নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Green_Bird of Jannah

“Surely in remembrance of Allah do hearts find rest\" [Al Quran-13:28]

আশালিনা আকীফাহ্‌

“The worldly comforts are not for me. I am like a traveler, who takes rest under a tree in the shade and then goes on his way.” –[Tirmidhi]

আশালিনা আকীফাহ্‌ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আগুনের আলো নেবে, জ্বালা নেবেনা ? [Translation of "Watching Movies forCriticism- A Satanic Trap" By Abu Ayesha]

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৮

আলহামদুলিল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম,



কয়েক বছর আগে এ গ্রুপে একটা গল্প

প্রকাশিত হয়েছিল যা আমি ঠিক

খুঁজেপাচ্ছিলাম না।

আজকে যা আলোচনা করতে চাচ্ছি তা সে গল্পের সাথে খুবই রিলেটেড। তাই আমি নিজের ভাষায় তা সংক্ষেপ করার চেষ্টা করব।

সবাইকে অনুরোধ করব, ধৈর্য ধরে পড়ার জন্য।



এক পিতার তিন মেয়ে ছিলো,

যারা মাকে হারিয়ে বাবার যত্নে বড় হয়ে

উঠছিল।তিনি খুব সিরিয়াস ছিলেন মেয়েদের

ইসলামিকভাবে লালনপালন করার

ব্যাপারে এবং তা বেশ যত্নসহকারেই

করছিলেন। একদিন মেয়েরা বাবার কাছে এক

আবদার নিয়ে এলো, যে তারা তাদের এক

বান্ধবীর বাসায় যেতে চায় এবং সেখানে

রাতে থাকতে চায়।



সেখানে একটা শিক্ষামূলক ছবি দেখারও

প্ল্যান ছিলো। বাবাকে বলার পর বাবা মানা করে দেন কিন্তু বান্ধবীদের বাসায় আসতে বলেন।

তিনি মুভি দেখার বিষয়টাতে পুরাপুরি অসম্মত হন।

মেয়েরা তখন বাবাকে বুঝানোর চেষ্টা

করে, মুভির নায়ক খুবই ধার্মিক

এবং মিথ্যার বিরুদ্ধে কঠোর লড়াই করে

গেছে।তখন বাবা মেয়েদের জিজ্ঞেস

করে মুভিতে কোন আজে বাজে দৃশ্য

আছে কিনা।



মুভিতে নায়কের স্ত্রী/গার্লফ্রেন্ডের

সাথে একটি মাত্র অন্তরঙ্গ মুহুর্ত

থাকার ব্যাপারটা মেয়েরা বলে। বাবা এমনিতেই

মুভি দেখার বিষয়টা

প্রত্যাখ্যান করতেন কিন্তু তিনি মেয়েদের

অন্যভাবে একটা শিক্ষা দিতে

চেয়েছিলেন।



তিনি তাদের জন্য স্পেশাল

কিছু রান্না করতে গেলেন। মেয়ে

তিনজনই মনমরা হয়ে তাদের মাকে খুব মিস

করতে লাগলো, তিনি বেঁচে থাকলে হয়ত

তাদের পক্ষ হয়ে বাবার কাছে সুপারিশ

করতেন।

কিছুক্ষণ পর খাবারের সুঘ্রাণ

পাওয়া গেলো। বাবার মন হয়তো নরম

হয়েছে, মেয়েরা ভাবল। বাবা কিছুক্ষণ পর,

ব্রাউনি নিয়ে উপস্থিত হলেন। মেয়েরা খুবই

আনন্দের সাথে রান্নার উপকরণ

সম্মন্ধে বাবাকে জিজ্ঞেস করতে লাগলো।

তিনি সব উপকরেনের কথাই বললেন এবং এও

বললেন যে একটা স্পেশাল উপকরণ

আছে যা তিনি বলবেন না। মেয়েরা সেই

উপকরণ

জানতে খুবই জোরাজুরি করতে থাকে।



বাবা মেয়েদের কৌতূহল দেখে বলেই ফেললেন

যে তার বানানো ব্রাউনিতে প্রতিবেশীর বাগান

থেকে আনা এক চামচ কুকুরের বিষ্ঠা

আছে।

সাথে সাথে তারা টেবিল

থেকে ব্রাউনি প্রায় ফেলে দিল,তারা খুবই

মর্মাহত হলো যে বাবা কিভাবে তাদের

সাথে এমনটি করতে পারলো ?



"মুভিটা দেখলে

এই এক চামচ কুকুরের বিষ্ঠার চেয়েও অনেক

জঘন্য জিনিস তোমরা খেয়ে ফেলতে"-

বললেন বাবা।



এখানে শুধু অন্তরঙ্গ মুহুর্ত নয়, মুভির

প্রতিটা দৃশ্যে অভিনেতা-অভিনেত্রীর ফ্রি-

মিক্সিং শরিয়তের দৃষ্টিতে পাপ।

মুভিতে বা খাবারে

কতটা ভালো জিনিস আছে তা আসলে দেখার

বিষয় না, দর্শক পুরাটা দেখে হজম করে

আর তাই সেখানে থাকা খারাপ ব্যাপারগুলোর

দ্বারা আক্রান্ত হতে বাধ্য।

মেয়েরা ততক্ষণে বুঝতে পেরে সেই

মুভি দেখার প্ল্যান থেকে বিরত থাকল।



মুসলিম সমাজে মুভির সমালোচনা করতে ও

মুভি দেখার বিষয়টা হাইলাইট করতেগিয়ে

এই গল্পটা বলতে হলো।



এক ছোটভাই বলছিল, সবাই নাকি বলিউডের আমির খান নির্মিত একটি ছবি দেখছে এবং তাকবীর

দিয়ে তাঁর হিদায়াত কামনা করছে। ভাবটা

এমন যে মুভিটা না দেখলে হিদায়াত হবেই না।



"সমস্যা আরও গুরুতর।

যারা মুভি দেখা হালাল ভাবতে ভাবতে এমন

মানসিকপর্যায়ে চলে গেছে যে শুধু মহিলাদের

আন্ডারগার্মেন্টস -এ দেখলেই শুধু পাপ

হবে!! ও ভালো সেক্যুলার/ ইসলামিক ভ্যালু প্রমোট করে এমন সব কিছুই দেখা যাবে।

সুবহানআল্লাহ, এ এক চরম বিভ্রান্তি!

গায়র-মাহরাম মেয়েদের বিনা-হিজাবে

(যদিও আধুনিক মতানুসারে তারা শালীন

শাড়ি ব্লাউজ পরেথাকে) দেখা, অভিনয়ের

খাতিরে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে অপরিচিত

পুরুষ-মহিলার ইন্ট্যার্যাকশন,

পিতামাতা-ছেলেমেয়ের সম্পর্ক ...এসবই

অবৈধ জিনিস দেখার মধ্যে পড়ে।"



আমির খানের জন্য দুয়ার প্রতি সম্মান

প্রদর্শনপূর্বক বলছি, তিনি হিন্দুদের

দেব-দেবী নিয়ে ধর্মীয় ব্যবসার মুখোশ

উন্মোচন করে যে ছবিটা বানিয়েছেন,

তার খবর পড়েই দুয়া করা যেত।

আল্লাহর কাছে শয়তানের প্ররোচনা থেকে পানাহ

চাই যে কীভাবে সে আমাদেরকে তার মত

হবার জন্য প্রথমে কুফরির প্ররোচনা দেয়

এবং পরে বিদ'আতে লিপ্ত হতে বলে।

আর সম্ভব না হলে এর মধ্যে ভাল আছে তা

বুঝানোর চেষ্টা করে!!...



হুমায়ুন আহমেদের ছবির ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছিল যেখানে সমকামিতা এবং অন্যান্য হারাম

জিনিস প্রদর্শন করা হয়েছে।

অনেক মুসলিমভাই ও বোনেরা এই রকম

মুভি দেখে তাদের ইসলামিক ভিউপয়েন্ট

থেকে ক্রিটিসাইজ করার চেষ্টা করেন, যেন এর

মাধ্যমেই অনিষ্ট থেকে বিরত করা

যাবে!! শয়তান আমাদের উপর

জয়ী হয়েছে এবং পাপে নিমজ্জিত

করতে সমর্থ হয়েছে।



এমনকি কিছু তালিবুল ইলম এমবিসির

সায়্যিদিনা উমার(রাদিয়াল্লাহু আনহু) এর

এবং তাঁর সময়ের উপর নির্মিত সিরিয়াল

দেখাকেও বৈধ মনে করছেন।

"এটা খুবই দুঃখজনক যে যখনই ইসলাম qa

থেকে এ সম্মন্ধে অতীত ও

বর্তমানেরবিখ্যাত আলেমদের কোন কিছু

উদৃতি দেবার চেষ্টা করা হয় তখন মুভি

দেখার ,আইডিয়ার প্রোমোটারগণআমাদের

উপর চরম সমালোচনার ঝড় বইয়ে দেন। যে

আমরা ইসলাম qa-র তাক্বলীদ (অন্ধ

অনুসরণ) করছি। এবং একই রকম

অভিযোগ করা হয় যে আমরা মুহাদ্দিস ইমামগণেরও

(বুখারী,মুসলিম, আহমাদ বিন হাম্বল প্রমুখ)

তাক্বলীদ করছি।

ইসলামএর ইল্ম ইস্নাদের

(Chain of Narration) মাধ্যমে যুগ

যুগ ধরে হস্তান্তরিত হয়ে আসছে এবং এটাই

এ ধর্মের স্বকীয়তা। সুতরাং

ক্লাসিকাল কোন স্কলার

অথবা ইসলামকিউএর কোন রিসোর্স

শেয়ার করার মানে এই না

যে আমরা তাদের অন্ধ অনুসরণ করছি"



আপনাদেরকে ম্যুভি সম্পর্কিত islamQA’র

কিছু ফাতওয়ার লিঙ্ক দিলাম,



#The evil consequences of watching

movies [ http://islamqa.info/en/85232 ]



#Ruling on watching TV, videos and

satellite channels [http://islamqa.info/en/13003 ]



#Ruling on representing the Sahaabah in

plays etc.

[http://islamqa.info/en/14488 ]



#Ruling on watching movies and serials

that portray the Prophets and

the Sahabaah [http://islamqa.info/

en/158232 ]



সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এ অতিরিক্ত

আসক্তির পরিণামে মানুষজন চারপাশের

নিত্যনতুন Social Trend এর অনুসরণ

করছে এবং ইসলাম সম্পর্কে তাঁদের প্রকৃত

জ্ঞানের সংকটও ক্রমেই প্রকট হচ্ছে।

ফেসবুকের ওয়ালপোস্টে বিচ্ছিন্নএবং

পরস্পর সম্পর্কহীন কিছু কুরআন

এবং হাদিস পড়ে মানুষের মনে একটা মিথ্যা

অনুভূতির আসন

পাকাপোক্তভাবে জায়গা করে নিচ্ছে যে ইস

সম্পর্কে তাঁর জ্ঞানের গভীরতা বাড়ছে [1]।



অথচ তাঁদেরমধ্যে কোন বিষয়ভিত্তিক বই পড়া বা

কোন স্কলারের লেকচার সিরিজে অংশগ্রহণ

করার খুবএকটা আগ্রহ দেখা যায়না।

হতে পারে যে ফেসবুক দাওয়াহ করার খুব

ভালো একটা মাধ্যম কিন্তু

অবস্থা দেখে মনে

হয় আমরা ধরেই নিয়েছি যে দাওয়াহর

একমাত্র মাধ্যম হল ফেসবুক। তারমানে হল,

যারা দাওয়াহ দিচ্ছে এবং নিচ্ছে তাঁরা দুজনেই দিনের প্রায় পুরোটা সময় সোশ্যালনেটওয়ার্কেই কাটিয়ে দিচ্ছে!



কোন কোন বন্ধু কিংবা কাজিনকে ফেসবুক

ওয়ালপোস্ট, ৫ মিনিটের শর্ট লেকচার

কিংবা ম্যুভি ক্রিটিসিজম দিয়ে তাঁর

মতপরিবর্তন করা কিংবা ইসলামের দিকে

ডাকার চেয়ে সেই বন্ধু কিংবা আত্মীয়ের

বাসায় সপ্তাহে একবার কিছুটা সময়

নিয়ে ঘুরে আসলেও আল্লাহ্র ইচ্ছায় সেখান

থেকে খুব চমৎকারফলাফল পাওয়া যেতে

পারে [2]।



আর এই ফেসবুক দুনিয়ার মানুষদের

মধ্যে ইল্মের নগণ্য ছাত্র কিংবা

দাঈদের কাছেথেকে তাবৎ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের

সল্যুশন গ্রহণ করার একটা

প্রবণতা দেখা যায় যদি তাঁরা দেখতে পায়

যে সেই দাঈ বা তালিবুল ইল্ম কোন বড়

স্কলারের সাথে সম্পর্কিত। অথচ একজন

নগণ্য দাঈ বা তাকিবুল ইল্মের মতামতে বড়

ধরনের গলদ থাকতে পারে এবং এটাই

স্বাভাবিক।কিন্তু সে কোন ভুল মতের উপর

গোঁয়ার্তুমি করে আঁকড়ে থাকার পরও তার

প্রতিসম্মানে গদগদ থাকাটা

“প্রবৃত্তির অনুসরণ” ছাড়া আর কিছুই

হতে পারেনা।আল্লাহ্ আমাকেও এমন

পরিণতি হতে রক্ষা করুন।



এমন কিছু মানুষের সাথে হয়ত আপনাদের

অবশ্যই দেখা হয়েছে যারা আমাদের এই বলে

চ্যালেঞ্জ করেন , “তাহলে তুমি রাস্তায়

হাঁট কি জন্য? বাজারে যাও কেন?

অফিসে কর কিভাবে?” ঐখানে কি হিজাব

ছাড়া বেপর্দা মহিলারা থাকেনা?এ ধরনের

প্রশ্নের ভদ্রোচিত জবাব হচ্ছে-

প্রয়োজনের তাগিদে যেসকল নারীরা ঘরের

বাইরে বেরুবেন তাঁরা হিজাব/পর্দাসহকারে বের হবেন।

পুরুষরা হিজাব ছাড়া বেপর্দা

মেয়েদের দেখার ভয়ে তাঁদের স্বাভাবিক

কাজকর্ম বন্ধ করে দেবে না।বরং তাঁরা

দৃষ্টি নিচু করবে।পর্দার খেলাফ মেয়েদের

পক্ষথেকেই হয়েছে, পুরুষদের পক্ষ

থেকে নয়(কারণ, দায়িত্বটা মেয়েদেরই ছিল

যে তাঁরা যথাযথভাবে পর্দা করবে ও

প্রয়োজন ছাড়া বাইরে চাকরি করবে না) ।



আল্লাহ্র কাছে দুয়া করি যাতে আল্লাহ্

আমাদের তরুণদের হিদায়াহ দেন

যাতে তারা ঘন্টার পর ঘণ্টা স্মার্টফোন

আর ল্যাপটপে ব্যয় করে সেই মিথ্যা

আত্মতৃপ্তিতে না ভোগে যে তাঁরা ইসলামের

বিশাল খেদমত করে ফেলছে!!!



আমাদের বুঝতে হবে যে, ফেসবুক টিভির মতই

একটা মাধ্যম মাত্র।আমাদের

আলিমরা অনেক মন্দের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও

টিভিতে প্রোগ্রাম করেন এই সুযোগের

আশাতেই যে

যাদের দাওয়াহ প্রয়োজন সেই

মানুষগুলো চ্যানেল পাল্টানোর সময়

অন্তত কিছু

নসিহা (সৎউপদেশ) শোনার সুযোগ পাবে।



কিন্তু, তাঁরা কি আমাদের নিয়মিত টিভি

দেখার উপদেশ দেন? আমাদের হালাকায়

(দ্বীনি মজলিশ) কখনো কি তাঁরা আমাদের

টিভি দেখার নসিহা দিয়েছেন বলে শুনেছি?



কারণ, টিভি হচ্ছে তাঁদেরকে দাওয়াহ

দেয়ার মাধ্যম যারা ক্লাস কিংবা হালাকায়

আসতে পারেননা।একইভাবে, সোশ্যাল

নেটওয়ার্কিং (যেমন ফেসবুক) সেসব মানুষের

মনে চিন্তার উদ্রেক করতে ব্যবহার

করা যেতে পারে যারা কোন ক্লাস

বা হালাকায় আসেননা, কিন্তু এটা কখনোই

দ্বীন শেখার পথে কারো জন্য একমাত্র ও

ধারাবাহিক মাধ্যম (Perpetual Way-out)

হতেপারেনা।



সোশ্যাল মিডিয়াসহ সবজায়গায়

খোঁজাখুঁজির পথ পরিক্রমায়

কিংবা সেখানে দাওয়াহ

পেয়ে ঈমানের একটা নির্দিষ্ট

পর্যায়ে পৌছার পর একজন ব্যক্তি অবশ্যই

বিভিন্ন(Islamic) সেশন, ক্লাস এবং হালাক্বায় অংশগ্রহণ করবেন- এমন একটা পর্যায় যে থাকতেই হবে।



আমি আমার ভাই ও বোনদের অনুরোধ করব তারা যেন, বিষয়টি নিয়ে একটু ভালোভাবে চিন্তা করেন

এবং সেই অনুযায়ী কাজ করেন।আল্লাহ্ আমাকে হিদায়াহ দিন। আর এই লিখায় ভুলত্রুটির জন্য আল্লাহ্ আমায় মাফ করে দিন।



##Abu Ayesha



Editors Note:



[1] প্রকৃতপক্ষে, ইসলামের জ্ঞান নয়

বরং আমাদের কাছে কিছু ইনফরমেশন যোগ

হচ্ছে যেই জ্ঞানের কিছু Widthহয়ত

আছে কিন্তু একটু চিন্তা করেদেখুন এর

কোন Depth নেই।



[2] আমরাও তো তাই দেখি যখন সোশ্যাল

মিডিয়ায় কোন ব্যক্তির কোন বিষয় নিয়ে

কমেন্টের খোঁজ না পেলে কিংবা নেট সার্চ

করে কোন ট্রেন্ড নিয়ে কোন

স্কলারের লিখা কিংবা ভিডিও

পাওয়া না গেলেই সে সুবিধাবাদি, দালাল

ইত্যাদি এবং এসব বিষয়

নিয়ে কখনো কথা বলেননি বলে আমরা কুধার

আর সামনাসামনি না বসে ফেসবুকে মতভেদপূর্ণ

কোন বিষয় নিয়ে কথাবার্তা হলেই সেটা

নিয়ে পরিচিত ভাইবোনদের মধ্যেই কত

তর্কাতর্কি, সম্পর্কছেদ, মুখ-দেখাদেখি

বন্ধ আরো কত কি –অথচ

সামনাসামনি আলোচনায় হয়ত

সেটা একটা হাসিতেই শেষ হয়ে

যেত! শয়তান তো চায় মুমিনদের মধ্যকার

এতসুন্দর সম্পর্কগুলো নষ্ট হোক। তাই

ভাসাভাসা তথ্যের ভিড়ের মাঝে হৈহট্টগোল

বাঁধিয়ে সে মুসলিমদের মধ্যে

সম্পর্ক নষ্ট করে দিতে চায়।



কেনইবা আমরা আল্লাহ্র বান্দাদের হক নষ্ট

করে আল্লাহ্র অসন্তুষ্টি কামাই করে আমাদেরi

এই প্রকাশ্য শত্রুকে এমন সুবিধা

দিয়ে যাচ্ছি?



## Translators: M. Mahbubur Rahman &

Muhammad Mahbub Murshed Tareq.



##যদিও মূল লিখাটি সমালোচনার

খাতিরে ম্যুভি দেখার প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র

করেই লিখা হয়েছিল, কিন্তু অন্যান্য অনেক

বিষয়ও এসে সংযুক্ত হওয়ায়

অনুবাদের শিরোনামটি একটু পাল্টে দেয়া হয়েছে। আর “আগুনের আলো নেবে, জ্বালা নেবেনা ?”

শিরোনামটি আসলে ব্লগোস্ফিয়ারে ঝড়

তোলা মুহাম্মদ এনামুল হক

লিখিত একটি ব্লগ সিরিজের নাম।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.