নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবি নজরুলের দুরন্ত পথিক সুকান্তের দুর্মর আমি মহাবিদ্রোহী রণক্লান্ত

অর্ণব আর্ক

জগদ্ধাত্রীর অপরিশোধ্য ঋণে বাঁধাজীবনের তটিনী আজ পড়ে আছে তটে,ঘুম ভাঙানি গান সে কবেই থেমে গেছেএখন আর বাজে না মর্চে ধরা গ্রামোফোন।।ওষ্ঠ-শীর্ষে আকড়ে থাকা পিতৃপ্রদত্ত প্রাণটি সত্যি কেমন এক মূর্তিমান অভিশাপ,এখানে কেবলি বেজে ওঠে ,শ্মশানের সেই খট্টাঙ্গ পুরাণের বিলাপ,মুর্তিমান বিভীষিকায় আচ্ছন্ন এ এক অপলাপ। তবুও স্বপ্ন দেখি আকাশ ভরা জোছনায়,বৈশাখী পূর্ণিমায় এখনো বুক বাধিঁ আশায়। কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম খামে মন আজ চিঠি পাঠায়কোনো অর্বাচীন ঠিকানায়। তাই দৃষ্টি আমার প্রসারিত ঐ নীলিমায়।

অর্ণব আর্ক › বিস্তারিত পোস্টঃ

রামায়নের পাতা থেকে কিছু মজার কাহিনী(পর্ব এক):):):):)

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৫৪

প্রত্নতত্ত্বের অধ্যয়নকারী হিসেবে আমাদের সিলেবাসের অংশ হিসেবে অনেক কিছুই শিখতে হয়। আমরা যাই পড়ি অন্তত একটি কথা বলতে পারি ধর্মীয় গোঁড়ামি ও সংকীর্ণতার দড়ি ছিড়তে গেলে যা করা দরকার তা একরকম জানতে হয়। আমরা একটি বিষয় অন্তত বলতে বলতে পারি প্রত্যেকটি ধর্মই পৃথিবীতে এসেছিল মানবতার বাণী নিয়ে । আপনি যে ধর্মের ই অনুসারী হোন না কেন আপনার কোন সুযোগ নাই অন্য ধর্মকে হেয় করার । আমার নিজ ধর্ম কে অস্বীকার করে একজন কেউকেটা বনে যাওয়ার ও উপায় নাই। . যাহোক পড়াশোনার সহায়ক হিসেবে বেশ কিছু ওয়েব লিংক হতে রামায়ন ও মহাভারতের কাহিনী পড়ে বেশ মজা পেয়েছি আমি চাই এখন তা আমার ব্লগার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে। আশাকরি সবার ই ভাল লাগবে .



:):):)আদিকান্ড: ভারতবর্ষের সরযু নদীর কাছে অযোধ্যা নামের এক নগরে দশরথ নামের এক রাজা ছিলেন। তাঁর কোন সন্তান ছিল না। মনের দুঃখে একদা মন্ত্রীদের বললেন, আমি দেবতাদের তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে যজ্ঞ করব। যজ্ঞের আয়োজন সম্পন্ন করা হলো।

(দশরথের শাসনকালের সময়কালটা আমরা জানতে পাই না। জানতে পারলে ভালো হতো)



:):)প্রথমে করা হলো 'অশ্বমেধ যজ্ঞ'। ঘোড়ার মাংস দিয়ে এই যজ্ঞ করা হয়। জটিল এক প্রক্রিয়া, প্রথমে ঘোড়াটা ছেড়ে দেয়া হয়। এই ঘোড়া এক বছর যেখানে খুশী সেখানে ঘুরে বেড়ায় তারপর এটাকে ফিরিয়ে আনা হয়।

(আমাদের দেশে বিভিন্ন পীর সাহেবদের নামে ধামড়া-ধামড়া গরু বছরের পর বছর ধরে ছেড়ে রাখা হয়। এই গরু হতদরিদ্রের কলাটা-মুলোটা, ক্ষেতের ধান খেয়ে সাফ করে ফেলে। এই নিয়ে কারও কিচ্ছু বলার যো নেই। গরুবাবা বলে কথা! এই ভাবনাটা কি 'অশ্বমেধ যজ্ঞ' থেকে ধার করা?)



অশ্বমেধ যজ্ঞের পর ঋষ্যশৃঙ্গ বললেন, 'এরপর পুত্রেষ্টি যজ্ঞ করিলে মহারাজের ছেলে হইবে'।

যজ্ঞের ফলে অলৌকিক পায়েস আসল। সেই পায়েস রানিদের খেতে দেয়া হলো। দশরথের তিন রানি কৌশল্যা, কৈকয়ী, সুমিত্রা।

কিছুদিন পর তাঁদের ছেলে হলো। কৌশল্যার একটি, নাম রাখা হয় রাম। কৈকয়ীর একটি, নাম ভরত। সুমিত্রার দুই ছেলে লক্ষ্ণণ এবং শত্রুঘ্ন। এরা দিনে দিনে বড়ো হলেন।



মারীচ নামের এক রাক্ষসের উপর বিশ্বামিত্র প্রচন্ড ক্রদ্ধ ছিলেন কারণ যজ্ঞের সময় মারীচ এবং সুবাহু এই দুই রাক্ষস মিলে মাংস ঢেলে যজ্ঞ পন্ড করেছিল। তাড়কা রাক্ষসী হচ্ছে মারীচের মা। মা বেটা মিলে সব খেয়ে দেশটাকে জঙ্গলে পরিণত করেছে। তাড়কা রাক্ষসীর বেজায় জোর, বর্ণনামতে, তার গায়ে হাজার হাতির জোর! তাড়কা নামের রাক্ষসীকে মারার জন্য বিশ্বামিত্র রামকে সাথে নিয়ে গেছেন।

(বাংলা সাহিত্যে ভয়ংকর মহিলা বোঝাতে 'তাড়কা রাক্ষসী' শব্দটা প্রায়ই ব্যবহৃত হয়। আমি নিজেও লেখায় প্রায়শ ব্যবহার করি। অভিধানে শব্দটা যোগ হয়েছে রামায়ন থেকে।)



বিশ্বামিত্র রামের প্রতি তুষ্ট হয়ে যে অস্ত্রগুলো দিয়েছিলে তার তালিকা অনেক লম্বা। অস্ত্রগুলো হচ্ছে: বলা, অতি-বলা, ধর্মচক্র, কালচক্র, বিষ্ণুচক্র, ইন্দ্রচক্র, ব্রক্ষশির, ঐষিক, ব্রক্ষাস্ত্র, ধর্মপাশ, কালপাশ, বরুণ পাশ, শুষ্ক অশনি, আর্দ্র অশনি, পৈনাক, নারায়ন, শিখর, বায়ব্য হয়শির, ক্রৌঞ্জ, কঙ্কাল, মুষল, কপাল, শক্তি, খড়গ, গদা, শূল, বজ্র, কিঙ্কিণী, নন্দন, মোহন, প্রস্বাপন, প্রশমন, বর্ষণ, শোষণ, সন্তাপন, বিলাপন, মাদন, মানব, তামস, সৌমন, সংবর্ত। আরও অনেক নাম-না-জানা অস্ত্র!

(এমন বিপুল অস্ত্র কারও কাছে থাকলে এ গ্রহে তাঁকে রুখবে এমন সাধ্যি কার! এমন অস্ত্রে সজ্জিত একজনকে মহামানব হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না, সাধারণ হলেই চলে। কেবল এক ব্রক্ষ্ণাস্ত্রই নাকি কাফি। এটা একবার ছুঁড়লে ফিরিয়ে নেয়া যায় না। এর সঙ্গে অনেকটা মিল পাওয়া যায় আধুনিক পারমাণবিক অস্ত্রের।)



বিশ্বমিত্র মহারাজ জনককে বললেন, 'মহারাজ, সেই ধনুকখানি রাম-লক্ষ্ণণ দেখিতে চাহেন’।

জনক বলিলেন, 'এই ধনুক আগে ছিল শিবের...। একদিন আমি লাঙ্গল দিয়া যজ্ঞের স্থান চসিতেছিলাম। এমন সময় আমার লাঙ্গলের মুখের কাছে পৃথিবী হইতে এক পরমা সুন্দরী কন্যা উঠল। লাঙ্গলের মুখে উঠিয়াছিল বলিয় আমি তাহার নাম রাখিয়াছি সীতা। আমার প্রতিজ্ঞা এই যে, এই শিবের ধনুকে যে গুণ পরাইতে পারিবে তাহার সঙ্গেই এই,মেয়ের বিবাহ দিব'।

(লাঙ্গলের মুখের আঁচড়ে মাটিতে যে দাগ পড়ে তার নাম সীতা।)



রাম সেই ধনুকে গুণ পরালেন। টান দিলেন এবং ধনুক ভেঙ্গে দু-টুকরা! তখন যে শব্দ হয়েছিল সেই শব্দের কারণে বিশ্বামিত্র, জনক, রাম, লক্ষ্ণণ ব্যতীত অন্য সবাই অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন।

অতঃপর রাম সীতাকে বিয়ে করলেন। জনক রাজার আরেক মেয়ে এবং ভাইয়ের মেয়েদের বিয়ে করলেন, লক্ষ্ণণ, ভরত, শত্রুঘ্ন।

রাজা দশরথের বয়স হয়েছে। ষাট ছাড়িয়ে গেছেন। তাই তিনি মনস্থির করলেন, রামকে রাজ্যের ভার দিবেন। সভা ডেকে পরামর্শ চাইলে সবাই একবাক্যে বললেন, এর চেয়ে ভাল সিদ্ধান্ত আর হয় না। স্থির হলো, পরদিন রামকে রাজায় অভিষিক্ত করা হবে। এই সংবাদে অযোধ্যায় হুলস্থূল পড়ে গেল। রামের মাতা কৌশল্যারও আনন্দের শেষ রইল না। সীমাহীন আনন্দে তিনি জনে জনে দান করতে লাগলেন।



রানি কৈকেয়ীর এক দাসি ছিল, মন্থরা। এই দাসিটির পিঠে কুঁজ ছিল বলে সবাই তাকে মন্থরার বদলে কুঁজি বলে ডাকত। এই দাসিটি দেখতে যেমন কদাকার তার মনটাও ততোধিক কুটিল। কিন্তু কেউ মন্থরাকে ঘাটাত না কারণ কৈকেয়ী এই দাসিটিকে তাঁর বাপের বাড়ি থেকে এনেছিলেন।

মন্থরার এই সব দেখে আর সহ্য হলো না। সে কৈকেয়ীর কানের পাশে তোতা পাখির মত অনবরত বকে যেতে লাগল, যেন রামের বদলে কৈকেয়ীর সন্তান ভরতকে রাজা করা হয়। মন্থরা কৈকেয়ীকে বুদ্ধিও শিখিয়ে দিল।



'দন্ডকবন'-এর ভেতরে বৈজয়ন্ত নগরে এক ভয়ংকর সম্বর নামের অসুর ছিল, দেবতাদের সঙ্গে সম্বরের ভয়ানক যুদ্ধ হয়েছিল। সেই যুদ্ধে দশরথ দেবতাদের পক্ষে যুদ্ধ করেছিলেন এবং আহত হলে কৈকেয়ী সেবা করে দশরথকে বাঁচিয়েছিলেন। দশরথ খুশি হয়ে কৈকেয়ীকে দুইটা বর দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু তখন কৈকেয়ী বলেছিলেন, আচ্ছা, যখন প্রয়োজন হয় তখন চেয়ে নেব।

মন্থরা শিখিয়ে দিলেন, সেই বরটা এখন চাওয়ার জন্য।



:):):):):):):):):)দশরথ অন্দরমহলে এলে মন্থরার শিখিয়ে দেয়া কথায় কৈকেয়ী দশরথকে প্রতিজ্ঞা করার জন্য বললে, দশরথ বলেন, 'এই পৃথিবীতে রামের মত আর কাউকে আমি ভালবাসি না। সেই রামের নামে শপথ করে বলছি, তুমি যা চাইবে তাই দেব'।

কৈকেয়ী ভাল করেই জানেন, রাজা একবার কথা দিলে তা আর ফিরিয়ে নিতে পারবেন না। কৈকেয়ী তখন তার পাওনা বরের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বললেন, 'রামকে চৌদ্দ বছরের জন্য সন্ন্যাসী সাজে দন্ডক বনে পাঠাতে হবে এবং ভরতকে রাজা করতে হবে'।

কৈকেয়ীর এই কথা শুনে রাজা দশরথ জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন। জ্ঞান ফেরার পর তিনি বিলাপ করতে লাগলেন, 'কৈকেয়ী তোমার পায়ে পড়ি, এই বর আমার কাছে চেয়ো না। রাম তোমার যেমন সেবা করে তেমনটা ভরতও করে না। এটা অন্যায়, ঘোর অন্যায়'।

কৈকেয়ী তার সিদ্ধান্তে অনঢ়। তখন দশরথ কাতর হয়ে বলতে লাগলেন, 'কৈকেয়ী আমার বয়স হয়েছে আর ক-দিনই বা বাঁচব। আমাকে দয়া করো। আমার যার আছে সব নিয়ে যাও কিন্তু আমাকে এই মহা অন্যায় করতে বলো না'।

কৈকেয়ী তার সিদ্ধান্তে অবিচল। দশরথ ক্ষণে ক্ষণে জ্ঞান হারাতে লাগলেন। তিনি এই ঘোর অন্যায় সহ্য করতে পারছিলেন না। কিন্তু কৈকেয়ীর দয়া হলো না। তিনি বললেন, 'মহারাজ, একবার বর দিয়ে আবার কান্নাকাটি করছ; লোকে শুনলে হাসবে। আমি আমার পাওনা বর ছাড়ব না। তুমি রামকে রাজা করলে আমি বিষ খেয়ে মরব'।

অসহায় দশরথ রাতভর বিলাপ করতে লাগলেন কিন্তু কৈকেয়ী তার সিদ্ধান্তে অটল রইলেন।



সকালে দশরথ নিতান্ত বাধ্য হয়ে রামকে ডেকে পাঠালেন। কিন্তু অতি বেদনায় দশরথের মুখ দিয়ে কোন শব্দ বের হচ্ছিল না। যা বলার কৈকেয়ীই বললেন, 'রাম, মহারাজ আমাকে দুইটা বর দিয়েছিলেন, সেই বর আমি এখন চেয়ে নিয়েছি। একটা বর হলো তুমি মাথায় জটা নিয়ে গাছের ছাল পরে চৌদ্দ বছরের জন্য দন্ডক বনে যাবে, আরেকটা বর হচ্ছে ভরতকে রাজা করা হবে'।

রাম একটুও দুঃখিত না হয়ে বললেন, 'তাই হবে। বাবা যা বলবেন তাই হবে। তাঁর উপর কোন কথা নাই। আমি আজই বনে চলে যাব'।



সব শুনে রামের মাতা কৌশল্যা তীব্র বেদনায় অজ্ঞান হয়ে গেলেন। লক্ষ্ণণও কিছুতেই এই অন্যায় সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছিলেন না। রাম না থামালে তাঁকে কেউ থামাতে পারত না।

রামকে অনেক বেগ পেতে হলো লক্ষ্ণণ এবং কৌশল্যাকে প্রবোধ দিতে। কিন্তু সীতা এবং লক্ষ্ণণকে তাঁর সাথে বনে যাওয়াটা আটকাতে পারলেন না।



রাম তাঁর সব কিছু বিলিয়ে দিলেন। একটা নমুনা এমন: ত্রিজট নামে এক ব্রাক্ষণ ছিলেন। ত্রিজট রামের দানের কথা শুনে এসে হাজির হলেন। রাম তাঁকে দেখে হেসে বললেন, 'ঠাকুর, আপনি এই লাঠিটা যতদূর ছুঁড়ে ফেলতে পারবেন ততদূর পর্যন্ত আমার যত গরু আছে তা সব আপনার।

ত্রিজট বামুনের গায়ে জোরের অভাব ছিল না। তিনি কোমর কষে হেইয়ো বলে লাঠিটা সরযু পার করে দিলেন। এ পর্যন্ত গুণে দেখা গেল রামের এক লক্ষ গরু আছে। রাম সেই এক লক্ষ গরুর সঙ্গে উপরি হিসাবে আরও সম্পদ দিলেন।

সব বিলিয়ে রাম, লক্ষ্ণণ, সীতাকে নিয়ে হাঁটতে লাগলেন। সবাই বিলাপ করে বলতে লাগল, দশরথ নিশ্চয়ই পাগল হয়ে গেছেন নইলে এমন অন্যায় করেন কেমন করে? এই অনাচারের দেশে আমরা থাকব না, রামের সঙ্গে চলে যাব। থাকুক কৈকেয়ী তার ছেলে ভরতকে নিয়ে।

রাম সবাইকে হাতজোড় করে নিষেধ করলেন। কে শোনে কার কথা, সবাই রামের পিছু পিছু হাঁটতে লাগল। রথ চলা শুরু করলে সবাই পাগলের মতো রথের সঙ্গে ছুটতে আরম্ভ করল, বুড়া, যুবা কেউ বাকি রইল না। রথের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যখন আর পারা যাচ্ছিল না তখন তাঁরা রথ-চালক সুমন্ত্রকে বলতে লাগলেন, 'ও সুমন্ত্র, একটু আস্তে যাও না, বাবা। আমরা যে আর পারি না'।



রাম সহ্য করতে পারছিলেন না কারণ রথের পেছন পেছন রাজা দশরথ, রানিরা (কৈকেয়ী ব্যতীত) পর্যন্ত ছুটে আসছেন। রাম অস্থির হয়ে সুমন্ত্রকে বলতে লাগলেন, 'জোরে চালাও, আরও জোরে'।

এদিকে দশরথ কাতর হয়ে বলছেন, 'রথ থামাও'।

সুমন্ত্র যখন দেখলেন রামের প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে তখন তিনি রথের গতি বাড়িয়ে দৃষ্টি সীমার বাইরে চলে গেলেন। রথ বিকেলে শৃঙ্গব নগরে থামল। সুমন্ত্রকে জোর করে ফিরিয়ে রাম, লক্ষ্ণণ, সীতা গঙ্গা পার হলেন।



রাজা দশরথ তীব্র ঘৃণায় কৈকেয়ীর ওখানে না গিয়ে কৌশল্যার ওখানে গেলেন। তিনি বুঝতে পারছিলেন তিনি আর অধিক কাল বেঁচে থাকবেন না। তাঁর মনে পড়ল, তাঁর যখন বয়স অল্প ছিল তখন একবার অন্ধকার রাতে হাতি মনে করে অন্ধ মুনির ছেলেকে তীর দিয়ে মেরে ফেলেছিলেন। ছেলে শোকে সেই অন্ধ মুনিও মারা যান কিন্তু মারা যাওয়ার পূর্বে তিনি দশরথকে অভিশাপ দিয়ে যান, তুমিও এমন করে পুত্র শোকে মারা যাবে।

রামকে বনে পাঠাবার পর ছয়দিন মাত্র দশরথ বেঁচে ছিলেন।



:|:|যে ভরতের জন্য কৈকেয়ী এমনটা করেছিলেন, সেই ভরত যখন এসে এই কান্ড শুনলেন তখন প্রচন্ড ক্রোধে তাঁর মাকে বললেন, 'তুমি আমার মা না-হলে তোমাকে আমি মেরে ফেলতাম। দাদা, তোমাকে এত মান্য না-করলে আমি তোমাকে এখনই তাড়িয়ে দিতাম। তোমার মত দুষ্ট স্ত্রীলোক এই পৃথিবীতে আর নাই। তুমি আগুনে পুড়ে মরো, নাহয় গলায় দড়ি দিয়ে মরো। ইচ্ছা হলে বনে চলে যাও'।

ভরত সবাইকে ডেকে বললেন, 'দাদার রাজ্য আমি চাই না। আমি তাঁকে ফিরিয়ে আনব'।

ভরত অনেক ক্লেশ স্বীকার করে রামকে খুঁজে বের করলেন। কিন্তু রামকে কোন ভাবেই টলাতে পারলেন না। রামের এক কথা, তাঁর পিতাকে দেয়া কথা থেকে তিনি সরে আসতে পারেন না।



অবশেষে কোন উপায় না দেখে ভরত বললেন, 'দাদা, তাহলে তোমার পায়ের খড়ম দুখানা খুলে দাও। এখন হতে এই খড়মই রাজা। আমরা এর চাকর। তোমার এই খড়ম নিয়ে আমি চৌদ্দ বছর গাছের ছাল পরে, ফলমূল খেয়ে জীবন ধারণ করব এবং তোমার অপেক্ষা করব। চৌদ্দ বছর পর তুমি যদি ফিরে না আসো তাহলে কিন্তু আমি আগুনে ঝাপ দেব'।

হাতির পিঠে করে ভরত খড়ম নিয়ে এলেন। অযোধ্যার কাছে নন্দীগ্রামে খড়মকে সিংহাসনের উপর রেখে নিজে গাছের ছাল পরিধান করে, খড়মের উপর ছাতা ধরে, চামরের বাতাস করে রাজ্য শাসন করতে লাগলেন। কিন্তু কোন কাজ আরম্ভ করার পূর্বে খড়মের কাছে না বলে হাত দিতেন না।



('অযোধ্যাকান্ড'। এই পর্বে রামকে আমরা দেখতে পাই অসাধারণ একটা চরিত্র হিসাবে। রামের তুলনা রাম নিজেই- এ অভূতপূর্ব!

কৈকেয়ী এবং মন্থরার কথা বাদ দিলে আরও অনেক চরিত্রকে আমরা দেখতে পাই অসাধারণ চরিত্র হিসাবে যেখানে একজন অন্যজনকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন।)



কৃতজ্ঞতা স্বীকার :

প্রফেসর ডঃ মোঃ মোজাম্মেল হক (আমার কোর্স শিক্ষক)

আলী মাহমেদ ( একজন ব্লগার যিনি পূর্বে এই বিষয়ে লিখেছেন)

তথ্যসুত্রঃ The RAMAYAN of VALMIKI: Ralph T. H. Griffith

এবং উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী রচিত একটি গল্প..



মোঃ আদনান আরিফ সালিম অর্ণব

স্নাতক সম্মান অধ্যয়নকারী ও অবিনির্মানবাদী লেখক

প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ

[email protected]

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১০/-১

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:১৮

আমি কেউ না বলেছেন: অর্ণব বলেছেন: প্রথমে করা হলো 'অশ্বমেধ যজ্ঞ'। ঘোড়ার মাংস দিয়ে এই যজ্ঞ করা হয়। জটিল এক প্রক্রিয়া, প্রথমে ঘোড়াটা ছেড়ে দেয়া হয়। এই ঘোড়া এক বছর যেখানে খুশী সেখানে ঘুরে বেড়ায় তারপর এটাকে ফিরিয়ে আনা হয়।


ছোট ভাই, এই খানে কিছু জিনিস এড করতে চাই (নেটে/বইয়ে ঘাটলে পাবি )... 'অশ্বমেধ যজ্ঞ' তে যে ঘোড়াটা ছেড়ে দেয়া হত সেটাকে নিজ রাজ্যে না ফেরা পর্যন্ত কোথাও বাধা দেয়া হত না... এই সময়টায় ওই ঘোড়ার পেছন পেছন খুব শক্তিশালী একটা সৈন্যদল থাকতো... ঘোড়াটা ঘুরতে ঘুরতে অনেকগুলো রাজ্যেই ঢুকে পরতো এবং নিয়মটা ছিল ঘোড়াটা যেসব রাজ্যে ঢুকে পরতো সেসব রাজ্যকে যজ্ঞকারী রাজার জয় করতে হত... ব্যাপারটা ধরতে পারছিস? ব্যাফক ইন্টারেস্টিং

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:২৯

অর্ণব আর্ক বলেছেন: ভাইয়া আমি আপনার নাম সহ এটা পোস্টে এডিট করে নিচ্ছি। অনেক ধন্যবাদ.. আমি এই কাহিনী বেশ কয়েকটা পর্বে শেষ করবো।

২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:২৩

স্বপ্ন ও সমুদ্র বলেছেন: কাল পরীক্ষা। আজ অর্ধেক পড়লাম। বাকি অর্ধেক কাল পড়ব।
+ এবং প্রিয়তে।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৩১

অর্ণব আর্ক বলেছেন: ভাইয়া কিযে বলেন । আমার ও তো ফাইনাল পরীক্ষা চলতেছে । আমি পরীক্ষার মধ্যে এই পোস্ট দিলাম । আর আপনি এর হাফ পড়লেন মাত্র । অনেক ধন্যবাদ পোস্টে মন্তব্য করা ও পড়ার জন্য । আপনার কোন সাজেশান থাকলে বলতে পারেন।

৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:২৩

আরফার বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো... কয়েক পর্বে চালালে মন্দ হতো না... শুভকামনা।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৩২

অর্ণব আর্ক বলেছেন: ভাইয়া আমার লেখার টাইটেলেই আছে পর্ব এক। আমি অন্তত দশ বারোটা পর্বে এই লেখাটা চালবো। আর আপনাদের কোন পরামর্শ থাকলে বলতে পারেন। অনেক ধন্যবাদ।

৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৩৯

শওকত আহমেদ বলেছেন: কেবল এক ব্রক্ষ্ণাস্ত্রই নাকি কাফি। এটা একবার ছুঁড়লে ফিরিয়ে নেয়া যায় না। এর সঙ্গে অনেকটা মিল পাওয়া যায় আধুনিক পারমাণবিক অস্ত্রের।

ভাই সেই আমলেরই অস্ত্র তীর ছুঁড়ে আবার কিভাবে ফিরিয়ে নিত?

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৪৯

অর্ণব আর্ক বলেছেন: ভাই আজকাল এমুন কিছু ঘটতেছে যা পৌরাণিক আকাম কুকামকেউ হার মানায়। আমি জাস্ট মজা পাইছি বলেই এই ধারাবাহিক লেখা শুরু করছি। আসলে পৌরানিক ব্রহ্মাস্ত্র বা আধুনিক পারমানবিক বোমা এগুলোর থেকেও মারাত্ত্বক অস্ত্র আছে । তা অইলো আমাগো নেতা নেত্রীদের মুখ। এইটা ডেন্জারাস মাল।
ভাই অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য ।

৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৫১

স্পুতনিক বলেছেন: রূপকথ, আগেও শুনেছি..............

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৫১

অর্ণব আর্ক বলেছেন: ভাল কথা । আপনার অভিজ্ঞতা থেকে মজার কিছু সব বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন । চাইকি আমার ভুল ভ্রান্তি গুলোও শুধরে দিতে পারেন। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

৬| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:০৫

বাদ দেন বলেছেন: আসল রামায়নটা পড়তেন চটি বইএর চাইতে কম যায় না।
প্রথম ৪ পার্টেই ৬৭ রেইপ স্টোরি আসে। ভাল বর্ননা সহ। একটা যোনবিকার গস্থ মানুশেরদের লেখা বই মনে হইত

আর দশ্রথের পায়েস অইটা কি ছিল ভদ্র সমাজে বলার জিনিশ না ।
যাই হোক তদকালীন সমাজব্যবস্থাটা বুঝার জন্য ের চাইতে ভাল রুপকথা আর হয় না।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৫৫

অর্ণব আর্ক বলেছেন: ভাই আজকের তুলনায় কি খুব একটা খারাপ ছিল তখন। আসলে আমরা যাই বলি আমি একটা কথাই বলবো।...
History repeats It self.
সেই জামানাতে কিছু না থাকলে এখন পাইলো কই...
আজকাল মানুষ হিন্দি সিনেমাতে নায়িকাদের খাট পোষাক পরা দেখেই বলে কি ভয়ানক । আগের মুভি গুলো শুশীল ছিল। কিন্তু যারা প্রত্নতত্ত্ব বা ইতিহাস পড়েন বা অতীত কে জানার চেষ্টা করেন তারা সকলেই জানেন খাজুরাহো মন্দির এর গায়ের টেরাকোটা প্লাকে কিসের ছবি আছে। আর প্রাচীন মাদার গডেস বা মাতৃকা দেবীর মূর্তি কি এক্সপ্রেশান দিয়ে তৈরী করা হয়।

৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৪৮

স্বপ্নক বলেছেন: হে, হে; বাংলা ছিঃনেমার সাথে অনেক মিল।

এ গুলোর কি আদৌ সামান্য কিছু ঐতিহাসিক ভিত্তি আছে; না পুরাই কাল্পনিক। আমি যতদুর জানি, এগুলোর সাথে বিন্দুমাত্র ঐতিহাসিক ভিত্তি নাই। তাহলে কি কোর্সে জাস্ট রামায়নের কাহিনি হিসেবে পড়ায় যাতে কাহিনি লেখার সময়ের সমাজটাকে বুঝা যায়?

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৫৮

অর্ণব আর্ক বলেছেন: প্রখ্যাত ব্লগার চিকন মিয়াকে স্মরণ করে বলছি । খেক খেক :) :)
ভাই স্বপ্ন আর বাস্তব কি এক। আপনি কি আলিফ লায়লার দৈত্য আর আলাদিনের চেরাগ হাতে পাবেন। যদিও আজকালকার রিমোর্ট কনট্রোল আলাদিনের চেরাগের থেকে কম যায় না।

৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৮

অবধারিত বলেছেন: ব্যাপক... রামায়নের কাহীনি পড়ার ইচ্ছা অনেকদিনের। সব পর্ব শেষ হলে সেই খায়েস মিটবে মনে হচ্ছে...

লেখায় ইমোটিকনের দূর্বল ব্যবহার লক্ষ্যনীয়... লেখাটাকে একটি ঐতিহাসিক গ্রন্হের কিছু উল্লেখযোগ্য অংশ তুলে ধরছেন এইভাবেই দেখছি। কিন্তু হাসির ইমোটিকনের অহেতুক ব্যবহার সেটাকে লঘু করেছে।

যাই হোক, এই পর্বে মোটের উপর রামায়নের প্রথম অংশের কাহিনি সংক্ষেপ দিয়েছেন। ভবিষ্যতে কাহিনি সংক্ষেপের পাশাপাশি মূল কোনো চরিত্রের উপর আলোকপাত করলে ভালো হবে। এতে পর্ব সংখ্যা বাড়লে এই পাঠকের কোনো আপত্তি নাই....(হাসি...)

শুভ কামনা।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৬

অর্ণব আর্ক বলেছেন: ভাই আমি সত্যিই মজা পাইচি তাই হাসির ইমোটিকন ব্যবহার করচি। যদি খুব বেশি সমস্যা মনে হয় তাহলে যায়গাটা দেখাইয়া দিলে বাদ দিয়া দিমুনে । আপনেরে ধইন্যা।

৯| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২০

অ্যাডভেঞ্চারাস ভয়েস বলেছেন: মজা পাইলাম। একটু আধটু হেসেছিও।
আপনার জন্য শুভ কামনা।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৯

অর্ণব আর্ক বলেছেন: ভাই একটু আধটু নয় পুরো পুরি জোরে জোরে হাসতে হবে। আমি তো মনে করি এই কাহিনী পড়লে চার্লি চ্যাপলিন হাসতে হাসতে মারা যেতেন । আর মিস্টার বিন সেন্সলেস হয়ে যাবেন । :):):):)

১০| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:০৪

েরজা , বলেছেন: পিলাচিত করা হইল ।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:০৯

অর্ণব আর্ক বলেছেন: আপনারে ধইন্যা পাতার চাদরে মোড়ানো হইলো :):):):):)

১১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:২৭

শোভন এক্স বলেছেন: খুবই মজা পাইলাম জীবনে প্রথমবারের মতো রামায়ন পড়ে :)। রূপকথা হিসেবে খুবই ভালো কিন্তু এগুলো সত্যি বলে বিশ্বাস করে কিভাবে মানুষ বুঝিনা। অবশ্য সব ধর্মই রূপকথা, কম আর বেশি। যাই হোক, ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটার জন্য, ভালো থাকবেন।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৫২

অর্ণব আর্ক বলেছেন: আরে শোভন ভাই মজা তো কেবল শুরু :):) আরও দশটা পর্ব হবে । খালি আমার থার্ড ইয়ার ফাইনাল টা দিবার দেন।
সারাদিন আন্নে কম্পু লই থাকেন আর পাব্লিকরে হেল্পান এই সব জোকস পড়ার সময় পাইচেন নাকি কুনুদিন।
আমি আসলে কি পরিমান খুশি হইচি ভাই আপনার আগমনে তা বুজাইবার ক্ষেমতা নাইক্যা। অনেক অনেক ধইন্যা।

১২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২০

শোভন এক্স বলেছেন: ওরে বাপ্‌রে! পুরা ভিআইপি ট্রিটমেন্ট পাইলাম দেখি আপনার ব্লগে এসে :)। অনেক ধন্যবাদ। পরবর্তী পর্বগুলোর অপেক্ষায় থাকলাম।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:০১

অর্ণব আর্ক বলেছেন: :) :):) হেহেহেেহ । ধন্যবাদ।

১৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২৩

শোভন এক্স বলেছেন: পরীক্ষার জন্য শুভকামনা থাকলো।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:০৬

অর্ণব আর্ক বলেছেন: দশটা প্রশ্ন থাকে তার পাঁচটার উত্তর দিতে হয় ৪ ঘন্টায় এইটা পরীক্ষা না হাডুডু খেলা আমার কাছে এইডাই পরিষ্কার না। পড়ার কিছু বাকি নাই বইল্যা পরীক্ষার একদিন আগে রাতভর ব্লগিং করি । সকালে গিয়া পরীক্ষা দেই দেহি A+ আইয়া গেছ। আবার ভাগ্য খারাপ হইলে সারাদিন রাত গরুর মতো হাম্বা হাম্বা কইর‌্যা পইড়াও দেহি জুতা সেলাই গোছের রেজাল্ট। বেবাক দুনিয়া আন্ধার লাগে ভাই। :(:(:(

১৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫২

শতকত বলেছেন: মূল লেখাটি অনেক আগেই পড়েছিলাম আলী মাহমেদের http://www.ali-mahmed.com সাইট এ। রামায়ন: আদিকান্ড ও রামায়ন: অযোধ্যাকান্ড নামে। নীচে লিংক দুটি শেয়ার করলাম।

রামায়ন: আদিকান্ড http://www.ali-mahmed.com/2010/04/blog-post_07.html

রামায়ন:অযোধ্যাকান্ড http://www.ali-mahmed.com/2010/07/blog-post_31.html

ভেবেছিলাম আপনার পোস্টে আরও নতুন কিছু তথ্য পাব। কিন্তু এর বাইরেতো নতুন করে আর কিছু খোঁজে পেলাম না।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:২৯

অর্ণব আর্ক বলেছেন: শওকত ভাই সবে শুরু করলাম । একটু ধৈর্য ধরেণ দেখতে পাবেন। আমি আলী মহামেদ এর নাম কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ ও করেছি। আপনার ।আমি হয়তো অচিরেই পূরণ হবে। একটু অপেক্ষা করেন । আমার ফাইনাল পরীক্ষাটা শেষ হতে দেন। আর এই ব্যাপারে আপনার কোন সাজেশান থাকলে তা সাদরে গৃহীত হবে।

১৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: রামায়ন আগে পড়িনাই কখনও। মজা পাইলাম! +++ আমন্ত্রণ জানানোর জন্যে ধন্যবাদ!

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:২১

অর্ণব আর্ক বলেছেন: হাসান ভাই আমি আপনার মতো বিখ্যাত ব্লগারের আমার মতো জুনিয়রের ব্লগে আগমনে যার পর নাই খুশি হয়েছি। অনেক ধন্যবাদ। এই ব্যাপারে আপনার কোন সাজেশান থাকলে বলতে পারেন।

১৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১৯

আলিম আল রাজি বলেছেন: ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে।
দাড়ান। পড়ি।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:২২

অর্ণব আর্ক বলেছেন: পড়তে থাক মজা পাবে । দেখা যাক আমার পরীক্ষা শেষ হোক।

১৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:২৬

শুভ বলেছেন: ডিয়ার অর্ণব আর্ক,
এই দীর্ঘ লেখায় উপরের আট লাইন এবং ইমোটিকন ব্যতীত একটা বাক্যও আপনার না।

এই আট লাইনের মধ্যে কোনটা প্রফেসর ডঃ মোঃ মোজাম্মেল হক (আমার কোর্স শিক্ষক)-এর এবং কোনটা মোঃ আদনান আরিফ সালিম অর্ণব, স্নাতক সম্মান, অধ্যয়নকারী ও অবিনির্মানবাদী লেখক, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, [email protected], জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়-এর?

দয়া করে যদি একটু জানাতেন তাহলে কৃতজ্ঞতা।

১৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৭:৩৪

ভায়োলিক্স বলেছেন: ডিয়ার অর্ণব, আপনার জন্যে মাইনাস এবং গদাম!

Click This Link

১৯| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৩২

অমিয় উজ্‌জ্‌বল বলেছেন: স্থুল চৌর্যবৃত্তি এবং ঋণ শিকারের নামে চালাকি।

২০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮

আশফাক আহমেদ নিহাল বলেছেন: বাকি পর্ব গুলা কোথায় ভাই ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.