![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হেল্থি বডির চেয়েও হেল্থি মাইন্ডের গুরুত্ব বেশি। শরীর দৃশ্যমান, কিন্তু মন অদৃশ্য। সুন্দর একটা হাইরাইজ বিল্ডিং দৃশ্যমান। কিন্তু এর ফাউন্ডেশান পুরোটাই-ইনভিজিবল। অথচ পুরো বিল্ডিংটাই ঠিকে থাকে তার ইনভিজিবল ফাউণ্ডেশানের কারণে।আমরা খাবার খাই, জল পান করি। দুটোই জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তার চেয়েও বেশী গুরুত্বপূর্ণ এয়ার। এই বাতাস কিন্তু দেখিনা। ইনভিজিবল এয়ার ইজ মোর ইম্পোর্টেন্ট দ্যান ভিজিবল ফুড এণ্ড ওয়াটার। প্লানেট, আর্থ, গ্যালাক্সি, সোলার সিস্টেম সবকিছুই দৃশ্যমান। কিন্তু যে ফোর্স অফ গ্রাভিটি সবকিছুকে একটা শৃঙখলের মাঝে রেখেছে সেই সুপার পাওয়ার গ্রাভিটি দৃশ্যমান না। কিন্তু এই গ্রাভিটিকে অস্বীকার করার ক্ষমতা নাই। এই গ্রাভিটির ক্রিয়েটরও দৃশ্যমান না।ইনভিজিবল থিংস আর মোর পাওয়ারফুল দ্যান থিংস ভিজিবল। বিউটিফুল ক্রিয়েশান দেখি কিন্তু এর পেছনের ক্রিয়েটারকে দেখিনা। এমনকি দ্য এন্টায়ার ওয়ার্ল্ড অব সায়েন্স যার ওপর প্রতিষ্ঠিত সেই কনসেপ্টটাই ইনভিজিবল। কিন্তু কনসেপ্ট ছাড়া কোনো সায়েন্স এক সেকেণ্ডের জন্যও ঠিকে থাকতে পারবেনা। বিল্ডিংস স্ট্যান্ড ইরেক্ট, ব্রীজ স্ট্যাবল, এ্যরোপ্লেন, রকেট ফ্লাইস। কারণ এর পেছনে রয়েছে স্ট্রাকচারাল ইন্জিনীয়ারিং , সিভিল ইন্জিনীয়ারিং আর এ্যারনোটিক্যাল ইন্জিনীয়ারিং । এসবের মূলে আছে ক্যালকুলেশন। ক্যালকুলেশান হলো নাম্বারস, ম্যাথ। আর এই ম্যাথ মানে জিরো টু নাইন সংখ্যা। আর বিভিন্ন রকমের সিম্বল-যেমন- প্লাস, মাইনাস, ভিভিশন,মাল্টিপ্লিকাশন,স্কয়ার, রুট, হয়াটএভার। নাম্বার গুলো কি? কেউ কি কোনোদিন নাম্বার ওয়ান দেখেছেন? নাম্বার জাস্ট কনসেপ্টস ইন আওয়ার মাইন্ড। অল কনসেপ্টস আর ইনিভিজিবল। এই কনসেপ্টস আইনস্টাইনের কাছে যেমন ইনভিজিবল আয়ান উদ্দীনের কাছেও ইনভিজিবল। সায়েন্স একসেপ্টস ইনভিজিবল কনসেপ্টস। আর এই ইনভিজিবল কনসেপ্টসের ওপরেই বিল্ডিং সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, ব্রিজেসগুলো স্ট্যাবল হয়ে আছে আর এ্যরোপ্লেন আকাশে ওড়ছে। বুঝতে চাইলে খুবই সহজ। আর না চাইলে খুবই জটিল। মডার্ণ কসমোলজির গুরু ডেনিস ও স্কিয়ামা যিনি স্টিফেন হকিং এর মতো আরো উনিশজন বিখ্যাত সায়েন্টিসদের আব্বাজান, যাদের পিএইচডির সুপারভাইজার ছিলেন। তাঁর মতে- পুরো ইউনিভার্স ইনভিজিবল পাওয়ারের ওপরেই দাঁড়িয়ে আছে। আর সবকিছুই একটা গ্রাণ্ড প্লানের অংশ। এই ইনভিজিবল শক্তিকে অস্বীকার করা বড় মূর্খামি। দার্শনিক সক্রেটিশ যেটা ৪০৫ বিসিইতে বলেছিলেন।কিন্তু উনার সম্পর্কে জানিনা,কারণ মিডিয়ার ফোকাস হকিংএর ওপরেই।
একবার বুদ্ধের কাছে-একলোক এসে বললো-গাঁয়ের সবচেয়ে প্রাজ্ঞ, যুক্তিবাদী মানুষটা সূর্যের অস্তিত্ব বিশ্বাসই করেনা। ওনার ধারণা-জগতে সূর্য বলে কিছুই নাই। আপনি কি কোনো সাহায্য করতে পারেন?
বুদ্ধ সবকিছু শুনে বললেন- না। উনার যুক্তি অখাট্য। আমার করার কিছুই নাই। তবে একটা পরামর্শ দিতে পারি। উনাকে আপনি কুশিনাগরের ভালো একজন কবিরাজের কাছে নিয়ে যান।
কিছুদিন পর- প্রাজ্ঞ, যুক্তিবাদী লোকটি বুদ্ধের কাছে এসে বললেন- আমি খুবই লজ্জিত। এতোদিন আমি সব অস্বীকার করেছি। আজ আমি বুঝতে পারছি আমার দেহ যেমন সত্যি, সূর্যও তেমনি সত্যি। আমার ভুল সংশোধন করে দেয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ।
বুদ্ধ বললেন- না, আমাকে ধন্যবাদ দেয়ার কিছুই নেই। আপনি জন্ম থেকেই অন্ধ ছিলেন। আপনার চোখে কখনো আলো এসে পড়েনি। তাই, অন্ধকারই ছিলো আপনার জন্য সত্য। আর সূর্য ছিলো মিথ্যা। সেই কবিরাজকেই বরং ধন্যবাদ দিন যিনি আপনার চোখের জ্যোতি ফিরিয়ে দিয়েছেন। তবে সূর্যের আলো না দেখাটাই অন্ধকার না, বরং সবচেয়ে বড় অন্ধকার হলো মানুষের অজ্ঞতা। একটা সূর্য কেন হাজারো সূর্যের আলোয় সেই অজ্ঞতা দূর করতে পারেনা।
কিছুদিন আগে আমার গাড়ীটা নষ্ট হয়েছিলো। একজন সাদা অবসরপ্রাপ্ত ম্যাকানিক গাড়িটি ঠিক করতে আসলেন। গাড়ী ঠিক করা লোকটির নেশা। কিন্তু মূল কাজ হলো- বই পড়া। এডগার এলান, মিরাণ্ডা জোলি,আলফ্রেড টেনিশন,ভলটেয়ার, মার্কস, উর্দু কম্যুিনিস্ট লেখক সাজ্জাদ জহির, খাহলিল জিবরান,রুমি, হাবিব জালিব, সমর সেন ইত্যাদি নানা বিখ্যাত লেখকের বই পড়ে এখন সময় কাটে। অনেকের নামও আমি শুনিনি। গাড়ীর কাজ শেষ করার পর উনি বললেন- আচ্ছা, শামস উনি কি কোনো বিখ্যাত লেখক না কবি?
আমি বললাম- না এই নামেতো কোনো কবি,লেখক কাউকে চিনিনা।
কি বলেন চিনেন না? আপনার গাড়ীর ভিতরেইতো উনার লেখা আছে। এতো সুন্দর আর গভীর তাৎপর্যময় আর জীবন বদলে দেয়া দুটো লাইন মনে হয়না-এই জীবনে আমি কোথাও পড়েছি। আমি উনার বই পড়তে চাই।
শামস নামক কোনো কবি, লেখকের নাম আমি মনে করতে পারলাম না। গাড়ীর ভিতরে গিয়েই আমার চোখ দিয়ে যেন অশ্রু নামলো-
এতো পবিত্র কোরআন থেকে নেয়া সুরা আল সামসের দুটো লাইন।যেটা আমার গাড়ীর স্পিডোমিটারের ওপর লাগানো। আর এই সামসকে শেতাংগ ভদ্রলোক কবি অথবা লেখক মনে করেছিলেন। মানুষের জীবনের স্বার্থকতার ব্যাপারে ধন,দৌলত, ক্ষমতা, প্রভাব, প্রতিপত্তি কিছুই অর্জনের কথা বলা হয়নি। শুধু বলা হয়েছে- সেই স্বার্থক যার আত্মা পরিশুদ্ধ, আর সেই ব্যর্থ যার আত্মা কলুষিত। যা একজন শ্বেতাংগ মানুষের বুকের ভিতর তোলপাড় সৃষ্টি করে দিয়েছে। এই আত্মাও ইনভিজিবল, আর আত্মার স্রষ্টাও ইনভিজিবল। আর আগেই তো বলা হয়েছে ইনভিজিবল থিংস আর মোর পাওয়ারফুল দ্যান ভিজিবল থিংস। বুঝতে চাইলে সহজ, না বুঝতে চাইলে খুবই জটিল। কিছুদিন আগে ইউটিউবে একটা লেকচারে শুনলাম- কেউ নাকি বলেছিলেন- I went through the entire Quran but it didn’t change me. সমস্যা হলো- পুরো কোরআনের ভিতর দিয়ে গেলে কিছুই হবেনা, যদিনা কোরআনের একটা শব্দও নিজের ভিতর দিয়ে না যায়। একজন অন্ধ মানুষের জন্য সূর্যের আলোও যা, দিয়াশলাইয়ের কাঠির আলোও তা।কেউ এক মুহুর্তেই সেই আলোর নাগাল পায়, আর কেউ সারা জীবনেও তা পায়না।
।লাভ,ফিয়ার, সরো,জয়- কেউ দেখেনা। স্পিরিউচ্যুয়াল নলেজ। হারিকেন- উইজডম- নিজেই একটা লাইট।
লুক এলাইক কম্পিটিশান- চার্লি চ্যাপলিন। বোর্ড- ৭ নাম্বার।
উই লিভ ইন এ্যা ওয়ার্ল্ড হয়ার শোম্যান সাকসিড এণ্ড রিয়েলম্যান ফেইলড। আমি নিজেই চ্যাপলিন নাকি ঐ বাকি ছয়জনের কেউ।
দে কোড ম্যাচ মাই লোকস এণ্ড মোবস বাট নান অফ দেম কোড ম্যাচ মাই মাইন্ড এণ্ড এ্যাটিচ্যুড। আই লাভ লোজিং মোর দ্যান দ্য উইনার এনজয় উইনিং।বিকজ আই এ্যম দ্য রিয়েল চার্লি চ্যাপলিন।চার্টার অব দ্য এমেরিকান গভর্ণমেন্ট ইনসেনিট ক্লস-ভাইস প্রেসিডেন্ট, ক্যবিনেট কেন প্রুফ ইনসেইন-বাই ডিফল্ট হি উইল বি রিম্যুভড।
প্লেটো-সেল্ফ কনকোয়েস্ট ইজ দ্য গ্রেটেস্ট অব অল কনকোয়েস্ট। ভিক্টর হোগো- ব্রিং অন অল দি আর্মিস অব দ্য ওয়ার্ল্ড এ্যটিচ্যুড অব এ্য সিংগল ম্যান ইজমোর পাওয়ারফুল দ্যান অল আর্মিস অব দ্য ওয়ার্ল্ড।
©somewhere in net ltd.