![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কে আমাকে ফুলের মালায় বরণ করল, আর কে আমাকে জুতার মালায় বরণ করল ! তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আমি যেন সব সময় সত্য দ্বারা পক্ষপাত দুষ্ট হই। এটাই নিজের কাছে নিজের প্রত্যাশা।
"নারী পুরুষের সম্পর্কের চির ধরে কোন অবস্থান থেকে" এই বিষয়টার নিয়ে বিস্তর গবেষণার ইচ্ছা আছে আমার। প্রায়ই দেখা যায় সম্পর্কের ছোট খাট মান অভিমান গুলো জমতে জমতে পাহাড় হয়ে যায়। শুরু হয় ইগোস্টিক সমস্যা। কখন বুঝবেন যে আপনি আপনার ভালোবাসার মানুষের সাথে ইগোর বিবাদে জরিয়ে গেছেন??
নিজের অজান্তেই আপনি দেখবেন মুখ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে- আমি কেন আগে ফোন করব?? আমিই কেন শুধু সরি বলব? আমি কেন সব সময় আগে যেচে কথা বলব?? আমিই কেন সব সময় মাথা নত করব??
আসলে এই কথা গুলো বলে আমরা বড় হতে চাই। নিজের মেকি একটা অবয়ব তৈরি করি। আসলে আমরা কার সাপেক্ষে বড় হতে চাই?? নিজের ভালোবাসার মানুষটির সাপেক্ষে তো?? আমরা আসলে বড় হতে গিয়ে কাকে ছোট করছি? নিজের ভালোবাসাকেই তো???
যে কোন ধরনের সম্পর্কের শুরুতে, সে হোক বিবাহ বা প্রেম আমরা কিন্তু কমিটমেন্ট করেই ফেলি যে তুমি আমি ভিন্ন কেউ না। সে হোক প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে। কিন্তু ছোট খাট ভুল বোঝাবুঝি থেকেই এক সময় বড় দূরত্ব তৈরি হয়। তাই শুরু থেকেই সম্পর্কের বিষয়ে যত্নশীল হওয়া উচিৎ।
প্রায় লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে প্রেমিক প্রেমিকা দুজনই জানে যে তারা একে অপরকে অনেক বেশি ভালোবাসে। কিন্তু সেই ভালবাসায় বিশ্বাসটা নেই। তাই দুজন দুজনকে অন্ধ ভালবাসলেও শেষ পর্যন্ত সম্পর্কটা বিচ্ছেদে রুপ নেয়। কিন্তু কেন?? কারন সম্পর্ক চলতে চলতে কিছু বাঁক আসে, কিছু খারাপ সময় আসে। এই সময় গুলোতেই দুজন দুজনকে বুঝতে না পেরে এমন কিছু কথা বলে ফেলে যা সময়ের সাথে সাথে বেড়েই চলে। চাইলেও সে কথাগুলো আর ফিরিয়ে আনা যায় না। অনেক সরি বা ক্ষমাও ঠিক যেন জোড়া লাগাতে পারেনা সে ক্ষতকে।
কেরো কেরো ক্ষেত্রে এই ক্ষত তৈরিই হয় অতিরিক্ত এস্পেক্টেশন থেকে। অবশ্যই সম্পর্কে এস্পেক্টেশন থাকবে। কিন্তু সেটা যখন মাত্রা অতিক্রম করে যায় তখন সেটা পার্টনারের ব্যাক্তি স্বাধীনতায় আঘাত করে। সেখান থেকে শুরু হয় সন্দেহ। তাই ভালো সম্পর্কের বৈশিষ্ট্যই হল নিজের স্পেক্টেশন শূন্য রাখা। অন্তত আমি তাই মনে করি। ভালোবাসার মানুষের কাছে কোন এস্পেক্টেশন রাখতে নাই।
ভালোবাসা কোন দাড়িপাল্লায় মেপে হয় না। এটা অপরিমেয়। তাই কার ভুল বেশি আর কার ভুল কম এগুলোও পরিমাপ করা অর্থহীন। তাই ভুল যারই হোক, আগে আপনি সরি বলুন। আলোচনা করুন। একবারে সম্ভব না হলে সময় নিয়ে আলোচনা করুন। বিশেষ বিশেষ মুহূর্তে বা বিশেষ বিশেষ দিনে একটু একটু করে আলোচনা করুন। কোন সমস্যাই আলোচনার উর্ধে না। আর সব থেকে বড় কথা হল পার্টনারকে সন্দেহ করবেন না। পরীক্ষা করতে যাবেন না। যা কিছু বলার বা বলা উচিৎ সেটা সরাসরি বলুন।
মনে রাখবেন নিজেকে তার কাছে প্রকাশ করা থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল তাকে বা তার অনুভুতিকে শতভাগ বুঝতে পারাটা। কে কার থেকে বড় এই প্রতিযোগিতায় না নেমে, প্রতিযোগিতা করুন কে কার কাছে কতোটা ছোট ও বিনয়ী হওয়া যায়। দুজনের শরীর, মন, শিরা, উপশিরাকে এক করে দিন। তখন দেখবেন আপনি কিছু ব্যাখ্যা না করলেও সে ঠিকই আপনার হৃদয়ের স্পন্দনটুকু বুঝে নিচ্ছে
২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪১
বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন:
"দুজনের শরীর, মন, শিরা, উপশিরাকে এক করে দিন"
ঠিক বলেছেন ভাই, দুই মনে এক মন না হইলে কিছুতেই ওজন মিলবে না
ভাল থাকবেন সব সময়
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৫
আনন্দ কুটুম বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪১
সিপন মিয়া বলেছেন: হুম।