![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাইওয়ের পাশে টঙ্গের দোকান,একটা মোড়ের ঠিক পরেই। প্রতিদিন একটা না একটা দূর্ঘটনা এখানে হবেই। আশেপাশে জনবসতি তেমন নেই,থাকলে মানুষ এই মোড়ের যে একটা খারাপ দিক আছে এতো দিনে তা সবাই জানতো।এই দোকানে বিক্রিও হয় না তেমন,সারাদিন চুলা জ্বালিয়ে রাখার পয়সাও ওঠে না। তবুও রহমত শাহ এখান থেকে দোকান সরিয়ে গঞ্জে নেয় না।অ্যাকসিডেন্ট হলেই নড়েচড়ে বসে রহমত শাহ। কোনও এক অদ্ভুত কারনে অ্যাকসিডেন্টের পরে অনেক মানুষ তার দোকানে ভীড় করে। ভাঙা হাত নিয়ে অন্য হাতে সিগারেট টানছে কেউ। কেউ ছিলে যাওয়া,কেটে যাওয়া হাত পা নিয়ে অনর্গল কথা বলে যাচ্ছে। টাকা চাইতে হয় না, দামের চেয়ে অনেক বেশি দিয়ে যায় কেউ কেউ।হয়তো মৃত্যুর কাছাকাছি থাকে বলেই টাকাকে তুচ্ছ মনে করে,কিন্তু সবাই তা করে না। তবে ভিন্ন চিত্র হয় যখন কোনো অ্যাকসিডেন্টে সবাই মারা যায়। রহমত শাহ দ্রুত সব দামিদামি জিনিস কুড়িয়ে নেয়। আজও ট্রাকের নিচে পরে একটা মরট সাইকেল। ট্রাকটা একবারের জন্যও থামায় নি,একই গতিতে এগিয়ে গেছে।গাড়ির কিছু অংশ ছিটকে পড়েছে আশেপাশে।রহমত শাহ দ্রুত গিয়ে ব্যাগটা কুড়িয়ে নিল। লোক জমতে শুরু করেছে, হাসপাতালে নিতে চাচ্ছে কেউ কেউ।কিন্তু কেউ সাহস করছে না। চায়ের দোকানে ভিড় জমতে শুরু করেছে, একটু পরে কেউ একজন লাশটা নিয়ে গেল। এখন চারিদিক একদম ফাকা। ব্যাগ থেকে সব বের করতে লাগলো রহমত। একটা ক্যামেরা, কিছু ফাইল আর একটা চিঠি। চিঠিটা পড়তে শুরু করল রহমত।
প্রিয় তুমি,
কতবার চেয়েছি তোমার কথা আর ভাববো না , ও চোখে তাকাবোনা। কিন্তু আমি যে ক্রমশ্য ডুবে যাচ্ছি গভীরে। যেখানে তুমি আমার। প্রখর রোদে এক টুকরো মেঘ হয়ে তুমি আমার আকাশে এলে । যেন এ আমার অনেক দিনের চাওয়া। এতোটা মুগ্ধ না করলেও পারতে , এখন আমি এই রাজপথে একা হাটতে পারি না। এ পরিচিত পথও এখন সঙ্গী খোজে। শুধু একটিবার চলো না দুহাত এক করে খোলা আকাশের নীচে গিয়ে দাড়াই, নয়তো কোনো সাগর পাড়ে। কিছু সুখের ঢেউ ছুয়ে যাক তোমার চরন, যে চরনে আমি পরিয়ে রেখেছি ভালোবাসার নুপুর। তুমি সাগর তীর থেকে কিছু ভালোবাসার নূড়ি কুড়াবে, আবেগের দু হাত পেতে আমি তুলে রাখবো সব ভালোবাসা। সন্ধ্যা হলেও বাড়ি ফিরে যাবোনা, আর ফিরবোইবা কেন? আমার পৃথিবীতো খোলা চুলে সাগর পাড়ে দাঁড়িয়ে।সত্যিই ভাবিনি এতোটা মিশে যাবো তোমাতে। আরো কিছুক্ষন না হয় থেকে যাও, আরো কিছু তপ্ত দুপুর ,রক্তিম সন্ধ্যা আথবা জোছনা মাখা চাদনী রাত ।
ইতি তোমার আমি।
কাগজটা ছিড়ে ফেলে দিল রহমত, কারো প্রিয় তুমি হারিয়ে ফেলল হৃদয় উজাড় করা ভালোবাসা।
২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫০
মোবারক বলেছেন: অসাধারণ লিখনি
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০২
অনন্ত গৌরব বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ
৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৪
শফিউল আলম চৌধূরী বলেছেন: বেশ আগের কথা, তখন লাগাতার হরতাল চলছে। অফিস থেকে যাতায়াতের জন্য ২/৩জন প্রতি একটা সিএনজি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। রাস্তা মধ্যে সিএনজি নষ্ট হয়ে গেলো। স্টার্ট দিতে চেষ্ট করছেন সিএনজি ড্রাইভার। কাজ হচ্ছে না।
উনি কাউকে ফোন দিলেন, ফোনে উচ্চ স্বরে বললেন, "ওস্তাদ, সিএনজি স্টার্ট লয় লয় লয় না!"
লেখাটা পড়েও তেমনই লাগলো! লিখতে থাকুন; হয়ত একসময় ভালো করবেন
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৮
অনন্ত গৌরব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪০
মাহের ইসলাম বলেছেন:
শফিউল আলম চৌধূরী ভাইয়ের মন্তব্যটাই বেশি ভালো লেগেছে।
শুভ কামনা রইল।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০২
রাজীব নুর বলেছেন: প্রতিটা মৃত্যুর কষ্টের। বিশেষ করে একসিডেন্টের মৃত্যু সহ্যের বাইরে।