নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন দেখি... আশা জাগানিয়া

আরজু নাসরিন পনি

নহি দেবী, নহি সামান্যা নারী... আরজু পনি

আরজু নাসরিন পনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষণ...! সমাধান কি আসলেই আছে?

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১০



একজন নারী ধর্ষিত হবার প্রথমেই তার মাথায় ধর্ষকের শাস্তির চিন্তা আসে না । হয়তো সে ধর্ষিতা হবার পরপর বার বার করে গোছল করে তার শরীর থেকে অসহ্য ঘৃণা সরিয়ে ফেলতে চায় ! সে তার সব থেকে কাছের মানুষটির/মানুষগুলোর সান্নিধ্য চায় সেই সময়ে । তারপর হয়তো সে চায় ধর্ষকের শাস্তি হোক। কিন্তু ততক্ষণে ধর্ষিতার শরীর থেকে ধর্ষনের আলামত অনেকটাই মুছে যায় । আর আলামত মুছে যাওয়ার কারণে এবং সমাজ জানাজানি, লোক কানাকানি, ধর্ষকের পক্ষ থেকে প্রভাবশালী ব্যক্তির দ্বারা চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে ধর্ষনের মামলা আর আগাতে পারে না। ধর্ষক খালাস পেয়ে যায় ।

একটি উদাহরণ দেয়া যাক-
খুবই সাধারণ একজন চাকুরে মুরাদ এর বড়লোক বন্ধুটি বড়ই রসময় সব রঙ্গতামাশা করতে ওস্তাদ তার বন্ধুপত্নীর সঙ্গে এবং সেটা্ও মুরাদ এর অনুপস্থিতিতে বড্ড অসময়ে, যখন মুরাদ বাড়ির বাইরে থাকে অর্থাঁৎ অফিসে।
খুবই সাহায্যকারী মনোভাবাপন্ন বন্ধু শামীমের এই নিয়মিতই অসময়ে উপস্থিতি বন্ধু মুরাদকে দুশ্চিন্তায় না ফেললেও ভাবিয়ে তোলে কমবয়সী স্ত্রী পুস্পকে।

একসময় কোন এক দুপুরের পর পর সময়ে শামীমের উপস্থিতি এবং সন্দেজনক আচরণ এবং তারপরই পুষ্পকে একা বাড়িতে পেয়ে আক্রমণের ধকল সামলাতে না পেরেপেুষ্প অজ্ঞান হয়ে যায় ।
মুরাদের কাছে দেবতারুপী বন্ধুই হায়েনা হয়ে ঝাপিয়ে পরে অজ্ঞান পুষ্পকে ছিঁবড়ে খেতে !

আইন যুক্তি ছাড়া, প্রমাণ ছাড়া আবেগ দিয়ে এগিয়ে যায় না । থেমে যায় ধর্ষিতার নীরব যন্ত্রনাকে অন্ধকারে রেখে।
বাস্তবে অন্তত তাই হয়...

কিন্তু কখনো কখনো নাটক, সিনেমাতে দর্শককে সচেতন করতে এগিয়ে আসে কোন কোন কাহিনীকার। সেখানে যোগ হয় যখন পুরনো কেস ঘেটে দেখা যায় শামীম নামের মানুষরূপী হায়েনারা এর আগেও একই ঘটনা ঘটিয়ে নির্বিঘ্নে বেঁচে যেয়ে ঘুরে বেড়ায় বুক ফুলিয়ে, তখন কোন একজন উকিলের বক্তব্যের মারপ্যাচে আর ভবিষ্যতে এই হায়েনার দ্বারা আরো নারী ধর্ষিত হতে পারে...এই আশংকা ঢুকিয়ে দেয় প্রধান বিচারকের মনেও । তখন বিচারক রায় দিয়ে সাজা দেন এই সব শামীমদের।
সমাজকে, বিবেককে সচেতন করতে তেমনই একটি সিনেমা "প্রিয়তমেষু"

ঘটনাগুলো আরো চাপা পরে যায় যখন ধর্ষক খুব পরিচিত কাছের কেউ হয়। হতে পারে তার সহোদরার স্বামী, যে কিনা ধর্ষিতার "দুলাভাই" বা তার প্রিয় খালার স্বামী "খালু" অথবা তার অনেক পছন্দের ফুফুর স্বামী "ফুফা" হয় সেক্ষেত্রে ধর্ষিতা নিজেই হয়তো ধর্ষকের কথা ভেবে নয় বরং ধর্ষকের সাথে সম্পৃক্ত তার আপন মানুষদের হতে পারে বোন, খালা,ফুফু বা আর কেউ নিকটাত্নীয়ের অসম্মান, কষ্টের কথা ভেবে বিষাক্ত যন্ত্রণাকে পাথর চাপা দেয়।

ধর্ষক যেহেতু জানে আইন তার কিছুই করতে পারবে না, পরবর্তীতে আরো কেউ একই পন্থায় ধর্ষিতা হয় এবং আলামত মুছে যায় । এভাবেই ধর্ষকরা টিকে থাকে আর সমাজকে নোংরা দূর্গন্ধময় করে যাচ্ছে নিরবে। আমাদের নাক দূর্গন্ধ সহ্য হওয়া নাক। তাই আমাদের অসহ্য লাগে না । সাময়িক ক্রোধ প্রশমিত হয়ে যায় সহসাই।

কয়েকদিন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে, ব্লগে পোস্ট দিয়ে, শাহবাগে বা এমনি কোন রাজপথে মানববন্ধন করে তারপর ভুলে যাই।

কয়েকদিন পর নতুন আরেক ধর্ষিতার আর্তচিৎকার আমাদের কর্ণগহ্বরে প্রবেশ করলে শুরু হয়ে যায় আমাদের ক্রোধাগ্নীর আবার সেই চক্র ।
এভাবেই চলতে থাকে চক্রাকারে...সেই সাথে থেমে থাকে না ধর্ষকেরও ছিঁবড়ে খাওয়ার ভোজন পর্ব ।


সমাজকে, বিবেককে সচেতন করতে তেমনই একটি সিনেমা "প্রিয়তমেষু"



প্রথম প্রকাশ:
২১ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:১৫

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২৩

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ধর্ষণ রোধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিকল্প নেই । ইচ্ছে করলেই চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রমাণ বের করা কোন ব্যাপার না, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সহজেই মুছে যায় না । এ ক্ষেত্রে আমাদের সমস্যা হচ্ছে আইনের দ্বারস্থ হওয়ার ভীতি, সামাজিক বিভিন্ন প্রতিবন্ধকার ফলে ধর্ষিতা দিশা হারিয়ে ফেলে । প্রথমে আমাদের ভাবতে হবে ধর্ষণ অন্য অপরাধগুলোর মতই অপরাধ, ভিক্টিম আইনের দ্বারস্থ হলে যেন কেউ আর দিকে আঙ্গুল না তোলে এমন মনোভাব তৈরী করতে হবে । তাহলে ধর্ষিতারা সাহস এবং মনোবল পাবে। তখনি কামরূপী সাইকো মস্তিস্কগুলো অপরাধের আগে হাজারবার ভাববে ।

আপনার লেখার প্রয়াস ভাল লেগেছে ।

০১ লা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:০২

আরজু নাসরিন পনি বলেছেন: আমাদের সমস্যা হচ্ছে আইনের দ্বারস্থ হওয়ার ভীতি, সামাজিক বিভিন্ন প্রতিবন্ধকার ফলে ধর্ষিতা দিশা হারিয়ে ফেলে

আইনের কঠোরভাবে প্রয়োগ আর সমাজ সচেতনতার বড় প্রয়োজন।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, কথাকথিকেথিকথন।
খুব ভালো থাকুন।

২| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: ধর্ষণ কে বিলুপ্ত করতে হলে আগে ধর্ষণ শব্দটাকে বিলুপ্ত করতে হবে। ধর্ষণ শব্দটার জন্যই ধর্ষিতা জনসম্মখে আসতে চায়না, ধর্ষণ শব্দটার জন্যই মানুষ ধর্ষিতাকে দুরত্বে রাখে। ধর্ষকের চেয়ে ধর্ষণ শব্দটাই বেশি ভয়ংকর।তাই ধর্ষক নয় আসুন আগে ধর্ষণ শব্দটা সরিয়ে ফেলি।তবেই ধর্ষক আর ধর্ষিতা মুখোমখী দাড়াতে পারবে,পারবে সমাজ।

বোঝাতে পেরেছি কিনা জানিনা


ভালো থাকবেন

০১ লা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৪২

আরজু নাসরিন পনি বলেছেন: জ্বি, খুব সত্যি একটি অপ্রিয় কথা তুলে ধরেছেন।

"ধর্ষণ" শব্দটারই বিলোপ সাধন দরকার...

অপারেশন ক্লিনহার্ট

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে খুব দরকারী মতামত দেবার জন্যে ।

০১ লা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩

আরজু নাসরিন পনি বলেছেন: আপনার ব্লগে কোন লেখা রাখেননি !

খালি বিরান ব্লগ ঘুরে এলাম...

৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ধর্ষণের সমাধান পুরুষের হাতে। আমরা যদি নিজের মা/বোন/স্ত্রী/কণ্যার কথা চিন্তা করি তাহলে আমাদের পক্ষে ধর্ষণ সম্ভব না

০১ লা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:০৫

আরজু নাসরিন পনি বলেছেন:
খুব দরকারী কথা বলেছেন।
সাথে আমিও যোগ করতে চাই...ছোটবেলা থেকেই সচেতনতা , মূল্যবোধ জাগ্রত করাটাও খুব দরকার।

মতামত দেবার জন্যে অনেক ধন্যবাদ, ডার্ক ম্যান।

৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১০

ডার্ক ম্যান বলেছেন: সেটা ঠিক বলেছেন। ছোটকাল থেকে মূল্যবোধ সচেতনতা প্রয়োজন।

০১ লা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪৪

আরজু নাসরিন পনি বলেছেন:
সহমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.