নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেবার মত তেমন কোন পরিচয় এখনো অর্জন করতে পারিনি। আরও কিছুদিন সময় দিন.।।

আনন্দ কুটুম

কে আমাকে ফুলের মালায় বরণ করল, আর কে আমাকে জুতার মালায় বরণ করল ! তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আমি যেন সব সময় সত্য দ্বারা পক্ষপাত দুষ্ট হই। এটাই নিজের কাছে নিজের প্রত্যাশা।

আনন্দ কুটুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেসবুক বন্ধ?? তাহলে মূল খেলাটা কোথায়????

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৮

বাংলাদেশে ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। চিন্তা নেই, সপ্তাহ গড়াতেই এগুলো খুলে দেওয়া হবে। তাহলে মূল খেলাটা কোথায়????
আসুন বিস্লেশনে যাওয়া যাক। দেশটা দিন দিন চায়নায় রুপান্তরিত হচ্ছে। যেহেতু চায়নার সাথে বাংলাদেশের সব থেকে বেশি মিল হল অধিক সংখ্যক জনসংখ্যায় তাই চায়নাকেই স্টান্ডার হিসেবে নেওয়ার একটা প্রবনতা সরকারের লক্ষণীয়। আপনি স্বীকার করুন বা না করুন গত আট বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও কাঠামোর একটা উন্নতি হয়েছে। সেটা গত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বাধিক।
লক্ষ করলে দেখা যায় আওয়ামী সরকার প্রায় প্রায় তাদের বক্তব্যের মাঝে জানান দেয় যে, একটা দেশের উন্নতির ধারা অব্যাহত রাখতে হলে কোন সরকারকে একাধারে কমপক্ষে তিন টার্ম ক্ষমতায় থাকতে হয়। কিন্তু আওয়ামীলীগ সেই সুযোগ কখনো পায়নি। এবং বিশ্লেষকদের মতে আওয়ামীলীগ যে পথে হাঁটছে তাতে ২০২১ সালের আগে তারা ক্ষমতা ছাড়বে না।
লক্ষ করলে দেখা যায় যে, চায়নার মত বাংলাদেশের অর্থনীতির একটা কাঠামো হয়ত তৈরি হবে। অভুক্ত মানুষের সংখ্যা কমবে। কিন্তু দেশের মানুষের কোন স্বাধীনতা থাকবে না। চায়না সরকার যা করেছে সমাজতন্ত্রের মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগ সেটাই করছে গণতন্ত্রের লেবাজ ধারন করে। সে ক্ষেত্রে সুবিধা হল একই সাথে রাশিয়ার সমাজতন্ত্র এবং আমেরিকার গণতন্ত্র উভয়ই চর্চা করা যায়। আমেরিকা, রাশিয়া উভয়ই খুশি থাকে। আওয়ামীলীগের এই একদলীয় গণতন্ত্র চর্চাকেই বিএনপি বার বার বাকশাল বলে আখ্যা দিয়ে আসছে।
বলতে দ্বিধা নেই যে, দেশে কোন রাজনৈতিক সুস্থ পরিবেশ নাই। মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই। মাঠ পর্যায়ে কোন আন্দোলন সরকার বর্দাস করে না। নিশ্চয়ই কারো অজানা না গত ১০ বছরে বাংলাদেশে যতগুলো আন্দোলন হয়েছে (হোক সেটা সরকারের পক্ষে বা বিপক্ষে) তার সব গুলোতেই অনলাইনের একটা বড় ভূমিকা আছে। যেমন- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আন্দলন-২০১২, ভ্যাট বিরোধী আন্দলন-২০১৫, শাহাবাগ আন্দোলন- ২০১৩, ব্লগার হত্যার বিপক্ষে জনমত গঠন সহ সকল প্রকার অন্যায় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মাঠ পর্যায়ে আন্দোলনে নামার আগে জনমত গঠন করা হয় এই অনলাইনে। সুতরাং সরকারের নজর বহু আগে থেকেই আছে এই অনলাইনের উপরে। সেই নজরদারি আরো বেড়েছে শাহাবাগ আন্দোলনের পর থেকে।
আওয়ামী সরকার রাজাকারের ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে বার বারই ধুম্রজাল তৈরি করেছে। এগুলো আমারা দেখেছি। বাংলাদেশের তরুণ সমাজ এ নিয়ে অনলাইন ভিত্তিক আন্দোলনও চালিয়ে যাচ্ছে। সেই বিষয়টাকে নিয়ন্ত্রন করতেই জঙ্গিবাদের অজুহাত দেখিয়ে ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করা হল। আদতে সরকার জঙ্গিবাদ না, নিয়ন্ত্রন করতে চায় বাক স্বাধীনতা। কারন বাক স্বাধীনতা মানেই আওয়ামীলীগের নেওয়া পদক্ষেপ গুলোকে চ্যালেঞ্জ করা। আর সরকার কখনোই এধরনের চ্যালেঞ্জের মুখমুখি হতে চায় না।
আজ যে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তা দুইদিন পরেই খুলে দেওয়া হবে। সরকারের এই পদক্ষেপটাকে আমরা পরীক্ষামূলক ধরে নিতে পারি। সরকার পরীক্ষা করে দেখছে যে এই বিষয় গুলোতে আমরা কি জাতীয় রিয়াক্ট করি। তার উপরে নির্ভর করবে তার দ্বিতীয় পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত। আমার মতে, এই সামাজিক যোগাযোগের সাইট বন্ধ, খোলার নাটক চলবে আরও প্রায় ৩/৫ বছর। এই নাটক দেখতে দেখতে সবাই যখন মোটামুটি অভ্যস্ত হয়ে যাবে তখনই সরকার খেলবে ফাইনাল চাল। ঠিক সময় মত চিরতরে এই সাইট গুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। জাতে কেউ আর সরকারের বিরুদ্ধে ফনা তুলতে না পারে। যেমন করে চায়নার সরকার অনলাইন এক্টিভিটি নিয়ন্ত্রন করে তাদের ক্ষমতা ধরে রেখেছে অদূর ভবিষ্যতে আওয়ামীলীগও একই ভাবে বাংলাদেশের অনলাইন এক্টিভিটিকে নিয়ন্ত্রন করে নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করবে। যার পথ নির্মাণ এখনই শুরু হয়ে গেছে। তখন চাইলেও সাধারন জনগন তাদের প্রয়োজনীয় সাইটে ঢুকতে পারবে না। তথ্য অধিকার আইনের মূলা ঝুলিয়ে সরকার আমাদের আরও কঠিন ভাবে শোষণ করবে। তাতে হয়ত তিনবেলা ভাত, মাছ জুটবে। কিন্তু সাধারন জনগন চরম ভাবে সরকারের গোলামে পরিনত হবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ একটা ধোঁকা ছাড়া কিছুই না। যেহেতু সারা পৃথিবীতে ডিজিটালিজেশনের হাওয়া লেগেছে সেখানে বাংলাদেশেও লাগবে। এটা সময়ের দাবী। তাতে ক্ষমতায় আওয়ামীলীগ থাক বা জামাত। কিন্তু আওয়ামীলীগ এই ইস্যুটাকে লুফে নিয়ে একই সাথে যেমন নিজের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে চাইছে ঠিক সেই ভাবে সাধারন জনগণকেও নিয়ন্ত্রন করতে চাইছে।
সুতরাং আমি মনে করি প্রতিবাদটা এখনই জোরালো ভাবে হওয়া উচিৎ। অন্যথায় এর জন্য একদিন আমাদের চরম ভাবে মুল্য দিতে হবে। যে জাতি বাক স্বাধীনতার জন্য প্রান দিতে পারে সেই জাতীর বাক স্বাধীনতা হরন করা সরকারের ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাবটা এখনই আমাদের দেওয়া উচিৎ। সময় বড় কম।
অনলাইন সুবিধা আসার পরেই সাধারন জনগনের মত প্রকাশের একটা প্লাটফর্ম তৈরি হয়েছে। আজকের দিনে সংবাদপত্রের ভূমিকা অনেকটাই পুরন করে দেয় ব্লগ আর ফেসবুক। আজকের দিনে প্রতিটা ফেসবুক অউজাজারই এক একজন সাংবাদিক। মানুষের এই মুক্ত চিন্তা আর স্বাধীনতাকে পদদলিত করার তীব্র প্রতিবাদ হতেই হবে। ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২৬ শে মার্চ, ৭ই মার্চের আবেগ বেঁচে বেঁচে সরকার যে ভেতরে ভেতরে আমাদের শুন্য আর ফাপা করে দিচ্ছে সেটার দিকে সকলের নজর ঘোরানো উচিৎ।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৮

করিম কাকা বলেছেন: তোমারে তো কে জানি মারবে বলছে আবার সরকার বিরোধী কথা!!!!

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬

আনন্দ কুটুম বলেছেন: আমি তো আজীবনই বিরোধিতা করে গেলাম। তবে সেটা অন্যায়ের।

২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩০

আনন্দ কুটুম বলেছেন: #করিম, আমি তো আজীবনই বিরোধিতা করে গেলাম। তবে সেটা অন্যায়ের।

৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭

নিঝুমবাবুই বলেছেন: ভালো লেগেছে। তবে ব্লগে যারা লিখেন তাদের সম্মানী দেয়া দরকার।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭

আনন্দ কুটুম বলেছেন: উত্তম প্রস্তাব ভাই

৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০

খোলা মনের কথা বলেছেন: যুক্তিযুক্ত কথা। সামাজিক সাইটগুলো বন্ধ করার পিছনে বৃহৎ উদ্দেশ্য আছে সরকারের

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭

আনন্দ কুটুম বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩০

মো: রফিকুল ইসলাম আসিফ বলেছেন: ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য সরকারের যা যা করার প্রয়োজন হবে সবই করবে.... গনতন্ত্র থাকুক কাগজের পাতায় আর টক শোতে ফাও প্যাচাল পারা কিছু পন্ডিতদের কথায়.... আমরা পরাধীন জাতিতে পরিনত হচ্ছি ... শুধু মুখেই সাধীনত....!

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৮

আনন্দ কুটুম বলেছেন: সহমত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.