নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্তহীন স্বপ্নযাত্রা

অাপেল মাহমুদ

অন্তহীন সংগ্রামমুখর জীবন আমার । শৈশব-কৈশরের কষ্টকর অধ্যায় পেরিয়ে স্বপ্নযাত্রায় পাল তুলে নিরন্তর পথচলা শুরু করেছি । কর্মজীবনের শুরুতে শিক্ষকতার মহান পেশায় কিছুদিন নিয়োজিত ছিলাম । এরপর আমলার আটপেৌরে জীবনে প্রবেশ । স্বপ্ন দেখতে ও দেখাতে ভালবাসি । মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় । কখনো কখনো স্বপ্নের চেয়েও বড় হতে পারে মানুষ । অাজীবন এই বিশ্বাস লালন করেছি । একটা কিছু করার অদম্য ইচ্ছা রয়েছে অামার ।জীবনটাকে নিয়ে নানা এক্সপেরিমেন্ট করতে ভাল লাগে আমার ।

অাপেল মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষণিকের বিভীষিকা

০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১:২৬

রাজনৈতিক সচেতন হলেও রাজনীতি নিয়ে কখনো লিখতে চাইনি ।এখনো চাইনা । এটা আমার কাজও নয় । আমি রাজনীতি নিয়ে লিখতে না চাইলেও রাজনীতি আমাকে ছাড়বে কেন । রাজনীতি নিয়ে না ভাবা অসংখ্য নিরীহ মানুষ প্রতিদিন রাজনীতির নিষ্ঠুরতার শিকার হচ্ছে । এ বিভীষিকাময় নিষ্ঠুরতা আর বিভৎসতা আদৌ কোন রাজনীতি কিনা সেই বিচারের ভার মহাকালের হাতে ছেড়ে দেয়াই ভালো । গত রাতে রাজনীতির শিকার হতে হতেও বেঁচে গেলাম । সিলেটগামী পাহাড়িকা ট্রেনের প্রথম শ্রেণীর যাত্রী হয়ে কর্মস্থলে ফিরছিলাম । রাত পৌনে দশটায় সহযাত্রী হঠাৎ চিৎকার করে বললেন ট্রেনে আগুন লেগেছে । সাথে সাথে ট্রেনে হুলুস্থুল পড়ে গেল । দ্রুত ব্যাগটা কাঁধে চড়িয়ে কম্পার্টমেন্ট থেকে বেরিয়ে হতভম্ব হয়ে গেলাম । বগির শেষ প্রান্তে আগুন চোখে পড়লো । উল্টো দিকে দৌড়াতে থাকলাম । দেখি উল্টো দিকের বগিতেও আগুন জ্বলছিলো । ট্রেনের সকল আলো নিভে গেল । অন্ধকারে ভিড় ঠেলে দরজার নিকট পৌঁছে গেলাম ।ঘন্টায় ৮০ কিমি বেগে ট্রেনটি চলছিলো , ট্রেন থেকে লাফিয়েও বাঁচার কোন আশা নেই । আমরা তখন আগুন থেকে কয়েক ফুট দূরে দাঁড়িয়ে বিভীষিকাময় অজানা আশঙ্কায় অপেক্ষা করছিলাম কখন ট্রেন থামে । আমি নিজের আতঙ্ক ভুলে চিৎকার করে বলছিলাম ভয়ের কিছু নেই, আমরা কিছুক্ষণের মধ্যে শায়েস্তাগঞ্জ পৌঁছে যাব । মনে হলো জীবনাশঙ্কায় ভীত মানুষগুলো আশার আলো দেখতে পেল । কিছুদূর গিয়ে ট্রেনটা থামলো । অবিশ্বাস্য দ্রুততায় আগুন নেভানো হলো । এ যাত্রায় বেঁচে যাওয়ায় সবাই স্বস্তির নি:শ্বাস ফেললাম ।সৃষ্টিকর্তাকে অশেষ ধন্যবাদ জানালাম । খবর নিয়ে জানা গেল একজন শিশু ও একজন নারীসহ তিনজন আগুনে কিছুটা দগ্ধ হলো ।চলন্ত ট্রেনে কয়েকটি পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিলো । তাও আবার আমাদের বগি ও পাশের বগিতে । এতদিন পেট্রোল বোমায় দগ্ধ মানুষের খবর পড়তাম ।বার্ণ ইউনিটের হতভাগ্য মানুষগুলোর চিৎকার যেন কানে বাজতো । হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করার চেষ্টা করতাম পেট্রোলের আগুন থেকে বাঁচার জন্য মৃত্যুপথযাত্রী মানুষগুলোর সীমাহীন আর্তি । এখন নিজে দেখলাম মৃত্যু ভয়ে আতঙ্কিত মানুষ কিভাবে বাঁচতে চায় । নিরীহ মানুষকে পেট্রোলের আগুনে দগ্ধ করার এ কোন নিষ্ঠুর রাজনীতি চলছে আজ । আর কতদিন এভাবে নিরীহ মানুষকে পেট্রোলের আগুনের পোড়ানোর নারকীয় উল্লাস চলতে থাকবে ?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৩৫

শিহাব কবিরশিহাব কবির বলেছেন: যারা এমন করে তাদের ডি.এম.সি বার্ন ইউনিট থেকে একবার ঘুড়িয়ে আনা উচিত

২| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:১২

অাপেল মাহমুদ বলেছেন: তাতে মানবতা জাগ্রত হবে বলে মনে হয় না ।

৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:১৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা !!!! :( :( :(
যারা পেট্রোল বোমায় মানুষ মারছে , এরা মানুষ নয় ।
এদের বার্ন ইউনিট থেকে ঘুরিয়ে আনলে , নিজেদের সাফল্যের খতিয়ান দেখে এরা উল্লসিতই হওয়ার কথা ।

আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন ।

৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৩৬

অাপেল মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই, সত্যিই খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.