নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রিমন শাহরিয়ার, সাবরিনা সোলতানা বৃষ্টি,প্রিয়াংকা তালুকদার ও নাহিদ সরওয়ার এর ব্লগ।সাবধানে পা ফেলুন।

স্যার সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু যিনি একাধারে চিত্রশিল্পী,নৃত্যশিল্পী,কথাশিল্পী,কন্ঠশিল্পী,প্রচ্ছদশিল্পী,ভাস্কর্যশিল্পী,গীতিকার, সুরকার, থিয়েটার অভিনেতা, মডেল ও মিউজিক ভিডিও নির্মার্তা। স্যারের জন্য আমরা ব্লগটি সাঁজালাম--রিমন শাহরিয়ার

ঔপন্যাসিক সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু

বাংলার অহংকার স্যার সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু যিনি একাধারে চিত্রশিল্পী,নৃত্যশিল্পী,কথাশিল্পী,কন্ঠশিল্পী,প্রচ্ছদশিল্পী,ভাস্কর্যশিল্পী,গীতিকার, সুরকার, থিয়েটার অভিনেতা, মডেল ও মিউজিক ভিডিও নির্মার্তা।

ঔপন্যাসিক সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলার অহংকার

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২০



সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু,(কন্ঠশিল্পী মজনু মোরশেদ চৌধুরী) পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলার সাগর কণ্যা দ্বীপ কুতুবদিয়া থানার পশ্চিম আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী চৌধুরী বংশে ২১ শে এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাধারে চিত্রশিল্পী,নৃত্যশিল্পী,কথাশিল্পী,কন্ঠশিল্পী,প্রচ্ছদশিল্পী,ভাস্কর্যশিল্পী,গীতিকার, সুরকার, থিয়েটার অভিনেতা, মডেল ও মিউজিক ভিডিও নির্মার্তা। তিনি ৪/৫ বছর বয়স থেকে স্বেচ্ছায় স্বশিক্ষায় চিত্রাংকনে পারদর্শী হয়ে উঠেন । ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন প্রচন্ড মেধাবী । তাই শিক্ষকরা নার্সারী থেকে তাকে ১ম শ্রেণীতে না দিয়ে সরাসরি দ্বিতীয় শ্রেণীতে প্রমোশন দিয়ে দেন ও পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত প্রতিবারই প্রথম হয়ে উত্তীর্ণ হন। এরপর ১৯৯১ সালে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুতুবদিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ট শ্রেণীতে ভর্তি হন ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে প্রথম স্থান অধিকার করেন। একই বছর আরোও দুই বার চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এভাবে দশম শ্রেণী পর্যন্ত প্রতিটা চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরষ্কার ছিল তার জন্য অবধারিত। ৬ষ্ট শ্রেণীতে তিনি স্কুলের স্কাউট দলে যোগ দেন। ১৯৯১ সালের প্রলয়ংকরী ঘুর্ণিঝড় উপলক্ষ্য স্কাউট কর্তৃক "জলোচ্ছাস" নামে যে নাটকটি মঞ্চায়িত হয় তাতে মাতৃহীন সন্তানের অভিনয় করেন এবং রিলিফ দিতে কোরিয়ান অধিবাসীদের ও আমেরিকান সৈন্যদের সাথে ইংরেজীতে কথা বলে তাদের অবাক ও মুগ্ধ করেন। ১৯৯২ সালে সপ্তম শ্রেণীতে উর্ত্তীণ হবার পর প্রখ্যাত বেতার শিল্পী বাঙ্গালীর কাছ থেকে গানের তালিম নেন। চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় পাশাপাশি "জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো" দেশাত্ববোধক গানটি গেয়ে জীবনের প্রথম গানের প্রতিযোগীতায় সতের জন প্রতিযোগীকে হারিয়ে দিয়ে প্রথম পুরস্কার পান। এভাবে কন্ঠ শিল্পী হিসেবে তাঁর পথ চলা হয় শুরু। সারা বছর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশাত্ববোধক , নজরুলগীতি, পল্লীগীতি ও ভান্ডারী গান গেয়ে সতেরটি পুরস্কার পান। পাশাপাশি কবিতা রচনার প্রতি ঝোঁকে পড়েন। ১৯৯৩ সালে অস্টম শ্রেণীতে উর্ত্তীণ হবার পর স্কুলের সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। রচনা করেন 'শিক্ষার আলো" নাটক। শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্টানে নিজ পরিচালনায় নাটকটি মঞ্চায়িত করেন,যেটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে তিনি নিজেই অভিনয় করেন। সার বৎসরে পুরস্কারের সংখ্যা ১৩ টি। ১৯৯৪ সালে নবম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হবার পর অভিভাবকরা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড হতে তাঁকে সরে আসার জন্য বার বার চাপ দেয়। তা স্বত্বেও সারা বছরে পনেরটি পুরস্কার পান। ১৯৯৫ সালে দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। পুরস্কারের সংখ্যা আবারো পনের। পুরস্কারের নতুন বিভাগ উপস্থিত বক্তৃতা, কবিতা আবৃত্তি ও রচনা লিখন। ১৯৯৬ সালে এসএসসিতে ফার্ষ্ট ক্লাস পান, ভর্তি হন ঐতিহ্যবাহী কক্সবাজার সরকারী কলেজে একাদশ বিজ্ঞানে। কলেজের দেয়ালিকায় তিনটি কবিতা স্থান পায়, কলেজের তৎকালীন জিএস কবিতা গুলোর ভুয়সী প্রশংসা করেন। ধীরে ধীরে ঝোকে পড়েন উপন্যাস রচনার প্রতি। 1997 সালের প্রথম দিকে প্রথম উপন্যাস “নিশি রাতের কান্না” রচনার কাজে হাত দেন। মাত্র কয়েক পাতা লেখার পর পরই উপন্যাসটি সহপাঠীদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করে। কিছু কবিতা পেপারে প্রকাশিত হয়। ক্লাস ও প্রাইভেটের বিভিন্ন টেষ্টে সর্বোচ্চ মার্ক পেতে শুরু করায় তার কিছু ফ্রেন্ড তাকে ফিল্ম ও শ্যুটিং দেখার ক্ষেত্রে অভ্যস্থ করার জন্য কৌশলে কলেজ ফাঁকি দিয়ে হিমছড়ি “কে অপরাধী” ছবির শ্যুটিং স্পটে নিয়ে যায়। সেখানে বন্ধুদের অনুরোধে আড্ডারত খল নায়ক হুমায়ুন ফরিদী ও চিত্রনায়িকা শাবনুরের অদূরে দাঁড়িয়ে গোপনে তাদের থেকে লুকিয়ে হুমায়ুন ফরিদীর পোট্রেট আকার সময় চিত্রনায়িকা শাবনুরের চোখে ধরা পড়েন। শাবনুর তাকে ডেকে নিয়ে পোট্রেট দেখেন ও হুমায়ন ফরিদীকে দেখান। রোদে দাড়িয়ে আঁকতে তারঁ কষ্ট হচ্ছে দেখে হুমায়ুন ফরিদী তারঁ জন্যছাতাসহ একজন ছাতাবাহকের ব্যবস্থা করেন। সা: উ: জা : মো: মোশেদুল কুতুব চৌধুরী মজনুর সাথে শাবনুর ও ফরিদীকে কথা বলতে দেখে ও তার জন্য ফরিদীকে ছাতার ব্যবস্থা করতে দেখে ওমর সানীর সূটিং দেখা বাদ দিয়ে সা: উ: জা চৌধুরীর পেছনে শত শত লোক ভীড় জমাতে শুরু করে। তার পোট্রেটের অনেকাংশ তখনও বাকী। উপচে পড়া ভীড়ের সকলেও ফরিদীকে শিল্পী সা: উ: জা চৌধুরী কিভাবে আকছেন দেখতে ভীড়ের লোকজন ধীরে ধীরে সামনের দিকে এগোয়। ফলে শাবনুর-ফরিদীও সা: উ: জা: চৌধুরীর মধ্যবতী দুরত্ব ক্রমশ কমে আসতে শুরু করে। বাধ্য হয়ে ফরিদী ভিড় করা লোকদের বঁকাঝঁকা করে সা: উ: জা: চৌধুরীর চারপাশ হতে সরিয়ে দেন। একটু পর আবারো তারা সা: উ: জা: চৌধুরীর চারপাশে এসে জড়ো হয়। আবারো ফরিদী বকা দেন, শাবনুর সবাইকে অনুরোধ করেন। সবাই আবার পিছিয়ে যায়। এ ধরনের অনেকবার হবার পরে পোট্রেটের ছবিটা হয়ে উঠে জ্যান্ত হুমায়ুন ফরিদী। পোট্রেট দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে শাবনুর সা: উ: জা: চৌধুরীর মঙ্গল কামনা করে অটোগ্রাফ দেন আর হুমায়ুন ফরিদী উচ্ছসিত হয়ে একটানে একটি মানুষ একে অটোগ্রাফ দেন।



পরদিন কক্সবাজার সরকারী কলেজে শাবনুর-ফরিদীর সাথে চৌধুরীর এ কাহিনী ছড়িয়ে পড়লে ‍মুহূর্তে তিনি ক্যাম্পাস হিরু বনে যান, পরিণত হন দর্শনীয় ব্যক্তিত্বে, চিত্রাংকনে তাঁর পাঁকা হাতের খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। বন্ধুদের চক্রান্তের শিকার হয়ে স্যুটিং এ গিয়ে তিনি উল্টো লাভবান্বিত হন। এরপরে তাঁর ঐ সমস্ত ফ্রেন্ড তাঁকে চা, পাঁন ও সিগারেটে অভ্যন্ত করার অনেক চেষ্টা করে বিফল হয়, পাশাপাশি ক্লাসের ও প্রাইভেটের বিভিন্ন টেষ্টে 90% এর উপরে মার্কস পাওয়া তাঁর অব্যাহত থাকে। দ্বিতীয় বর্ষের শেষের দিকে অসুস্থতার কারণে কক্সবাজার সরকারী কলেজ হতে তিনি কুতুবদিয়া কলেজে ট্রান্সফার হয়ে চলে আসেন। ৯৮ সালের এইচ.এস.সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। পরীক্ষা শেষে “ভালবাসা দু:স্বপ্ন”(আই.এস.বি.এন. প্রাপ্ত) নামের উপন্যাস রচনায় মনোনিবেশ করেন। তিন মাসের মধ্যে নব্বই শতাংশ কাজ শেষ করেন। ততদিনে রেজাল্টের দিন ঘনিয়ে আসে। কুতুবদিয়া কলেজের সকল পরীক্ষাথীদের মধ্যে সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে সেন্টার ফাষ্ট হন। শিক্ষক মন্ডলীর রিকোয়েস্টে অভিভাবকরা তাকে উচ্চতর শিক্ষার জন্যে কোনো উন্নত কান্ট্রীতে পাঠাবার সিদ্ধান্ত নেন। অভিভাবকরা অনেক ভেবেচিন্তে পার্শ্ববতী কান্ট্রী ভারতে পড়াবার সিদ্ধান্ত নেন। সঠিক এজেন্সির মাধ্যমে ভারতের ভাল কোনো কলেজে ভর্তি করাবার পেছনে 1998 ও 1999 সাল নষ্ট হয়। ইত্যবসরে তিনি হস্তরেখাবিদ্যায় পারদর্শী হয়ে উঠেন। 2000 সালে ক্যালকাতার দক্ষিন গরিয়ার নেতাজী সুভাষ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ব্যাচেলর অব কম্পিউটার এ্যাপ্লিকেশন এ এ্যাডমিশন নেন। এ্যাডমিশন নেবার দুই মাস পর পিতাসহ ক্যালকাতায় গিয়ে " প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য মদ উন্মুক্ত" শুনে সেখানে তার পিতা তাকে পড়াতে রাজি না হওয়ায় দুজনে বাংলাদেশে ফিরে আসেন ও তাঁর অজ্ঞাতে তাঁর পিতা তাকে ঢাকা ন্যাশনাল ইউনিভার্তেটিতে বি.এসসি. ইন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি করান। তিনি তা গোপনে জানতে পেরে সেখানে পড়তে অ্স্বীকৃতি জানান। ইত্যবসরে গান রচনার প্রতি ঝোঁকে পড়েন ও কোন শিক্ষকের সহায়তা ছাড়া নিজ প্রচেষ্টায় অনেক পরিশ্রমের বিনিময়ে হারমোনিয়ামে গানের সুর উঠাতে পারদর্শী হয়ে উঠেন এবং স্বরচিত গান গুলোতে সুর দেন।

2001 সালে ভারতের ব্যাঙ্গালোর ইউনিভার্সিটির অধীনে বি.এসসি. ইন কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হন। বি.এসসি. ফার্ষ্ট ইয়ারে ভর্তি হওয়া দেশী বিদেশী ছাত্র ছাত্রীদের বরণ করতে ইন্ডিয়ান কলেজ কতৃপক্ষ নবীন বরণ তথা " ওয়েলকাম পার্টি " র আয়োজন করেন, সেই ওয়েলকাম পাটিতে নবীনদের পক্ষ থেকে মধুর কন্ঠে বাংলা গান গেয়ে দেশী বিদেশী ছাত্র ছাত্রীদের নজর কাড়েন- উচ্চ প্রশংসিত হন ও রাতারাতি ক্যাম্পাস হিরু বনে যান। কলেজের সকলের কাছে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল হয়।



কিন্তু ইন্ডিয়ার প্রতিটা কলেজ ভার্সিটিতে উন্নত বিশ্বের সকল কলেজ ভার্সিটির মত রেগীং এর ভয়াবহতা ব্যাপক (জুনিয়র ছাত্রদের উপর স্বদেশী সিনিয়র ছাত্রদের অনৈতিক শারীরিক ও মানসিকর নির্যাতন, যা আইনের দৃষ্টিতে সর্ম্পূনভাবে নিষিদ্ধ তা--ই রাগিং)। তাই বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়ার কলেজ ভার্সিটিতে পড়তে আসা নবাগতরা আসার পরপরই স্বদেশী সিনিয়রদের কাছে শারীরিক বা মানসিক ভাবে নির্যাতিত হয়। কিন্তু পড়তে আসা সবাই ধনী পরিবারের সন্তান ও পড়ালেখায় মেধাবী ও বয়সে তরুন হওয়ায় এ অন্যায়কে বরদাস্ত করতে না পেরে অনেকে নিরুপায় হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিত কেউ বা দেশে পালিয়ে আসার ঝুঁকি নিত।

মিষ্টার চৌধুরীর ব্যাঁচের ১ম বর্ষের যারা সিনিয়রদের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতিত হয়েছে তারা পরের বর্ষে যারা একই কলেজে ভতি হতে আসবে তাদের উপর কিভাবে নির্যাতন করা হবে তার রুপরেখা তৈরী করে। মিষ্টার চৌধুরী তাতে দ্বিমত পোষন করে বলেন আমরা মানুষ, ভেড়া ছাগল নই। তাই ভেড়া ছাগলের মতো আমরা আমাদের পূর্ববর্তীদের (সিনিয়রদের) অনুসরণ করব না। নতুন যারা আসবে, তাদের কারো সাথে আমাদের শত্রুতামী নেই। ব্যাস, নিজের ব্যাঁচের সবাই চৌধুরীর বিপক্ষে চলে গেল, বলরো-তুমি সিনিয়রদের মাধ্রমে নির্যাতিত হও নি, তাই তোমার অবস্থান আমাদের বিপক্ষে। এরপরেও নিজের ব্যাঁচের সবাইকে অনেক বুঝিয়ে সুজিয়ে ঐক্যবদ্ধ করেন ও রাগিং সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষনা করেন। সিনিয়র বা মোষ্ট সিনিয়রদের কেউ নবাগতদের উপর রাগিং করলে তার উপর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হবে হুমকি দেন।



মিষ্টার চৌধুরীর ব্যাঁচের ১ম বর্ষের যারা সিনিয়রদের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতিত হয়েছেন, তাঁরা পরের বর্ষে যারা একই কলেজে ভতি হতে আসবে তাদের উপর কিভাবে নির্যাতন করা হবে তার রুপরেখা তৈরী করেন। মিষ্টার চৌধুরী তাতে দ্বিমত পোষন করে বলেন আমরা মানুষ, ভেড়া ছাগল নই। তাই ভেড়া ছাগলের মতো আমরা আমাদের পূর্ববর্তীদের (সিনিয়রদের) অনুসরণ করব না। নতুন যারা আসবে, তাদের কারো সাথে আমাদের শত্রুতামী নেই কাজেই ,তাদের কাউকে আমরা নির্যাতন করবনা বরং হেল্প করব। ব্যাস, নিজের ব্যাঁচের সবাই চৌধুরী সাহেবের বিপক্ষে চলে গেলেন, বললেন-"তুমি সিনিয়রদের মাধ্যমে নির্যাতিত হও নি, হয়েছি আমরা, তাই তোমার অবস্থান আমাদের বিপক্ষে"।‍ " প্রতিশোধ নিতে হলে যারা তোমাদের উপর নির্যাতন করেছে, তাঁদের উপর নাও।যারা নিদোর্ষ, তাদের উপর নয়" এভাবে নিজের ব্যাঁচের সবাইকে অনেক বুঝিয়ে সুজিয়ে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হন ও রাগিং সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষনা করেন এবং সিনিয়র বা মোষ্ট সিনিয়রদের কেউ নবাগতদের উপর রেগিং করলে রেগীং কারীর উপর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হবে হুমকি দেন।



ফলে পরের বর্ষ হতে নবাগত বাংলাদেশীদের উপর সিনিয়র ও মোষ্ট সিনিয়দের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়। সেই থেকে আজ অবধি সে কলেজে বাংলাদেশী ছাত্ররা সুখে শান্তিতে পড়ালেখা করে আসছে, যা অতীতে কখনো সম্ভব হয়নি।

বিদেশে শিক্ষাঙ্গনে নবাগত স্বদেশীদের উপরে সিনিয়রদের সকল প্রকারের রাগিং বা নীরব সন্ত্রাস বন্ধের লক্ষ্যে 2013-2014 অর্থ বছরে নিজ পরিচালনায় তিনি নির্মাণ করতে যাচ্ছেন এ্যাকশানধর্মী পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি " শিক্ষাঙ্গনে রেগীং কেন?" [অভিনয়ে আগ্রহীরা যোগযোগ করুন 0088-01813830103 সবকটি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নায়ক নায়িকা খোঁজা হচ্ছে। ফরম ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন স্বপ্ন দেখুন আর হিরো হয়ে যান ){ ছবির প্রযোজক বা স্পন্সর হতে আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন ০০৮৮-০১৮১৩৮৩০১০৩ নাম্বারে}

2003 সালে ব্যাঙ্গালোরে গুপ্ত ড্যান্স গ্রুপে যুক্ত হন ও সে গ্রুপের অন্যান্য নৃত্যশিল্পীদের সাথে বিভিন্ন কলেজের প্রোগ্রামে, পুজোর প্রোগ্রামে ও থার্টি ফাষ্ট নাইটের ড্যান্স প্রোগ্রামে অংশ নেন। এভাবে নৃত্যশিল্পী হিসাবে তার পথ চলা হয় শুরু। 2004 সালে " কর্ণাটক এ্যানুয়েল ড্যান্স ফেস্টিভল 2004" এর "ফ্যাশন শো"তে (সিনিয়র গ্রুপে) প্রথম পুরস্কার পান ও ব্রেক ড্যান্স কম্পিটিশানে দলীয়ভাবে দ্বিতীয় পুরস্কার পান এবং তার গ্রাজুয়েশান কমপ্লিট করেন। 2004 সালের শেষের দিকে ভিসা নিতে বাংলাদেশে আসেন ও দীর্ঘ সাত মাস বাংলাদেশ থাকার পর





উচ্চ শিক্ষার্থে লন্ডন যাবার জন্য IELTS কোর্স করতে মার্চের দিকে ব্যাঙ্গালোর যান। গিয়ে জানতে পারেন- নারী সংক্রান্ত একটি ঝামেলার কারণে গুপ্ত ড্যান্স একাডেমীর কার্যক্রম দীঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে আছে। তিনি তা পুর্নগঠনের চেষ্টা করে বুঝতে পারেন সবাইকে গ্রুপে রাখলে আবারো ঝামেলার সৃষ্ঠি হতে পারে। তাই ইন্সপেরিয়াল ড্যান্স একাডেমীর আমন্ত্রনে সাড়া দিয়ে তাদের সাথে নিয়মিত নৃত্য প্রেকটিস করেন এবং " কর্ণাটক এ্যানুয়েল ড্যান্স ফেষ্টিভল 2005" এর ব্রেক ডান্স বিভাগে ইন্সপেরিয়াল ডান্স একাডেমীর অন্যান্য নৃত্যশিল্পীদের সাথে দলীয় ভাবে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে২৭ টি দলকে হারিয়ে দিয়ে প্রথম পুরস্কার পান।



গ্রুপের সকল সদস্যদের সাথে পুরস্কার গ্রহণের পর বিজয়ীদের দলপতি ( উল্লেখ্য এ বছরের এ প্রতিযোগিতায় সকলের সম্মতিক্রমে তিনই গ্রুপের দলপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরের বছর দলপতি নির্বাচিত হবেন গ্রুপের অন্য কোন নৃত্যশিল্পী।) একজন বিদেশী নাগরিক জেনে একমাত্র মিস্টার চৌধুরীকে উপস্থাপিকা তার সাক্ষাতকার গ্রহনের জন্য তাঁকে মঞ্চে আমন্ত্রন জানানসাক্ষাতকার সহ পুরো অনুষ্ঠানটি স্থানীয় চারটি টিভি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।



মুর্হুতেই এই বাঙ্গালীর কৃতিত্বের কারণে টিভি সেটের সামনে বসা ব্যাঙ্গালোরিয়ানদের প্রত্যেকের কানে "বাংলাদেশ" শব্দটি সগর্বে ঢুকে পড়ে। তাই প্রোগ্রাম শেষে বিজয়ী এই নৃ্ত্যশিল্পী মিস্টার এম. এম. চৌধুরী হাজার হাজার দর্শকের অভিবাদন, হ্যান্ডশেক ও ফুলবৃষ্টির মুখোমুখি হন। এতে গ্রুপের সবাই মুগ্ধ হলেও দর্শকদের বিশাল ভিড় সামলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে দারুন বিপাকে পড়েন দায়িত্ব রত পুলিশ ও বিজয়ী গ্রুপের সবাই। ভিড়ের অনেকে ততক্ষনে চারদিকে " বাংলা হিরো-বাংলা হিরো" করে স্লোগান তুলে।



দর্শকদের ভিড় ঠেলে প্রায় এক কি: মি: পথ ভক্তদের সাথে হ্যান্ডশেক করে করে এগিয়ে যেতে মিস্টার চৌধুরীর ও তাঁকে নিরাপত্তা দানকারী গ্রুপের সবার প্রায় দুই ঘন্টার কাছাকাছি সময় নষ্ট হয় ও সবাই অত্যধিক ক্লান্ত হয়ে পড়েন এবং নিরুপায় হয়ে পুলিশের গাড়িতে করে গ্রুপের সবাই অনুষ্ঠান প্রাঙ্গন ত্যাগ করেন। ফলে কম সময়ের মধ্যে অতি দ্রুত "বাংলা হিরো" নামে চারিদিকে মিস্টারর চৌধুরীর আরো খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। পরদিন থেকে যেদিকেই যাচ্ছেন হুন্ডায় করে বা হেঁটে, পরিচিত-অপরিচিত তরুন-তরুনীদের " হাই-হ্যালো" লেগেই আছে। এত অল্প সময়ের মধ্যে নিজের এত জনপ্রিয়তা দেখে তিনি নিজেই বোকা বনে যাচ্ছেন।



এরই কয়েকদিন পর যখন তিনি আবারো IELTS ক্লাস রিগুলার করছেন, তখন হুট করে রাতের ৯:৩০ ( বাংলাদেশে তখন রাত ১০:০০ টা) এর পর এসপি অফিসের ফরেইনার সেকশানের পুলিশ অফিসার দুজন কনস্টেবল নিয়ে মিস্টার চৌধুরীর ফ্ল্যাটে এসে মস্টার চৌধুরীর কাছ থেকে 500 ডলার ঘুষ দাবী করেন ( বাংলায যা ৩০,০০০টাকার বেশী,তখন প্রতি ডলার ছিল ৬২ টাকা) মিষ্টার চৌধুরী সাথে সাথে এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেন ও সিঙ্গল ওয়ান রুপিও ঘুষ কাউকে দেবেন না জানিয়ে দিয়ে এসপিকে সবকিছু জানাবার হুমকি দেন। তখন সেই পুলিশ অফিসার মিষ্টার চৌধুরীকে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে বাংলাদেশ ফেরত পাঠাবার হুমকি দেন। মিষ্টার চৌধুরী তাতেও না দমে তাদের সামনে দিয়ে হুন্ডা নিয়ে ইনষ্টিটিউটের ডাইরেক্টরের উদ্দেশ্যে ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে পড়েন। আলাপ শেষে নিজ কক্ষে ফিরে আসেন। পরদিন দুজন সাংবাদিক নিয়ে এস.পি. ও থানায় ওসিকে অবহিত করেন। ফলে উক্ত পুলিশ অফিসার নিজের অপরাধ ঢাকতে মিস্টার চৌধুরীর বিরুদ্ধে কয়েকটি মিথ্যে অভিযোগ তৈরী করেন, যা তদন্তে মিথ্যে প্রমাণিত হয়। মি: চৌধুরী, বাঙ্গালোরের বাসান্ত নগরের ডিসট্রিক্ট এসপির কাছে উক্ত পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ডিউটির সময়ের পরে ফরেইন ষ্টুডেন্ট এর বাসায় গিয়ে ঘুষ দাবীর ও না দিলে দেশে ফেরত পাঠাবার হুমকি প্রদানের অভিযোগ তুলে তাকে সাত বছরের জন্য চাকুরী থেকে সাসপেন্ড করান। এ যেন দূর্নীতিবাজ ইন্ডিয়ান ‍পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশী ছাত্রের এক বিরাট বিজয়। এরপর স্থানীয় বন্ধুদের অনুরোধে ভিন্ন ভাষী বন্ধুদের মাধ্যমে "ভালোবাসা দু:স্বপ্ন (আই.এস.বি.এন. প্রাপ্ত)" উপন্যাসটিকে হিন্দী ভাষায় অনুবাদের কাজ শুরু করেন। এ বছরের শেষ নাগাদ 34 টি চিত্রকর্মের কাজ শেষ করেন (ভারতের বাঙ্গালোরে ও আবুধাবীতে একক চিত্র প্রদশনী দেবার লক্ষ্যে।



নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে IELTS কোর্স সমাপ্ত করেন কিন্তু ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সুবিধা অসুবিধার কথা ভেবে ইংল্যান্ডে এম. এসসি. ইন কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বা এম.বি.এ. ইন ম্যানেজম্যান্ট করার পরিকল্পনা বাতিল করেন এবং এম. এসসি. ইন কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং- এ ভতি হন এবং ড্রীম স্কোপ থিয়েটারে অডিশানের মাধ্যমে ন্যাট্যভিনেতা নির্বাচিত হন। কিন্তু 2006 সালের 18 ই জুলাই পযন্ত ভিসা না থাকায় কর্নাটক এ্যানুয়েল ডান্স ফেষ্টিভল 2006 তে অংশ গ্রহণ করতে ‍পারেন নি। নতুন ভিসার জন্য বাংলাদেশ আসতে তিনি ১১-ই জুলাই ব্যাঙ্গালোর ত্যাগ করেন।‌নতুন ভিসা নিতে বাংলাদেশে আসেন। কিন্তু জোট সরকারের পদত্যাগের পর রাজনৈতিক অঙ্গন হঠাৎ হঠাৎ ভিন্ন ভিন্ন রুপ ধারণ করাতে জনমনে শংকা বাড়তে থাকে। সেই সাথে পেছাতে থাকে মিষ্টার চৌধুরীর ভারত গমনের তারিখ । তত্বাবধায়ক সরকার এসে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করে রাজনীতির সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের (নিদোর্ষ হলেও) বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করার কৌশল হিসেবে নৌবাহীনীদের ক্যাম্পে অভিযোগ বক্স বসায়। মিষ্টার চৌধুরীর পিতা ছিলেন একজন প্রভাবশালী সক্রিয় রাজনীতিবিদ , যিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদী ও দূর্নীর্তির বিরুদ্ধে অনড়, তাই দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দও তাঁকে সহ্য করতে পারেননা । ঘরে বাইরে তার গোপন শত্রুর অভাব নেই। কিন্তু সেসব শত্রুদের কারো প্রকাশ্যে শত্রুতামী করার শক্তিও নেই সাহসও নেই। ফলে, তারা ছদ্মনামে নৌবাহিনীদের অভিযোগ বক্সে সাজানো ও ভিত্তিহীন অভিযোগপত্র ফেলে আসে। ফলে একটা সমস্যার সৃষ্টি হয়। কিন্তু মিস্টার চৌধুরী সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করতে পছন্দ করেন আর পছন্দ করেন সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার পরপরই তা সমাধানের পথ খুজে বের করা। সৃষ্ট সমস্যার কারণে তিনি সিদ্ধান্ত নেন- সমস্যা থেকে মুক্ত না হওয়া পযর্ন্ত তিনি দেশেই থাকবেন।



তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষের প্রতিটা মিনিট পার হত- মিথ্যে অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে সামারিকের হাতে নির্যাতিত হবার / নির্যাতনের মাধ্যমে মৃত্যুবরণ করার আতংকে।কারণ, ইতিমধ্যে সারাদেশে অনেকে মিথ্যা অছভযোগে অভিযুক্ত হয়ে সামরিক / নৌ-বাহিনীর লোকদের মাধ্যমে অকথ্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন। দেশের একজন প্রথম শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে সামরিক / নৌ-বাহিনীর লোকদের এসব কর্মকান্ডকে তিনি সমর্থন করেননা। কারণ বাহিনীর লোক হলেও তারা যেমন এমবিবিএস না পড়ে কাউকে চিকিৎসা দিতে পারার কথা নয়,, তেমনি এল.এল.বি. ও বেরিষ্টারী না পড়ে তাঁরা কাউকে সাঁজা দিতে পারার কথাও নয়।যার কাজে তাকে সাঁজে, সব কাজ সবাইকে দিয়ে হয় না। হলে ডাক্তারদের এম.বি.বি.এস. পড়তে হতো না, উকিলদের উকালতি পড়তে হত না। বিচারকদের ব্যারিষ্টারী পড়তে হত না। আর যদি বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে সব কাজ সম্ভব হত, তবে দেশে এত থানা-আদালত-বিচারকের প্রয়োজন হতো না।

তবে নৌবাহিনীর উচ্চপদস্থ কিছু কর্মকর্তা খুবই জ্ঞানী ও উচ্চ শিক্ষিত। তাই তাঁরা অভিযোগ পাওয়ামাত্র অভিযুক্ত ব্যক্তি, সত্যিকারের অপরাধী কিনা জানতে, ঐ ব্যাক্তির বিরুদ্ধে থানায় কোন মামলা আছে কিনা দেখে তারপর পদক্ষেপ নেন। তবে অফিসারদের সবাই এধরনের বুদ্ধিমান নন।যে কারনে মিস্টার চৌধুরীর বুঝতে বাকি ছিল না- অল্প সময়ের মধ্যে এ সমস্যা সমাধান হবার নয়। তাই সময়কে কাজে লাগাতে তিনি শিশু কিশোরদের জন্য লিখতে শুরু করেন" পরী রানীর বন্দিশালা ( যা ২০১৩ সালের একুশে বই মেলায় প্রকাশিত হবে)" " স্বপ্ন পরীর রুপকথা " ও" ডিমের আলো" কিন্তু তার কোনোটি শেষ না করে বড়দের জন্য তিনি প্রেমের উপন্যাস " বিদেশী গ্রামের মেয়ে" লিখতে গিয়ে অতিবৃষ্টিতে ঘর-বাড়ি ডুবে যাওয়া মানুষের দূর্ভোগ দেখে তাঁর চিন্তা ভাবনা থমকে দাঁড়ায়।



বিশেষ করে, সারা পৃথিবীতে বায়ুমন্ডলের চরম উঞ্চতার কারণে সৃষ্ট বিগত ২০০৬ সালে পশ্চিম চীনের বেশকিছু এলাকায় নেমে আসা ভয়াবহ খরায়



মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ এক কোটি আশি লাখ লোকের পানি সংকটে সৃষ্ট সমস্যা ও প্রচন্ড গরমের কারণে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হাজার হাজার লোকের মৃত্যু ও একই সময়ে প্রবল বর্ষণে ডুবে যাওয়া পাকিস্তানের বন্দর নগরী করাচীর রাস্তা-ঘাট ও একই সময়ে প্রবল বর্ষনে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় তলিয়ে যাওয়া কলকাতা, অন্ধপ্রদেশ ও তামিল নাড়ুর মানুষের কষ্ট দেখে ও ২০০৭ সালে



বাংলাদেশের প্রধান প্রধান নদ-নদীগুলোতে জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত ৩৪ টি জেলার প্লাবনের পানি নেমে যাওয়ার সময় কুল



ভেঙ্গে হাজার হাজার ঘর-বাড়ি ধ্বসে নিয়ে যাওয়াতে ঘর-ভিটেহারা হাজার হাজার মানুষের গগনবিদারী কান্না ও আহাজারী লেখকের হৃদয় থেকে সেদিন রক্ত ঝারিয়েছিল, তখন তিনি মনে মনে ঠিক করেছিলেন সারাবিশ্বে অতিবৃষ্টি-অনাবৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ যে বৈশ্বিক উঞ্চতার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে সে বৈশ্বিক উঞ্চতার ব্যাপারে (যেমনঃ বৈশ্বিক উঞ্চতা কি?এর ক্ষতিকর প্রভাব কি কি? কেন এটা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে? গাছ কাটলেও এটা কেন বাড়ে? গাছ লাগালে কিভাবে এটা হ্রাস পায়?) জনচেতনতা সৃষ্টি করে বন নিধন করা থেকে মানুষকে বিরত রাখা।যাতে বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড আর বৃদ্ধি না পায় ও বৃক্ষ দ্বারা শোষিত হয়ে বায়ুমন্ডলের কার্বন বলয় ভেঙ্গে পড়ে। আর এসব কথা মানুষের কানে কানে পৌঁছে দিতে অর্থাৎ বৈশ্বিক উঞ্চতার ব্যাপারে জন-সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে তিনি সাধারণ কোনো উপন্যাস না লিখে ফিকশন ধর্মী রোমান্টিক উপন্যাস "ভালোবাসার রোদ বৃষ্টি" রচনার কাজে হাত দেন। অভিভাবকদের নেতিবাচক মন মানসিকতার কারেণে উপন্যাস রচনা করতে গিয়ে প্রতি পদে পদে বাধাগ্রস্থ হন।



কিন্তু লেখকও দমে যাওয়ার পাত্র নন। রাতের দশটায় রুমের আলো নিভিয়ে ধপাস করে বিছানার উপর পড়েন যাতে শব্দ হয় ও সে শব্দ শুনে যাতে অভিভাবকরা মনে করেন- ছেলে লাইট নিভিয়ে ঘুমাচ্ছে। ঘন্টা খানেক পর বাসার সবাই ঘুমিয়ে পড়লে তিনি বিড়ালের মতো নরোম পায়ে নীরবে ধীরে ধীরে বিছানা থেকে নেমে পড়েন ও নিঃশব্দে দরজা জানালা আঁটকে দিয়ে (যেন তিনি রুমের ভেতরে আলো জ্বেলে উপন্যাস লিখলেও কেউ বুঝতে না পারে)উপন্যাস রচনা করতে থাকেন।



পূর্বাকাশ ফর্সা হবার একটু পুর্বে তাহাজ্জুদ নামায আদায় করে ঘুমাতে যান ।এভাবে উপন্যাসটি শেষ করতে দীর্ঘ ষোলো মাস পেরিয়ে যায়।ততদিনে তার পিতার বিরুদ্ধে নৌ-বাহিনীর কাছে দেয়া অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হতে শুরু করে, তারপরও লেখকের পিতা সমস্য থেকে পুরোপুরি মুক্ত হবার আগেই তিনি লেখককে ব্যাঙ্গলোরে মার্স্টাস করতে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করেন( মুলত লেখকের উপন্যাস রচনা করাকে থামিয়ে যাওয়ার জন্য)। লেখক তখন সেটা বুঝতে না পারলে ও তখন লেখক ভাবছিলেন অন্য কথা।ব্যাঙ্গালোরে এম.এসসি.তে এ্যাডমিশান নেবার পরে বাংলাদেশে ইতিমধ্যে যখন লেখকের দেড় বছর সময় নষ্ট হয়ে গেছে আর অনেক কষ্টে রাত জেগে যখন এত বড় একটা উপন্যাস লিখতে তিনি সফলকাম হয়েছেন, তখন আরেকটা মাস ব্যয় করে উপন্যাসটা প্রকাশ করে বৈশ্বিক উঞ্চতার ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টি বা বৃদ্ধির কাজটা শুরু করে দেয়া বুদ্ধিমানের বৈ মূর্খের কাজ বলে গণ্য হবে না। কারণ বৈশ্বিক উঞ্চতার ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টি/বৃদ্ধির এটাই গুরুত্বপূর্ণ সময় । কিন্তু উপান্যাসটি প্রকাশ করতে গিয়ে লেখক বুঝতে পারলেন- বই প্রকাশ করা খুব জটিল একটা ব্যাপার। কারণ প্রকাশনা জগতের সাথে জড়িতদের প্রায় সবারই(কবি-লেখক ও সাহিত্যিকরা ছাড়া) ঈমান-জবান ঠিক নেই। সব মিথ্যুক, দু'নম্বর ও ধান্দাবাজ। লেখকও অবশ্য হাল ছেড়ে দেবার পাত্র নন, যা করবেন বলেন তা করেই ছাড়েন । তাই অভিভাবকদের প্রবল বিরুধীতা স্বত্বেও অটল সিদ্ধান্তের কারণে তাদেরকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশনা জগতের ধান্ধাবাজ মিথ্যুক লোকদের উপর প্রেসার ক্রিয়েট করে উপন্যাসটি প্রকাশ করতে সক্ষম হন।



আর উপন্যাসটি প্রকাশিত হবার পরপরই সকল বয়সের বই পড়ুয়া পাঠকদের কাছে বিশেষ করে স্কুল,কলেজ ও ভার্সিটিগামী তরুন তরুনীদের কাছে প্রিয় উপন্যাসে পরিনত হয় এবং তিনি পরিণত হন তাদের প্রিয় লেখকে ও প্রিয় এক স্বপ্নে ।যা পাঠক পাঠিকাদের ফোনে প্রেরণ করা বিভিন্ন এসএমএস ও কল থেকে অনুমান করা যায়।



সারা বাংলাদেশের মধ্যে উপন্যাসটি বাজারে আসার সাথে সাথে স্বল্প সময়ের মধ্যে অতিদ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গার চেয়ে চকরিয়ার চিরিঙ্গায়। কারণ, লেখক উপন্যাসটির কম্পোজের কাজ চকরিয়ার বিভিন্ন কম্পোজের দোকানে করার সময় কম্পোজ করা অংশ গুলো শুনে অনেকে আকৃষ্ট হয়ে (কম্পোজের সময়) বয়সে তরুণদের অনেকে কম্পোজের দোকানে ভিড় জমাত। এ খবর তখন একজনের কাছ থেকে অন্য জনের কানে গড়াতে গড়াতে চকরিয়ার চিরিঙ্গার প্রায় দেড শতাধিক তরুন ব্যবসায়ীর প্রত্যেকে উপন্যাসটির ১টি করে কপি নিজ সংগ্রহে রাখার জন্য প্রকাশের অপেক্ষায় ছিল। কম্পোজের কাজ চলাকালীন সময়ে তাদের প্রত্যেকে কম্পিউটারের দোকানে উপস্থিত হয়ে উপন্যাসটির কাহিনী শুনত, না শুনা অংশ পরদিন শুনার জন্য আধীর আগ্রহে বসে থাকত। ঠিক যেন TV সিরিয়ালের কাহিনীর মতো। কম্পোজকালীন সময়ে কখনো কখনো লেখক এসে হাজির হলে লেখকের সাথে হ্যান্ডশেক করে অনেকেই কাহিনীর ভূয়সী প্রসংশা করতেন। আর উপন্যাসটি সংখ্যায় কম প্রকাশিত হওয়াতে চকরিয়ার মাকের্টেও সীমিত সংখ্যাক বই আসে।



যা দ্রুত বিক্রি হয়ে একজনের হাত হতে অন্যজনের হাতে গঁড়াতে শুরু করে। এরই ফাঁকে উপন্যাসটির ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হতে হতে দেখে চকরিয়ার লাইব্রেরীয়ানরা তাদের লাইব্রেরীর সেলফ থেকে "ভালোবাসার রোদ বৃষ্টি" উপন্যাসের সবক'টি সংখ্যা ক্রেতার দৃষ্টির আড়াঁলে সরিয়ে রেখে মাত্র ১টি কপি সেলফে রেখে মার্কেট শর্ট অজুহাত দেখিয়ে ২০০ টাকা (বিক্রি মূল্য ১২০)মূল্যের উপন্যাসটি কখনো ৫০০, কখনো ৫৫০, কখনো ৭০০ কখনো আরো বেশি মূল্যে বিক্রি করেছে।

বেশি দামে উপন্যাস ক্রেতাদের অধিকাংশ বয়সে তরুণী আর অধিকাংশ বই কেনা হয়েছে বিয়ে কিংবা জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপহার হিসেবে প্রদানের জন্য। ঢাকার ভার্সিটির এক শিক্ষার্থী ঠাকুর গাও এর প্রেমিকাকে গিফট করার জন্য ঢাকার সব জয়গায় খোজার পর কোথাও না পাওয়ায় বসুন্ধারা সিটি থেকে কিনতে বাধ্য হয়েছে ১৫০০টাকায় [ ফোনে এসব কাহিনী শুনে লেখক অবাক,বইটি পড়ার পর ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে পাঠিকাভক্ত লেখককে এসব কাহিনী জানান] আর চকরিয়া থেকে ৭০০ টাকায় কেনা উপন্যাসটির পড়ার পর ভালো লাগাতে পাঠিকা লেখককে উঞ্চ শুভেচ্ছা জানান-প্রিয় লেখকের অটোগ্রাফ কামনা করেন ও বাড়িতে দাওয়াত করেন । চকরিয়ার প্রায় শতাধিক পাঠক-পাঠিকাদের বাড়িতে দাওয়াত পেয়েছেন।



বেশি মূল্যে বই বিক্রির আরো অহরহ ঘটনা শুনার পর লেখক বই বিক্রেতা লাইব্রেরীয়ানদের ফোনে বার বার সঠিক মূল্যে বিক্রি করার অনুরোধ জানালেও তারা লেখককে আশ্বস্থ করেন ঠিকই, কিন্তু আবারো বেশি মূল্যে বিক্রি করার কাজে তৎপর হয়ে উঠেন। শুধু ঢাকা - চকরিয়া - কক্সবাজার বা অন্য কোথাও নয় । স্বয়ং লেখকের জন্মভুমি কুতুবদিয়াতেও প্রতিটা ক্রেতা একই ধরনের ভোগান্তির শিকার হয়েছে। উপন্যাসটি প্রকাশিত হওয়ার পর পাঠক সমাজে ব্যাপক ভাবে সমাদৃত হওয়ায় লেখক দৈনন্দিন কাজে যেদিকেই যাচ্ছেন কিংবা আমন্ত্রিত হয়ে বিয়ে,জন্মদিন বা অন্য যেসব প্রোগ্রামে গেছেন চারপাশের ছেলে-বুড়ো-তরুন-তরুনী তাকে অবাক হয়ে দেখেছেন আর একে অপরকে বলেছেন "দ্যাখ দ্যাখ ভালোবাসার রোদ বৃষ্টি আসছেন " এভাবে শেষ-মেষ ভালোবাসার রোদ বৃষ্টি উপন্যাসের নামটিই হয়ে উঠে লেখকের নাম। কুতুবদিয়ায় তংকালীন তত্বাবধায়ক সরকার প্রেরিত নৌ-বাহিনী কমান্ডার জনাব- মেজর মশিউর রহমান, ভালোবাসার রোদ বৃষ্টি উপন্যাসটি পড়ে (বিশেষ করে বৈশ্বিক উঞ্চতার সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও পুরো উপন্যাসের সর্বত্র স্বদেশের প্রতি লেখকের যে অকৃত্রিম ভালোবাসার কথা তারঁ লেখনীতে আন্তবিক ভাবে ফোঁটে উঠেছে,সেজন্য)লেখককে আমন্ত্রন জানান,সংবর্ধ্বনা দেন এবং বচনা শৈলীর ভূয়সী প্রশংসা করেন।



পাশাপাশি লেখক উচ্চ শিক্ষার্থে ভারতের ব্যাঙ্গালোরে যাওয়ার পরিবর্তে অস্টেলিয়ার সীডনিতে যাবার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমর সাথে যোগাযোগ করতে শুরু করেন। এরই ফাঁকে নিয়মিত শিল্পী হিসেবে বাংলাদেশ বেতার, কক্সবাজারের তালিকা ভুক্ত হতে অডিশানে অংশ নেন এবং বিটিভির সিসিমপুর অনুষ্ঠানের অডিশানে অংশ গ্রহণ করে অভিনেতা নির্বাচিত হন। কিন্তু সিসিমপুরে এক নাগাড়ে দুই বছর কাজ করতে হবে (যেখানে ১২ মাসের মধ্যে ৮ মাস সুটিং ,৪ মাস বিরতি)এবং এই দুই বছরের মধ্যে কোনো কলেজ/ভার্সিটি / ইনষ্টিটিউটে কোন পড়ালেখা করা যাবে না ও কোথাও কোনো চাকরি করা যাবে না।



বিরক্তিকর শর্তের সাথে একমত হতে না পেরে অভিভাবকদের সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়ে তিনি তা ত্যাগ করেন। [কারণ তথাকথিত ২ বছরের মধ্যে যদি অস্ট্রেলিয়া যাবার কাগজ-পত্র হাতে এসে যায়,তখন কারো কিছুই করার থাকবে না।] কিন্তু অস্ট্রেলিয়া যাবার স্টুডেন্ট ভিসার প্রসেসিং এর পেছনে বছর খানেক কিংবা তারও অধিক সময় ব্যয় হতে পারে তাই সে সময়টাকে চাকরি করে ১ বছরের ১টি জব এক্সপেরিয়ান্স র্সাটিফিকেট পেতে (

মন্তব্য ৯১ টি রেটিং +২৭/-০

মন্তব্য (৯১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২৪

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: তিনি একাধারে চিত্রশিল্পী,নৃত্যশিল্পী,কথাশিল্পী,কন্ঠশিল্পী,প্রচ্ছদশিল্পী,ভাস্কর্যশিল্পী,গীতিকার, সুরকার, থিয়েটার অভিনেতা, মডেল ও মিউজিক ভিডিও নির্মার্তা।

২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩৬

ইমানুয়েল বলেছেন: =p~ =p~ =p~ :-B

৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৯

আহমেদমিশুক বলেছেন: বিদেশে শিক্ষাঙ্গনে নবাগত স্বদেশীদের উপরে সিনিয়রদের সকল প্রকারের রাগিং বা নীরব সন্ত্রাস বন্ধের লক্ষ্যে 2013-2014 অর্থ বছরে নিজ পরিচালনায় তিনি নির্মাণ করতে যাচ্ছেন এ্যাকশানধর্মী পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি " শিক্ষাঙ্গনে রেগীং কেন?" [অভিনয়ে আগ্রহীরা যোগযোগ করুন 0088-01813830103 সবকটি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নায়ক নায়িকা খোঁজা হচ্ছে। ফরম ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন: ){ ছবির প্রযোজক বা স্পন্সর হতে আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন ০০৮৮-০১৮১৩৮৩০১০৩ নাম্বারে} :-B :-B :-B :-B :-B

৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১০

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: এই পোস্ট এ না এলে আমার ব্লগিয় জীবনই বৃথা হয়ে যেতো। :((

৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৩৩

শিপু ভাই বলেছেন: ডাইরেক্ট প্রিয়তে!!!

এরকম প্রতিভাধর পৃথিবীতে আসে লক্ষ বছরে একজন।
আপনার আনির্ভাবে বংগজননী আজ ধন্য হে মহা মনিষী!!!
আপনার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।




পোস্টটি স্টিকি করা হউক। ব্লগ বাসীকে এই মহান প্রতিভাবানের সাথে পরিচিত করানো হউক।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:২৭

ঔপন্যাসিক সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।আপনি ঠিক বলেছেন। তবে অপেক্ষায় আছি- কবে নির্বোধ গুলোর সুবুদ্ধি হবে আর সত্যকে সত্য বলে মেনে নিতে অভ্যস্থ হবে

৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:১৯

সায়েম মুন বলেছেন: এই লেখাটা বাধায়া স্কুলের একাডেমিক ক্যালেন্ডারে ঝুলাইয়া দেয়া হউক। প্রতিভা কারে কয় কত প্রকার ও কি কি পিচ্চি পাচ্চারা এই লেখা পড়ে শিখুক।

৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:২৫

লওল০০৭ বলেছেন: আমার ব্লগীয় জীবন আজ ধন্য হল :!> :!> :!>

৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:৩৪

আইজাক_নিউটন বলেছেন: আপনার প্রতিভা এবং অধ্যবসায় ভাল লেগেছে। নিন্দুকের মুখে ছাই দিয়ে এগিয়ে যান। পৃথিবীর ইতিহাসে স্থান করে নিন। শুভকামনা রইল।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:০৫

ঔপন্যাসিক সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের মনে যখন স্থান পেয়েছি- আপনাদের সকলের দোয়া ও ভালো বাসার কারণে পৃথিবীর ইতিহাসেও নিশ্চয় স্থান পেয়ে যাবো। আপনার জন্যও রইল শুভকামনা রইল ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময় ।

৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:২২

আশিকুর রহমান অমিত বলেছেন: আমার কি যে আনন্দ লাগছে বলতে পারব নাহ, বাংলাদেশে যে এত বড় গুনী মানুষ আছে!!!! এই পোষ্ট স্টিকি করার তেব্র দাবী জানাচ্ছি।
সবচে ভাল লেগেছে প্লেনের ছবিটা, কোন এয়ারলাইন্স?

১০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৫৯

মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন:
এই পোস্ট স্টিকি হইতেছে না কেনু B:-)

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৪৬

ঔপন্যাসিক সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। ধীরে ধীরে আপনার আাশা পূরণের চেষ্টা নিশ্চয় সামু করবে ।

১১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:৩৪

রতন সুন্দর পাড়ই বলেছেন: ভাই আপনার মত প্রতিভাধর ব্যক্তির আলোকছটায় সামু জ্বলজ্বল করছে। ইন্টারনেট দুনিয়ার এপাশ-ওপাশে যার আলোয় মানুষ ২য় সূর্য্যকে সন্ধান করছে। মনিটরের এত উজ্জলভাবে জ্বলছে দেখে গুগলে সার্স করে আপনার সন্ধান পেলুম। তাইতো আজ প্রায় ৯ মাস পর সামুতে লগইন করলাম শুধুমাত্র একটি মন্তব্য করার জন্য। আপনার লেখা পড়াতে আমার জীবন ধন্য।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৫৬

ঔপন্যাসিক সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু বলেছেন: লাল গোলাপ শুভেচ্ছা ও অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমার লেখা পড়ে আপনার ভালো লেগেছে শুনে আমার নিজেরও খুব ভালো লাগছে। ভালোবাসার প্রতিদান দিতে কষ্ট করে বড় ও অর্থপুর্ণ মন্তব্য লেখার জন্য রইল শুভকামনা- রইল ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময় ।

১২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:২১

মোকাম্মেল ওয়াহিদ বলেছেন: অনেক আগে গালিভার্স ট্রাভেলস লিখা হয়েছিল পলিটিক্যাল স্যাটায়ার হিসেবে, আপনার এই লেখাতে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটা স্যাটায়ার হবার সব উপাদান আছে।

১৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:১০

েমেেঘলা আকাশ বলেছেন: টেইলর দেখে আর কমেন্টস পড়েই ব্যাপক মজা পেলাম বাকীটা পড়ার ধৈর্য্য নাই..। :P

ভাই চালায় যান আমরা আসি আপনার পাশে...। B-) B-)

১৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৫৬

নাঈম আহমেদ বলেছেন: আমার ব্লগীয় জীবন আজ ধন্য হল :`> :`> :`>

১৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:০৯

ফয়সাল তূর্য বলেছেন: সোজা প্রিয়তে!! =p~ =p~ =p~

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:১৬

ঔপন্যাসিক সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনারদের ভালোবাসার টানে বার বার মুগ্ধ হচ্ছি । ভালো থাকবেন সবসময় ।

১৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৫৪

ম্যাভেরিক বলেছেন: লেখার ভাষা দেখে মনে হয়, তালে ঠিকই আছে। রেসিডেন্ট বলিয়া প্রতীয়মান হয়।

১৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৫৮

আমি তানভীর বলেছেন: সামুর প্রায় এক লক্ষ ব্লগারদের বিনুদিত করার দায়িত্ব আপনি নিজ ঘাড়ে তুলে নিয়েছেন সে জন্য আপনাকে ধন্যবাদ =p~ =p~ =p~

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:১১

ঔপন্যাসিক সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু বলেছেন:
আমি বাংলা ভাষার লেখক, সামু সেই বাংলা ভাষার বিশাল এক ব্লগ সাইট। দায়বদ্ধতার কথা ভেবে নিজ দায়িত্ব পালনে এগিয়ে এসেছি। আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:১৩

জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
মুগ্ধ হলাম এমন প্রতিভায়.......

পোষ্ট প্রিয়তে......

শুভকামনা .........

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৪৫

ঔপন্যাসিক সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু বলেছেন: লাল গোলাপ শুভেচ্ছা ও অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:১৪

আরিয়ানা বলেছেন: কঠিন ব্যপার !!

২০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৯

ঔপন্যাসিক সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু বলেছেন:




ভাই, কিছু মনে কইরেন না, উপরে আর দেয়া যাচ্ছে না- তাই বাকিটা এখান থেকে পড়ে নিন প্লিজ..............




বিরক্তিকর শর্তের সাথে একমত হতে না পেরে অভিভাবকদের সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়ে তিনি তা ত্যাগ করেন। [কারণ তথাকথিত ২ বছরের মধ্যে যদি অস্ট্রেলিয়া যাবার কাগজ-পত্র হাতে এসে যায়,তখন কারো কিছুই করার থাকবে না।] কিন্তু অস্ট্রেলিয়া যাবার স্টুডেন্ট ভিসার প্রসেসিং এর পেছনে বছর খানেক কিংবা তারও অধিক সময় ব্যয় হতে পারে তাই সে সময়টাকে চাকরি করে ১ বছরের ১টি জব এক্সপেরিয়ান্স র্সাটিফিকেট পেতে (কেননা উন্নত বিশ্বের কলেজ / ভার্সিটি গুলোতে এম.বি.এ. -করতে ১ বছরের "জব এক্সেপেরিয়েন্স সার্টিফিকেট" সাবমিট করতে হয়।) ঢাকার একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে কর্মকর্তা পদে চাকরি নেন। কিন্তু মাস তিনেক পার হতে না হতে একুশে বই মেলা ২০০৯ ঘনিয়ে এলে বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাটির মাধ্যমে বই মেলায় অংশগ্রহণ করেন। বই মেলায় লেখক মানেই যেন নীল আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্র।


তাই সকল পেশার,সকল শ্রেণীর ও সকল বয়সের সব মানুষ যেন বই মেলায় কবিং লেখকদের সমীহ করার, তাদের এক পলক দেখার ও অটোগ্রাফ নেয়ার জন্য গভীর আগ্রহের সাথে অপেক্ষায় থাকেন। বই মেলায় লেখকদের প্রতি বই প্রেমী মানুষের অগাধ ভালোবাসা, গভীর শ্রদ্ধা ও প্রবল আগ্রহ লেখক সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনুকে প্রতিদিন-প্রতিক্ষণ আবাক ও মুগ্ধ করেছে।

সবাইকে তিনি অন্তর থেকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছিলেন-যেদিন যানজটের কারণে বই মেলায় ঠিক সময়ে পৌছঁতে দেরী হয়েছিল অথচ সেদিন চ্যানেল আই-এ সাক্ষাতকার দেয়ার কথা ছিল। শাহবাগে পৌছেঁ দেখেন হাতে আছে মাত্র পনের মিনিট। আগেরদিন ঢাকার নিকটে গাজীপুরে বোমাসহ কয়েকজন আতংকবাদী ধরা পড়াতে বই মেলায় নিরাপত্তা বেষ্টানী ছিল নিশ্ছিদ্র ও প্রশংসা যোগ্য। তাই প্রতি কদমে কদমে নিরাপত্তাবাহিনীর লোকদের হাতে সবাইকে তল্লাশী ও জেরার মুখোমুখি হতে হচ্ছিল।
এতে অবশ্য বই মেনায় আগত লেখক-পাঠক ও প্রকাশকদের সকলে খুশি ও শংকাহীন। কিন্তু উপন্যাসিক সাঃ উঃ জাঃ মোঃ-----------মজনুর হাতে ছিল মাত্র পনের মিনিট আর হেটে টি,এস,টি, হতে বই মেলার প্রবেশ দ্বারের রাস্তা পযর্ন্ত যাবার দীর্ঘ পথ জুড়ে ছিল প্রায় ২/৩ হাজার মানুষের দীর্ঘ ২ টি লাইন। সেই লাইনে করে বই মেলায় যাবার রাস্তায় ঢুকতে কম করে হলেও ঘন্টা দেড়েকতো লাগবেই। তা ছাড়া লাইনের মধ্যখানেও কারো ঢুকার কোনো সুযোগ নেই, এতো সবারই জানা কথা। ততক্ষনে চ্যানেল আই'য়ের প্রতিনিধি ফোনে বার কয়েক বললেন- "তাদের সবকিছু রেডি। ইতিমধ্যে অনেক দেরী হয়ে গেছে, তাই আর দেরী না করতে।" তখন লেখক অন্যদের মতো লাইনে না দাঁড়িয়ে দুঃসাহস করে সরাসরি প্রবেশ দ্বারের দিকে ছুটলেন ।

ততক্ষনে ৫ মিনিট পেরিয়ে গেছে। লাইনের পাশ দিয়ে দ্রুত হেঁটেঁ যাবার সময় লাইনে দাড়াঁনো লোকজনের উদ্দেশ্য বললেন- "আমি একজন লেখক, ১০মিনিট পর চ্যানেল আই'তে আমার সাক্ষাৎকার আছে।কাইন্ডলি আমাকে একটু লাইনে ঢুকতে দিন" বলার সাথে সাথে লাইনে দাঁড়ানোদের বেশ কযেকজন বললেন- "এদিক দিয়ে ঢুকুন।" সময়ের স্বল্পতার কারণে তিনি লাইনে ঢুকে আবার লাইন থেকে বেরিয়ে প্রবেশ দ্বারের দিকে যেতে যেতে আবার লাইনে ঢুকেন- আবার বেরিয়ে গিয়ে আরো কিছুদুর যাবার পর লেখক পরিচয় দিয়ে আবার লাইনে ঢুকে আবার বেরিয়ে যান। এভাবে সরাসরি প্রবেশদ্বারে গিয়ে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকদের লেখক পরিচয় দিয়ে চ্যানেল আই'তে মিনিট তিনেক পরে সাক্ষাৎকারের কথা বলে একটি ডকুমেন্ট দেখানোতে লাইনের বাইরে থেকে কেবল তাঁকে ও তারঁ সহযোগীকে আইন শৃংখলা রক্ষাকারীরা বাহিনীর লোকজন প্রবেশ দ্বার দিয়ে ঢুকতে দেন। এরপর বাংলা একাডেমীর গেইটের দিকে যাবার সময় লেখকের সহযোগী ভিড়ের লোকজনের উদ্দেশ্য "লেখককে যেতে দিন -লেখককে যেতে দিন।" বলার সাথে সাথে ভিড়ের সবাই জায়গা করে দিচ্ছিলেন ও তাকে অপলক দেখছিলেন।

গেইটে দাড়াঁনো পুলিশের লোকজনও লেখক পরিচয় পেতেই বন্ধ গেইটের তালা খুলে কেবল তাকে ও তাঁর সহযোগীকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেন। (বাকিদের ঢুকতে হচ্ছিল অন্য গেইট দিয়ে।)এভাবে সবার সহযোগিতা পাওয়াতে সেদিন তিনি চ্যালেন আই'তে সাক্ষাৎকার দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য সহযোগিতাকারীদের সবার প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ। তিনি কেবল চ্যানেল আই'তে নয়, (অন্যান্য দিন) বাংলাভিশন, একুশে টিভিচ্যানেল, বৈশাখী টিভি চ্যানেল ও একটি ওয়েব সাইটে সরাসরি সাক্ষাৎকার দেন। ঢাকার আলোচিত ট্যাবলয়েড পত্রিকা "দিনের শেষে'র সাংবাদিক একে আজাদ সুন্নী



এরপর
তিনি বাংলার অহংকার -4




আজে-বাজে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলে আপনাদের কাউকে ব্লক করা হকে না, ধন্যবাদ।

২১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৪১

জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
৬০ নং মন্তব্যের মাধ্যমে আরো অনেক কিছু জানলাম......

কারো কথায় আপনি কিছু মনে করবেন না......
সবাই আসলে আপনাকে উৎসাহ দিচ্ছে... কাউকে ভুল বুঝবেন না আশাকরি।

কাউকে যদি ব্লক করেন... প্লিজ ব্লক তুলে নিন। আপনার মত মহান ব্যক্তির পক্ষে ব্লক করা মানায় না ......

শুভকামনা আপনার জন্য ........

আর নিয়মিত আপডেট দিবেন......

২২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৩৮

ঔপন্যাসিক সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু বলেছেন:





ভালোবাসার রোদ বৃষ্টি -

বিস্তারিত এখান থেকে পড়ে নিন

----------সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু,











প্রচ্ছদ:- চিত্রশিল্পী এম.এম. চৌধুরী


এ গ্রন্থ গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কপিরাইট আইনের আওতায় নিবন্ধনকৃত।ঔপন্যাসিকের লিখিত অনুমতি ছাড়া এ বইয়ের কোন অংশ হুবহুু বা আংশিক পরিবর্তন করে প্রকাশ বা প্রচার কিংবা চিত্রনাট্য তৈরী করা দন্ডনীয় অপরাধ।

স্বত্ত:- ঔপন্যাসিক কতৃক সর্বস্বত্ত সংরক্ষিত।













ইন্ডয়িার ব্যাঙ্গালোর শহর, যেন শিল্পীর আঁকা কোন ছবি। সে ছবির বুক চিরে নদীর মতো এঁেক বেঁকে নীরবে চলে গেছে এর রাস্তা ঘাট। সে রাস্তার দু’ধারে মুর্তির মতো দন্ডায়মান দালানের সারি, যেন শহরের পাহারার দায়িত্বের ভার আর কাউকে দিতে নারাজ। দালানের পেছনে আকাশ চুম্বী পাথরের পাহাড়। পাহাড়ের গায়ে শোভা বর্ধনকারী রকমারি গাছের নিবিড় অরণ্য। রাস্তার দু’ধারে লাল-হলুদ ফুল বাগানের সারি। সে আকাঁবাঁকা মসৃণ রাস্তায় বিরামহীন গাড়ি চলার শহর ব্যাঙ্গালোর।শর্ট ড্রেসের তিলোত্তমারা হুড়োহুড়ি করে রাস্তা পারাপারের দৃশ্যের শহর ব্যাঙ্গালোর। উন্মনা হয়ে কদম বাড়ালেই রূপযৌবনা কোন যুবতীর সাথে ধাক্কা খেয়ে রোমাঞ্চিত হবার শহর ব্যাঙ্গালোর। চলন্ত লিফ্টে চেনা কোনো দিব্যাঙ্গনার উষ্ণ ঠোঁেট কিস বসিয়ে তৃষ্ণা মেটাবার শহর ব্যাঙ্গালোর। ব্যাঙ্গালোর দুপুরের পুকুরের মতো কখনো রোদে চিক্মিক্ করে, কখনো সর্পিলাকার ট্রেন চলার মতো ঝন্ঝন্ শব্দের বৃষ্টিতে ভিজে একাকার হয়ে যায়, কখনো বরফ সাদা কুয়াশায় ঘুমিয়ে পড়ে, কখনো পাহাড়-চূড়া ও মেঘরাশি একাকার হয়ে মুগ্ধ করে কবি-শিল্পীদের।
আজ সকালে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেল। তাই, সদ্যস্নাত নারীর চুল হতে যেভাবে ফোটায় ফোটায় পানি ঝরে, সেভাবে টুপটাপ পানি ঝরা গাছের নিচ দিয়ে সরকারী বাসখানি এগিয়ে চলছে, বিড়ালের মতো নরোম পায়ে দ্রুত গতিতে।
ততণে রাস্তার পাশের সাইনবোর্ড গুলো যেন উঁকি দিয়ে বলছে “কী? আমাকে চেননা নাকি? আমি ব্যাঙ্গালোরের ম্যাজিষ্ট্রীক।”
তখন গাছের ডালের ভেতর দিয়ে সূর্য উঁকি দিয়ে যেন আমাকে বলছে “আজো বসে আছো কেন? ওদিকে বাস, স্টেশানে পৌঁছতে আর দেরি নেই। ঠান্ডায় কুঁজো হবার পালা শেষ। ওঠো, বেরিয়ে এসো, তোমাকে উষ্ণ করে দিই।”
শ’খানেক প্লাটফর্মের মধ্য থেকে নিজের প্লাটফর্মটি বেছে নিয়ে বাস থামল। হুড় হুড় করে যাত্রীরা নামছে। আমিও নামার জন্যে এগুচ্ছি। কিছুটা যাবার পর, আমার সামনে বিশাল দেহের এক বৃদ্ধা দু’সিটের মধ্যে আঁটকে পড়ায় আমাকে হঠাৎ থামতে হলো। তখন পেছনের এক নাম নাজানা অচেনা সুন্দরী গাছ হতে ঝড়ে পড়া ফুলের মতো নরোম করে দ্রুত গতিতে আমার পেছনে এসে ল্যাপ্টে গেল। ওর নিজেকে সামলে নিতে সময় লাগল অনেকণ। তবে “সরি” বলতে ভুললো না। গাড়ি থেকে নেমে মোবাইলটা হাঁটুর দিকের পকেটে রেখে ব্যাগ হাতড়ে পেপার কাটিংটা বের করে ভার্সিটির ঠিকানাটা একবার দেখে নিলাম।এতোদিন মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে এমফিল-এ ভর্তি হবার কথা-বার্তা পাঁকা করেছিলাম। আজ মার্কসীট গুলো সাবমিট করে এ বিশাল ভার্সিটিতে পড়ার হিজিবিজি পথটা সহজ করে নেব। আজ যদি ফরেইনার না হয়ে ইন্ডিয়ান হতাম, তবে কেবল ছয় হাজার ডলার ডোনেশান জমা দিলে এ্যাডমিশান কনফার্ম হয়ে যেত। বিশ হাজার ডলার জমা দিতে হতো না। পেপার কাটিংটা ব্যাগের ভেতর রেখে দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে চারপাশে তাকালাম, দেখলাম- সাজানো গোছানো শহর। রাস্তার দু’ধারে উঁচু উঁচু সুন্দর নাম না জানা অচেনা কিছু গাছের হাস্যোজ্জ্বল চেহারা, যাদের ডালপালা গুলো নারীর মনের মতো দুলছে। অদূরে ঘনবন। মাঝে মাঝে ডালপালার ভেতর দিয়ে ঝিক্মিক্ আভায় সূর্য উঁকি দেয়। তার-ই নিচ দিয়ে রাস্তায় তীরের গতিতে চলমান গাড়ির দৌড় প্রতিযোগিতা। হাঁটতে হাঁটতে সামনে কিছুদূর এগিয়ে যাবার পর দেখলাম-কয়েক’শ ধাপের বিশাল একখানা সিড়ি।
নামার সময় মনে হলো-হরিণের মতো তিড়িং বিড়িং করে পাহাড়ের গাঁ বেয়ে নামছি। নেমে দেখলাম, আরেকটা শহরের শুরু। তবে এ শহরের দালান গুলো ঘেষাঘেষি করে দাঁড় করানো। যেন, পথচারীদের আঁড় চোখে দেখার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। চলতে চলতে মধ্যবয়সী একজনকে জিজ্ঞেস করতে-ই ইশারায় বুঝালেন-“আরো সামনে কিছুদুর এগিয়ে যেতে হবে।” শুনে কান্তি বেড়ে গেল শতগুণ। বোধ হয় ভদ্রলোক আদলের ভদ্দর নোকটি মোটামুটি ইংলিশ বুঝলেও বলতে পারেন না।
চলতে চলতে সামনে ইংরেজী জানা কাউকে জিজ্ঞেস করার জন্য পাওয়া যাবে কিনা ভাবছি। তখন সামনে ভোরের সূর্যের মতো উদিত হতে দেখলাম- আমার সমবয়সী সুন্দরী এক মেয়েকে। মেয়ে বললে ভুল হবে। মেয়েতো নয়, ঠিক যেন নীলচোখা কোনো পরী। সে নীল চোখের দৃষ্টিতে যেন শ’খানেক গল্পের ঝুড়ি। এমন আকাশ নীল চোখ, এমন মায়াবী মুখ, এমন সুন্দরী কোনো মেয়ে, জীবনে কখনো কোথাও দেখেছি বলে মনে হয় না। ওর দৃষ্টিতে আঘাত হেনে বিনীত ভাবে বললাম -“এক্সকিউজ মি, ডু ইয়্যু নো(উ) (হ)অয়্যার ইজ দ্যা সপ্তগিরি মনিপাল ই(উ)নিভার্সিটি?”
প্রশ্ন শুনে চোখ তুলে তাকালো। মেয়েরা পূর্ব-পরিচিতদের সাথে দেখা হলে যেভাবে হাসি মুখে কথা বলে, অনেকটা সেভাবে হেসে ইংলিশে যা বললো, বাংলায় তার অর্থ দাঁড়ায়-“ঠিক আমার নাক বরাবর সোজা আমার পেছন দিকে একটু তাকান, তাহলে-ই পেয়ে যাবেন।” বলে ফিক্ করে হাসলো। ওর এমন জবাব শুনে আমি থ’ হারিয়ে ফেলেছি। কারণ, এমন কলকন্ঠী চিত্তহারী মেয়ে যেমন আগে কখনো দেখিনি, তেমনি এমন ভিন্নধর্মী জবাবও কারো মুখে কখনো শুনিনি।
ফর্মালিটি রার্থে জানালাম “থ্যাংকস”।
ও তখন “ইয়্যু (ও)য়েলকাম” বলে আবারও একগাল হেসে ওর পথে পা বাড়াল। থ’ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে সুহাসিনীর যাওয়াটা দেখছি। “আজব মেয়েতো!!!”
হাঁটতে হাঁটতে ওর মুখে এতো হাসির কারণ খুঁজতে গিয়ে বুঝতে পারলাম- ও এতো হেসে আমাকে বুঝাতে চেয়েছে-“তোমার নাকের ডগায় ভার্সিটি, আর আমাকে কিনা জিজ্ঞেস করছ- ভার্সিটিটা কোথায় ? বোকা কোথাকার!!! ’’
সেদিন ভার্সিটিতে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে রুমে ফেরার পর থেকে মনটা কেমন যেন উসখুস করছে। বারেবারে দু’টি আকাশ নীল চোখ মনের ভেতর থেকে উঁকি দিচ্ছে।
যদি এ’জীবনে ওকে আরেকবার, কেবল আরেকবার দেখার সুযোগ পেতাম! এ জীবন ধন্য হয়ে যেত। কিন্তু ইন্ডিয়ার একশত বিশ কোটি মানুষের ভিড়ে ওকে খোঁজে পাওয়া অত সহজ নয়।
পরদিন, ডোনেশান জমা দিয়ে ভর্তি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাজ সেরে কাসে এটেন্ড করতে গিয়ে দরজার নিকটে এসে দাঁড়ালাম। ভাবছিলাম, সামনে দিয়ে এতো ছেলেমেয়ে আসা-যাওয়া করছে, কিন্তু সে মেয়েটির কোনো হদিস নেই কেন? তবে, মন বলছে-একদিন না একদিন ওর সাথে আমার দেখা হবেই।
ততণে কাস টিচারের অনুমতি পেয়ে কাসে ঢুকে পড়লাম। কাসে মেয়েরা সংখ্যায় নয়, আমিসহ ছেলেরাও সংখ্যায় নয়। সবাই আমাকে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছে। দেখতে দেখতে র্ফাস্ট বেঞ্চের ছেলেরা তাদের পাশে বসতে জায়গা করে দিল। কিছুণের মধ্যে লেকচারের প্রতি মনোযোগী হবার চেষ্টা করলাম। কিন্তু বুঝার কোন সাধ্য নেই, এমন ভাব চোখেমুখে ফুটে উঠায় কাসটিচার জিজ্ঞেস করলেন-“আর ইয়্যু এ নি(উ) কামার?”
-“ইয়া স্যার।”
-“প্লীজ গি(ভ) ইয়্যুর ইন্ট্রুডাকশান।”
দাঁড়ালাম, চারপাশে একবার চোখ বুলালাম। কাসের সবার দৃষ্টি তখন আমার দিকে অভিনিবিষ্ট। বলতে শুরু করলামÑ“হাই এভরিবডি, গুড মর্নিং। আ(ই) এম মিষ্টার এম এম চৌধুরী। আ(ই) এম এ্যা বাংলাদেশী ন্যাশনাল। ই(য়ে)স্টার ডে আ(ই) হ্যাড্ এড্মিটেড ইন দিস ইউনিভার্সিটি। এন্ড আই (এ)ম নট (অ)নলি এ স্টুডেন্ট, বাট (অ)লসো আ(ই) এম এন আটির্স্ট, সিঙ্গার এ্যান্ড ড্যান্সার’’
পরপরই চারদিকে আতঁশবাজির শব্দের মতো অসংখ্য করতালির শব্দ হলো। কাসটিচার আমাকে “থ্যাংক্স” জানিয়ে হ্যান্ডশেক করে চলে গেলেন। এরপর এক এক করে আমার বেঞ্চের চারজনও পেছনের বেঞ্চের চারজন হ্যান্ডশেক করে নামধাম বললো। জবাবে তাদের “নাইচ টু মিট ইয়্যু।” বলে বসতে যাচ্ছিলাম। তখন দেখলাম-মেয়েদের অনেকে কৌতুহল ভরা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
তারপরও আমি তাদের দিকে হাত বাড়িয়ে না দিয়ে বসে পড়লাম। তাই তাদের কারো সাথে হ্যান্ডশেক করা হয়নি। তবে তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবার সময় হঠাৎ মনে হয়েছে, তাদের মধ্যে এমন একজন আছে, যে আমার চেনা-জানা। তাই আবার তাকাঁলাম। দেখে বিজলীর মতো চমকে উঠলাম। দেখলাম, তাদের মাঝে সে মেয়েটিও আছে, যাকে গতকাল “ভার্সিটি টা কোথায়?” জিজ্ঞেস করার পর থেকে আরেকবার দর্শনের তৃষ্ণায় সারা-রাত কাতর ছিলাম। সে চিত্তহারী নীলচোখা পরী। ওকে কাসে দেখতে পেয়ে এক ঝাপটা জলের ছিটা পড়ার মতো মনের ভেতর ছড়িয়ে পড়ল এক অপরূপ সৌরভ, হৃদয়ে বয়ে গেল-বেলাভূমির সমীরণের মতো অপূর্ব এক আনন্দ হিল্লোল। মুহুর্তেই হৃদয়ে শুরু হয়ে গেল ধমাধম হাতুড়ি পেটানো। ওর দিকে তাকাতেই দেখলাম-ওর মুখে স্নিগ্ধ হাসি। তাই মৃদু হেসে হাতের ইশারায় ওকে “হাই” জানালাম। ও ও হাত নেড়ে “হ্যালো” জানালো। ওর সাথে আমার এই “হাই-হ্যালো”র খুশির স্্েরাত কাসে আমাকে আনমনা করল অনেকবার ও ভাসিয়ে নিয়ে গেল অনেক দূর।
তাই, পরদিন থেকে আমি কাসের রিগুলার স্টুডেন্ট। কাসে যাবার পথে দেখা হলে কাসের অন্যান্য সহপাঠীরা যেমন “হাই” কিংবা “গুডমর্নিং” বলে উইশ করে, তেমনি দেখা হলে নীল চোখা পরীটিও ঠিক তাই করে। তার চেয়ে বাড়িয়ে কিছু করে না। আমিও কোনদিন হাত বাড়িয়ে দিয়ে হ্যান্ডশেক করে নামধাম জেনে নিয়ে ফ্রেন্ডশীপের েেত্র আরো একধাপ এগিয়ে যাবার চেষ্টা করিনি। কিন্তু ওকে দেখলেই মনটা উসখুস করে, নিরালায় ডেকে কিছু বলতে ইচ্ছে করে। যেন শুধু কিছু নয়, অনেক কিছু। পাছে আবার ভয়ও হয়। আমার ডাকে নিরালায় কেন যাবে সে? সেকি আমার বিয়ে করা বৌ? বুঝে উঠতে পারছিনা, ঝড়ো হাওয়ায় নড়ে উঠা গাছের ডালের মতো মনটা আমাকে এভাবে নাড়ছে কেন? মনে মনে ঠিক করলাম, দেখা হলেই হাত বাড়িয়ে দিয়ে হ্যান্ডশেক করব।“কেমন আছো” জিজ্ঞেস করব। নামধাম জেনে নেব। ইত্যাদি--------ইত্যাদি। কিন্তু শেষমেষ আর কিছুই করা হয় না। প্রতিদিনের মতো ওর দেয়া “হাই”এর জবাবে “হ্যালো” বলে ভদ্র লোকের মতো নীরবে চলে যাই। কিন্তু ইচ্ছে করে- আরেকটু বেশি সময় ধরে ওর সামনে থাকতে। ওর সাথে আরেকটু বাড়িয়ে কথা বলতে। বন্ধুত্ব কি সূর্যের আলো, না চাইতেই পেয়ে যাবো
কিন্তু অন্যদিকে, আমারও কিছু করার নেই। কারণ, ও আমাকে দেখলে হাসিমুখে কেবল “হাই”টা জানায়, তারপর জবাব শুনে নীরবে চলে যায়। তাই, এভাবে দিনের পর দিন আমাদের মধ্যকার “হাই” আর “হ্যালো” টা আমাদের দু’জনের বলা ও শুনার দায়িত্বে পরিনত হয় ও তা অনেক দিন ধরে আমাদের মাঝে চলতে থাকে। এভাবে আরো কিছুদিন পার হবার পর একদিন দেখলাম, সে প্রয়দর্শিনী নীল চোখা পরীর সাথে নীলচোখা পরীর মতন চোখ ধাঁধানো সুন্দর আরেকজন। তবে ওর চোখের মণি কালো। কিন্তু দেখতে সীমাহীন দারুণ।
কাসের অন্যান্য মেয়েরা দেখতে সুদর্শনা হলেও এ দুজনের পাশে এসে দাঁড়ালে, ওদের ম্লান দেখায়। সেসব মেয়েদের ভিড়ে এ দুজনকে দেখলে মনে হয়, তিমির রাতের কালো আকাশে জ্বাজল্যমান দু’টি উজ্জ্বল নত্র কিংবা একটি গাছের অনেক কলির মাঝে পুর্ণাবয়বে প্রস্ফুটিত দু’টি রক্ত জবা কিংবা হাতের দশটি আঙ্গুলের মাঝে আংটি পরানো দুটি আঙ্গুল কিংবা বিশাল হালকা নীল আকাশের বুকে লাল আভা মেশানো ২টি খন্ড মেঘ কিংবা বিশাল পুকুরে অনেক পদ্মের মাঝে সদ্য ফোটা দুটি পদ্ম কিংবা তাদের তুলনা কেবল তারাই, তাদের সাথে আর কারো তুলনা চলে না।
এরপর, একদিন ঘনিয়ে এলো সান ডে, এখানকার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। যেন দম ফেলার সুযোগ পেলাম। ভার্সিটির নিকটে পছন্দের বাসা খোঁজে পেতে ও সে বাসায় জিনিস পত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে আরো দু’দিন সময় নষ্ট হলো। দু’দিন কাস কামাই করে তৃতীয় দিন সকালে কাসে এসে জানতে পারলাম-গত মান ডে থেকে ল্যাব কাস শুরু হয়ে গেছে। আজ প্রথম পিরিয়ডে ছিল এনজাইমোলজীর কাস। কাস শেষে আনান্ড নামের এক বন্ধু বললো-“কেয়া জ্বি! কিঁউ ইতনা দিন কাসমে নেহি আয়া? তুমকো পাতা হ্যায় কেয়া-দু’ল্যাব কাস চলা গিয়া। কালছে রিগুলার কাসমে আউনা জ্বী। প্রেকটিক্যাল কাস মিস নেহি করনা।”
ততণে দেখলাম- আশেপাশের অন্যান্যরা ব্যাগ হাতে নিয়ে ওঠে দাঁিড়য়েছে। আনান্ড বললো “এ পিরিয়ড মে ল্যাব কাস হ্যায়, চলো জ্বী ল্যাব কাস মে।”
পরপরই দেখলাম ব্যাগ হাতে নিয়ে সবাই ছুটছে। তাদের অনুসরণ করে আনান্ডের সাথে কথা বলতে বলতে ব্যালকনি দিয়ে এগুচ্ছি। ব্যালকনির গা বেয়ে নিচ থেকে উপরে উঠে আসা ফুল গাছের ফুল হতে একটা হাল্কা মিষ্টি সৌরভ নাকে এসে লাগছে। চলতে চলতে গন্তব্যে এসে দেখলাম, খুব সুন্দর একটা রুম। মেঝেতে লাল গালিচা। কাঁচের জানালায় শুভ্র পর্দা। অন্য ধরনের এক শুভ্র দীপ্তির খেলা পুরো রুমে জুড়ে। এ-ই আমাদের ল্যাব। এটার শেষ প্রান্তে কাচেঁর চারটি বড় সাইজের আলমিরা, দেখতে দারুণ। ভেতরে নানান যন্ত্রপাতি, টেষ্টটিউব ও লিকুইড হরমোনের বীকারের সারি। চারপাশে চামেলী ফুলের সুবাসের মতো কোন রুম ¯েপ্রর সৌরভ। রুমটার বুকের মাঝে নানান নকশাঁয় সজ্জিত নয়টি টেবিল। সবক’টি টেবিলে পৃথক লাইটিং ব্যবস্থা ও সবক’টি টেবিলের উপর বিভিন্ন সাইজের খালি টেষ্টটিউব ও বিভিন্ন রঙ্গের জলীয় দ্রবণের বোতল।
আমাদের কাসে মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা আমি সহ উনিশ জন। দশ জন মেয়ের জন্য পাঁচটা টেবিল। ৯ জন ছেলের মধ্যে আমি ছাড়া বাকি যে আটজন গত ল্যাব কাসে উপস্থিত ছিল, তাদের জন্যে চারটি টেবিল। তার মানে, আঠারো জনের ব্যবস্থা নয়টা টেবিলে হয়ে যাচ্ছে। বাকি এই আমি গতকাসে অনুপস্থিত ছিলাম বলে আমার জন্যে কোনো টেবিল নেই। কাসে ছাত্র ভর্তি হবার জন্য যে আরেকটি আসন খালি ছিল, সেটাতে কেউ ভর্তি না হওয়া পর্যন্ত ল্যাবে আমার সাথে জুটি বাঁধবারও কেউ নেই। ভাবতে ভাবতে দরজার পাশের টেবিলের নিকটে এসে দাঁড়ালাম। দেখলাম, পাশের টেবিলে চারজন মেয়ে দাড়িয়ে গল্প-গুজব করছে। সেখান থেকে ব্যাগ হাতে নিয়ে নীল চোখা পরী আমার টেবিলের দিকে সবিনয়ে এগিয়ে এসে মুখে মৃদু হাসির রেখা ফুটিয়ে বিনীতভাবে বললো “হাই গুডমর্নিং, ইট্’স মি রোজরেগেনেহেম স্যাগেল্স শোর্নে।” বলে অকস্মাৎ হাত বাড়িয়ে দিল। আমি তো অবাক। যা আমাকে দিয়ে হয়নি, তা ওকে করতে দেখে। বোধহয় ও বুঝে গেছে, ও নিজে এভাবে চুপ করে থাকলে আমাকে দিয়ে কিছুই হবে না। “সাহসী মেয়ে।”
ফর্মালিটি রার্থে আমিও হাত বাড়িয়ে দিলাম। হ্যান্ডশেক করলাম। খুব নরোম হাত। ফুলের পাপড়ির মতো নরোম। বললাম-“ইয়া গুড মর্নিং , আই’ম এম এম চৌধুরী।”
স্যাঃ-“পারড্ন মী। ফুলফর্ম প্লিজ।”
চৌঃ-“ফুল ফর্ম ইজ- মোহাম্মদ মীরহাদিয়ুন চৌধুরী।”
স্যাঃ-“ দ্যাট্স মীন ইয়্যু আ(র) মুসলিম?”
চৌঃ-“ইয়া,ইয়্যু?”
স্যাঃ-“র্স্মাট গাই, মী টু মুসলিম।”
ও মুসলিম শুনে ও ওর বহু প্রত্যাশিত নামটি জানতে পেরে খুশিতে আহাদিত হয়ে “ওয়াও নাইচ টু মিট ইয়্যু” বলে আবার হাত বাড়িয়ে দিয়ে স্যাগেল্স শোর্নের সাথে হ্যান্ডশেক করলাম। ও তখন রহস্যের হাসি হেসে জিজ্ঞেস করল-“ ইয়্যু আ(র) ফ্রম হুইচ প্লেইচ?”
ততণে কাসের অন্য সুন্দরীটি স্যাগেল্স শোর্নের পাশে এসে দাড়িঁয়েছে। আমি স্যাগেল্স শোর্নের প্রশ্নের জবাবে জানালাম-“আই (এ)ম ফ্রম বাংলাদেশ।”
তখন স্যাগেল্স শোর্নের পাশের সুন্দরী বলে উঠল-“ওয়াও বাংলাদেশ!”
আমি জানালাম-“ইয়া”।
তখন নাম না জানা সুন্দরীটি বললো-“বাংলাদেশ ইজ আওয়ার নাইবা(র) কান্ট্রি।”
প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম-“দ্যাটস মিন ইয়্যু আ(র) ইন্ডিয়ান?”
ও বললো-“ইয়া এক্সাক্টলি। বাট স্যাগেল্স ইজ ফ্রম রাশিয়া।” মনে মনে বললাম-“তাইতো দেখতে ও এতো সুন্দর, এতো সহজ সরল ও এতো এ্যাডভান্স।” নাম না জানা সুন্দরীর উদ্দেশ্যে বললাম-“মে আই নো ইয়্যুর ন্যাম?”
সাঃ-“অফ কোর্স, মাই ন্যাম ইজ সাঞ্জি মিশিরজীর। ইয়্যুর ন্যাম প্লীজ।”
স্যাগেল্স আমার হয়ে জানালো-“হিজ নেমিজ এম এম চৌধুরী। ইয়্যু ক্যান কল হিম মিস্টার চৌধুরী।”
তিনজনের মুখে হাসির সামান্য ঢেউ খেলে গেল। তখন সাঞ্জিকে ও কোন ধর্মের অনুসারী জিজ্ঞেস করতেই সাঞ্জি মিশিরজীর জানালো-“আই’ম ফ্রম হিন্দু ব্রাহ্মণ ফ্যামলি।’’ এরপর সাঞ্জি মিশিরজীর হাত বাড়িয়ে দিয়ে হ্যান্ডশেক করে বললো - “নাইচ টু মিট ইয়্যু।”
-“সেম টু ইয়্যু।”
-“থ্যাংকস।”
-“নো ম্যানশান, ইয়্যু আ(র) ওয়েলকাম।”
ঠিক তখনি ফরমাল ড্রেসের উপর এ্যাপ্রোন পরিহিত এক ভদ্রলোক ল্যাব কাসে ঢুকে চশমার ফাঁক দিয়ে একবার আঁড়চোখে সবাইকে দেখে নিলেন। পুরো রুম জুড়ে স্তব্ধতা নেমে এলো। সঞ্জি মিশিরজীর হিন্দিতে বললো-তিনি আমাদের ল্যাব ডেমোনেস্ট্রেটর।” সাঞ্জি মিশিরজীর ও স্যাগেল্স শোর্নের উদ্দেশ্যে হিন্দিতে বললাম-“কিন্তু তাঁকে দেখে মনে হচ্ছে- তিনি কোনো এক কালে গান্ধীজির দাদা ছিলেন।”
আমার কথা শুনে ওরা খিল্ খিল্ করে হেসে উঠল, বললো-“ইয়্যু আ(র) সু ফানী গাই।”
জবাবে “থ্যাংক্স” বলে আমি ডেমোনেস্ট্রেটর স্যারের চোখে পড়লাম। উনি চশমার ফাঁক দিয়ে বিস্ফোরিত নেত্রে আমার দিকে তাকালেন। আমি ভয়ে জড়সড় হলাম। ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছেন আমার দিকে, যেন একটা অজগর ফণা তুলেই এগিয়ে আসছে। এসে থামলেন, গম্ভীর স্বরে বললেন-“ আ(ই) থিংক ইয়্যু আ(র) এ্যা নিউ কামা(র) এ্যান্ড দি(স)(ই)জ ইয়্যুর ফার্স্ট ল্যাব কাস। ইফ্ এনসার ইজ ইয়েস, দ্যান ফ্রম টুমরো ইয়্যু হ্যব টু ব্রীং ইয়্যুর ইউনিফর্ম। আদা(র)ওয়াইজ ইয়্যু কান্ট এন্টা(র) ইনসাইড অফ্ দিজ ল্যাব কাস। অকে? ইয়্যু(র) ইন্ট্রুডাকশান প্লিজ।”
ইন্ট্রুডাকশান শুনার পর তিনি সাঞ্জি ও স্যাগেলস্রে দিকে তাকালেন। ইংলিশে বললেন-“এক টেবিলে তোমরা তো তিনজন। তোমাদের দুজনের কারো কি কোনো অসুবিধে হবে?” ওরা হিন্দিতে জবাব দিল-“না স্যার, আমাদের কোনো অসুবিধে হবে না।” এরপর ডেমোনেষ্ট্রেটর স্যারের সামনে স্যাগেল্স আমাকে (ইংলিশে) জিজ্ঞেস করল-“আমাদের সাথে এক টেবিলে এক্সপেরিম্যান্ট করতে তোমার কি কোনো আপত্তি আছে?”
সানন্দে জানালাম-“আমার কোনো আপত্তি নেই।”
আমাদের তিনজনের প্রত্যেকের জবাব শুনে ডেমোনেষ্ট্রেটর স্যার লেজ গুটিয়ে চলে যাবার মতো চলে গেলেন। মনের ভেতর স্বস্তির ঠান্ডা হাওয়া নেমে এলো, এ দুজনকে ছেড়ে অন্য টেবিলে যেতে হয়নি বলে।
হঠাৎ আনমনা হয়ে জানালা দিয়ে বাইরের দিকে তাকালাম। চোখে পড়লো- খাঁ খাঁ রোদের ঝিম ঝিম দুপুর। কৃষ্ণচূড়ার ডালপালা ভরে গেছে লালের সমারোহে। অদূরে মহুয়া, শাল ও বটপিপুলের বন। তারই বাম থেকে ডান দিকে সুদীর্ঘ একটা আবছা পাহাড়ের খেই হারান রেখা। ভালো করে তাকালে কেবল শিল্পীদের চোখে ধরা পড়বে, সেখান থেকে সবুজ পাহাড়ের শুরু। সেসব পাহাড়ের মাথায় ছোট-বড় গাছের আস্তরন। তাই, পাহাড়ের মাথা দেখা যায়না। শিল্পীর চোখে দৃশ্যটা দারুন।
আনমনা ভাব কেটে গেলে ওদের দুজনের দিকে তাকাতে গিয়ে দেখলাম- স্যাগেলস কনুইয়ের গুতো দিয়ে সাঞ্জিকে আমার দিকে তাকাতে বলছে। সাঞ্জি নুইয়ে স্কেল দিয়ে খাতায় লাইন আঁকছিল। এবার মাথা তুলে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইংলিশে যা বললো, বাংলায় তার অর্থ দাঁড়ায়-“প্রথমদিন থেকে সবক’টি বিষয়ের ল্যাব কাসে আমরা দুজন জুটি বেঁধে এক সাথে এক টেবিলে কাজ করে আসছি। তুমিও কি আজকের মতো পরবর্তী সব কাসে আমাদের সাথে থাকবে? তাহলে না পাওয়া এক্স পেরীম্যান্ট গুলো করার কাজে, আমরা তোমাকে সাহায্য করব।”
না চাইতেই সাহায্য করবে শুনে, মনের সিঁড়ি বেয়ে ওদের দু’জনের প্রতি এক অন্য ধরনের কৃতজ্ঞতা নেমে এলো। কারণ, এ ধরনের প্রস্তাব কিংবা সাহায্যের আশ্বাস ইতিপূর্বে আমার বন্ধুদের কেউ আমাকে দেয়নি। তাই ওদেরকে “থ্যাংক্স থাকব” বলার পূর্বে নিজেকে নিজে প্রশ্ন করলাম-“ কেন এদের টেবিলে থাকব না।”
ওদের টেবিলে থাকব বলায়, সাঞ্জির বাড়িয়ে দেয়া দু’হাতে স্যাগেল্স চাপড় মেরে খুশির বহিঃ প্রকাশ করলো।
কিন্তু এর ঠিক পরদিন ঘটালাম অঘটনটা। ভুলে গিয়েছিলাম, ওদের কাছে দেয়া কথাটা রাখতে। আনান্ডের টেবিলের মোহিত প্রাসাদ ছিল অনুপস্থিত। তাই আমি ভুলোমনা আনান্ডের অনুরোধে তাকে সঙ্গ দিতে ল্যাব করতে গিয়েছিলাম, তার টেবিলে। তবে যাবার পর পরই মনের ভেতর একটা অপরাধ বোধ জন্ম নিয়েছিল। যখন দেখলাম-বলিহারি, বরারোহা, বিধূবধন প্রিয়দর্শিনী স্যাগেল্স শোর্নে ইশারায় আমায় ডাকছে। ওর ডাকে কি না গিয়ে পারি !!!
তাছাড়া, এ আনান্ড গতকাল আমাকে তার টেবিলে ল্যাব করতে ডাকেনি। মোহিত থাকলে আজও ডাকত না। তাই আমার উচিত, স্যাগেলসের টেবিলে গিয়ে ল্যাব করা। কিন্তু তখন আমাকে স্যাগেলস্দের টেবিলের দিকে যেতে দেখে পাশের টেবিলের দু’জন ছেলে বাজে মন্তব্য করে হেসে ওঠায় থামতে হলো, যাওয়া আর হলো না। তখন ইচ্ছে করছিল, পাশের টেবিলের দুজনের গালে প্রচন্ড জোরে দু'টো থাপ্পড় বসায়। কিন্তু, এদেশে থাকার ভিসা ক্যান্সেল হবার ভয়ে দপ্ করে জ্বলে ওঠা আগুন ধীরে ধীরে নিভিয়ে রাখতে হলো। পরদিন ল্যাব ছিল তৃতীয় ও পঞ্চম পিরিয়ডে। দ্বিতীয় পিরিয়ড শেষে সাঞ্জি আমাকে কি যেন বলতে চেয়ে থেমে গেছে। তৃতীয় পিরিয়ডের ল্যাবে ওদের দুজন আমার সাথে নিজ থেকে কোনো কথা বলেনি। কিন্তু পঞ্চম পিরিয়ডে আমার উপর থেকে কালো মেঘের ছায়া সরে যাওয়ার একটা অদৃশ্য হাওয়া নেমে আসার আভাস পেলাম, যখন সাঞ্জি এক্সপেরীম্যান্টের খাতায় কলম চালাতে চালাতে ব্যস্ততার মাঝে (ইংলিশে) জিজ্ঞেস করলো-“তুমি যে হুন্ডায় করে কাসে আস, সে হুন্ডাটা কার?”
প্রত্যাশিত প্রসঙ্গের বাইরে প্রশ্ন করায় স্বভাবত একটু অবাক হলেও দৃঢ় কন্ঠে বললাম-“সেটা আমার।”
সাঃ-“কখন কিনেছিলে?”
চৌঃ-“আজ হতে দু’বছর আগে।”
সাঃ-“তারপরও দেখতে এতো নতুন কেন? ”
চৌঃ-“বোধ হয় সেটা আমার বলে।”
হাসার কথাতেও সাঞ্জি হাসলো না বরং চুপচাপ থেকে জিজ্ঞেস করলো-
“আচ্ছা কাল আমাদের সাথে ল্যাব করোনি কেন?”
চৌঃ-“আমি তোমাদের টেবিলে ল্যাব করতে আসছিলাম, কিন্তু পথিমধ্যে আনান্ডের অনুরোধ উপো করতে না পেরে ওর টেবিলে চলে গিয়েছিলাম। ”
সাঃ-“সে না হয় বুঝলাম। কিন্তু তারপরও যখন স্যা ইশারায় তোমায় ডাকল, তখন স্যাকে বলেছি-“ওকে ডেকোনা, ও আসবে না।” কিন্তু স্যা দৃঢ় কন্ঠে বলেছিল-“ওর ডাকে তুমি আসবে, আর যদি না আস, তবে তোমার সাথে আর কোনোদিন কথা বলবে না।”এদিকে হলো কি,ওর ডাকে তুমি আসনি। তাই, ও আমার কাছে হেরে গিয়ে তোমার উপর রেগে আছে। এবার কি করবার করো।”
রোজরেগেনেহেম স্যাগেল্স শোর্নের দিকে তাকালাম। দেখলাম ওর বিধুবদন মুখখানি কেমন যেন বিটকেল, বিমনা। মনে মনে বললাম-আমার উপর যখন রেগেছে, তখন আমাকেই ওর রাগ ভাঙ্গাতে হবে। না হয় আজকের মতো কোনোদিন আমাদের তিনজনের কারো চেহারায়-কাজে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবেনা। আমার হৃদয়ের বারোটা বেঁজে যাবে।
স্যাগেলস ততণে টেস্টটিউব চোখের সমান্তরাল হতে নামিয়ে কলম হাতে নিয়ে এক্সপেরীম্যান্টের খাতায় প্রাপ্ত লণ লিখছে। এরপর দ্রবণ পূর্ব টেষ্টটিউবটি হাতে নেয় সাঞ্জি। ও পর্যবেণ করার পর আমি ওর হাত থেকে টেস্টটিউবটি নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখে স্ট্যান্ড রেখে দিয়ে প্রিয়দর্শিনী স্যাগেলসের হাত থেকে কলমটি ছোঁ মেরে কেড়ে নিয়ে বললাম-“ফ্রেন্ড আ(ই) এম রিয়েলী সরি ফ(র) মাই ইয়েস্টা(র) ডে’স মিসটেক।’’ তখন ও মাথা না তুলে খাতার উপর যেভাবে হাত রেখেছিল, সেভাবে রেখে দিয়ে জবাব দিল “ইটস্ অকে ম্যান।’’ ওর জবাব শুনে অবাক হলাম। এ যেন ঠোঁটে হাসি, অন্তরে কান্না রাশি রাশি।
চৌঃ-“দ্যান (হো)ওয়াই আর ইয়্যু নট টকিং প্রপা(র)লি উ(ই)থ্ মি।”
স্যাঃ-“(হো)ও টুল্ড?”
চৌঃ-“সাঞ্জি (ই)জ টেলিং।”
স্যাঃ-“শী (ই)জ এ্যা লায়া(র), ডোন্ট বিলীব হা(র)।” বলতে বলতে পেন্সিল দিয়ে লিখতে শুরু করেছে। সাঞ্জি স্যাগেল্সের কথা শুনে হাসছে। আমি আমার কলমটা স্যাগেল্সের দিকে এগিয়ে দিয়ে ওর খাতার উপর রাখলাম। কিন্তু ও সেটা ধরেও দেখল না। তখন ওর হাত থেকে ওর পেন্সিলটা কেড়ে নিয়ে বললাম-“(হো)ওয়াত হ্যাপেন্ড মাই ডিয়ার।”
স্যাঃ-“নাথিং ম্যান (মাথা না তুলে)।”
চৌঃ-“(হো)ওয়েন উ(ই)ল ইয়্যু টক উ(ই)থ মি প্রপা(র)লি? ”
স্যাঃ-“ফ্রম টুম্রো।”
চৌঃ-“(হো)ওয়াই নট ফ্রম টুডে?”
স্যাঃ-“বিকজ আ(ই) ওয়ান্ট টু পানিশ ইয়্যু ফ(র) ইয়েস্টা(র) ডে’স মিসটেক।”
চৌঃ-“ইজ ইট!”
স্যাঃ-“ইয়া, (হো)ওয়াই নট?” বলে ঝৎ করে মাথা তুলে আমার দিকে তাকালো একবার। এমন ভাবে তাকালো, যেন একেবারে আমার ভেতরটা পর্যন্ত দেখে নেবে। তাই কেপেঁ উঠলাম। তারপর, আমিও সাহসের তোয়ালে দিয়ে মনকে মুছে নিয়ে তাকালাম ওর চোখের দিকে। আমিও দেখে নিতে চাই-ওর ভেতরের শেষ প্রাপ্ত অবধি। কী এমন আছে ওর কাছে! কেন ওকে এতো দারুণ লাগে? কেন ওর উপস্থিতি হৃদয়ে ঝড় তুলে, আমার সবকিছু উলট পালট করে দেয়? কেন ওর নীরবতা, হৃদয়ের দুঃখ সহ্যের সীমা ভেঙ্গে দেয়, কান্না নামে?
** ততণে আমার বুকের ভেতর বাদ্যের ঢাং ঢাং বাঁজনা বাঁজা শুরু হয়ে গেছে। তারপরও দৃষ্টি না সরিয়ে তাকিয়ে রইলাম-ওর নীল চোখের দিকে। দেখলাম, ওর নীল চোখ জ্বল্ জ্বল্ করছে। মনে হলো- ওর নীল চোখ যেন নীল চোখ নয়, যেন গভীর নীল সাগর। যে সাগরের পানির দিকে অপলক চেয়ে থেকে, খোঁজে চলেছি কোনো হারিয়ে যাওয়া ঘটনা। যে ঘটনার নায়ক আমি, নায়িকা সে। পড়ন্ত বিকেল, নরোম সবুজ ঘাস। সে ঘাসের উপর বসে অনন্ত কাল ধরে আমরা দু’জন, সাগরের পানিতে ভাসিয়েছি আমাদের দু’জনের প্রতিচ্ছবি। দুজনের বেঁচে থাকার স্বপ্ন, দুজনের ভালোলাগা, দুজনের ভালোবাসা। প্রতিচ্ছবি গুলো ভেসে ভেসে পরতে পরতে মিশে গেছে অনন্ত কাল ধরে সে নীল সাগরের পানির স্রোতে। সেই মিশে যাওয়া প্রতিচ্ছবি গুলো বোধ হয় জমে আছে ওর চোখের গভীর নীল-এ।**
বিজলীর মতো তড়িৎ গতিতে অর্থহীন কীসব ভাবনা যেন আমার মনের সমস্ত আকাশ জুড়ে খেলে গেল। আনমনা ভাব কেটে যাবার পর দেখলাম, চারপাশের সবকিছু ঠিকঠাক আছে। স্যাগেল্সকে দেখলাম আমার কলম দিয়ে সুন্দর করে লিখতে, দেখে মনে হলো- ওর লেখা প্রতিটা বর্ন যেন আকাশের এক একটি তাঁরার চেয়েও বেশি উজ্জ্বল শুভ্র দ্যুতি ছড়াচ্ছে। তাই নিজের অজান্তে বলে উঠলাম-“সু নাইচ” স্যাগেল্স চেহারায় গম্ভীর ভাব ফুটিয়ে তুলে জিজ্ঞেস করলো-“(হো)ওয়াত ইজ নাইচ?”
চৌঃ-“ইয়্যু, ইয়্যুর হ্যান্ড এ্যান্ড ইয়্যুর হ্যান্ড রাইটিং।”
ও তখন অভিভূত হয়ে বোকার মতো আমার দিকে তাকালে, ওর চোখে আমার চোখ পড়লো। মনের অজান্তে চোখের একটা ইশারা ওর দিকে ছুড়ে দিলাম। সে ইশারায় ওর মুখ হঠাৎ করে শুকিয়ে গেছে। কপালে জমেছে বিন্দু বিন্দু ঘাম। থর থর করে কেঁপে উঠেছে ওর দু’ঠোঁট। ওর গভীর ভাষার চোখ দুটোতে ফুটে উঠেছে রাজ্যের শংকা। বুঝতে পারিনি ,আমার সে ইশারায় কি অমন ছিল?
চোখ বুজে আকাশ দিগন্ত কিছুই ভাববার আগে সাঞ্জি আমাদের দুজনের দিকে চেয়ে থেকে বলে উঠলো-“ফিল্ম কা কাহানী শুরু হুগেয়ী মামু।”
ততণে লজ্জায় শংকায় আমিও ঘেমে উঠেছি। অনেকণ চোখ তুলে ওদের দুজনের কারো দিকে তাকাতে পারিনি। পরণে মনে মনে বললাম-“যাহ শালার, বাংলার পতাকা উড়িয়ে দিয়েছি আকাশে। সেটা পত্ পত্ করে উড়ছে উড়–ক। আমি জনম জনম ধরে দু'চোখ ভরে দেখব। এই না হলে আমি বাঙ্গালী!!! ”
পরদিন ছিল রবিবার, সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এদিন, স্বভাবত সকালের রাস্তা-ঘাট ফাঁকা থাকে। বিকেলে নামে মানুষ ও গাড়ির ঢল। চাকুরীজীবীরা পরিবার পরিজন নিয়ে শো’ দেখে। ঘুরে ফেরে। পরিবার পরিজনের সাথে সময়টা উজাড় করে। যাদের পরিবার পরিজন নেই, তারা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ঘুরাফেরা করে। আমি তাদের উল্টো। সারাদিন না হয় বিছানায় নি®প্রাণ, না হয় ক্যানভাসে রং বিলাবার মাঝি। কিন্তু অন্যদিনের মতো, আজ আমার চোখে ঘুম নেই, ছবি আঁকাতেও মন নেই। রাস্তার ধারের দোকান পাটের মতো চুপচাপ শুয়ে আছি বিছানায়। মাথার ভেতর শ’খানেক চিন্তা ভোঁ ভোঁ করছে মৌমাছির মতো। সমস্ত চিন্তা জুড়ে আছে আকাশ-সাগরের নীল চোখা নারী, স্বাস্থ্য নিটোল বর্ষা বিভোর দেহবল্লবী পরী স্যাগেল্স শোর্নে। ইচ্ছে করছে-ওর হোস্টেলে ছুটে যায়, দেয়াল ভেঙ্গে ঢুকে পড়ি, ওর মুখটা বুকের মাঝে চেপে ধরি।
এতো রূপ, এতো রং, এতো আকর্ষণ কোনো কালে কোথাও আমার চোখে পড়েছিল কিনা সন্দেহ। পরদিন ব্যাগ কাঁধে নিয়ে ধীরে ধীরে সিঁড়ি বেয়ে আকাশ-কুসুম ভাবতে ভাবতে উপরে উঠার পথে দেখলাম-সাঞ্জি ও স্যাগেল্স সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসছে। বুক জুড়ে প্রজাপতির ডানা জাপটানোর তালে ঢাং ঢাং বাঁজনা বাঁজা শুরু। দেখা হতেই হাত উঁচিয়ে “হাই” দিলাম। ওরা দু’জন “হ্যালো” বলতে বলতে এগিয়ে এসে এমনভাবে শক্ত করে হাত চেপে ধরে হ্যান্ডশেক করলো, যেন ওদের সাথে গত কয়েক বছর ধরে দেখা হয়নি, অথচ দেখা হয়নি মাত্র একদিন। ওদের এমন আন্তরিকতা পূর্ণ আচরণ আমাকে মুগ্ধ করলো এবং যে অভিমানী স্যাগেল্স গত পরশু আমার সাথে ঠিকমত কথা বলেনি, আজ আমাকে কাছে পেয়ে অন্য ধরনের খুশি খুশি লাজুক ভাব ওর চেহারার মাঝে রং ধনুর সাত রং এর মতো ছড়িয়ে পড়েছে, আসলে দুটো মনের মাঝে মিল হলে এমনই হয়। এরপর সাঞ্জি আমাকে একপাশে টেনে নিয়ে গিয়ে কিছু বলতে চাইলে স্যাগেল্স বার বার বাধা দিল। কিছুই বুঝতে না পেরে চুপচাপ ওদের তামাশা দেখছি-হাসছি। স্যাগেল্সের চোখে-মুখে কেমন যেন লজ্জার ও শংকার লাল-নীল মেঘ। শেষে সাঞ্জিকে থামাতে ব্যর্থ হবার শংকায় নিরাশা বুকে চেপে দিব্যাঙ্গনা স্যাগেল্স লজ্জার মেঘে ভেসে সিঁড়ি বেয়ে নিচে চলে গেল। তা দেখে হাসিতে ঢেউ তুলে সাঞ্জি হাসলো অনেণ। আমাকে একাকী কাছে পেয়ে সাঞ্জি বললো-“কাল সারাদিন স্যা আমাকে জ্বালিয়ে মেরেছে। কাল কাস না থাকায়, তোমার সাথে আমাদের দেখা না হওয়ায়, আমাদের দুজনেরই মন কালো মেঘে ছেয়ে গিয়েছিল। তারমধ্যে স্যাগেল্সের ত্রৈলোক্যাধিক।”
চৌঃ-“কেন?”
সাঃ-“কেন কি গত পরশু ও তোমার সাথে রাগ করে কথা না বলে তোমাকে কষ্ট দিয়েছিল।ওর মনে হয়েছে- ও তোমাকে খুব বেশি কষ্ট দিয়েছে। যা ওর উচিত হয়নি। তুমি এতো অল্প সময়ের মধ্যে ওর এতো ভালো বন্ধু, তোমার মতো কাউকে কি এতো কষ্ট দেয়া যায় ! বলতে বলতে ওর দু'চোখ জলে ভরে গিয়েছিল। অনেণ ওকে থামাতে পারিনি। পরে হোস্টেলের অন্যান্য রুমের কয়েকজন সিনিয়র আমাদের রুমে এলে, তাঁদের সাথে হাসি-ঠাট্টায় মেতে উঠে, গল্প করতে করতে ওর মন ভালো হয়ে যায়।”
সাঞ্জির মুখে স্যাগেল্সের ব্যাপারে এতো কথা শুনতে শুনতে আনমনা হলাম। আমাকে কষ্ট দিয়ে অনুতপ্ত হবার কথা শুনে ভালোলাগার আতিশয্যে অনেক দূর ভেসে গেলাম। ওদের প্রতি অজানা কোন কৃতজ্ঞতায় সাঞ্জির হাত দুটো দু’হাতে চেপে ধরে বললাম-“ফ্রম টুডে বুথ অফ ইয়্যু আ(র) মাই বেষ্ট ফ্রেন্ড।” কথাটা বলার পর (নিচের) সিড়ির দিকে তাকাতে গিয়ে দেখলাম, স্যাগেলসকে ঝৎ করে সরে দাঁড়াতে। ওকে ওভাবে সরে যেতে দেখে কিছুটা সাহস করে, কিছুটা ভয়ে ভয়ে (হিন্দিতে) সাঞ্জিকে জিজ্ঞেস করলাম-“বলছিলা--ম, মাইন্ড করবে নাতো ! . . . . বলছিলাম কি, ওর সাথে কারো রিলেশান শিপ আছে কিনা?” সাঞ্জি আমার কথায় মজা পেয়ে প্রথমে চোঁখ নাচাঁলো অনেকণ ধরে। তারপর নিচের ঠোঁট চেপে ধরে দুষ্টুমীর হাসি হেসে আমাকে লজ্জায় ফেলে দিয়ে জিজ্ঞেস করলো-“(হো)ওয়া . . . . ই?” পর পরই ইংলিশে বললো-“ওকে জিজ্ঞেস করে দেখতে হবে।” মুখে দুষ্টুমীর হাসি। বললাম-“না না। প্লীজ, ওকে জানাবার দরকার নেই। তোমার উপর আমার অগাধ বিশ্বাস আছে।” তখন সন্তুষ্ট চিত্তে হেসে বললো-“ডিয়ার ফ্রেন্ড, ওর সব খবর আমার নখের মাথায় । ওর সাথে কারো সম্পর্ক নেই।”
চৌঃ-“সত্যি?”
সাঃ-“হাঁ, সত্যি।”
চৌঃ-“তো এখন কোথায় যাওয়া হচ্ছে শুনি?”
সাঃ-“লাইব্রেরীতে। ওর হাতে দুটো বই দেখোনি ? সে দুটো ফেরত দিতে।”
চৌঃ-“তাহলে ফেরত দিয়ে এসো। কাসে তোমাদের অপোয় থাকব। বাই ।”
সাঃ-“বা ---- ই” বলে চলে গেল। ও সিড়ি থেকে মুছে যাবার পর খুশিতে উপরের দিকে একটা লাফ দিলাম।-“যাহ্ শালার, স্রোত দেখছি অনুকূলেই বইছে। কাসসেরা সুন্দরী হাতের মুঠোয়।”
এসে কাসের বেঞ্চে বসলাম। মনের অজান্তে ডুবে গেলাম কুয়াশার মতো আবছা একটা চিন্তার হাওয়ায়, যে চ

২৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৫৫

শিশিরের বিন্দু বলেছেন: কঠঠিন লিখেছেন। :)

২৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৪৭

ঔপন্যাসিক সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু বলেছেন:



কালজয়ী রোমান্টিক উপন্যাস ভালোবাসার রোদ-বৃষ্টি ফ্রিতে পড়তে ক্লিক করুন


তিনি বাংলার অহংকার


তিনি বাংলার অহংকার-1

তিনি বাংলার অহংকার -2

তিনি বাংলার অহংকার-3

তোমাকেই খুজি











যারা ফোন করে / ম্যাসেজ পাঠিয়ে / আমার পোষ্টে কমেন্ট লিখে আমাকে দেখার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন, তাদের মনোবাসনা পূরণের কথা ভেবে নিচের ভিডিও টি দিলাম, আশা করি আপনাদের মনোবাসনা পূর্ণ হবে। ওপেন কনসার্টটিতে প্রায় ৭০,০০০ দর্শক এসেছিল, দশর্কদের আধিক্যের কারণে প্রতিবছর সেটি করতে হয় কুতুবদিয়ার বিশালাকার উন্মুক্ত সমুদ্র সৈকতে। এটি বৎসরে মাত্র ১ বার হয়। প্রতি বছর ৫৫০০০- ৯০,০০০ দশর্ক হয়। আর কন্ঠশিল্পী হিসেবেও এখানে আমি প্রচুর জনপ্রিয়। এসব পড়ে নিন্দুকরা নিশ্চয় ঈষার্র আগুনে পুড়ছেন-তাতেই আমার ও আমার ভক্তদের মনে শান্তি বিরাজ করছে। হা: হা: হা: হা:..................................................


২৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:০৪

বিদ্রোহী-৪৬২ বলেছেন: আপনার নামের শুরুতে সাঃ উঃ জাঃ প্রিফিক্সের মানে কী???

২৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:৪৮

তন্ময়০১৩ বলেছেন: এই পোস্ট এতো দিন কেন যে দেখি নাই !!! এই পোস্ট না পড়লেতো আমার এই জীবন পুরাই বৃথা। :)

২৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৫৭

শর্বরী-শর্মী বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম।

২৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৩৬

নাফিজ মুনতাসির বলেছেন: দশ বোতল ওয়াইন, ২ কেজি গাঞ্জা , হাফ কিলো ইয়াবা, দেড় কেজি হেরোইন , ১৭৫০ গ্রাম মারিজুয়ানা খাওঁয়ার পর ওঁ , এই ধরনের তাত্ত্বিক লিখা , আমি এই জীবনে লিখতে পারতাম না ।

আপনি পারছেন ভাই , কোন কিছু না খাইয়াই !!!


তীব্র নিন্দা জানালাম এরকম কথার ......
আপনিই আমাদের ভবিষ্যৎ...সামনে এগিয়ে যান....আপনার উপন্যাসটির কিছু অংশ পড়ে এতই ভালো লেগে যায় যে আমি আর কোন বই পড়ে মজা পাচ্ছি না..... একদিন হয়তো ISBN সনদপ্রাপ্ত এই উপন্যাসের জন্য আপনি নুবেল পেয়েও যেতে পারেন।

আপনার পরিচালিত/প্রযোজিত/অভিনীত/রচিত মুভির প্রতি শুভকামনা জানালাম.....হয়তো এই মুভির মাঝেই রয়েছে আমাদের সামনে ৪/৫টি অস্কার পুরস্কার


আপনার চমৎকার নাচের এই মিউজিক ভিডিওটি দেখলাম.....অনেকক্ষণ কথা বলতে পারি নাই দেখা শেষ করে..বিষ্ময়ে হতবাক হয়েছিলাম.....মনের না বলা অণেক কথা আপনি খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন এখানে....বিশেষ করে এক আঙ্গুল তুলে ঘুরে ঘুরে করা নাচের সিনটাতো ক্লাসিক.......

শুভকামনা রইলো।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:২৬

ঔপন্যাসিক সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু বলেছেন:
আপনার জন্যও শুভকামনা রইল।

২৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:১৬

মেহদী১০ বলেছেন: এই অসাধারন পোস্ট এতদিন পরে, পড়ে মনে হচ্ছে আর কিছুদিন পরে পড়লে আমার জীবনটাই বৃথা হত ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:২৮

ঔপন্যাসিক সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু বলেছেন: জীবনে অন্তত আরো ১ জন মানুষের জীবন কে স্বার্থক করতে পেরেছি শুনে নিন্দুকরা মনের দুঃখে আত্মহত্যা করে আমাকে মুক্তি দিক।হাঃ হাঃ।

৩০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:২০

কোডনেম ৬৬৬ বলেছেন: ভাই সাহিত্য রচনায় আপনাকে নুবেল দেয়ার দাবি জানিয়ে গেলাম।সেই সঙ্গে যেসব দুষ্টু ব্লগার আপনার মত মহান প্রতিভাকে ব্যাঙ্গ করছে তাদের প্রতি রইল তীব্র ধিক্কার। ;)

৩১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৩২

আহমেদ সাব্বির পল্লব বলেছেন:
আমাদের এই ঘুণেধরা সমাজের প্রকৃত চিত্র ফুটে উঠেছে আপনার লেখণীতে.......। রবীন্দ্র পরবর্তী সময়ে আপনার লেখণীতে আমাদের এই পঙ্কিল সমাজের বাস্তব করুণ দৃশ্যাবলী যেভাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে তার জন্য আপনাকে জানাই অনেক অনেক সাধুবাদ.... আপনি এভাবেই দেশ ও দশের জন্য লিখে যাবেন এবং আমাদের যুব সমাজকে ত্যাগ ও দেশপ্রেমের জন্য অণুপ্রাণিত করবেন এই আশা রাখি......। আপনার লেখনীতেই চিরকাল ভাস্বর হয়ে থাকবে বাংলার আবহমান সংস্কৃতি...এই কামনায়.....

৩২| ১৮ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:০৯

সাইমনরকস বলেছেন: একটি সত্যি কথা বলি রবীন্দ্রনাথ যদি আপনার লেখা পড়তো তাহলে রবীন্দ্রনাথ আপনার শিষ্যত্ব গ্রহন করতে বাধ্য হত। ব্যাডলাক রবীন্দ্রনাথ আগেই ইহকাল ত্যাগ করছে। |-) |-) |-)

৩৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১০:৩৯

ঔপন্যাসিক সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু বলেছেন:

ব্যাঙ্গ করে লিখা সব কমেন্ট মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন "চৌধুরী" (সাঃ উঃ জাঃ চৌধুরী) স্যার ।.সামুতে তাঁর অনেক ভক্তের রিকোয়েস্টে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা তাঁর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। যাদের মন্তব্য মুছে ফেলা হলো, তাদের মন খারাপ করার কিছুই নেই। সুন্দর করে গঠনমূলক মন্তব্য লিখুন-স্যার সম্বোধন করুন- তাহলে মুছে ফেলা হবেনা। ব্যাঙ্গ করে লিখবেন না,লিখলে ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কারণ অকাজের মন্তব্য গুলোর কারণে তাঁর পেইজটি ওপেন হতে সময় বেশি নেয়-ভোগান্তি বাড়ায়।।ধন্যবাদ সবাইকে।
(-------------- ব্লগটির পরিচালকদের একজন)।




৩৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১২:৩৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাংলা ব্লগ ভুবনে এটি শ্রেষ্ঠতম লেখা। আমি এ প্রতিভাধরের প্রেমে পড়ে গেলাম। আমাদের দেশে এরকম ছেলে কবে হবে, কথায় বড় না হয়ে প্রতিভায় বড় হবে।

আমি আপনার সাক্ষাৎকার পেলে নিজেকে ধন্য মনে করবো। সেই সাথে কমছে কম ৭২টা অটোগ্রাফ নেব। অটোগ্রাফ দিতে হবে কিন্তু।

৩৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১২ রাত ২:০২

হামেদ ইসমাইল তুহিন বলেছেন: ami hotobaak

৩৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১২ রাত ২:২৫

এরশাদ বাদশা বলেছেন: আমি সেন্স লেস।

৩৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৫:১২

ডাইস বলেছেন: কিভাবে এই ক্ষণজম্না প্রতিভা ঝাতি ব্যাবহার করতে পারে সেই বিষয়ে বিস্তারিত আররেক খানা পুস্ট আশা করছি

২০ শে জুন, ২০১২ রাত ৮:৫৩

ঔপন্যাসিক সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু বলেছেন:

ঝাতি লেখার অপরাধে ব্লক।

৩৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৫:৩২

তাশা বলেছেন: B:-) B:-) B:-) B:-) B:-)

৩৯| ৩১ শে মে, ২০১২ রাত ৯:৪০

মুহসীন৮৬ বলেছেন: সাধুবাদ। আপনে পুরা ভাই লুক। এতদিন কোতায় চিলেন :-B :-B :-B

৪০| ০১ লা জুন, ২০১২ ভোর ৬:৩০

উৎস১৯৮৯ বলেছেন: ঔপন্যাসিক সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু স্যার, আপনার লেখাটি সকল ভাষায় অনুবাদ করে পৃথিবীর সকল দেশে প্রকাশের অনুরোধ করছি। পৃথিবীর ৭০০ কোটি মানুষ জানুক যে কক্সবাজার জেলার সাগর কণ্যা দ্বীপ কুতুবদিয়া থানার পশ্চিম আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী চৌধুরী বংশে ২১ শে এপ্রিল কত বড় চিত্রশিল্পী,নৃত্যশিল্পী,কথাশিল্পী,কন্ঠশিল্পী,প্রচ্ছদশিল্পী,ভাস্কর্যশিল্পী,গীতিকার, সুরকার, থিয়েটার অভিনেতা, মডেল ও মিউজিক ভিডিও নির্মার্তা জন্মগ্রহণ করেছে।


:> :> :> :> :> :> :> :>

৪১| ১২ ই জুন, ২০১২ সকাল ১১:৫৫

বিভ্রান্ত মানুষ বলেছেন: আরেকটি কালজয়ী পোষ্ট এর সাকী হয়ে থাকলাম।

৪২| ১৬ ই জুন, ২০১২ রাত ১:০২

~মাইনাচ~ বলেছেন: =p~ =p~ =p~

৪৩| ১৬ ই জুন, ২০১২ রাত ২:১৪

sumon3d বলেছেন:

ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকলাম।

মজনু স্যারের দীর্ঘায়ু কামনা করি। ;)

৪৪| ১৬ ই জুন, ২০১২ রাত ২:২০

সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: আপনার এই পোস্ট না পড়লে জীবনটাই বৃথা হয়ে যেতো ! ভাইয়া ! আপনি এতো কিছু !!! বাহ !!! অনেক অনেক অভিনন্দন ! তো সামনের বইমেলায় কয়টা বই আসছে ?? খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে !!!! আসলে , আমাদের কতো কিছু করার আছে ! এখনকার যুগের বাচ্চাদের উচিত আপাঙ্কে দেখে শেখা ! এই বয়সেই আপনি কতো বিখ্যাত !!! অনেক শুভকামনা ভাইয়া !

৪৫| ১৮ ই জুন, ২০১২ সকাল ৯:৪৭

অদম্য১২৩৪ বলেছেন: মজনু সারের মত প্রতিভারাই পারে বাংলাদেশরে উন্নতির দিকচক্রবালে জাজ্বল্যমান রাখতে

৪৬| ২৭ শে জুন, ২০১২ রাত ১২:৩২

কেএসরথি বলেছেন: ভাই এইসব কি???


একি ভয়ানক ব্যাপার। B:-) B:-) B:-)

৪৭| ২৯ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:০৬

কালীদাস বলেছেন: স্যার এই বইটার একটা ইংলিশ অনুবাদ করলে খুব ভাল হত। অগনিত ব্রিটিশ এবং এমেরিকান স্যারের গুণ সম্পর্কে জানত তাহলে।

স্যারের ভক্ত হয়ে গেলাম। স্যারকে বলবেন আমার কথা :)

৩০ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১:৫৯

ঔপন্যাসিক সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু বলেছেন: apnake onek dhonnobaad.sir k jananu hoyeche.tiniy dhonnobaad janiyechen.valo thakun sob somoy.bye.

৩০ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:০০

ঔপন্যাসিক সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু বলেছেন: valo onubadoker sondhan pele janaben.eai matro sir bolechen.sundor prostaab.temon kaawke pele amader janaben.apnar protita montobbo gothonmulok o osadharon.apni sir er khub valo ekjon shuvakangki maane amar attar attiyo.-RIMON SHAHRIAR.

৪৮| ১৫ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:১৮

প্রাচীন মানব বলেছেন: অসাধারন, সত্যিই অসাধারন। নজরুল পরবর্তী যুগে বাংলা সাহিত্য যে দুর্যোগময় সময় পার করছিলো তার অবসান আমি দেখতে পাচ্ছি। লেখক কে ধন্যবাদ যে একজন অসাধারণ মানুষ কে আমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। সামূর প্রতি নিবেদন থাকবে যাতে এই পোস্টটিকে স্টিকি করা হয়। এ হচ্ছে বিনোদনের এক অন্যোন্য, জলন্ত ও অতিমানবীয় এক উদাহরন।

৪৯| ১৬ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৪৭

এ যুগের শ্রীকান্ত বলেছেন: ওরে আমারে ধর =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

৫০| ২৮ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:১৩

মোহাম্মদ তারেক হোসাইন বলেছেন: পুরান পাগলে ভাত পায়না, নতুন পাগলের আমদানী।।

৫১| ০১ লা আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৩

গাধা মানব বলেছেন: অসাধারণ পোষ্ট।

তবে স্যারের লিখা খুব শিঘ্রই ইংরেজীতে অনুবাদ করতে পারলে অনেক ভাল হত। বিদেশী ভাষা-ভাষীরা যে কত সুন্দর সুন্দর উপন্যাস মিস করছে!! আশা করছি খুব শীঘ্রই অনুবাদের কাজ শুরু হবে! স্যারের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

৫২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১২ রাত ১:২৫

কিংবদন্তী হাসিব বলেছেন: মেেহদী১০ বলেছেন: এই অসাধারন পোস্ট এতদিন পরে, পড়ে মনে হচ্ছে আর কিছুদিন পরে পড়লে আমার জীবনটাই বৃথা হত । চালিয়ে যান। যে যাই বলুক। বিখ্যাত সব ব্লগাররা হারিয়ে যাচ্ছে, আপনি এখনো আছেন দেখে খুশি হলাম। B:-/

৫৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:২৯

ছবির জীবন বলেছেন: কালীদাস বলেছেন: স্যার এই বইটার একটা ইংলিশ অনুবাদ করলে খুব ভাল হত। অগনিত ব্রিটিশ এবং এমেরিকান স্যারের গুণ সম্পর্কে জানত তাহলে।

স্যারের ভক্ত হয়ে গেলাম। স্যারকে বলবেন আমার কথা :)

৫৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৩০

রিমন রনবীর বলেছেন: লেখকের নাম রিমন শাহরিয়ার দেইখা কেউ আবার এইটারে আমার নিক ভাবিয়েননা। এইরকম বিনুদুন দেওয়া আমার পক্ষে অসম্ভব =p~ =p~

৫৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৮

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: স্যারের কোন আপডেট আর দেখছিনা.....এদেশে প্রতিভাবান রা স্বল্পায়ু হন.... সেই জন্য ভয় হয়......

পোস্ট পড়েই আমি স্যারের একজন ভক্ত হয়ে গেছি....দয়া করে জানাবেন ভক্ত হতে হলে কোন রেজিস্ট্রেশন ফি দিয়ে হওয়া লাগবে কিনা....সামর্থ্যের মধ্যে হলে তাও দিতে রাজী আছি.....

স্যারের দীর্ঘায়ু কামনা করি....আর তাড়াতাড়ি একটা আপডেট প্রত্যাশা করি.....

৫৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৫৪

দাস্তান বলেছেন: একটা কমেন্ট দিয়া ইতিহাস এর সাক্ষী হলাম

৫৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:৩২

এসএসনাসরীন বলেছেন: এ কোথায় এলাম B:-) B:-)

৫৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:৩৭

আপনার পাসওয়ার্ড ভুল বলেছেন: এক কথায় অসাধারন! আপনার পধধূলিতে আজ এই সামু ধন্য হল, সার ভাল থাকবেন ! /:)

৫৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২১

tarit বলেছেন: স্যারের লেখাই একটা কমেন্ট করে নিজের নাম ইতিহাসের পাতাই লেখার লোভ সামলাতে পারলামনা। সবাই স্যারের জন্য দোয়া করবেন তিনি যেন গ্লুবাল ওয়ার্মিং এর পর এইডস এর উপর একটা উপন্যাস আমাদেরকে উপহার দেন। যার মাধ্যমে আমাদের মানে ম্যঙ্গ পিউপিল দের মধ্যে এইডস এর সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। আর যেকোন মুল্যে স্যরের অস্ট্রেলিয়া নাযেন ব্যাঙ্গালুর কই যেন চলে যাচ্ছিলেন তা প্রতিহত করতে হবে।এত বড় একটি বিনুদুন থুক্কু প্রতিভা দেশ থেকে হারিয়ে যাবে তা কিছুতেই হতে দেয়া যাইনা।

৬০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৯

আদিম পুরুষ বলেছেন: ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলাম।

৬১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: এই পুস্ট না পড়লে জীবটাই বৃথা যেত। এই মহান ব্লগারকে অশেষ ধন্যবাদ! আপনি বাংলার গর্ব!! সারসরি প্রিয়তে। পুস্টটি ইশটিকি করা হওক!(ব্লগারের পেছনে ;) )

৬২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬

শিব্বির আহমেদ বলেছেন: আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: এই পুস্ট না পড়লে জীবটাই বৃথা যেত। এই মহান ব্লগারকে অশেষ ধন্যবাদ! আপনি বাংলার গর্ব!! সারসরি প্রিয়তে। পুস্টটি ইশটিকি করা হওক!(ব্লগারের পেছনে ;) )


ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলাম।

৬৩| ১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭

অপরিচিত অতিথি বলেছেন: এই লেখা পড়ে আমি ধন্য।

৬৪| ২৩ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:১৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনার এই লেখা এতদিন দেখিনি বলে আমার কি যে দুঃখ হচ্ছে তা বলে বোঝাতে পারব না। আপনি মহান, আপনি অসাধারণ, আপনি না পুরুষ, না নারী, আপনি সেই 'আলফা বিইং', সেই মহাপুরুষ, যার জাত নেই, পাত নেই, রাত নেই, দিন নেই, বাংলাদেশ নেই, চীন নেই, আছে শুধু একটা জিনিস- প্রতিভা! আপনি মহানাগরিক, আপনার সবকিছুই মহা। এখন মরে গেলেও আমার বংশধরকে শুনিয়ে যেতে পারব - আমি পড়েছিলাম! সেই মহা মহা বিশুদ্ধ বাণীসমৃদ্ধ মহাজীবনী আমি পড়েছিলাম।

আমাদের বড় দুঃখের দিন চলছে এখন। আপনাকে যারা বিদ্রূপ করে, নিশ্চিত থাকুন তারা আপনার কাতারে পড়ে না। তারা আজ ইতিহাসে নেই। আপনি ফিরে আসুন কাণ্ডারি, মানব সভ্যতা আজ আপনার মুখাপেক্ষী।

৬৫| ২৩ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৩১

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: নোবেল কমিটি আপনার প্রতিভার কথা জানতে পারলে সুইসাইড খাইব

৬৬| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩৬

ভূতাত্মা বলেছেন: এ আমি কুটায় এসে পড়লাম? B:-)

৬৭| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩৭

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: হে আল্লাহ, এই পোস্ট দেখার আগে আমারে পৃথিবী থেইকা উঠায়া নিলানা কেন ?

এখনও সময় আছে একটা সুতা ফেলাও, আমি আর এই নিষ্টুর পৃথীবিতে থাকতে চাইনা।

৬৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: ভচ কই ডুব দিলেন :((

৬৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৩৫

ফারজানা আখি বলেছেন: :-/ :-/ :-/ :-/ :-/ :-/ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ :#) :#)

৭০| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৬

রুপসী2012 বলেছেন: আমি "বাংলার অহংকার স্যার"এর পুরানো ভক্ত।
স্যারের সন্ধানে অনেক সময় ব্যয় করে শেষে স্যারকে খোঁজে পেয়েছি।ওনার কন্টাক্ট নাম্বারও পেয়েছি।কিন্তু দেব না।ফেবুতে স্যারকে নিচের পেইজগুলোতে পেতে পারেন-(তবে খারাপ মন্তব্য করলে ব্লক খেতে পারেন)
http://www.facebook.com/banglar.ahongkar

http://www.facebook.com/valobasar.rood.bristy1

http://www.facebook.com/valobasar.rood.bristy2

http://www.facebook.com/valobasar.rood.bristy3

এছাড়া মাঝে মাঝে নিচের সাইটেও আসেন মনে হয়
http://www.mojnumorshadchowdhury.wordpress.com

মজার ব্যাপার হচ্ছে বিয়ের জন্য পাত্রী খোজছেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.