নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...

অর্ক

...

অর্ক › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক কাপ ক্যাপুচিনোতে খেলা শেষ ও আরও কিছু প্রাসঙ্গিক এলোমেলো কথা

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮


লিয়নেল মেসি।

গেল বিশ্বকাপের কোনও একটি ম্যাচ (ঠিক কোন খেলা এ মুহূর্তে মনে পড়ছে না, সম্ভবত আর্জেন্টিনার কোনও একটা গ্রুপ পর্বের খেলা ছিল সেটা) ঢাকার গুলশানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিজাত রেস্টুরেন্টে বসে দেখেছিলাম। চিনি ছাড়া ভীষণ কড়া এক কাপ গরমাগরম ক্যাপুচিনো খেতে খেতে। এক কাপ ক্যাপুচিনোতেই আমার খেলা শেষ! হা হা হা। রাত দেড়টা পর্যন্ত সেদিন ছিলাম সেখানে। আমার খুব প্রিয় ছিল সেই রেস্টুরেন্টটি সে সময়। তখন নিয়মিতই যেতাম। খুব ভালো বিভিন্ন কফি পাওয়া যেতো। ছিল, যেতো বলছি, কারণ দীর্ঘদিন সেখানে আর যাই না। ঠিক আজকে থেকে চার বছর আগের কথা এগুলো। এখনও রেস্টুরেন্টটা আছে সেখানে, সম্ভবত সবই তেমনি চার বছর আগের মতোই আছে, যেমন দেখেছিলাম। কিন্তু আমি এর মাঝে আর বহুদিন সেখানে যাইনি। রেস্টুরেন্টটির নাম সঙ্গত কারণেই উল্লেখ করলাম না। ছোট্ট এক কাপ ক্যাপুচিনোর দাম তখন ছিল, একশত পঞ্চাশ টাকার মতো। এখন নির্ঘাত আরও বেড়ে গেছে। তবুও তুলনামূলক সস্তাই বলা যায়। ওর পাশে হোটেল ওয়েস্টিন’এ একবার একজন ক্যাফে লাত্তে খাইয়েছিল। আলোআঁধারিতে বিলটা এক ঝলক দেখেছিলাম, লাত্তে ছয়শত + টাকা!

যাই হোক রাত দেড়টা পর্যন্ত ছিলাম সে রাতে, সেই রেস্টুরেন্টে। আগেই বলেছি গুলশানের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্ট ছিল সেটা। ওখানে নিত্য বড় বড় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আসা যাওয়া করতো। অনেককে দেখেছিলাম। মাঝেমাঝে খুব ইচ্ছে করতো, ওদের দুয়েকজনকে ধরে গুলশান দুইয়ের মোড়ে নিয়ে যেয়ে ইচ্ছে মতো পেটাই। তখন বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের আগুন সন্ত্রাসের দগদগে ক্ষত আমার বুকে। তাই মাঝেমাঝে এই ইচ্ছা বড্ড মাথাচাড়া দিতো।

এ ব্যাপারে আর তেমন কিছু বলার নেই আমার। শুধু আবারও বলছি, এক কাপ ক্যাপুচিনোতেই আমার সেই খেলা শেষ হয়ে গিয়েছিল! হা হা হা। রাত দেড়টায় ঘুমে ঢুলুঢুলু চোখে বাড়ি ফিরেছিলাম। কিন্তু কীভাবে ফিরেছিলাম, তা আজ আর মনে নেই। বাসে নাকি হেঁটে হেঁটেই- এখন কিছুতেই মনে পড়ছে না। তখন অবশ্য গুলশানের খুব কাছে উত্তর বাড্ডায় থাকতাম। আরও অনেক এলোমেলো স্মৃতি এসে ভিড় জমিয়েছে সেই সময়ের। আহা, চারটি বছর চলে গেছে মাঝখানে। এখন আমি আর্জেন্টিনা’র ঘোর সমর্থক। আর্জেন্টিনা’র খুব ভালো একজন পত্র মিতা ছিল আমার, এন্টোনেলা পিনেডা নাম ছিল ওর। ২০১৩ সালে পরিচয় হয়েছিল। অত্যন্ত ভালো ও উদার মনের মেয়ে ছিল। ও তখন অষ্টাদশী। বেচারি ওর বাবাকে কোনওদিন দেখেনি। ওর জন্মের পরপরই ওর বাবা মা’র ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। ওর বাবা ওদের ছেড়ে চলে যায়। তারপর আর কোনও যোগাযোগ ছিল না তাদের মধ্যে।

আর্জেন্টিনা’র টেনিস খেলোয়াড় ডেভিড নালবান্দিয়ান আমার অত্যন্ত প্রিয় খেলোয়াড় ছিল। বেশ ক’বছর হলো অবসর নিয়েছেন। কের্টে কখনও হাসি ছাড়া তাঁর মুখ দেখিনি। খেলায় অনেককেই দেখতাম আম্পায়ার লাইনম্যান’র সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করতে, অনেকে তো রীতিমতো মারমুখী হয়ে উঠতো এসব নিয়ে। ডেভিড নালবান্দিয়ানকে কখনওই এরকম করতে দেখিনি। এক্কেবারে একজন মাটির মানুষ যাকে বলে, নিরহংকার, ক্রোধহীন, জলের মতো সহজ সরল। সবকিছু হাসি মুখে সহজভাবে গ্রহণ করতো। বেশ ক’বার আম্পায়ার লাইনম্যান’র পরিষ্কার ভুল সিদ্ধান্তেও সামান্য খেদ প্রকাশ করতে দেখিনি তাঁকে। একই কথা মেসিসহ সকল আর্জেন্টাইনদের ব্যাপারেই সম্ভবত প্রযোজ্য। ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, বাস্কেটবল, রাগবি, টেনিস সবখানেই আর্জেন্টাইনদের মতো সুসভ্যা জাতি আমি আর দ্বিতীয়টি দেখিনি। তাই আমি এখন পুরোপুরিভাবে ঘোর আর্জেন্টাইন সমর্থক। এই বিশ্বকাপেও প্রত্যাশা আর্জেন্টিনার ঘরে যাক বিশ্বকাপ ট্রফিটি, নাহলে আবার জার্মানিই শিরোপা জয়লাভ করুক। তা নাহলে ইংল্যান্ড বা পর্তুগাল। পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো’র মতো তুখোড় ফুটবলারের হাতে বিশ্বকাপ ট্রফিটি ওঠা উচিৎও বৈকি। একই কথা লিওনেল মেসি’র ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। সবই অবশ্য কথার কথা। আমার কথায় তো আর কিছুই নির্ধারণ হবে না। আমি তান্ত্রিক বা জ্যোতিষীও নই। তবে আর সবার মতো মেসি, রোনালদো’র ক্রীড়া নৈপুণ্য দেখার জন্যে মুখিয়ে আছি। উঠুক না হয় দুজনের একজনের হাতে দারুণ শৈল্পিক দৃষ্টিনন্দন ট্রফিটি।



ডেভিড নালবান্দিয়ান।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪

বিজন রয় বলেছেন: আমি আর্জেন্টিনার সাপোর্টার নই, তবু মনে হচ্ছে তারাই জিতবে।

আর রেস্টুরেন্টে এবার গেলে আমাকে সংগে নিয়েন।

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৬

অর্ক বলেছেন: সবার উপরে আমি পরিচ্ছন্ন ক্রীড়া নৈপুণ্যের সমর্থক কবিবর। রেস্টুরেন্টে তো যাবোই। অবশ্যই সঙ্গে নিবো কবিবর। কোনও রাজনীতিবিদকে মেরেটেরে বসলে সঙ্গে জেলেও যাওয়া লাগতে পারে কিন্তু। হা হা হা...

২| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: আপনি আর্জেন্টিনার সমর্থক, পরিস্কার হয়ে গেল।

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

অর্ক বলেছেন: কিন্তু আমি সবচেয়ে বেশি সুন্দর পরিচ্ছন্ন ক্রীড়া নৈপুণ্যের সমর্থক। মেক্সিকো’র খেলাও আমার খুব ভালো লাগে। খেলোয়াড়রা অত্যন্ত পরিশ্রম করে খেলে।

হ্যা, আমি আর্জেন্টিনা’র মানুষের শুভাকাঙ্ক্ষী। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অনেকদূর থেকে আর্জেন্টাইনরা আমাদের স্বাধীনতার জন্য সরব হয়েছিল। আর্জেন্টাইন কবি ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে বিশ্ববাসীর নজরে আনার জন্যে আর্জেন্টিনায় নানারকম প্রচার প্রচারণা চালিয়েছিলেন। এতে সেখানকার মানুষ উদাত্ত অংশ নিয়েছিল।

আর্জেন্টিনা + বাংলাদেশ = বন্ধু চিরদিন। চিরজীবী হোক বন্ধুত্ন।

অজস্র ধন্যবাদ ও শুভকামনা ব্লগার বন্ধু।

আপনি কি কোনও বিশেষ দলের সমর্থক?

৩| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: আমি নিজেও আর্জেন্টিনার সাপোরটার।
আসলে একটা দেশকে সাপোর্ট করতে হলে নিশ্চয় তার কোন বিশেষগুনের কারণেই তাকে সাপোর্ট করতে হয়। কিন্তু আজকাল হুজুগে বাঙালিরা কেন যেন তার দল সাপোর্ট করার পিছনে এমন এমন যুক্তি দেখায় এসব শুনে মাঝে মাঝে মনে হয় আদৌ তারা খেলার খ বুঝে কিনা!!!

-আমি ব্রাজিল সাপোর্টার কারণ তারা ৫বার কাপ নিয়েছে।
-আর্জেন্টিনা আর যাই হোক ৭ টাতো খায়নি।
-জার্মানি সবসময়ের জন্যই হট ফেভারিট।

আরো কত যুক্তি!!!

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬

অর্ক বলেছেন: জি জি, সত্য কথাই বলেছেন। আমাদের দেশে ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে অহেতুক বাড়াবাড়ি করা হয়। কী আর করতে পারি আমি আপনি! প্রত্যেকেই স্বাধীন তার মতো...

অসংখ্য ধন্যবাদ।

৪| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: এবার কেন জানি মনে হচ্ছে বিশ্বকাপটা আর্জেন্টিনায় নিবে। শুভ কামনা আর্জেন্টিনার জন্য।

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০২

অর্ক বলেছেন: শুভকামনা ভালো। সবমিলিয়ে পরিচ্ছন্ন ফুটবল বিশ্বকাপ দেখতে চাই। ফুটবল খেলাটার মধ্যে বেশ সমস্যা আছে। ০২ বিশ্বকাপে আয়োজক কোরিয়া কিছুতেই সেমি ফাইনাল খেলার মতো যোগ্য দলই ছিল না। রেফারিদের সহযোগিতা পেয়েছিল। কোয়ার্টার ফাইনালে, স্পেনের বিরুদ্ধে রেফারি উলঙ্গ পক্ষপাতিত্ব করে জিতিয়েছিল। অনেক সময় দেখা যায় কোনও দলের একাধিক খেলোয়াড় লাল কার্ড পাওয়ার মতো ফাউল করে খেলছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, রেফারি এগার জনের দলের কজনকে লাল কার্ড দিবে!

ধন্যবাদ।

৫| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: মিশর ও আইসল্যান্ড সাপোর্ট করব এইবার। আর আর্জেন্টিনারর সাপোর্ট তো করবই। শিরোপাটা মেসির হাতে উঠা উচিৎ..
তবে আর্জেন্টিনাককে নিয়ে বেশি আশা করছি না...

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫

অর্ক বলেছেন: দুটো দলই ভালো। মিশর আফ্রিকান দল। ওখানে দারুণ প্রতিযোগিতা হয়। নিঃসন্দেহে ভালো দল। একই কথা আইসল্যান্ড’র ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

"সংসার সাগরে দুঃখ তরঙ্গের খেলা আশা তার একমাত্র ভেলা"

তাই বলছি আশা করুন। আশা হারাবেন না।

ধন্যবাদ।

৬| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯

কাইকর বলেছেন: চিলি সাপোর্ট করতাম।কিন্তু শুধুমাত্র মেসির জন্য আর্জেন্টিনা সাপোর্ট করে

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬

অর্ক বলেছেন: আহ্ মার্সেলো সালাস, জামারানো (চিলি-২০০২)! অজস্র ধন্যবাদ কাইকর। উপভোগ্য হোক বিশ্বকাপ।

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১

অর্ক বলেছেন: সরি। আগের মন্তব্যে সময় গুলিয়ে ফেলেছি। দ্বিধা ছিল। ইন্টারনেটে চেক করে দেখলাম। হ্যা আমার ভুল হয়েছে। মন্তব্যটা আবার করছি,

আহ্ মার্সেলো সালাস, আইভান জামারানো (চিলি-১৯৯৮, ৪-১ ২য় রাউন্ড পরাজয়, প্রতিপক্ষ ব্রাজিল)! অজস্র ধন্যবাদ কাইকর। উপভোগ্য হোক আসন্ন বিশ্বকাপ।

৭| ৩০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ২০১০-এ আর্জেন্টিনা যখন জার্মানীর কাছে ৪-০ গোলে হারছিল তখন আমি কক্সবাজারের মোটেল সৈকতে মুরগী দিয়ে দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে ভাত খাচ্ছিলাম...

৩০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬

অর্ক বলেছেন: হা হা হা... মুরগিও আপনার দুঃখ ভোলাতে পারেনি! আপনিও তো ঘোর আর্জেন্টাইন সমর্থক। ধন্যবাদ জানবেন। ভালো থাকবেন।

৮| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

প্রামানিক বলেছেন: এখনও কোন দল সাপোর্ট করি নাই কারণ দল সাপোর্ট করলেই খামাখাই টেনশন বাড়ে। ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য।

৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:১১

অর্ক বলেছেন: লে হালুয়া মন্তব্য। হা হা হা। ধন্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.