![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কেউ কি কখনো বাংলায় 'মা' শব্দটি লিখে গুগল করে দেখেছেন?
যদি দেখে না থাকেন-দয়া করে দেখবেন না। খুব কষ্ট লাগবে। বাংলা ভাষার সবচেয়ে সুন্দর শব্দটি লেখা মাত্রই গুগল এমন সব কদর্য বিষয় চোখের সামনে তুলে ধরে যেগুলো দেখলে ঘেন্নায় মাথা মাটিতে মিশে যায়। দোষটা গুগলের নয়-কারণ গুগল সেইসব পাতাই প্রথমে দেখায় যেইসব মানুষ সবচেয়ে বেশি দেখে।অতএব বুঝতেই পারছেন বাঙ্গালিরা মা শব্দের উত্তর হিসেবে গুগল থেকে কি খুঁজে নেয়!
আমার কিছু ফেসবুক বন্ধু আছে যারা ক্লাস সিক্স-সেভেনে পড়ে। আমি মাঝেমাঝে ভাবি-তারা এক ট্যাবে ফেসবুক ঘাটতে ঘাটতে হঠাৎ কোন নিছক কৌতূহলে যদি অন্য ট্যাবে 'মা' শব্দটি লিখে গুগল করে তাহলে কি ভয়াবহ নোংরা জিনিসপত্র দেখতে পাবে!
তারা হয়তো এখনো পর্যন্ত এই কদর্য কথাগুলোর পেছনের সহজ স্বাভাবিক জৈবিক ব্যাপারটুকুনই জানে না। অথচ তার আগেই তার চোখে ভয়াবহভাবে বিকৃত আর কদর্য ব্যাপারগুলো পড়ছে। যদি সে নিজে চোখের সামনে আনতে নাও চায়,তার চোখের সামনে এনে দেবার মতন লোকজনের অভাব নেই। এখানে শুধু অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগকে গাল পেড়ে লাভ নেই-যখন ইন্টারনেট ছিলোনা,তখন পর্যন্ত আমাদের কিশোরদের কাছে এমন কদর্য ব্যাপারগুলো সহজলভ্য ছিলো।
একটা শিশুর সাথে প্রথমবারের মতন একটা সুস্থ স্বাভাবিক জৈবিক কর্মকান্ডের পরিচয় এমন ভয়াবহ নোংরাভাবে হচ্ছে যে এই সংক্রান্ত মারাত্মক কদর্যতা তার মনের মাঝে ঢুকে যেতে বাধ্য।
এবারে এই কদর্য গল্পগুলো পড়ে কোন ছেলে যদি তার সামনের কোন মেয়ের দিকে কদর্য ভাবে তাকায়-তাকে কতটুকুই বা দোষ দেয়া যায়?
আমরা যারা নারীর শ্লীলতাহানী করা ছেলেগুলোর মানসিকতার তুলোধুনো করে ছাড়ি-তাদের কি আরেকটু গোড়ার দিকে তাকানোর মতন বুদ্ধি নেই?
বয়ঃসন্ধিতে যে কিশোরের কাছে স্বাভাবিক জৈবিক ব্যাপারগুলোর অধ্যাপক ছিলো মস্তিষ্কবিকৃত চটিলেখকেরা-সে যে কদর্য মানসিকতার হবে এই কি স্বাভাবিক নয়? আমরা মায়ের মুখের ভাষা থেকে যেমন সহজাত উপায়ে বাংলা শিখেছি-কিশোরেরা তাদের একমাত্র জৈবিকতার শিক্ষকদের মস্তিষ্কবিকৃত চটিলেখক আর পর্নোব্যবসায়ীদের কাছে থেকে তেমনি করে সহজাত উপায়ে নোংরামি শেখে।
এ পর্যায়ে এসে প্রশ্নটা আর এমন থাকেনা যে কেন আমাদের ছেলেপুলেরা বিকৃত মানসিকতার অধিকারী হবে-বরং প্রশ্নটি দাঁড়ায়-কেনো তারা বিকৃত মানসিকতার অধিকারী হবে না?যা তারা শিখছে-তাই তো তারা করছে। চটিলেখকেরা তাদের কদর্যতা শিখিয়েছে-আর কেউ তো কদর্যতাকে কদর্যতা বলে চিনতে শেখায়নি। সবাই এটাকে লজ্জার বিষয় বলে বিব্রত হয়ে মুখ ঢেকেছে।
এই যে ছেলেটার আড়চোখে অন্যের শরীরের দিকে তাকানোর অভ্যেস শুরু হলো-এই শুরুর কোন শেষ নেই। তার চুল পেকে সাদা হয়ে যাবে-তবু এই নোংরা লেখাগুলোর থেকে শেখা নোংরা কথাগুলো তার মগজে গেঁথেই থাকবে।সুযোগ পেলেই সে এইদিকে ওইদিকে হাত বাড়ানোর ধান্দা খুজবে-এবং কোন কারণে তার কাছে বিষয়টিকে দোষ বলেও মনে হবেনা।
আমাদের সমাজের বড়রা একটা নির্দিষ্ট সময় পরে ধরেই নেয় যে ছেলেমেয়েরা এই বিষয়গুলো জেনে ফেলেছে। তাদের এই বিষয়ে সত্যিকারে সুন্দর করে সহজ করে বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন অনুভব করে না। মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকালে ঋতুস্রাবের ঘটনাটিতে রক্তের ছড়াছড়ির মতন ব্যাপারগুলো সেই কিশোরীর কাছে খুব ভয়ংকর বলে সেই সময়ে মায়েরা কিছু আবোল আর কিছু তাবোল মিশিয়ে মেয়েটিকে কিছু একটা বোঝানোর চেষ্টা করে। ছেলেদের ক্ষেত্রে এতোটুকুর বালাইও নেই। সবাই কেন যেন ক্লাস নাইন-টেনের একটা ছেলেকে দেখেই ধরে নেয়-আরেহ! ছেলে বড় হয়ে গেছে! ও তো সব জানে।
হ্যাঁ-আসলেই সে সব জানে। তবে কোনখান থেকে কেমন করে সে কি জানে সেটা শুনলে বাবা আর মায়েরা অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন।
আমাদের সমাজে যৌনতার ব্যাপারটিকে পর্দা দিয়ে ঢাকতে ঢাকতে এমন অবস্থা করা হয়েছে যে এই বিষয়ে মানসিক অসুস্থতা আর কদর্যতার শিক্ষাটাই এখন স্বাভাবিক।তাই বাড়ন্ত কিশোরেরা আজ নোংরা লেখাঝোকা পড়ে মেয়েদের একটা ভোগ্যপণ্য হিসেবেই দেখতে শেখে আর সেইসব কল্পকাহিনীর অবাস্তব নারীরা যেমন অসম্ভব আচরণ করে-সত্যিকারের মেয়েদের স্বাভাবিক আচরণকেও সেই নিরীখে দেখার চেষ্টা করে।
তাই মেয়েদের অতি স্বাভাবিক চালচলনকে তাদের আহ্ববান বানিয়ে তুলে তাদের প্রতি হুটহাট কুইঙ্গিত করে ফেলতে তাদের বাধেনা কারণ নোংরা গল্পের লেখক ওরফে অধ্যাপকেরা তাদের এমন পদক্ষেপ নিতেই শিখিয়েছেন! রাস্তায় একটা মেয়ের আবৃত শরীরের দিকে আড়চোখে তাকাতেও তার বাধেনা-কেননা সরাসরি তাকে কেউ কখনো বলেনি কেন এটা করা ঠিক না আর যে তাকে ই ব্যপারে কিছু বলেছে সেই চটিলেখক অধ্যাপক সাহেব তাকে শিখিয়েছে-মেয়েরা তো এমনটাই চায়!
আপনি সমাজের অসুস্থতা কমাতে চান? নারীর উপর আক্রমণ থামাতে চান?উত্তরটা তামান্না সেতু আপু দিয়ে দিয়েছেন-যুদ্ধটা তো ঘরেই শুরু করতে হবে-নাকি?
আপনার আশেপাশে এমন কোন না কোন ছোট ভাইবোন আছে যারা এখন ব্যাপক শারিরীক আর মানসিক পরিবর্তনের ভিতর দিয়ে যাচ্ছে-যার এখন এই ব্যাপারগুলো নিয়ে অসীম কৌতূহল আর হাজার প্রশ্ন। তার এখন আপনাকে প্রয়োজন। আপনার মতন একজন কেউ যদি ভালোবাসা আর ধৈর্য নিয়ে তাকে আস্তে আস্তে বুঝিয়ে বলেন যে এই ব্যাপারটি অস্বাভাবিক কিছু নয়-এটি অত্যন্ত প্রাকৃতিক একটা জৈবিক ব্যাপার-তাহলেই হয়তো সেই কিশোরটি একটা ভয়ানক কদর্য মানসিক বিকৃতির হাত থেকে বেঁচে যাবে।তাকে বোঝান যে মেয়েদের শরীরটিও ছেলেদের মতন স্বাভাবিক-তার দিকে হায়েনার মতন তাকিয়ে থাকার কিছু নেই আর জৈবিক এই সুখটুকু নিয়ে এতো লাফালাফি করার কিছু নেই কারণ এই দুই মুহুর্তের শারিরীক সুখের চেয়ে অনেক বড় বড় মানসিক সুখ জীবনে রয়েছে।
আমরা আমাদের সমাজে আমরা যৌনশিক্ষার ব্যাপারটি কিছু মস্তিষ্কবিকৃত অসুস্থ মানসিকতার চটিলেখকদের হাতে তুলে দিয়েছি। আমাদের নিজেদের অস্বস্তি লাগবে বলে আমরা এই ব্যাপার থেকে হাত তুলে নিয়েছি আর চোখের সামনে আমাদের কোমলমতি শিশুদের মস্তিষ্কবিকৃতির উপায় করে দিচ্ছি।
আপনি কারো বড়ভাই-বা বড়বোন?
তাহলে এটি অবশ্যই আপনার দায়িত্ব।
আমি মানছি এই বিষয়ে একটা ছোটমানুষের সাথে কথা বলা সহজ ব্যাপার নয়-কিন্তু আপনাকে কে কবে বলেছে যে বড়ভাই-বড়বোন হওয়া সহজ কাজ? যখন হয়েই গেছেন-তখন বড় ভাইবোনের দায়িত্বটি পালন করুন। সুস্থ-সহজ-স্বাভাবিক ভাষায় আপনার ছোট ভাইটিকে বা বোনটিকে জৈবিক বিষয়গুলো বুঝিয়ে বলুন-তার প্রশ্নের জবাব দিন। যাতে করে সে ব্যাপারগুলোকে স্বাভাবিকভাবে দেখতে পারে-কদর্যতাকে কদর্যতা বলে দূরে ঠেলে দিতে পারে। তার সাথে যদি কেউ কদর্যতা করবার চেষ্টা করে-সে যেন সেটি ভালোমতন বুঝে তাকে প্রতিরোধ করতে পারে। না বোঝা বা আধাবোঝার সুযোগ নিয়ে কোন কদর্যতা যেন আমার কোমলমতি ভাইবোনগুলোকে টেনে নিতে না পারে!
সবাই মিলে আমরা এই ব্যাপারগুলোতে ওদের সাথে ঠান্ডা মাথায় একটু কথা বলার চেষ্টা করি-দেখবেন,কালকের পৃথিবীটা অনেক সুন্দর হবে।
আমি যখন ক্লাস সেভেনে পড়তাম তখন আমার বড়বোন আমাকে বিষয়গুলো বুঝিয়ে বলেছিলো। সেইদিন থেকে আমার ব্যাপারগুলোকে কোনদিন অস্বাভাবিক বা কদর্য বলে মনে হয়নি-বরং স্বাভাবিক অপরাপর জৈবিক ব্যাপারগুলোর মতন করেই আমি এটি দেখেছি। আমি যে বড় হয়ে মেয়েদেরকে সম্মানের দৃষ্টিতে দেখতে পেরেছি-তার পেছনে অন্যতম কারণ দোলাদিদির সাথে আমার সেইদিনকার দেড়ঘন্টার কথোপকথন।ওই দেড়ঘন্টার জ্ঞানটুকুন আমি কোন বদ উৎস থেকে পেলে আমার চরিত্র হয়তো অনেকটুকুই কদর্য হয়ে যাবার সুযোগ ছিলো।
এই ভেবে আমি এখন মাঝেমাঝেই আমার জুনিয়র কিশোর ভাইবোনদের সাথে এই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করি-তাদের প্রশ্নের উত্তর দেই।
শুরুতে আমার অস্বস্তি লাগতো-এখন আর লাগেনা।
কারণ এই সামান্য কথা বলার অস্বস্তির চেয়ে নারী নির্যাতনের ঘটনার নিউজ রিপোর্ট পড়ার পরেরকার মারাত্মক অস্বস্তি অনেক অনেক বেশি।
সেই অস্বস্তির জন্যে হলেও আমাদের এইটুকুন অস্বস্তি মেনে নেয়া উচিত।
তারচেয়ে বড় কথা,জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর একটির শিক্ষার ভার যদি কিছু মস্তিষ্কবিকৃত পারভার্ট নিয়ে ফেলে-তাহলে তার চেয়ে বড় অস্বস্তির আর কিছু থাকবে না।
কাজেই যৌনশিক্ষার দায়টি আমাদের নিতে হবে এবং আজকেই নিতে হবে-কারণ কালকের সূর্য ওঠার আগেই হয়তো আপনার ছোটভাইটি গুগলে মা লিখে সার্চ দিয়ে দিতে পারে।ততক্ষণে বড্ড দেরী হয়ে যাবে।
কাজেই,এখনই সময়...
০১ লা মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭
অনুপম দেবাশীষ রায় বলেছেন: ধন্যবাদ।
এসইও এর ব্যাপারগুলো জানা ছিলোনা। তবে চটিজাতীয় রচনা যে ইন্টারনেটে অতি সুলভ এতো্টুকু জানি আর এই বিষয়ে কেন কেউ কিছু করেনা সেটা জানিনা।
আপনার উদ্যোগের কথা শুনে ভালো লাগলো। এই বিষয়ে দক্ষতা নেই-নাহয় সাহায্য করবার চেষ্টা করতাম।
২| ০১ লা মে, ২০১৫ দুপুর ২:১৫
রিকি বলেছেন: ভাই SE0 এর সাথে tag/keyword এর একটা ব্যাপার জড়িয়ে আছে...বজ্জাত মার্কা কিছু SE0 expert আছে যারা কোডে এই মা, নারী এই ট্যাগগুলো এমন ভাবে entitle করে দেয় Adult পেজে...তখন google analytics এটাতে confuse হয়ে যায়, তারা মনে করে এটা মাকে সম্মান জানানোর পেজ! কোন পেজ আগে আসবে বা পড়ে কিছুটা নির্ধারণ করে...SE0 এর মাধ্যমে page এর rank প্রথম দশটার মধ্যে যেন থাকে এই ব্যবস্থাও করে দেয়া...Google কিন্তু যে কোন পেইজ একটি particular tag দিয়ে চেনে যা meta tag এর অন্তর্ভূক্ত...এর মধ্যেকার Code গুলো Google/যে কোন সার্চ ইঞ্জিন পড়ে থাকে...SE0 expert রা এটাতেই উল্টোবাল্টা কাজ করে রেখে দেয়...এই কারণে "মা" লিখে সার্চ দিলে যা আসে তা দেখলে লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে কিবোর্ড লেআউট change করে Mother লেখার situation এসে দাঁড়ায়...
এই ঘটনার সম্মুখীন আমি দুই বছর আগে মা দিবস নিয়ে উক্তি বাংলাতে খুঁজতে গিয়ে হয়েছিলাম...পুরোই পায়ের রক্ত মাথাতে উঠানোর মত রেজাল্ট আসে ভাই...আপনার এই পোস্ট পড়ে তাই নিশ্চুপ থাকতে পারলাম না...যে মানুষটার মাধ্যমে পৃথিবী নামের জায়গাতে আমরা নিজেদের পরিচয় পাই...কুলাঙ্গারগুলো তাকেও বাদ দেয়নি নোংরা পর্যায়ে নামাতে
০১ লা মে, ২০১৫ দুপুর ২:২৪
অনুপম দেবাশীষ রায় বলেছেন: চিন্তা করে দেখেন একবার-এই কুলাঙ্গারগুলা যদি আমাদের ছেলেগুলাকে প্রথম যৌনশিক্ষাটুকুন দেয়,তাহলে তারা বিকৃত মানসিকতার অধিকারী হবেনা কেন?
তাই আমাদের ছোটভাইদের আমাদেরই শিখাইতে হবে।
৩| ০১ লা মে, ২০১৫ দুপুর ২:৪৮
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে সুন্দরভাবে লিখেছেন। সহমত।
এ নিয়ে সামু ব্লগে এবং ফেবুতে অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল। যাতে এ পেজগুলো নীচে নেমে যায় কিংবা কমে আসে। অামরা প্রায় এক মাস, মা'কে নিয়ে সামুতে সুন্দর সুন্দর পোস্ট দিয়েছিলাম। তবুও কাজ হয়নি। এ বড় দুঃখের !
মানসিকতার পরিবর্তন ছাড়া এ থেকে মুক্তি নেই।
২য় প্লাস।
০১ লা মে, ২০১৫ বিকাল ৫:১৩
অনুপম দেবাশীষ রায় বলেছেন: ইন্টারনেটে ব্যাপারগুলো থাকা আর সেগুলো খুঁজে পাওয়া যাবেই।
মা তে নাহলে অন্য কিছু লিখে খুঁজে পাওয়া যাবেই।
আমার লেখাটির উদ্দেশ্য আসলে অন্যত্র ছিলো।
আমি আসলে বলতে চাচ্ছিলাম যে ওভারঅল ছেলেপেলেরা যদি পর্নোগ্রাফির থেকে প্রাথমিক যৌনশিক্ষা লাভ করে-তাহলে তাদের মানসিকতা বিকৃত হওয়া স্বাভাবিক।
তবে মা সংক্রান্ত পদক্ষেপের সাধুবাদ প্রাপ্য।
৪| ০১ লা মে, ২০১৫ বিকাল ৩:০০
রিকি বলেছেন: সবার আগে যারা পেইজ এর ট্যাগ নির্ধারণ করে...ভালো SE0 কারীদের উদ্যোগ নিয়ে এই উল্টাপাল্টা সিস্টেম বন্ধ করতে হবে...আপনি গুগলে just ইংরেজীতে Bangla/Bang লিখেন...6-7 টার মধ্যে কিছু option কি আসে দেখেছেন...ওগুলো কি আপনি খুঁজতেই Bangla/Bangladesh লিখতে যাচ্ছিলেন বলেন ??? কিন্তু তাও ঐ মহান সার্চিং অপশনগুলোই পাবেন...!! এগুলো এই পর্যায়ে আনতে যারা উদ্যোগী হয়েছে, এদের বিপরীতে কি ভালো SE0 কারী কেউ নাই আমার প্রশ্ন এটা ? তাহলে আপনি আমি এখানে মাথা নষ্ট করে কি কিছু হবে বলেন, যতদিন আমাদের মধ্যে থেকে কেউ বা কারা page ranking এর এই উদ্যোগটা না নেয় বা verify ঠিকঠাক না করে? আপনি আপনার ছোট ভাইকে বুঝাবেন "মা" লিখে সার্চ দিবি না...সে "মা দিবস" লিখল বা "মা দিবস নিয়ে বাঙালীর অভিমত" লিখে সার্চ দিল...মহাশয়েরা তো মা বোন গার্লফ্রেন্ড নির্বিশেষে প্রত্যেকটা মেয়ে সম্পর্কের সর্বনাশ করে রেখেছে...তাহলে এই ক্ষেত্রে আপনি/ আপনার ছোট ভাই হাঁ করে গোব্দুল হয়ে থাকা ছাড়া এবং ঐ বিষয় বাদ দিয়ে Angelina Jolie(for example) র নামে সার্চ দাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে কি? "মা" এর থেকে Angelina Jolie এর সার্চ বেশি সেফ বানিয়েছে যারা, তাদের বিপরীত শক্তি মানে ভালো সুবুদ্ধি সম্পন্ন SE0 কারীরা যদি "মা" এর সার্চ ইঞ্জিনে reputation আবার ফেরাতে পারে ভাই! ভালো SE0 কারীর শুভ উদ্যোগ নেয়া পর্যন্ত আশাতেই শুধু থাকতে পারি আমরা....ভাই পানি ঘোলা করার জন্য অনেকেই আছে, কিন্তু ঘোলা পানি পরিষ্কারের দায়িত্ব নেয় কয়জন বলেন ???
০১ লা মে, ২০১৫ বিকাল ৫:১৮
অনুপম দেবাশীষ রায় বলেছেন: আমি আসলে মা এর সার্চ নিয়ে তেমন কিছু বলতে চাচ্ছিলাম না। আমার বক্তব্য ছিলো সঠিক যৌনশিক্ষা নিয়ে।
যাহোক-আপনার কথাও যুক্তিযুক্ত।
৫| ০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ১:০২
সহজপাঁচালি বলেছেন: যৌনশিক্ষার কথা বলছেন! হয়ত আপনি শহরের বাসিন্দা তাই সবটা উপলব্ধি করতে পারছেন না। আপনার কথাটা যদি আমাদের মফস্বলে কোনভাবে একবার কেউ জানতে পারে তো আপনি আর কোনদিন এখানে আসতে পারবেন না। আসতাগফিরুল্লা আর নাউযুবিল্লা’র জপে আপনি অনায়াসেই পাপমুক্ত হয়ে যাবেন।
মা-বাবা যৌনবিষয়ে সন্তাদের সাথে কথা বলতে দ্বিধা বোধ করেন এটা তো খুব স্বাভাবিক ঘটনা। আমাদের এলাকায় মসজিদে খুৎবার সময় ইমাম সাহেব নারীদের পর্দার ব্যাপারে এমনভাবে বক্তব্য দেন যে কিছুক্ষণের জন্য হলেও কন্যা সন্তানের পিতাগণ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে ভাবেন, মেয়েকে ঘরে বন্দি করে ফেলা দরকার। অত:পর ঘরে ফিরে মেয়েকে বন্দি না করতে পারলেও উপদেশস্বরূপ এমন কিছু কথা হয়ত বলেন যাতে করে গত শুক্রবারের চেয়ে এই শুক্রবারে কন্যা এবং পিতার দূরত্ব আরও একটু বেরে যায়। আর আমাদের মায়েরা তো বর্তমান কন্যাটির মতই বেড়ে ওঠা অসহায় একজন মাত্র। এ অবস্থায় আপনি যা উচিত বলে লিখেছেন তা আমি পড়তে পারলেও কোনদিনও প্রচার করতে পারবো না। খুব কৌশলে যদি কোনদিন বলেও বসি এবং তাতে করে দু’একজন যদি ওইদিন আমার কথা কিছুটা মেনেও ফেলে তবে আমার দুর্দশার কথা মাথায় রেখেই তা বলতে হবে। কেননা ওইদিন বা তারপর ক’দিন আমি মানুষ হিসেবে গণ্য হলেও হতে পারি কিন্তু এরপর কি হবে আমি তা কল্পনাও করতে চাই না।
এতকথা থাকতে মসজিদের কথাই কেন তুললাম? কেননা, ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি ধর্ম আমাদের সমাজ, পরিবার এবং এলাকায় যতটা প্রভাবশালী ততই আর কেউই নয়।
তাই বলে আমি ধর্মের বিপক্ষে বলছি তা না। বলছি যৌনশিক্ষা দেয়ার ক্ষেত্রে সমাজের একটা বাঁধার কথা। সমাজের আর কোন বাঁধাকেউ আমার এর চেয়ে বেশি শক্তিশালি মনে হয়নি।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মে, ২০১৫ দুপুর ১২:১০
পিয়েটা বলেছেন: ভাল লাগল চমৎকার গঠনমূলক একটা লেখা পড়ে। সমস্যার মূলটা ধরতে পারাটা আসলেই জরুরি। শুধু একটা বিষয় ,গুগলে সার্চ রেজাল্ট সর্টিং অ্যালগরিদমটা মোটামুটিভাবে ২০০ টি ক্রাইটেরিয়ার উপর নির্ভর করে। পেইজ লিঙ্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ফ্যাক্টর এখানে। সোজা বাংলায় মা সার্চ দিলে আপনি যেসব দেখতে পান সেগুলো শুধুই মোস্ট হিট করা পেজ নয়। আমাদের দেশে অনেকেই আছেন যারা SEO সংশ্লিষ্ট কাজগুলো করেন। কিন্তু এই বিষয়গুলোতে মনযোগ দিতে কেন যেন তাদের অনীহা।আমি ব্যক্তিগত পর্যায়ে খুব ভাল SEO পারিনা কিন্তু যারা পারেন তাদের মাস ছয়েক আগে অনুরোধ করেছিলাম একটা প্রজেক্ট করতে বিশেষত 'মা' 'নারী ' 'দেশ ' শব্দগুলো নিয়ে। খুব একটা সাড়া আসেনি। সত্যি কথা বলতে কি ইচ্ছে করলেই বিষয়টা ঠিক করে ফেলা যায়,শুধু প্রয়োজন একটু সদিচ্ছা আর স্বেচ্ছাশ্রম!