যে ফিলসোফি উঠে এসেছে সেটা কিন্তু ভাবনার বিষয়। "একজনকে ভালোবাসা মানেই এটা নয় যে অপরকে ভাল না বাসা। ভালোবাসা যদি এতো সংকীর্ণ হবে তবে ভালোবেসে লাভ কি"। দেখুন আপনি কখনই ভালবাসাকে সংজ্ঞায়িত করতে পারবেন না। পাত্র ভেদে এটার সংজ্ঞা ভিন্ন। সুতরাং নিজের সংজ্ঞাটাকে চূড়ান্ত ভাবার কোন কারন নেই।
স্ত্রীকে ভালোবাসা মানে প্রাক্তন প্রেমিকাকে ভালোবাসা যাবে না এটা খুবই অর্থহীন যুক্তি। আমার সেটাই মনে হয়। বাবাকে ভাল বাসা মানেই কিন্তু এটা নয় যে মাকে ভাল না বাসা। একই সময় অনেককেই ভালোবাসা সম্ভব। সুতরাং সে ভালোবাসা মন থেকে শরীরেও গড়াতে পারে।
একি সাথে একাধিক স্ত্রি ভোগের কালচার ইসলামে আছে। সেটাকে একটু জেন্ডার ওয়াইজ ঘুরিয়ে দিলে কি এমন ক্ষতি হবে??? কেন একই সাথে সময়, মন, দেহ সেয়ার হতে পারে না সেটা আগে আমাদের ক্লিয়ার হওয়া দরকার। এটা খুব জরুরী।
বিতর্কিত সিনেমা বানিয়ে হিট হওয়ার প্রসঙ্গে প্রায় শোনা যায় যে, শুধু মাত্র বিতর্ক সৃষ্টি করতেই সিনেমাটা বানানো হয়েছে। কথাটি প্রচণ্ড অবিবেচক কথা। কে কিভাবে হিট হবে সেটাও আমি বেধে দিতে পারি না। কেউ যদি পূজা আর্চা করে হিট হয়, তাকে যেমন আমার বলার কিছু থাকে না। তেমনি কেউ ন্যুড হয়ে হিট হলেও আমার কিছু বলার থাকে না। আমার বলার থাকে তখনই যখন এটা খারাপ কিছু বয়ে আনে।
আর শিল্পের ক্ষেত্রে গ্রেড নির্ধারণ করা আমার পছন্দ না। আমি বা আপনি কে যে অন্যের সৃষ্টির গ্রেড নির্ধারণ করব??? একজন সত্যজিৎ তার অবস্থান থেকে যে মমতায় সিনেমা বানায় একজন কিও ও নিজের অবস্থান থেকে সেই একি মমতায় সিনেমার জন্ম দেয়। তবে কিসের ভিত্তিতে আমরা গান্ডুকে বি গ্রেড বলি?? গান্ডু আমাদের দৃষ্টির সিমাকে প্রসারিত করেছে এটাই কি এর দোষ?? নাকি আমার পূর্বের দেখাকে/ বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ করেছে এটাই তার দোষ??
3 on a bed চিরাচরিত ধারার বাইরের একটি চিন্তা। সিনেমার নির্মাণ শৈলী বা ক্যারেক্টার প্লেয়ারদের দক্ষতা নিয়ে আলোচনার অবকাশ আছে। সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ও টেলিভিশন ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীদের নির্মাণ এটা। সুতরাং শিক্ষানবিশদের কাজে ছোট খাট ভুল থাকাটা খুব অস্বাভাবিক না। polyamory কে স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক প্রবিত্তি ভাবার থেকে বিষয়টাকে ব্যাক্তিকেন্দির আকর্ষণ হিসেবে দেখাটা উত্তম। অবশ্যই এটা নিজেস্য চাহিদার উপরে নির্ভরশীল।
২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৫২
স্পেকটার রাতুল বলেছেন: মুভিটার সাথে The Dreamers মুভির মিল অনেক
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৯
ঘুম হ্যাপি বলেছেন: সুন্দর মুভি।