নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁধার পেরিয়ে এক কণা আলোর খোঁজে

ছন্নছাড়া ছেলেটি

"আমি হয়তো তেমন না যেমনটা তোমরা ভাবো....!! হয়তো আমি তেমন , যাকে তোমরা বুঝতে পারো না....!!" আমার খুব সাধারন থাকার সাধ । অসাধারন হবার মত কোন গুন আমার ভেতর নেই । সমালোচকদের চোখে : আমি একটা 'অ' টাইপ ছেলে । ((অসহ্য, অসভ্য, অসামাজিক, অতিভদ্র, অস্থির, অধৈর্য্য, অনিয়ন্ত্রিত, অনাকাঙ্খিত (তাদের জীবনে), অবিশ্বাসী, অগোছালো, অতিরিক্ত ভাব, অত্যাচারী, অভিশপ্ত + ..... )) মানবিক গণতন্ত্রে বিশ্বাসী এবং অসাম্প্রদায়িক মনোভাব পোষণ করি । বন্ধুদের চোখে : আমি আমি বিনয়ী, ভদ্র, বিশ্বাসী, প্রকৃতিপ্রেমী, আঁতেল, মেধাবী, ফানি, দুর্ভাগা এবং রোমান্টিক :) । মনুষ্যত্বের সংজ্ঞায় নিজেকে মানুষ বলে মনে করি । এটাই আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় ।

ছন্নছাড়া ছেলেটি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আস্তিক,নাস্তিক এবং ধর্মান্ধতা

২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০

আস্তিকঃ ধর্মীয় বিশ্বাসকে মুছে ফেলা অসম্ভব ।

নাস্তিকঃ কাল্পনিক সত্ত্বাকে বিশ্বাস করা অসম্ভব।



আস্তিক-নাস্তিক ক্যাঁচালের এই ব্যাপারটা সবসময়ই থাকবে, কাল্পনিক সত্ত্বাকে প্রমাণ করা যেমন অসম্ভব নাস্তিকদের কাছে, তেমনি ধার্মিকদের ধর্মের প্রতি বিশ্বাস চিরকাল থাকবে ।সব কিছু জেনেও আস্তিক নাস্তিক যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে।

ধর্মে বিশ্বাসীদের কাজকর্মের উদাহারন দিতে গিয়ে কিছু ধর্মান্ধের অনৈতিক কাজের উদাহারন দিয়ে কিছু নাস্তিক,

মুসলিমদের ধর্মের পথ হতে কতটুকু সরিয়ে আনতে পেরেছেন সেইটাও বুঝতে পারছিনা।

ধর্মাদ্ধের ধর্ম নাই । আছে লোভ , ঘৃণা , চতুরতা ।একদিন ধর্ম এনে দিয়েছিল আলো । আজ তার কংকালের হাড় আর পঁচা মাংসগুলো ফেরি করে কিছু স্বার্থান্বেষী ফাউল লোক । মানুষের পৃথিবীকে শত খন্ডে বিভক্ত করেছে । ঈশ্বরের নামে তৈরি করেছে শ্রেণিভেদ । পুরো পৃথিবী যদি একটি পরিবার হয়, তাহলে পৃথিবীর পরিবারের লোকেদের মধ্যে ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন দ্বন্দের কারনে, লজ্জায় একদিন পৃথিবী আত্নহত্যা করবে । আস্তিক নাস্তিক নিয়ে ক্যাঁচাল না করে আপনার আমার নিজেদের বিবেক বুদ্ধি দিয়ে সব কিছু যাচাই বাচাই করে .........সামনের পথটা পাড়ি দেওয়াই একজন বুদ্ধিমানের কাজ হবে । এবং যার যার ধর্মে তাকে বিশ্বাসী হতে হবে ।





শাহবাগ আন্দোলনরে পর থেকে যা দেখলাম নাস্তিক হওয়াটা এখন একটা ফ্যাশান হইয়া গেছে ...আর ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু লেখলেই, গালি দিলেই ওই লেখক মুক্তমনা, সুশীল... কেউ ওই লেখার বিরুদ্ধে মত দিলে অথবা প্রতিবাদ করলে সে ছাগু, শিবির ব্লাহ ব্লাহ...



আমাদের দেশে নাস্তিকতা এখন ইসলাম ধর্মরে গালি দেওয়া ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না... অথচ তাদের কেউ কিন্তু বাধ্য করতাসে না ইসলাম ধর্ম মানতে...



সবই লোক দেখানো আর লাইমলাইটে আসার কৌশল ...



ধর্ম বিশ্বাস করে অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি খুব অসাধারণ একটা ব্যাপার। Muhammad Jafar Iqbal স্যারের একটা কথা খুব ভালো লাগে! "আমি যে ধর্মেরই হই না কেন, অন্য ধর্মের মানুষদের সম্মান করতে হবে।"



নাস্তিকতাও একজন মানুষের নিজের ধর্ম! একজন মুসলিম/হিন্দু ধর্মপ্রচারক যেমন তার ধর্ম প্রচার করতে পারেন, একজন নাস্তিকও যুক্তি দিয়ে তার নাস্তিকতা প্রচার করতে পারেন। কিন্তু কক্ষনোই একজন মানুষ অন্য ধর্মকে কটাক্ষ করে কথা বলতে পারেন না! আপনি না জেনে মুহাম্মদ (স) এর বহুবিবাহ নিয়ে কথা বলতে পারেন না, পঞ্চপান্ডবের এক স্ত্রী দৌপদ্রীকে নিয়ে কোন কথা বলার অধিকার রাখেন না, বুদ্ধের বাড়ি পালানো নিয়ে উপহাস করতে পারেন না, ভার্জিন মেরীর পবিত্রতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন না! কোনভাবেই না!!! একেক জনের নিজের ধর্মবিশ্বাস তার নিজের কাছে। কিন্তু একজন নাস্তিক হিসেবে আপনি মুহাম্মদ (স) কে মোহাম্মক বলবেন, রমজানের ইতিহাস নিয়ে নোংরা বিদ্রুপ করবেন, মেরীর সতীত্ব নিয়ে ইচ্ছেমতো কথা বলবেন, সেটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আপনার নাস্তিকতার যুক্তি আপনার অধিকার। কিন্তু আপনার বিন্দুমাত্র অধিকার নেই আমার বিশ্বাস, আমার ধর্মকে নিয়ে কটাক্ষ করার, উপহাস করার; সে আমি যেই ধর্মেরই হই না কেন।



আমি অবশ্যই জামাত-শিবিরের বিচার চাই। কোনভাবেই ব্লগারদের কোন ধরনের হেয় করা গ্রেপ্তার অথবা হত্যা, সহিংসতা সমর্থন করি না। কোন সমাজ, কোন ধর্ম তা সমর্থন করে না! কিন্তু একই সাথে ধর্মকে হেয় করে, কটাক্ষ করে লেখা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আসিফ মহিউদ্দিন, ওমর ফারুকদের মতো উগ্র নাস্তিকরাও কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়! আমি তাদের উপর আক্রমণ চাই না। কিন্তু তারা যৌক্তিকভাবে নিজেদের নাস্তিকতা প্রচার করবেন সেটাই কাম্য। অন্য কোন ধর্মকে গালিগালাজ করবেন, সেটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়!



উগ্র ধর্মান্ধতা যেমন গ্রহণযোগ্য নয়, উগ্র ধর্মহীনতাও গ্রহণযোগ্য নয়। কোনভাবেই নয়! দুটোর বিরূদ্ধেই রুখে দাঁড়ানো দরকার।





ধরুন , মফিজ আপনাকে গালাগালি দিবার চায় , এখন আপনি বললেন " মফিজ , তুমি কোনও গালাগালি দিতে পারবা না ।" এটা শুনে মফিজ চিল্লায় উঠলো "আমার বাক-স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে , আপনি একজন ফ্যাসিবাদী লোক, আমার কণ্ঠ রোধ করা হয়েছে , ব্লা ব্লা ব্লা!! " । এর মানে কি দাঁড়ালো? গালাগালি না দিতে পারায় মফিজের বাক-স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে , কি তাই না ? এইবার আপনি বলুন মফিজের এই আচরণ কতটুকু যুক্তিযুক্ত ? মফিজের আর এইসব ব্লগারদের মধ্য পার্থক্য কি জানেন ? হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন । কোনও পার্থক্য নেই ।



বাক-স্বাধীনতা আপনার মতামত তুলে ধরার জন্য। আপনার চিন্তা-চেতনা মানুষকে জানানোর জন্য।আপনার কোন বিষয়ে অমত থাকলেও আপনি সেটা লিখে প্রতিবাদ জানাতেই পারেন। কিন্তু এই কমান্ডার ব্লগাররা কি করেন ? ইনাদের সমস্ত মতামত ধর্মের যেন বিপক্ষেই যায় , আলোচনার একমাত্র বিষয়বস্তু ধর্মের নেতিবাচক পোস্টমরটেম । ইনাদের কাছে মানুষের অনুভূতি নাকি নুনুভুতি !! ওক্কে ভাইজান , আফনাদের বাক-স্বাধীনতার অনুভূতিও আমার কাছে নুনুভুতি !! আপনাদের এই বাক-স্বাধীনতার অর্থ যদি হয় মানুষের অনুভূতি নিয়ে খেলা করার বা আঘাত করার স্বাধীনতা , তাহলে এই ধরনের বাক-স্বাধীনতায় ছরছর করে মুতে দিলাম।



এখন আবার কয়েকজন বিমর্ষ হয়ে দিন কাটাচ্ছেন কারণ তাদের নাকি সাংবিধানিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। অনেকে আবার এইটা শুনে নিজেদের ইজ্জত হরণ হয়েছে টাইপের হাহাকার শুরু করেছে। হ্যাঁ, সংবিধানের তৃতীয়ভাগে ৩৯ অনুচ্ছেদে বলা আছে বাকস্বাধীনতার কথা , এই বাক-স্বাধীনতা আপনাদের কতটুকু অধিকার দেয় ? সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগের ১২ অনুচ্ছেদে বলা আছে ‘’ সর্ব প্রকার সাম্প্রদায়িকতাবিলোপ করা হইবে ‘’। আপনাদের লেখা কি ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা¬কে উস্কে দেয় না ? অবশ্যই দেয় । সুতরাং সংবিধানের ৩৯ ধারায় যে স্বাধীনতার কথা বলা আছে তার অপব্যবহারের মাধ্যমে ১২ অনুচ্ছেদকে অমান্য করছেন। সুতরাং সংবিধানের কাছে আশ্রয় চেয়ে লাভ নেই। সংবিধান বা সাংবিধানিক অধিকার তার জায়গায় ঠিক আছে, কিন্তু আপনারা আপনাদের জায়গায় ঠিক নেই।এই ধরনের কিছু আবাল চু** ব্লগারদের জন্য ব্লগার মাত্রই নাস্তিক উপাধি পেয়েছে সবাই ।।



যে যে মত , ধর্মেই বিশ্বাস করুক সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার । আর তাতে অন্যের ভিন্নমত থাকতেই পারে । তার মানে এই না যে সেই ধর্মকে বিশ্রী ভাবে গালাগালি করতে হবে হই আমি নাস্তিক আর ন্যাস্টিক । আজ যদি হিন্দু, খ্রিস্ট বৌদ্ধ ধর্মকে কেউ গালাগালি করত তবে স্বভাবতই সেই ধর্মানুসারীদের সেটা খারাপ লাগত । নাস্তিক হলে হতে পারেন , নিজ মত প্রচার করতে পারেন তবে অন্য ধর্মকে নোংরাভাবে উপস্থাপন করার অধিকার আপনাদের নেই ।





মানুষের সবচেয়ে বড় ধর্ম হল মনুষ্যত্ব । যদি কারো মাঝে এটা বিরাজমান থাকে, তাহলে সে আর যাই হোক, কোন ধর্ম বা ধর্মের প্রবক্তাকে গালিগালাজ করার মত মানসিকতা দেখাবে না ।আমরা উগ্রবাদি ধার্মিকদের ঘৃনা করি । তাদের এমন অনেক কাজ কর্ম আছে, যেগুলো তাদের নিজ ধর্মের অনুসারিদের নিকটও সমালোচিত হয় ।কিন্তু তাই বলিয়া যারা উগ্রভাবে ধর্মদ্রোহী,তারা পার পাইবে কেন??

নিচ মানুসিকতা নিশ্চয় কারো কাম্য নয় । তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে সোচ্চার হইতে পার,,তোমাদের সাথে থাকিবে বহুজন । কিন্তু যার ধর্ম,তাহাকে তুমি গালি দিবা কোন স্পর্ধায়??





আআ

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫

ব্যান্ড পার্টি বলেছেন: +

২| ২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪০

ছন্নছাড়া ছেলেটি বলেছেন: ধন্যবাদ :-B

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.