![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পনেরো হাজার পৃষ্ঠার একটা উপন্যাস লিখব! সেই উপন্যাসে তার নাম কোটিবার থাকবে! সেই উপন্যাসের নায়ক আমি আর নায়িকা সে!
আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন নিজ ছেলেকে বা পরবর্তী প্রজন্মকে একজন খাঁটি মানুষের মর্যাদায় শিক্ষিত করার আবেদন জানিয়ে ছিলেন তার ছেলের শিক্ষকের কাছে।তিনি শিক্ষককে যা লিখেছিলেন তা হুবহু পাঠকের উদ্দেশ্যে তুলেধরা হলো -
মাননীয় মহাশয়,
আমার ছেলেকে জ্ঞানার্জনের জন্য আপনার কাছে প্রেরণ করলাম। তাকে আদর্শ মানুষ হিসাবে গড়ে তুলবেন এটাই আপনার কাছে আমার বিশেষ দাবি। আমার ছেলেকে অবশ্যই শিখাবেন সব মানুষ ন্যায়পরায়ণ নয়, সব মানুষই সত্যনিষ্ঠ নয়।তাকে এও শেখাবেন প্রত্যেক বদমায়েশের মধ্যেও একজন বীর থাকতে পারে, প্রত্যেক স্বার্থপর রাজনীতিকের মধ্যে একজন নিঃস্বার্থ নেতা থাকে। তাকে শেখাবেন প্রত্যেক শত্রুর মধ্যেও একজন বন্ধু থাকে। আমি জানি এটি শিখতে তার সময় লাগবে। তবুও যদি পারেন তাকে শিখাবেন পাঁচটি ডলার কুড়িয়ে পাওয়ার চেয়ে একটি উপার্জিত ডলার অধিক মূল্যবান। তাকে এও শেখাবেন পরাজয় কীভাবে মেনে নিতে হয় এবং কীভাবে বিজয়োল্লাস উপভোগ করতে হয়। হিংসা থেকে দূরে থাকার উপদেশও তাকে দিবেন। যদি পারেন নীরব হাসির সৌন্দর্য তাকে শেখাবেন। সে যেন আগেই এ কথা বুজতে শেখে, যারা পীড়নকারী তাদের সহজেই কাবু করা যায়। বইয়ের মধ্যে কী রহস্য লুকিয়ে আছে তাও শেখাবেন। আমার ছেলেকে শেখাবেন, বিদ্যালয়ে নকল করার চেয়ে অকৃতকার্য হওয়া অনেক বেশি সম্মানজনক। নিজের উপর তার যেন সুমহান আস্হা থাকে, এমনকি সবাই যদি সেটাকে ভুলও মনে করেন। তাকে শেখাবেন ভদ্রলোকের প্রতি ভদ্র আচরণ করতে, কঠোরদের প্রতি কঠোর হতে। আমার ছেলে যেন, হুজুকে মাতাল জনতার পদাঙ্ক অনুসরণ না করে। সে যেন সবার কথা শুনে এবং সত্যের পর্দায় ছেঁকে যেন ভালোটাই শুধু গ্রহণ করে -এ শিক্ষাও তাকে দিবেন। সে যেন দুঃখের মধ্যে কীভাবে হাসতে হয়, আবার কান্নার মধ্যেও যে লজ্জা নেই একথা তাকে বুজতে শেখাবেন। যারা নির্দয় -নির্মম তাদের সে যেন ঘৃনা করতে শেখে, আর অতিরিক্ত আরাম আয়েশ থেকে সাবধান থাকে। আমার ছেলের প্রতি সদয় আচরণ করবেন কিন্তু সোহাগ করবেন না। কেননা আগুনে পুড়েই ইস্পাত খাঁটি হয়। আমার সন্তানের যেন অধৈর্য হওয়ার সাহস না থাকে, থাকে যেন তার সাহসী হওয়ার ধৈর্য। তাকে এও শিক্ষা দিবেন নিজের প্রতি তার সুমহান আস্হা থাকে, আর তখনই সুমহান আস্হা থাকবে মানবজাতির প্রতি।
ইতি
আপনার বিশ্বস্ত
আব্রাহাম লিংকন।
২| ১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৩০
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: ভালো লেগেছে।বাস্তবে সবার মাঝে এসব ক্রমশ মিথ হয়ে যাচ্ছে!!!
৩| ১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭
ঈশান আহম্মেদ বলেছেন: ভালো লাগলো।এখন এগুলা শুধু বইয়ের পৃষ্ঠাই সোভা পাই,বাস্তবে আর হয় কৈ?
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:১৮
মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: স্যার আব্রাহাম লিঙ্কনের চিঠির আর ভেল্যু নাই। এখন শিক্ষামন্ত্রণালয় ও শিক্ষামন্ত্রী আইন করছেন মাস্টার দমনের। ডান্ডা বেড়ির আইন আসছে স্যারেদের জন্য। আব্রাহাম লিঙ্কন স্যার বেঁচে থাকলে এ ব্যবস্থা দেখে আত্মহুতি দিতেন।