![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিছানায় শুয়ে,টেবিলে বা মেঝেতে বসে,ডায়েরীতে যেটা লেখেন, সেটা নিজের জন্য ইচ্ছেমত লেখা। যখনই অন্যকে দেখাতে যাবেন,সেটা অন্যের জন্য লেখা, যেক্ষেত্রে অন্যের রুচিটাকে প্রাধান্য দিতে হয়।
আমার পছন্দের একটি বই -
দি সাটল আর্ট অফ নট গিভিং এ ফা***ক
লিখেছেন মার্ক ম্যানসন ।
বইটার কয়েক টুকরো অংশ শেয়ার না করে থাকতে পারলাম না।
একবিংশ শতকের আধুনিক প্রজন্মের সকলেরই রয়েছে উচ্চাকাঙ্ক্ষা - বেশি সুখে থাকবো, গর্জিয়াস ফিগার বানাবো, সবার চেয়ে সেরা হব, স্মার্ট হব,ধনী হব,সেক্সিয়ার হব, বিখ্যাত হব। অবস্থাটা এমন, সবাই আমাকে প্রশংসা ও হিংসা, দুটোই করবে।
প্রতিদিন সকালে উঠে, রাজকীয় স্টাইলে ব্রেকফাস্ট সেরে, ক্লিওপেট্রার মত সুন্দরী স্ত্রীর কপালে চুমো দিয়ে অফিসে যাবো এসি কারে- এবং অবশ্যই, আমার কাজগুলো পৃথিবীটাকে বদলে দেবে।
এক সেকেন্ড থামুন এবং চিন্তা করুন - আমরা যখন মোটিভেশনাল বক্তার বকবকানি শুনি, তখন সেই জ্ঞানদায়ক কথাগুলো আমাদের অপূর্ণতা গুলোর দিকেই ইশারা করে কিনা?
আমি যখন সফল হওয়ায় উপায় খুঁজে বেড়াই, তখন তো মাথায় একটা কথাই চক্কর দেয়-" আমি ব্যর্থ, সফল হওয়ায় ভ্যাকসিন চাই "
আমি প্রচুর টাকা কামানোর রাস্তা খুঁজি - কারণ আমার বিশ্বাস - " আজ গরীব বলে....... "
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বার বার বলি " আমি স্মার্ট, হ্যান্ডসাম এবং স্টাইলিশ " - কারণ বোধহয় আমার মনে হয় আমি দেখতে খ্যাত টাইপের।
ডেটিং এন্ড রিলেশনশিপ বিষয়ে টিপ্স খুঁজে বেড়াই কেন? কারণ বোধহয় -" সখী ভালোবাসা কারে কয়,এইডা আমি জানি না "।
দূর্ভাগ্যবশত, যখন সফলতা, সৌন্দর্য্য,সম্পদের প্রাচুর্য, সুখী জীবন, সবার চেয়ে এগিয়ে থাকা- এসব ব্যাপারে যখন আমি অবসেসড হয়ে পড়ি, তখন এই চিন্তাগুলোই আমার দিকে আঙুল উচিয়ে বলে - তুই ব্যর্থ,কুৎসিত,গরীব,দুঃখী এবং সবার চেয়ে পিছিয়ে - তোকে দিয়ে কিচ্ছু হবে নারে পাগলা।
সবাই বলে এবং টিভির এড গুলো আরো জোরে চিল্লায়ে কয়- সুখী জীবনের মানেই হল হাই প্রোফাইল জব, দামী কারে চড়ে বেড়ানো, সেক্সি পার্টনারের সাথে সময় কাটানো কিংবা কোটি টাকার বাংলোতে বাস করা। সবাই শুধু বলে - বেশি চাও,বেশি পাও,বেশি কাজ করো, বেশি বড়ো হও,বেশি বাড়াও,বেশি জমাও। শুধু বেশি আর বেশী।
এমন অবস্থায় হাজারো চিন্তায় মাথা হ্যাং হয়ে থাকে। সব কিছু নিয়ে পেইন নিতে বাধ্য হতে হয়। সেরা ভার্সিটিতে চানস পাওয়া নিয়ে পেইন, পাশ করে সেরা কর্মক্ষেত্রে যোগদান করা নিয়ে পেইন, সেরা মেয়েটিকে বিয়ে করা নিয়ে পেইন, বহুতল ফ্ল্যাটবাড়ির মালিক হওয়া নিয়ে পেইন, বাচ্চা কাচ্চাকে মানুষ করা নিয়ে পেইন ( বাচ্চারা তো মানুষ না)।
চাইলেও মাথা থেকে পেইন গুলো ঝেড়ে ফেলা যায়না, কারণ জন্মের পর থেকেই ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলি মগজ ধোলাই করে দিয়েছে। জন্মগত অভ্যাস কি একদিনে বদলায়?
পাঠকের কাছে একটা প্রশ্ন - পরিশ্রম, ধৈর্য্য ও বুদ্ধি দিয়ে জীবনে সফল হওয়ায় চেষ্টা অবশ্যই প্রশংসনীয়, কিন্তু ছোট বড়ো হাজারো বিষয় নিয়ে মাথা ঘামালে মূল কাজে মনোযোগ দেওয়া কিভাবে সম্ভব? আর এটা কি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো?
এই ব্যাপারে মার্ক ম্যানসনের মতামত - " সব বিষয়ে মাথা ঘামিয়ে ভেজা ফ্রাই করার দরকার কি? এর চেয়ে বরং যেগুলো সত্যিকার অর্থেই গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের নিয়ন্ত্রণের আয়ত্তে আছে, সেগুলো ব্যাপারে সময় দিলে জীবন টা বোধহয় আরেকটু সহজ ও সুন্দর হতে পারতো।
আমার মন্তব্য : মাথার ব্রেন খাটাই বানাইছে বইখানা।
বইয়ের প্রথম অধ্যায় - চেষ্টার কি দরকার? হয়ত ওই অধ্যায় নিয়ে আরেক দিন প্যাচাল পাড়া যাবে।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩৭
যায়েদ আল হাসান বলেছেন: আপনার পরামর্শের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৮
*আলবার্ট আইনস্টাইন* বলেছেন: আমাদের উচিৎ সব বিষয়ে অল্প অল্প করে স্বাভাবিকভাবে জানা। আর কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে এক্সপার্ট বা বিশেষজ্ঞ হওয়ার চেষ্টা করা। রিভিউ দিতে থাকুন। ভাল।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪১
যায়েদ আল হাসান বলেছেন: আন্তরিক কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি উৎসাহ প্রদানের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:০৬
জ্যাকেল বলেছেন: বুক রিভিয়ু আরও বেশি করে তথ্য দিতে হয় যাতে আপনার বিদগ্ধ অনুধাবন শক্তি দিয়ে আমাদেরকে আলোকিত করতে পারেন। তারপর ফোকাস করার ব্যাপারটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হল। আর এইভাবে ওয়েব সিরিজের মত s01e01 না দিয়ে সুন্দর করে সাহিত্য চর্চার একটা ডাকনাম দিতে পারতেন।সর্বোপরি আপনার প্রচেষ্টার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।