![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্ষেপার মত কেনো এ জীবন \nঅর্থ কি তার, কোথা এ গমন\nকে তুমি গোপনে চালাইছো মোরে\nআমি যে তোমারে খুঁজি.....
প্রথম পর্ব
চেক আউট করে কাঁচের পার্টিশনের ওপারে প্রতীক্ষারত ছোট বোনের উপর ঝাপিয়ে পরে মেহেরীন, দুইবোন দুজনকে জরিয়ে ধরে হাউমাউ করে কান্না!
'আরে আরে কান্নার কি হলো, আপনারা বাসায় চলেন তো!' দুইবোনের কান্নায় ঈষৎ বিব্রত মনসুর চেস্টা চালায় পরিস্থিতি হালকা করার।
এয়ারপোর্ট থেকে বাসায় যাবার পথে গাড়ীতেই পরিকল্পনা শুরু হয় পরবর্তী পদক্ষেপের। মনসুর জানায়, ঢাকা শহরের কোন হসপিটালের কোন ডক্টর বাইপাস সার্জারীর জন্য প্রসিদ্ধ, তা ইতোমধ্যেই ওর খবর নেয়া শেষ, এর মধ্যে নামকরা একটি প্রাইভেট হসপিটালের ড. রহমানকেই ওর সবচেয়ে উপযুক্ত বলে মনে হয়েছে।ঠিক হয় পরদিন সকালেই মেহেরীন দেখা করবে ঐ ডক্টরের সাথে।
বাসায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় মধ্যরাত, বাসায় ফিরেই ফোন নিয়ে বসে মেহেরীন, সব আত্মীয়স্বজনদের ফোন করে পরামর্শ চায় পরবর্তী করনীয় সম্পর্কে । এদিকে বাপের চেহারার দিকে তাকাতে পারে না মেহেরীন! কি বলবে ওর ভলুকে? যেই বাবা এতদিন ভালুকের মত বিশাল বুক দিয়ে আগলে রেখেছে ওদেরকে, তাকে যে ওর বাঁচাতেই হবে, তাকে ছাড়া যে একমূহুর্ত বাঁচতে পারবে না মেহেরীন! বাবা যে ওর কলিজার টুকরা, ওর জানবাবা! মনের ভিতর উথাল পাতাল দুশ্চিন্তার ঝড়টাকে অতিকস্টে চাপা দিয়ে রেখে হাসিহাসি মুখ করে বাবাকে বোঝায় মেহেরীন, " আরে এটা তো কোনো ব্যাপারই নাহ! আজকাল কত মানুষ করছে এই অপারেশন, দেখবা তুমি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবা।"
পরদিন মনসুর আর সেহেরীনকে সাথে নিয়ে মেহেরীন যায় ড. রহমানের সাথে দেখা করতে। হসপিটালে পৌঁছে ডক্টরকে ফোন দেয় মেহেরীন, "আমি মেহেরীন, ফিলিপাইন থেকে এসেছি, আমার বাবার আপনার কাছে সার্জারী করানোর কথা।" 'ওহ, হ্যা, হ্যা, আপনি এসেছেন? আমি গাড়ীতে, পাঁচ মিনিটের মধ্যে আসছি।" বেলা তখন বারোটা, ড. রহমান নাকি দিনে তিনটা থেকে চারটা অপারেশন করেন, এতো দেরী করে হসপিটালে এসে কিভাবে ম্যানেজ করে কে জানে! অপেক্ষার প্রহর আর গুনতে পারে না মেহেরীন, ডক্টরকে কল দিয়ে বসে আরেকবার, এবার অবশ্য ডক্টরের উত্তরে কিছুটা হতচকিৎ হতে হয় মেহেরীনকে, " আরে কোথায় আপনি ? ডাক্তার এসে আপনার জন্য অপেক্ষা করে আর আপনার খবর নাই !" আজব মানুষ তো এই ডাক্তার! মনসুর কে সাথে নিয়ে ডক্টরের চেম্বারে যায় মেহেরীন, সেহেরীন বাইরে থাকতে চাইলে ওকে আর জোর করে না। মধ্যবয়সী অত্যন্ত সুপুরুষ ডক্টর, মাথা ভর্তি বড় বড় চুল, মুখে প্রানখোলা হাসি আর চোখে কৌতুক ! মেহেরীনকেও পা থেকে মাথা পর্যন্ত ডক্টরের মনিটর করাটা চোখ এড়ায়নি মেহেরীনের। হাস্যোজ্জ্বল ডক্টরের ব্যবহারও খুব আন্তরিক, বসতে বলেই প্রথমে এন্জিওগ্রামের সিডি চালিয়ে দিলেন, ব্যাখ্যা করলেন যে, ব্লক আর্টারির এমন এক জায়গায় রয়েছে যেখানে রিং পরানো সম্ভব নয়, বাইপাসই একমাত্র সমাধান। উনি এতো কনফিডেন্সের সাথে এবং এতো হালকাভাবে ব্যাপারটা ডীল করলেন যে, মেহেরীনের মনে হলো ও ঠিক জায়গাতেই এসেছে, এনার উপর ভরসা করা যায়! এরপর ডক্টর প্রশ্ন করে মেহেরীনের প্রবাস জীবন নিয়ে, ফিলিপাইন দেশটা কেমন, ও কি নিয়ে পড়াশোনা করছে! আরও জানায়, মনসুরের কাছে শুনে সে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করেছিলো মেহেরীনের সাথে পরিচিত হবার জন্য। মেহেরীন বলে যে, সী লাভারদের জন্য ফিলিপাইন হলো স্বর্গপুরী! জবাবে ডক্টর জানায়, সে ভীষণভাবে সী লাভার , আর তার ছেলে তো সী গেমস এর চরম ভক্ত! পরে একদিন মেহেরীনের সাথে বসে সে একটা বেড়ানোর ছক করে ফেলবে। ঠিক হলো বাড়ী গিয়ে অপারেশনের ডেট ঠিক করে জানাবে মেহেরীন, অপারেশনের একদিন আগে হসপিটালে ভর্তি করতে হবে।
এরপর সমস্যা হলো অপারেশনের ডেট নিয়ে, শুক্রবার ডক্টর অপারেশন করেন না, শনিবার মেহেরীনের পরিবার রাজী না আর রবিবার হলো সেহেরীনের জন্মদিন, ঐদিন অপারেশন করাতে মেহেরীন রাজী না। অবশেষে সোমবার অপারেশনের ডেট ঠিক হলো, রবিবার সকালে বাবাকে সিসিইউ তে ভর্তি করালো সেহেরীন আর মনসুর। ঢাকা শহর ভর্তি আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে শুধুমাত্র বড় মামা আর ছোট মামা আসলো হসপিটালে। আর দল বেঁধে আসলো মনসুরের বন্ধুরা রক্ত দিতে। অপারেশনের ফর্মালিটির জন্য একটা ফর্ম ফিলাপ করতে হয়, যেখানে লেখা থাকে অপারেশনের দায়ভার হসপিটাল কর্তৃপক্ষের নয়, সেই ফর্মে সাইন দেয়ার সময় মেহেরীনের বুকে কত টন পাথর চাপা দিতে হয়েছিলো, সেটা নাহয় নাই বা বল্লাম! সিসিইউতে বাবা একা একা থাকতে চাচ্ছিলো না, মেহেরীনরা বার বার আসা যাওয়া করছিলো, একপর্যায়ে নার্স এবং গার্ডের সাথে একটু বাকবিতন্ডাও হয়েছিলো এ নিয়ে। ছোটমামা মনসুরের বন্ধুদের খাওয়াতে চাইলেন, কিন্তু ওরা কেউ খেতে রাজি হলো না। মেহেরীন গেলো ডক্টরের কাছে , 'আপনি একটু চলুন আমার বাবার কাছে, বাবা ভয় পাচ্ছে, আপনি গিয়ে তাকে সাহস দিবেন।' ডক্টর সাথে সাথে সিসিইউতে আসলেন , বাবার সাথে হ্যান্ডশেক করলেন, রিপোর্ট দেখলেন। যাবার সময় চুলে একটা ঝাঁকি দিয়ে সীস্টার কে একটা ঠেলা দিয়ে হাসিমুখে জিগ্গেস করলেন, " এই সিস্টার, আজরাইল না আসলে কি রোগী মরে? " কি আজব, নিয়ে আসলাম বাবাকে সাহস দেয়ার জন্য, এখন রোগীর সামনে কিসব কথাবার্তা! তাও আবার হাসিমুখে! ডক্টরকে কিছুটা ক্রেজি মনে হয় মেহেরীনের।
নিয়ম হলো অপারেশনের আগের দিন সারাদিন সিসিইউতে রেখে সন্ধ্যায় কেবিনে দিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু সমস্যা হলো কেবিন খালি নাই, মনসুর অনেক চেস্টা করেও কোনো কেবিন জোগাড় করতে পারে নাই। তখন মেহেরীন জানতে পারলো যে, ড. রহমানের আরেক পেশেন্ট কেবিন না পেয়ে ভিআইপি কেবিনে ছিলো, সন্ধ্যায় অন্য কেবিন খালি পেয়ে ওরা সিফট হয়ে যাবে, তখন মেহেরীন গিয়ে আবার ধরলো ড. রহমানকে, ' আমাদেরকে তাহলে আপাতত ভিআইপি কেবিনে দিয়ে দিন। ' ডক্টর রাজী হলেন এবং ব্যবস্থা করে দিলেন।
সন্ধ্যায় মেহেরীন লিফ্টে করে সিসিইউ তে গিয়েছে, বাবাকে এখন কেবিনে আনা হবে। হঠাৎ দেখে যে, সিসিউর বাইরে অনেক ভীড়। সব সিস্টাররা গোল হয়ে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে। লিফ্টের সামনে বোরখা পড়া এক মহিলা বুক চাপড়ে কাঁদছে! একটা অল্পবয়স্ক ছেলেও চিৎকার করে কাঁদছে, চারপাশে তাদের আত্মীয়স্বজনরাও কাঁদছে, পুরা থমথমে একটা পরিবেশ! লিফ্টে করে বাবাকে নিয়ে নিচে নামার সময় এক ডক্টর ওয়ার্ড বয়কে জিগ্গেস করলো ," এও কি রহমান স্যার এর পেশেন্ট?" মেহেরীন মনে মনে শঙ্কিত হয়, মানে কি? উপরে যে রোগীর জন্য কান্নাকাটি চলছে, সেও কি তবে ড. রহমানের পেশেন্ট? আবার বাবার সামনে কাউকে জিগ্গেসও করা যায় না ! প্রচন্ড কৌতুহল আর শঙ্কায় উদ্বেলিত হয়ে ওঠে মেহেরীন! কিভাবে জানা যায়, উপরে কি ঘটেছে! বাবাকে কেবিনে রেখে যাওয়ার সময় ওয়ার্ড বয়কে অনুরোধ করে যে উপরে কি ঘটেছে তা জেনে এসে জেনো মেহেরীনকে জানায়, কিন্তু সেই ওয়ার্ড বয় আর আসে না। তখন মনসুরকে জোর করে পাঠায় খবর আনতে। এদিকে বাবার ওষুধপত্র চেক করতে গিয়ে মেহেরীন দেখে যে, বাবাকে যে ইনসুলিন দেয়া হয়েছে সেটা বাবা সবসময় যে ইনসুলিন ব্যবহার করে তার থেকে ভিন্ন। ডিউটি ডক্টরকে এই ব্যাপারে জিগ্গেস করা হলে সে খুব অদ্ভুৎ আচরণ করে, সার্জারী ডিপার্টমেন্ট আলাদা, তাই সে এ ব্যাপারে কিছু বলবে না! এক পর্যায়ে সে বলে যে, 'ইনসুলিন সম্পর্কে আমি কিছু জানি না!' মেহেরীন তখন রেগে গিয়ে বলে যে, "ইনসুলিন সম্পর্কে জানেন না , আপনাকে ডাক্তার বানইছে কে!" একেতো মনের অবস্থা খারাপ, তার উপর ডিউটি ডাক্তারের এই ব্যবহার মনের ভেতর জমে থাকা বাস্পের পরিমান শুধু বাড়িয়ে দেয় ! থাকতে না পেরে নার্সদের কেই জিগ্গেস করে বসে, " আচ্ছা উপরে কি ড. রহমানের পেশেন্ট মারা গেছে? সিসিউর বাইরে এতো কান্নাকাটি কেন?" নার্সরা জানায় যে, নাহ ড. রহমানের পেশেন্ট মারা যায় নি, তবে ৬০৩ এর পেশেন্টকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। আর পারে না মেহেরীন, দুহাতে মুখ ঢেকে কান্নায় ভেঙ্গে পরে, "বাবা তো এই অপারেশন করাতে চায়নাই, আমি রাজি করিয়েছি তাকে, তার উপর হসপিটালের সেই ফর্মও আমি ফিলাপ করেছি, আল্লাহ না করুক খারাপ কিছু হলে আমি নিজেকে কোনোদিনও ক্ষমা করতে পারবো না!" মেহেরীনের এই কান্না দেখে সিস্টাররা এগিয়ে আসে, "আরে আপনি এভাবে কাঁদছেন কেন? অপারেশনের পর তো সব পেশেন্টকেই লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখতে হয়!" এর মধ্যে মনসুরও চলে আসে, " আল্লাহ আপু আপনাকে আমি কত শক্ত ভাবতাম , আপনি এভাবে কাঁদছেন?" মনসুরকে দেখে কান্নার বেগটা যেনো আরও ঠেলে বের হয়ে আসে। মনসুর জানায় যে, সিসিউর বাইরে যে পেশেন্টকে নিয়ে মেহেরীন উদ্বেলিত, সে হার্ট পেশেন্ট না, তার কিডনি ফেউলর করেছে। এরপর ৬০৩ এর পেশেন্টের আত্মীয়রয় এসে মেহেরীনকে সান্ত্বনা দিতে থাকে , মেহেরীন তো আর বলতে পারেনা যে ওদের পেশেন্টকে লাইফ সাপোর্টে রেখেছে, সেই ভয়েই সে কাঁদছে! কিছক্ষন পর খবর আসলো যে, ৬০৩ এর পেশেন্টের সেন্স ফিরেছে, মেহেরীনও চোখ মুছে কেবিনে ফিরলো। কিন্তু বাবার সমানে সযত্নে লুকিয়ে রাখলো বুকের ভিতর হতে থাকা অবিরাম ঝর তুফান! মেহেরীনের কান্না দেখে ৬০৩ এর পেশেন্টের এক রিলেটিভ আসলো ওর বাবার সাথে দেখা করতে, ছেলেটি এসে ওর বাবার হাত ধরে এতো সুন্দর করে কথা বললো, সাহস দিলো, যে কৃতজ্ঞতায় মেহেরীনের হৃদয় পূর্ণ হয়ে গেলো! এছাড়া মনসুরের বন্ধুরাও আসলো বাবার সাথে দেখা করতে।
অপরদিকে, মেহেরীনের বাবার অপারেশনের চিন্তায় ওর মায়েরও শরীর অনেক খারাপ হয়ে যায়, যেকারনে সিদ্ধান্ত হয় যে রাতে এক বোন মায়ের কাছে থাকবে , আরেক বোন বাবার কাছে। রাতে সেহেরীনকে বাবার দায়িত্ব দিয়ে বাসায় ফেরার পথে ভীষণ একা লাগে মেহেরীনের! শীতের রাত হওয়া সত্বেও ড্রাইভারকে বলে কাঁচ তুলে দিয়ে এসি ছেড়ে দিতে, যাতে ওর কান্নার আওয়াজ গাড়ীর কাঁচের বাইরে যেতে না পারে! একটু মন খুলে কাঁদা যে ওর বড় প্রয়োজন! এই প্রথম প্রান খুলে কাঁদে মেহেরীন, যে কান্না ও লুকিয়ে রেখেছিলো ওর বাবা মা আর বোনের সামনে, পরিবারের বড় মেয়েরা কাঁদলে অন্যদের সামলাবে কে? কিন্তু মেহেরীনকে সামলানোর জন্যও তো কাউকে প্রয়োজন ! সেহেরীনের পাশে তো মনসুর আছে, মনসুরের সব বন্ধুরা আছে, এত বড় বিপদের দিনে মেহেরীনের পাশে যাদের থাকার কথা, ওর স্বামী, শ্বশুরবাড়ীর লোকজন, তারা কেউ নেই কেনো? এত দুর্ভাগ্য কেনো ওর?
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৩৪
আরমিন বলেছেন: দীর্ঘ বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্যে অনেক অনেক ভালোলাগা!
এরকম ঘটনা আমাদের আশেপাশে হয়তো অনেকই ঘটে চলেছে, কিন্তু কারো কারো জীবনকে একদম নাড়িয়ে দিয়ে যায়!
আশাকরি সিরিজের শেষ পর্যন্ত আপনাকে সাথে পাবো, শুভেচ্ছা জানবেন বিদ্রোহী !
২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৩৮
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: প্রিয় যে জন তাকে হারানোর চিন্তাটাও যে বড় বেদনাময়। মেহেরীনের চিন্তা, কান্না, কষ্ট তাই অমূলক নয়।
আপনজনের বিমুখতাও বেশ বারডেন সৃষ্টি করেছে মেহেরীনের মনে।
ডক্টর ক্যারেকটার টা ভালো লাগছে। রোগীর মেয়ের প্রতি তার আকর্ষন সত্যিই প্রশংসনীয়।
ভালো লাগল ঘটনা প্রবাহ।
ভালো থাকবেন।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৪১
আরমিন বলেছেন: এহেম এহেম রাজপুত্র, রোগীর মেয়ের প্রতি ডক্টরের আকর্ষণ নয়, শব্দটা হবে আগ্রহ !
পরিস্থিতিটি উপলব্ধি করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!
শুভকামনা নিরন্তর।
৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫২
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: এই পর্বটাও ভালো লাগলো আপু। বাসার কেউ হাসপাতালে ভর্তি হলে তখন সত্যিই একটা অবস্থার সৃষ্টি হয়। চারিদিকে দুশ্চিন্তা, উদ্বিগ্নতা একই সাথে বাসা হাসপাতাল দৌড়াতে দৌড়াতে জান শেষ। তবুও যদি আপনজন সুস্থ হয়, তার মত সুখ কোন কিছুতেই নেই।
আশা করি পরের পর্বটা খুব দ্রুতই পাব। ভালো থাকুন। বসন্তের শুভেচ্ছা রইল
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:০৬
আরমিন বলেছেন: ঠিক তাই !
অনুপ্রেরণা দিয়ে সবসময় সাথে থাকবার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মহামহোপাধ্যায় , হুমম পরের পর্ব টা দ্রুতই দিবো আশারাখি ।
৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩
জুন বলেছেন: নভেম্বর মাস এর পর এত দিন গ্যাপ দিয়ে ২য় পর্ব ? আমারও বিদ্রোহী বাঙালি র মত খেই হারানোর দশা ।
যাক অত্যন্ত বাস্তব এই পর্বটি অনেক ভালোলাগলো আরমিন ।
মেহেরীনের দুঃখ কিন্ত এই সমাজে ব্যাতিক্রম নয় ।
+
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩১
আরমিন বলেছেন: শুধু কি নভেম্বর মাস? সালটা দেখোনি জুন আপু? সেই ২০১৩!
পরের পর্ব আর এত দেরী হবে না ইন শাহ আল্লাহ !
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় জুন আপু ।
৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:০০
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: :!>
সরি
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪
আরমিন বলেছেন: সরি হবার মত কিছু না !
৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:০৩
যোগী বলেছেন:
অনেক ভালো একটা গল্প ++++
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫
আরমিন বলেছেন: না পড়েই কমেন্ট এবং প্লাস দেবার জন্য অনেক অনেক থ্যাংক্স !
৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২০
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
ভাল লাগল গল্প।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫২
আরমিন বলেছেন: পড়বার জন্য অনেক ধন্যবাদ বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায়!
৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: এসব দিন যে কি দুঃসহ! এমন অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে আর যেন যেতে না হয়। শুভকামনা।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫
আরমিন বলেছেন: আমিও সর্বদাই এমনই প্রার্থনা করি!
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা প্রিয় হামা ভাই !
৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৪
তুষার কাব্য বলেছেন: মেহেরীন চরিত্র টা কি কোনভাবে আপনার থেকে সৃষ্টি ?আপনিও তো ফিলিপাইন থাকতেন বা থাকেন এখনো হয়ত !
ওই সময়গুলো সত্যিই খুব কষ্টের ।অনেক ভালোলাগা গল্পে ।
শুভকামনা জানবেন সবসময় ।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৩২
আরমিন বলেছেন: লেখকের ছায়া তো লেখায় থাকবেই! কি বলেন? হা হা!
পড়বার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!
শুভকামনা জানবেন ।
১০| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩৭
সালমান মাহফুজ বলেছেন: জমে ওঠেছে কাহিনী । প্রথম পর্বটা কিছুটা নিঃষ্প্রাণ লাগল । কিন্তু এই পর্বে এসে কিছুটা প্রাণের ছোঁয়া পেলাম ।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫
আরমিন বলেছেন: ধৈর্য নিয়ে পড়বার জন্য অনেক ধন্যবাদ সালমান!
আশাকরি পরবর্তী পর্বগুলোতেও সাথে পাবো আপনাকে।
১১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৩৯
আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন: এই দুনিয়াতে মানুষের সাধারনত তিন ধরনের কম্বিনেশন হয়। একদম ভাবে, আমিও ওকে, দুনিয়ার বাকীরাও নিজের মত করে ওকে। এরা দুনিয়ায় সবচেয়ে সুখী মানুষ।
পরের দল ভাবে নিজে ঠিক, সবাই ভুল। এরা চালবাজ আর অন্য প্রজাতির গর্ধব।
তৃতীয় দলের মানুষ দ্বিতীয় দলের উল্টা। এরা হতাশাগ্রস্থ্য হিংসুক মানুষ। কোনকিছুতেই এদের তৃপ্তি হয়না।
আর এরপর রেয়ারলি আমরা আরেকটা প্রজাতির দেখা পাই। এরা ভাবে, আমিও ঠিকনাই, দুনিয়াও ঠিক নাই। এরা ভয়ানক।
এই গল্পে সাধারন তিনটা গ্রুপের দেখা পাইছি। চতুর্থ প্রজাতির দেখা পাইলে ভাল্লাগবে। তাইলে এইটা পরিপুর্ন গল্প হবে। নাইলে এইটা জাস্ট ব্যক্তিগত ডায়ররী তে লিখে রাখার মত নিজের জন্য কিছু কথা ছাড়া আর তেমন কিছু হয়ে উঠতে পারবেনা...
নতুন চরিত্র আনেন প্যাচানো ক্যারেক্টার হিসেবে। এ রিয়েল টুইস্ট। নাহলে বললাম কাহিনীতে ইমোশন থাকলেও গল্পের মত উত্থান পতন নাই।
ভালো থাইকেন
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৫
আরমিন বলেছেন: ওরে বাবা! বিরাট বিশ্লেষণ !
সুখী মানুষ একজন আছে গল্পে , ক্রেজি ডক্টর ।
কিন্তু বাকী দুই শ্রেনী কই পাইলেন? আর হতাশাগ্রস্থ হলেই কি মানুষ হিংসুটে হয়? এটা কেমন কথা !
জীবনের কথা লিখলে দোষ কি? প্রত্যেকের জীবনই তো এক এক টা গল্প! এত অল্প পরিসরে উত্থান পতন কিভাবে দেখাবো? উত্থান পতনের চেয়ে পারিবারিক আবেগ, মায়া মমতা, ভালোবাসাই আমার গল্পের মূল বিষয় ।
শুভকামনা আপনার জন্য !
১২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:০৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো লাগলো। আগের পর্বটাও মনে হয় পড়েছিলাম। দীর্ঘ বিরতি দিয়েছেন কি?
আরো ঘন ঘন লিখুন
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০১
আরমিন বলেছেন: পড়বার জন্য অনেক ধন্যবাদ তনিমা! হুমম, বিভিন্ন কারণে ব্যস্ত থাকায় লেখার সময় করে উঠতে পারিনি। চেস্টা করবো, বড় কোনো বিপদে না পড়লে আর সুস্থ থাকলে দ্রুতই লিখবো ।
শুভকামনা আপনার জন্য !
১৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২৯
মহান অতন্দ্র বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা গল্প । কেটে যাক মেহেরিনের দুর্ভাগ্য। সৌভাগ্য ফিরে আসুক।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০৪
আরমিন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ তন্দ্রা !
আপনার শুভকামনা যেনো সত্যি হয়!
ভাল থাকুন ।
১৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৫৬
এম এম করিম বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো।
++++++
ভালো থাকবেন।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬
আরমিন বলেছেন: পড়বার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ!
শুভকামনা নিরন্তর !
১৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ক্রেজি ডাক্তার কে নিয়ে এত কম লেখা কেন ?
পরিবারের প্রধান যে সব সময় বাকি সবার টেক কেয়ার করে তার কিছু হলে আসলে সিস্টেমই কলাপ্স করে ।।
দুঃসহ সময় কেটে যাক ...
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭
আরমিন বলেছেন: হাহা, সবাই দেখি আমার মত ক্রেজি ডক্টরের ফ্যান হয়ে গেলো! লিখবো লিখবো!
ঠিক তাই! প্লাসের জন্য অনেক অনেক থ্যাংক্স প্রিয় মনিরা আপু !
১৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১০
জাফরুল মবীন বলেছেন: আমার পোস্টে করা মন্তব্যে আপনার ব্লগবাড়ি বেড়ানোর যে দাওয়াত দিয়েছিলেন তা কবুল করতে এসে এক বিব্রতকর কিন্তু মজার পরিস্থিতির মুখোমুখি হলাম ।আবেগে কয়েকটা লাইন বের হয়ে আসল মন থেকে-
“হে নিক নেম,তুমি মোরে বানিয়েছো বোকা
বোনকে ভাই ডেকে খেয়েছি ধোঁকা।”
তবে এখানে এসে আপনার কিছু প্রতিভার সাথে পরিচিত হলাম।পরবর্তীতে আপনার কোন লেখা যেন মিস না হয় তাই অনুসরণে নিলাম।
দীর্ঘ বিরতি দিয়ে পুনরায় ব্লগে ফিরে আসায় অভিনন্দন জানাচ্ছি বোন।
ভাল থাকবেন এ শুভকামনা রইলো।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:২০
আরমিন বলেছেন: কবিতা পড়ে তো একেবারে হা হা প গে মবিন ভাই !
আসবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আর অনুসরনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
আর গুনী এবং শ্রদ্ধাভাজন মবীন ভাইয়ের জন্য শুভকামনা তো আছেই !
১৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০২
দীপংকর চন্দ বলেছেন: শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা!
মহা চিন্তায় পড়লাম!
প্রার্থণা থাকলো ভালো একটা পরিণতি দেখার।
অনিঃশেষ শুভকামনা।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০
আরমিন বলেছেন: জীবনটা কখনও কখনও শ্বাসরুদ্ধকর হয়ে ওঠে বটে!
পড়বার জন্য ধন্যবাদ, ভালো আছেন আশাকরি ।
১৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭
এহসান সাবির বলেছেন: অনেক দিন পর ২ নং টা পেলাম......
পরেরটা কবে পাবো?
ভালো লাগা..
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৭
আরমিন বলেছেন: এই সিরিজের পরের পর্ব আবার কবে লিখবো জানিনা ! অন্যকিছু বরং লিখতে পারি !
১৯| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৫
শায়মা বলেছেন: মেহরীন সেহরীনের সব দুঃখ কেটে যাক।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৪
আরমিন বলেছেন: ধন্যবাদ শায়মা আপু !
২০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:৪০
এহসান সাবির বলেছেন: বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল!!
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১
আরমিন বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন !
২১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩৭
এহসান সাবির বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকুন সব সময়।
শুভ কামনা।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৯
আরমিন বলেছেন: আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা !
২২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২০
এহসান সাবির বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা।
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
শুভ কামনা রইল।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৭
আরমিন বলেছেন: ঈদ মোবারক সাবির!
এই অধমকে মনে রাখার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে!
২৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৪৩
সায়েদা সোহেলী বলেছেন: এই বাড়ির লোক কি মঙ্গল গ্রহে পানির সন্ধান পাইতে না পাইতেই বসত গড়ে ফেলেছে ???????????
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৩
আরমিন বলেছেন: মঙ্গলে না তো, চাঁদে থাকি এখন, বেড়াতে আসার দাওয়াত থাকলো ।
২৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৭
আরজু পনি বলেছেন:
আমার প্রত্যেক নামাযেই আমার মায়ের দীর্ঘায়ু আর সুস্বাস্থ্য কামনা করতে ভুলে যাই না আমি ।
লেখা পড়ে কয়েকটি অনুভুতির মিশ্রণ হলো ।
অনেকদিন লিখছেন না...অপেক্ষায় রইলাম, আরমিন ।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৮
আরমিন বলেছেন: পনি পু, শরীর ভালো তো এখন?
সময় এবং কিবোর্ডের সমন্ব্য় ঘটাতে পারছি না!
শুভকামনা জানবেন ।
২৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৯
আরইউ বলেছেন: বোঝা গেলো এটা শেষ পর্ব নয়। ভালো লাগেছে।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২
আরমিন বলেছেন: ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।
২৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৪
এহসান সাবির বলেছেন: ইংরেজী নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১
আরমিন বলেছেন: ধন্যবাদ সাবির! আপনাকেও নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা!
২৭| ২৯ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: খুবই টাচি লিখেছেন। একেবারে যেন ছুঁয়ে গেল কোথাও!
আবেগকে ফুটিয়ে তোরার কারুকার্য মানটাকে আর্দ্র করে তুলল !
আগামীর অপেক্ষায়
+++++++++++
২৯ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৫৮
আরমিন বলেছেন: আবেগী সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি !
শুভকামনা!
২৮| ১৪ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৩০
বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: আরে, আরমান ভাইয়ের দেখি নাম চেঞ্জ হয়ে গেছে!
১৪ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮
আরমিন বলেছেন: ইয়েসস!!
কিন্তু কেমন জানি খালি খালি লাগতেসে!
২৯| ১৪ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫২
বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: হ্যা, আরমান ৪০ হইলে ভরা ভরা আর পারফেক্ট লাগতো আরকি
১৪ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭
আরমিন বলেছেন: আরমান ৪০ ???????????????
না, রোজায় ধরছে মনে হয় আপনেরে!!
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:৫০
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: দীর্ঘ বিরতিতে পোস্ট দেয়ায় আগের পর্বে আবার চোখ বুলিয়ে নিতে হল।
এই পর্বে মনে হল মেহেরীনের উপর দিয়ে একটা প্রচণ্ড ঝড় বেয়ে গেলো। এই ঝড়ের সমাপ্তি কোথায় গিয়ে এখনো অজানা। একমাত্র অপারেশনের পরই বুঝা যাবে। মেহেরীইন সেহেরীনের মতো বাস্তব জীবনেও অনেকে এভাবে প্রিয়জনকে নিয়ে হাসপাতালে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যায়। হাসি কান্নার সে সব অভিজ্ঞতা কারো জীবনে হয়তো শেষ পর্যন্ত হাসিই ফুটিয়ে তুলেছে; আবার কারো কারো জীবনের কান্নার ঢেউ তুলে দিয়ে প্রিয়জন অপর পারে চলে যায়। বাস্তবতাকে গল্পে তুলে এনেছেন। মেহেরীন কতটা বাবা অন্তপ্রাণ সেটা সহজেই বুঝা যায়, যখন তার মনে একবারের জন্যও ফেলে আসা লেখাপড়ার কথা মনে পড়ে নাই। কারণ তার লেখাপড়ার চেয়ে যে বাবার মূল্য অনেক বেশী।
মেহেরীনের এই বিপদে তার শ্বশুর বাড়ির কেউ তার পাশে এসে দাঁড়ায় নাই, এটা সত্যিই খুব দুঃখজনক। তার বরেরও কোন হদিশ এখনও পর্যন্ত পেলাম না। খুবই আফসোসের কথা। বেশ হৃদয়স্পর্শী পর্ব এটা। ভালো লাগলো আরমিন। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।