![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দ্বীপবাসী গাংলাবি জাতি।
হাজার হাজার নারী,পুরুষ,শিশু,বৃদ্ধ আর নানাজাতি পশুপাখির বাস।
সব মিলিয়ে গাংলাবিরা সুখেই ছিলো।
তাদের নিজেদের আয় নিজেরা খায়।চিন্তা নাই।কষ্ট নাই।আনন্দ।
কিন্তু হঠাৎ কি হলো কে জানে?জনে জনে মানুষ মারা পড়তে লাগলো।কি অসুখ কি বৃত্তান্ত কেউ জানে না।সাগরতটে চিত হয়ে পড়ে মুখ থেকে ফেনা উজিয়ে মরণ।আশ্চর্যের ব্যাপার,খালি নারীরাই মহামারীর শিকার।
এযে নারীমারি রোগ।
দ্বীপের লোকে ভয়ে অস্থির।নারী না থাকলে চলবে?
ভাত দেবে কে? মার খাবে কে?
সব লোক দল বেঁধে ছুটলো দ্বীপসেরা গূণীন মীনাজির কাছে।দ্বীপসেরা গূণীন মীনাজি।তার মতন গূণী লোক দুনিয়ায় নেই।আকাশের দেবতাদের সাথে দিন কাটান তিনি,মেঘপরীদের সাথে রাত।
দ্বীপসেরা গূণীন মীনাজি।তার কাছে সকল সমস্যার সমাধান।সকল রোগীর চেহারা দেখলেন।ভরাট দেহগুলো সব কঙ্কালসার।চোখ ঠিকরে বেরোচ্ছে।চোয়াল দিয়ে ফেনা।
এদের বহু নারীকে তিনি দ্বীপবাসীর কাছে ভেট পেয়েছেন।মেঘপরীদের সরিয়ে এদের নিমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।ভাবতেও ঘেন্না।এরা বাতিল।
তিনি রোগী দেখে চোখ বুজলেন।এখন দিন।কাজেই তিনি নির্ঘাত আকাশের দেবতাদের সাথে সময় কাটাতে গেলেন।
ভম!ভম!ভগা লগা,তোরা সব মগা ছগা!
নারীদের গায়ে বিষ পাপে বিয়াকুল
মুখে ফেনা বডি ত্যানা দেবের ত্রিশূল
ভম!ভম!ভগা লগা,তোরা সব মগা ছগা!
এইসব বুড়ি ধাড়ি বাতিল এ মাল
এরা বিষ ভাইরাস,ঘটাবেরে কাল
ভম!ভম!ভগা লগা,তোরা সব মগা ছগা!
প্রাক্তন এ বারবি-রে বারবিকিউ কর
তবেই দেবতা দেবে তোহাঁদের বর!
ভম!ভম!ভগা লগা,তোরা সব মগা ছগা!
গূণীনের কথা গাংলাবিরা কিছুই কিছুই বুঝতে পারলো না।
বাবা,আমরা মুখ্যু।যদি একটু চক্ষু খুলে আমাদের বুঝায়ে বলেন।
বাবার চোখ খোলে।চোখে আগুন।
নির্দেশ।
চোখের আগুনের চেয়ে উত্তপ্ততর আগুন জ্বালো।সেই আগুনে রোগাদের ঢালো।এরা পাপী,ব্যাভিচারী নিশ্চিত।তাইতো দেবতার আদেশে এরা এখন বাতিল মাল।
কিন্তু বাবা,দ্বীপ যে তবে নারীছাড়া হয়!
তাতে কি!শিশু তো আছে।এরা নিষ্পাপ,বোঝে না।কামসুখ খোঁজে না।তারচেয়ে বড় কথা এরা কচি।টাটকা!এদেরই তো এখন সময়।বড় হলে নারী।নারী ব্যভিচারী।তার আগেই কাজে লাগুক।ব্যাভিচারী হলে তখন আগুন!
মা গেলো আগুনে,কন্যা গেলো আগুনে,বোন গেলো আগুনে,স্ত্রী গেলো আগুনে।
ওরা আগুনেই যাক।ওরা ব্যভিচারী।
গাংলাবিরা আগুনে একেকটা নির্বল চিৎকাররত রোগা নারী নিক্ষেপ করতে করতে একজন আরেকজনকে বলে, হাঁ রে,ব্যাভিচারী মানে কিরে?
তাতে কি? দেবতারা রাগ।নারী সব বাদ।
রোগী সব আগুনে।
রোগী নাই।
তাই রোগও নাই।
কাজেই গাংলাবি নিরোগ জাতি আবার।
বিরাট অসুখ সারিয়ে দিলেন বাবা গূণীন।
জয় মিনাজির জয়।
সব ঘর থেকে একটা করে শিশু ভেট গেলো মিনাজির আশ্রমে।
কিছুদিন পরে।
এবারে একে একে শিশু সব মরে।
সাগরতটে মুখে ফেনা উজিয়ে মরণ।
মিনাজি বাবা কই?
রোগী দেখে রোগ দেখে বাবার চোখ বন্ধ।
এখন রাত।
নিশ্চয় মেঘপরীদের বিছানা থেকে আসছে সমস্যার সমাধান।
ভম!ভম!ভগা লগা,তোরা সব মগা ছগা!
বালিকার গায়ে বিষ পাপে বিয়াকুল
মুখে ফেনা বডি ত্যানা দেবের ত্রিশূল
ভম!ভম!ভগা লগা,তোরা সব মগা ছগা!
বেশি কচি বেশি ছোট,বাতিল এ মাল
এরা বিষ ভাইরাস,ঘটাবেরে কাল
ভম!ভম!ভগা লগা,তোরা সব মগা ছগা!
প্রাক্তন এ বারবি-রে বারবিকিউ কর
তবেই দেবতা দেবে তোহাঁদের বর!
ভম!ভম!ভগা লগা,তোরা সব মগা ছগা!
বাবা,এরা যে নিতান্তই বালিকা!আপনার নির্দেশেই নারীর অভাব পূরণে লিপ্ত!
তাতে কি,দেবতা অতীব পুষ্ঠ,ব্যভিচারে খুবই রুষ্ঠ।বালিকারে আগুনে ফেলো।
বাবা!এবারে তো তবে সত্যিই দ্বীপ নারিছাড়া হয়।
তাতে কি!
বাবাগো,বুঝেন না!আপনারই যে শিষ্য!
ভম!ভম!ভগা,লগা তোরা দেখি মহা মগা!কচি বালকেরা কিজন্যে রয়েছে।আকাশ থেকে ইশারা পেয়েছি।প্রাচীন জ্ঞানের আধুনিক প্রয়োগ।দেবতার আশীর্বাদে সবই সম্ভব।
কিছুদিন পরে একি দেখি!এবার বালকেরা মরে।
মিনাজি বলেন,বালকেরো ব্যাভিচার!এতো বড়ো অবিচার।যে করেই হোক ব্যাভিচার দূর করো।
কিন্তু বাবা!বোঝেন না!শিষ্যের কি হবে তবে?বালক যে বেশি মজা!
কে বলে বেশি মজা!তোরা দেখি আধা খোজা!পোড়া দেখি সব পোলা।ভেড়াগুলো আছে কি করতে?গবাদি বিদ্যা তোদের শেখাবো এবারে।
প্রাচীনতম জ্ঞানের প্রাচীন প্রয়োগের আধুনিক নব উত্থান।
ধিকি ধিকি ধিকি!
চেয়ে দেখো দিকি!
গাংলাবি তীরে আগুন জ্বলে।আগুন।
চামড়া পোড়ে,মাংস পোড়ে।কলজে খসে খসে পড়ে পড়ে পোড়ে।চিৎকার পোড়ে কান্না পোড়ে।দেবতাদের জয়ধ্বনি পোড়ে।
আগুনের বিরাম নেই।
অনেকদিন ধরে আগুন জ্বললো।
তারপর আরো অনেকদিন হয়ে গেলো।
অনেকদিন মিনাজির কাছে কেউ আসে না।
কই হে!নাই কেউ?নাই কেউ!সবাই কি পুড়েছে!আহা,সবাই এরা ব্যভিচারী।দেবতার নির্দেশ।অবশেষ!ব্যাভিচার মুক্ত গাংলাবি।একমাত্র ব্যভিচার মুক্ত,টিকে আছে মিনাজি।
আগুন ধিকি ধিকি।মেঘ ওই উঁকি দেয়।বৃষ্টি।
আগুন থাকে থাকে জলে পোড়ে নেভে।
আগুন নিভে গেলে গলা মাংস চামড়া আর ব্যভিচারীদের আত্মার টুকরো দিয়ে একটা আসনের মতন হয়।
সেই আসনে বসেন মিনাজী।
দেবতা অবশেষে তুষ্ট।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১৩
অনুপম দেবাশীষ রায় বলেছেন: ভক্তদের কথা কি আর দেবতারা ভাবে?
দেবতার সুখ কিসে!দেবতাই জানে!
ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫
নিলু বলেছেন: ভক্তদের যাই হউক , দেবতা খুশী হলেই তো হোলও , ধন্যবাদ