![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন। কিন্তু কারো কিছু এসে যায়না,কারণ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন একটি গোষ্ঠীর উৎসব। আজ সেই গোষ্ঠী ক্ষমতায় থাকার কারণে আমরা তার জন্মদিনে জাতীয় শিশু দিবস পালন করছি। কে জানে? পাশার দান উলটে গেলে হয়তো আমরা তার মৃত্যুদিবসে জাতীয় কেক কাটা উৎসবও পালন করবো!
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এই রাগবি খেলা নিয়ে কারো কিছু এসে যায়না কারণ আমরা সবাই যতটা পারি বঙ্গবন্ধুকে এড়িয়ে যাই কারণ ভয়াবহ নিরুদক রাজনোক্লোরিক এসিড আমাদের ভাবমূর্তি বাই কার্বনেটের সাথে বিক্রিয়া করে তাকে লবণাক্ত করেই ফেলতে পারে।
আমরা কেউই নিজেকে বঙ্গবন্ধুর সমর্থক বলে দাবি করার সাহস রাখিনা এবং যারা রাখে তারা বঙ্গবন্ধুকে কেজিদরে বিক্রি করারও সাহস রাখে!
এককেজি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে পাঁচ বছরের ক্ষমতার দামে বিক্রি করে করে যাদের জীবন চলে আমরা তাদেরকে যতই ভিলেন বানিয়ে রাখি না কেন, আমরা যারা সেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে একটা ভলাটাইল ইস্যু মনে করে নিজের সার্ফ এক্সেল দিয়ে ধোয়া সাদাকাপড় পরিস্কার রাখার জন্যে বঙ্গবন্ধু নামক কর্দমাময় ইস্যু নিয়ে কথা বলতে চাই না-তারাই এই ভিলেনদের গডফাদার।
হয়তো আমাদের সার্ফ এক্সেল দিয়ে সাদা কাপড়টা আর সাদা থাকবে না।তবু আসুন বঙ্গবন্ধু নামক কর্দমাময় ইস্যু নিয়ে আমরা একটু খোঁড়াখুঁড়ি করি। লোকটা আমাদের জন্য সাদা কাপড় লাল করে ফেললো!
আমরা নাহয় একটু কালো করলাম!
এইটুকু তো আমরা তাকে গিফট করতেই পারি।
বঙ্গবন্ধু কেন বৈশ্বিক রোল মডেল নয়?কয়েকজন বৈশ্বিক রোল মডেল হওয়া আন্তর্জাতিক নেতাদের নাম বলি- মার্টিন লুথার কিং,মহাত্মা গান্ধী, আব্রাহাম লিংকন।
এই কয়জনের ছবি আমার ঘরে বড় করে ঝুলানো আছে। এদের সাথে বঙ্গবন্ধু সাহেবেরও একটি ছবি আছে। কিন্তু যখন কোন বৈশ্বিক নাগরিক বিশ্বনেতাদের নাম নেবেন-তার তালিকায় বঙ্গবন্ধুর নাম আসবে না।
আসলে সে আসবে পঞ্চাশের পরে।
কেন? মার্টিন লুথার কিং কি করেছে যা বঙ্গবন্ধু করেনাই?
মার্টিন লুথার কিং এর এক কথায় দুই লক্ষ মানুষ ওয়াশিংটনে পদযাত্রা করে,যা তাকে আজীবনের জন্য এন্টি-রেসিজম আন্দোলনের পুরোধা করে তুলেছিলো।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে বিশ লক্ষ মানুষ রেসকোর্স ময়দানে জমায়েত হয় ৭ই মার্চে। এবং সেই ভাষণের উপর ভিত্তি করে একটি আস্ত দেশ স্বাধীন হয়ে যায়। তিরিশ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়ে দেয়।
তোমার নেতা আমার নেতা-শেখ মুজিব!শেখ মুজিব!
এখন তোমরা বলবা বঙ্গবন্ধু শাসক হিসেবে একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে!
ভাই থামেন! সুভাষ চন্দ্র বসুকে চিনেন? নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু? লোকটা ১৯৩৮ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। তার আইডিওলজি ছিলো সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ইংরেজ শাসনের অবসান ঘটানো। তখন মহাত্মা গান্ধী সুভাষ বসুকে কংগ্রেস থেকে বের করে দেন। জ্বী! বের করে দেন!
ঐ সময়ে স্বরাজের জন্য আন্দোলনকারী প্রত্যেকের ধারণা হয়েছিলো যে-গেসেরে! গান্ধী ইংরেজের চাটুকার-নেতাজিকে বের করে দিলো।মহা নালায়েক-অযোগ্য নেতা।
ধরেন একজন উগ্রপন্থী গান্ধীকে তখনই মেরে ফেললো।
তাহলে কি গান্ধীজী কখনও প্রমাণ করতে পারতেন যে আসলে তার সিদ্ধান্তই ঠিক ছিলো?
ঘটনাটা এখানেই। আমরা যারা স্মার্টফোন দিয়ে সেলফি তুলি আর পলিটিক্যাল ভিউ দেন-আই জাস্ট হেইট পলিটিকস-তারা বঙ্গবন্ধুকে ধুপধাপ অযোগ্য নেতা মনে করে ফেললেই সমস্যা। বঙ্গবন্ধু যে পর্যায়ের নেতা-তার কোন সিদ্ধান্ত অতিআবেগী-কোন সিদ্ধান্ত ইমম্যাচিওর সেইটা আমরা এক্সিকিউট করার সময় দেবার আগেই বলাটা কঠিন।
বেচারার ধড়ে যদি জীবনই না থাকে-সে তার সিদ্ধান্তকে ঠিক প্রমাণ করবে টা কেমন করে?
আমরা বড় অবিশ্বাসী জাতি-তাই লোকটাকে বিশ্বাস করলাম না।
এখন আবার কথা ওঠে যে লোকটা নাকি বাকস্বাধীনতায় হাত দিয়েছিলো,বহুদলীয় রাজনীতি বন্ধ করেছিলো,গণতন্ত্রের টুটি টিপে ধরেছিলো। সে তো মহাভিলেন!
ভাই,আছেন তো গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে! খুব কি সুখে আছেন?
এবার মনে করবেন না আমি গণতন্ত্র বিরোধী। আমি গণতন্ত্রবাদী। এবং রাশিয়ান সমাজতন্ত্র বিরোধী কারোন সেটা একটা প্রমাণিত ব্যর্থ আর অবাস্তব রাষ্ট্রব্যবস্থা যেটা একনায়কতন্ত্রের আরেক নাম।
আমেরিকান এবং ওয়েস্টমিনিস্টার গণতন্ত্রবাদী কেননা এই গণতান্ত্রিক উপায়গুলো ঐ রাষ্ট্রগুলোতে সফলতা পেয়েছে। এই সফলতার গ্রাউন্ডে আমি গণতন্ত্রবাদী।
কিন্তু যদি সফলতার কথাই বলতে হয়,তাহলে অবস্থান থেকে আমি অবশ্যই চাইনিজ সমাজতন্ত্রবাদীও কেননা তাদের রাষ্ট্রব্যবস্থায় তারা পুজিবাদের উপর ভিত্তি করে চমৎকার একদলীয় শাসন চালাচ্ছে যেটা ভয়াবহ ধরণের সফল। কয়দিন আগে একটা মজার কোট শুনলাম- The American Dream is made in China. কথা সত্যি। কারণ আমেরিকার এখন চায়নার কাছে তিন ট্রিলিয়ন ডলারের লোন।
বঙ্গবন্ধু সেরকম একটা অন্যধরণের রাষ্ট্রব্যবস্থা শুরু করার চেষ্টা করছিলেন। একদলীয় শাসন,রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার। আমি কোন সমস্যা দেখছি না!চায়নার সফল সরকার একদলীয়। আর মহান আমেরিকার সরকার রাষ্ট্রপতিশাসিত। কারও তো কোন চুলকানি নাই!
আরও বঙ্গবন্ধু চমৎকারভাবে কমিউনিস্ট রাশিয়ার দূর্বল দিকগুলো থেকে সরে আসেন। ব্যক্তিমালিকানায় হস্তক্ষেপ করেননাই-পুজিবাদে আঘাত করেননাই-ধর্মীয় স্বাধীনতায় আঘাত করেননাই!
গত দুই দশকের বাংলাদেশের প্রত্যেকটা সরকার এইগুলার একটা না একটা করেছেই!
সংবাদপত্র নিষিদ্ধের কথা বলবেন?
তখন বাংলাদেশের কথা চিন্তা করুন। যুদ্ধবিধ্বস্ত তরুণ দেশ! চারিদিকে অস্থিরতা! এমন সময়ে যদি সংবাদপত্রগুলো অসহযোগিতামূলক আচরণ করে সামাণ্য গুজবও রটনা করে,তাতে কি পরিমাণ সমস্যা হতে পারে বুঝতে পারছেন?
একই ধরণের কাজ আব্রাহাম লিংকন নামক গণতন্ত্রের বরপুত্রও করেছিলেন। ১৮৬৪ সালে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য প্রচারের কারণে লিংকন বেশ কয়টি পত্রিকা বন্ধ করে দেন। কই?তাকে তো কেউ অযোগ্য শাসক বলেনা! কারণ শেষপর্যন্ত এই সিদ্ধান্তেরি আমেরিকা সিভিল ওয়ার ও তৎপরবর্তী অস্থিতিশীল সময় কাটিয়ে উঠতে পেরেছিল।তার মুখ্য কারণ ছিলো-তাকে কেউ মেরে ফেলেনাই! মেরে ফেললে তার পক্ষে এর কিছুই করা সম্ভব হতোনা।
হ্যাঁ! আমি স্বীকার করছি বঙ্গবন্ধুরও কিছু দোষ ছিলো। কিন্তু দোষগুলো এই যায়গায় না। দোষগুলো তার রাষ্ট্রনীতিতে না-রাষ্ট্র পরিচালনায়।দোষগুলো তার স্বজনপ্রীতিতে,দোষগুলো তার কঠোরতার অভাবে। এই কঠোরতার অভাব থেকেই রক্ষীবাহিনী নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়-শেখ পরিবারের লোকজনেরা বেহায়ার মতন দেশ লুট করা শুরু করে এবং তার জনপ্রিয়তা মারাত্মক হারে কমে যায়।
সেই সময়ে বঙ্গবন্ধু অসম্ভব পর্যায়ের কিছু ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং আমার মাথায় এখনও ঢোকেনা যে কিভাবে করে বঙ্গবন্ধু এমন কিছু সিদ্ধান্ত নেন। তবে যুদ্ধবিদ্ধস্ত একটি দেশে প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু ফেরত চাওয়ার থাকে-এবং এমন এক পরিস্থিতিতে সকলকে সবকিছু দিতে পারা কখনই সম্ভব নয়। সেখান থেকেই সকল সমস্যাগুলোর উদ্ভব।
হ্যাঁ! আমি স্বীকার করিছি যে বঙ্গবন্ধুর অনেকগুলো দোষ ছিলো। কিন্তু এই দোষগুলো তার হত্যাকে জাস্টিফাই করেনা। এই দোষগুলো তাকে নিয়ে আমাদের জাতিগত দ্বীধাবিভক্তিকে জাস্টিফাই করেনা। আমি বিশ্বাস করি যে বঙ্গবন্ধু যথেষ্ট সময় পেলে রক্ষীবাহিনীকে বাগে আনতে পারতেন-লুটপাট আর অরাজকতার একটা হাল করতে পারতেন। কিন্তু তিনি কখনও সময়টুকুই পাননি কারণ বাঙালিরা জাতিগতভাবে অধৈর্য। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন-এই সহজ সত্যটি আমরা মেনে নিতে পারিনাই।
যখন বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু হয় তখন সারা পৃথিবীতে আমেরিকা-সোভিয়েতের মধ্যে সমাজতন্ত্র আর পুঁজিবাদের লড়াই চলছে। বঙ্গবন্ধু যেই বামের দিকে ঝুঁকে পড়লেন সেই তিনি তখনকার অনেক বাম নেতার মতন হঠাৎ এসাসিনেশনের শিকার হলেন। আমরাও তার সব সিদ্ধান্তকে ভুল সিদ্ধান্ত বলে ধরে নিলাম কেননা আমাদের ভুল আর ঠিকের কলকাঠি নাড়ে ইরাক খাওয়ানি আর আফগানিস্তান পুড়ানি মানবতাবাদীদের দল। এবং তারা সফল কেননা আমরা আজ তাদের নীতিকেই সঠিক নীতি বলে ধরে নিচ্ছি আর বাকি সবই আমাদের কাছে ভুল। এমনকি বঙ্গবন্ধুও!
পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশেরই যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থা থেকে উঠে দাড়ানোর জন্য কিছু ভুল সিদ্ধান্ত আর কিছু কঠোর সিদ্ধান্তের ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর পরবর্তি শাসকরাও দেশকে স্ট্যাবিলাইজ করতে যথেষ্ট কঠোর আর স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু তারা পার পেয়ে গেছিলেন কারণ তারা বঙ্গবন্ধু ছিলেন না। বঙ্গবন্ধুর মতো বিরাট একটা ইমেজ নিয়ে দেশ চালানোর মতন খাইষ্টা একটা কাজ করা খুবই কঠিন। বঙ্গবন্ধুর সমস্যা হলো,তিনি সেটাই করতে গিয়েছিলেন। এবং এইটাই তার ভুল ছিলো!
কিন্তু আমরা জাতিগতভাবে অধৈর্য আর আবেগী বলে সেটা মেনে নিতে পারিনাই। আমাদের মনে হলো-কি রে? এই লোকটার তো রাষ্ট্রপতির পতন চেয়ে স্লোগান দেয়ার কথা-সে রাষ্ট্রপতি হয়ে বসে আছে কেন?
আমরা চাকচিক্য ভালোবাসি। একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের মধ্যে কোন চাকচিক্য নাই। স্লোগানের হুংকার নাই। কোদাল আর খোন্তার ঠনঠন আছে।
কাজেই আমরা আমাদের পিতাকে মেরে ফেললাম।আমাদের পিতাকে আমরা মেরে ফেলেছি আর এখনও সেটা নিয়ে আমাদের মনে খুব একটা দুঃখ নাই আর আমরা মাঝে মাঝে সেটাকে যৌক্তিকিকরণের চেষ্টাও করি।
মাঝে মাঝে তার মৃত্যুর দিনে আমরা কেকও কাটি এবং তার মুখোমুখি আরেকজন নেতাকে দাড়া করানোর চেষ্টা করি যিনি নিজেও সারাজীবন বঙ্গবন্ধুর ছাত্র হয়ে ছিলেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিছুদিন আগে স্বচ্ছ ভারত অভিযান নামে একটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। এই অভিযান ভারতের জাতীয় নেতা মহাত্মা গান্ধীর থেকে অনুপ্রাণিত। এমনকি অভিযানের লোগোতে ব্যবহার হচ্ছে গান্ধীজীর চশমা। আপনারা কি জানেন যে নরেন্দ্র মোদী বিজেপির সদস্য আর গান্ধীজী ছিলেন কংগ্রেস নেতা? অবশ্যই জানেন। তাহলে একটু আমাকে জানান তো বঙ্গবন্ধু কেন আওয়ামী লীগের দলীয় নেতা আর বাংলাদেশের বাকি অর্ধেক জনগণের নেতা নন?
এইজন্যে বঙ্গবন্ধুকে কেউ চেনেনা। কারণ বঙ্গবন্ধু আমাদের নিজেদেরই নেতা না। আপনি কি বুক ফুলায়ে বলতে পারেন না যে আমার দেশে এমন একজন নেতা জন্মায়েছিলেন যারে রাজনীতির কবি বলা হতো?
আপনি কি মাথা উঁচু করে বলতে পারেন না যে আমার দেশে এমন একজন নেতা জন্মায়েছিলেন যিনি পৃথিবীর একমাত্র রাজনীতিবিদ যে লাখো জনতার সামনে বলেছিলেন-আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাইনা-আমি বাংলার মানুষের অধিকার চাই?
আপনি কি কপালে পতাকা রেখে বলতে পারেন না যে আমার দেশে এমন একজন নেতা জন্মায়েছিলেন যার মুখের কথায় একটা জাতি জন্মায়েছিলো যেই জাতির পতাকা আমার কপালে বান্ধা!
কেন আমি বলবোনা আমার নেতা বঙ্গবন্ধু? যতদিন আমার দেশ বাংলাদেশ আর যতদিন আমার পতাকা লাল সবুজ-আমার নেতা বঙ্গবন্ধু।
যতদিন আমি বাংলাদেশের জন্যে রক্ত দিতে রাজি আছি আর যতদিন আমি আওয়ামী লীগ সহ যেকোন অবিচারী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হাতে মুঠি উঁচু করতে শিখেছি ততদিন আমার নেতা বঙ্গবন্ধু।
যে যত বড়ই হয়ে যাক-যত ক্ষমতাবানই হয়ে যাক-আমার নেতারে আমার কাছ থাইকা কেড়ে নিতে পারবে না। যার মেয়েই হও না কেন আর আমার নামে যত আইসিটি মামলাই করো না কেন-তোমার চেয়ে বঙ্গবন্ধু আমার বাবা বেশি। যে কুলাঙ্গার মেয়ে এমন কাজ করে যে লোকে তার মহাপুরুষ বাবার নাম মুখে তুলতে লজ্জা পায়-তার সাথে বঙ্গবন্ধুর কোন সম্পর্ক নাই।
আমার নেতা আমার পিতা-আমার কাছ থেকে কেউ কাইড়ে নিতে পারবে না।
কারণ যতদিন পৃথিবীর বুকে বিপ্লব আছে-স্বাধীনতা আছে-বাংলা ভাষা আছে-আর বাঙ্গালীর বুকে রক্ত আছে-ততদিন আমার বঙ্গবন্ধু আমার সাথে আছে।
আমি ভয় পাইনা-আমারে লোকে আওয়ামী বইলা গালি দিবে আমার কিছু আসে যায়না!
আমি বাহান্নোতে রক্ত দিতে পারিনাই-ঊনসত্তরে মিছিল করতে পারিনাই-একাত্তরে যুদ্ধ করতে পারিনাই-তবু আমি বাঙ্গালির ঘরে জন্মায়েছি। তাই আমি কারো পরোয়া না করে বুকের কথা চিল্লায়ে বলতে শিখেছি।
কে আমারে কি কইলো আমার কিচ্ছু আসে যায়না।
তাই-সবাই শুইনা রাখেন-এই আমি চিৎকার দিলাম-
জয় বঙ্গবন্ধু!
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৪৯
জেন রসি বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।