নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আস্তিক এলিয়েন

পরিচয়: হোমো সেপিয়েন্স। জন্মস্থান: মনুষ্য গ্রহ

আস্তিক এলিয়েন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ বিদ্ধেষ: ভারতীয়রা যখন পাকিস্তান সমর্থক!

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৮


কলকাতার ইডেন গার্ডেন মাঠে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ ছিল আলোচনায়। সামর্থ্যে ও অভিজ্ঞতায় পাকিস্তান দল হিসেবে এগিয়ে থাকলেও মাশরাফিদের জয় চেয়েছিল লাল-সবুজের লক্ষ, কোটি সমর্থক। চেয়েছিল এশিয়ার শক্তিধর দল পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে এ আসর আরো রাঙিয়ে তুলবে বাংলাদেশ।

আরও আশা ছিল কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ওই মাঠে ব্যাপক সমর্থন পাবে বাংলাদেশ। বাংলাভাষীদেরও জোরালো সমর্থন পাবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। কিন্তু না, ভিন্ন চিত্র দেখা গেল গ্যালারিতে। দেখে মনে হয়েছে, এ যেন স্রোতের বিপরীতে চলা। লাল-সবুজের সমর্থকরাই সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছিল গ্যালারিতে।

যে দেশে শুধু ক্রিকেটাররা না শুধুমাত্র পাকিস্তানি হওয়ার কারণে একজন গুণী শিল্পীকে লাঞ্ছিত হতে হয়, যে দেশে পাকিস্তানি বলে তার কনসার্ট বন্ধ করে দেয়া হয়, যে দেশে আইসিসির মনোনীত আম্পায়ারকে সিরিজ চলাকালে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয় শুধুমাত্র পাকিস্তানি হওয়ার কারণে আর সেই ভারতেই পাকিস্তানি সমর্থকদের সংখ্যা গতকালের (বুধবার) ম্যাচে টের পাওয়া গেছে। স্বয়ং ভারতীয়রাই সমর্থন দিয়েছে তাদের চিরশত্রু পাকিস্তানকে!!!


এ কি ভাবা যায়?? ভাবতে বাধ্য কারন বাংলাদেশের শত্রু মিত্রর কম্পাসটা ইদানিং ঘুরে গিয়েছে!! ৭১ এ সহায়তার উসিলায় যেই ভারতকে এতদিন বাংলাদেশের বন্ধু ভাবা হতো, সেই ভারত আজ স্বরুপে আবির্ভূত! গুন্ডে ছবির ‘ইন্ডিয়া ক্রিয়েট বাংলাদেশ’ থেকে শুরু করে ‘ক্রিকেট নিয়ে মওকা’ এবং ১৬ ডিসেম্বরে ভারতের সেনাদের বিজয় উৎসব পালন, এসব কিছুই ৭১ এ তাদের সহায়তার অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য প্রকাশ করে দেয়!!

আফ্রিদির সাকিবের জুতা তুলে দেয়ার দৃশ্যে বাংলাদেশিরা যেখানে আফ্রিদিকে বাহবা দিচ্ছে, সেখানে ভারতীয় সামাজিক মাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে বাংলাদেশ যেহেতু কখনোই বিশ্বকাপ জিততে পারবে না, সেহেতু আফ্রিদি বিশ্বকাপ হিসেবেই জুতাটা বাংলাদেশের হাতে তুলে দিয়েছে!!!

কেমন ঘৃণ্য প্রচারণা। এমন প্রচারণার জন্য বাংলাদেশিরাও দায়ি। কারন তারাও ট্রলের নামে ভারতকে অতিরিক্ত ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করেছে। কিন্তু সেটার কাউন্টারে ভারতীয়দের অবস্থান কি তাদের চিরশত্রু পাকিস্তান সাপোর্টে গিয়ে ঠেকবে??

মানলাম বাংলাদেশের অতি উৎসাহী ভক্তকুল বেয়াক্কেলের মত ভারতকে ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করেছে। কিন্তু ভারতের স্বয়ং খেলোয়াড়গন কেনো এমন আচরণ করছেন?? জাদেজারা টুইটারে এমন বিদ্ধেষ ও তাচ্ছিল্যপূর্ন টুইট করছেন কেনো??

ওপার বাংলার অনেকেই মুখে ফেনা তুলে ফেলেন যে, অনেকে আবার বলেই ফেলেন ‘একই বৃত্তে দুটি ফুল’ আমরা ভাই-ভাই, জনপ্রিয় নায়ক দেব তো বলেই দিয়েছেন দুই বাংলাকে না কি তিনি এক করবেন। এসব শুধু ব্যবসায়ীক ও রাজনৈতিক কারণে। ভালোবাসার তাগিদে নয়। তারই দেশের বাঙালিপ্রেম তো দেখা হয়েই গেছে। ইডেনের মাঠে পশ্চিমবঙ্গের সমর্থকদের পাকিস্তান সমর্থনই বলে দেয় আসলে তারা আমাদের কী? শত্রু নাকি বন্ধু??

বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু জগমোহন ডালমিয়া বেঁচে থাকলে হয়তো লজ্জাই পেতেন তার রাজ্যের অধিবাসীদের পাকিস্তান প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া দেখে। অবশ্যই তিনি কষ্ট পেতেন, কারণ তিনি যে বাংলাদেশের ক্রিকেট উন্নয়নের রূপকার তার রাজ্যের বাঙালিরা বাঙালিদের সমর্থন দিচ্ছে না সমর্থন দিচ্ছে পাকিদের। ভালো তো ভালো না, কারণ শত্রুর শত্রু তো বন্ধুই হয়, তাই না! ওরা তো তাই মনে করে।

যারা “খেলার মধ্যে রাজনীতি আনবেননা” নামক আজাইরা প্যাঁচাল পাড়বেন তারা ওবায়দুল কাদেরের এই(শত্রু ও মিত্রের বিপক্ষে জেতার অনুভূতি এক নয়) বক্তব্যটা পড়ে নিবেন।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২২

বিজন রয় বলেছেন: বাংলাদেশ বিদ্ধেষ: ভারতীয়রা যখন পাকিস্তান সমর্থক!

শিরোনামটি ভাল হয়েছে।

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬

আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: শিরোনামের মত ভেতরের ব্যপারগুলাও ভালো !!!! :|

২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৪

বিজন রয় বলেছেন: প্রকৃতপক্ষেঃ হুজুগে ইন্ডিয়াররা এখন পাকিস্তানকে রেখে আমাদেরকেই বড় প্রতিদন্ধঅ ভাবছে। এটাই আমাদের জয়।

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮

আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: ভারত লেহনকারীটা যখন ব্যপারটা বুঝতে পারবে তখনই এটা আমাদের জন্য জয় হবে। পাশাপাশি ভারত প্রকাশ্য শত্রুর ভুমিকায় আসাটাও বিপদের ব্যপার। কারন আমরা হলাম “আমরা ছোট আমাদের মারবেননা” টাইপের।

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮

বিক্ষুব্ধ জনতা বলেছেন: ভারতীয়রা কখনোই মন থেকে বাংলাদেশের ভালো চায় না।এটাই সত্য,এটাই বাস্তব।

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০৫

আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: এই বাস্তব উপলব্দিটা সবার থাকা দরকার।

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৫

তপোবণ বলেছেন: এলিয়েন বিষয়টা লিখে প্রকাশ করায় ধন্যবাদ। আমার দেখা সকল খেলার মধ্যে যখনই পাকি-বাংলাদেশ খেলা হয়েছে তখনই আমার ভারতীয় কলিগরা পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে। এই ব্যপারটা আমি সব সময় লক্ষ্য করে এসেছি। আজ আপনার লেখা পড়ে নিজের বোধের সাথে মিলিয়ে নিলাম।

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০৮

আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: ধন্যবাদ চাক্ষুষ দৃষ্টান্ত তুলে ধরার জন্য। এগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে, ভারতের আসল রুপ পরিষ্কার করতে হবে।

৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩২

পানিখোর বলেছেন: ভাই যতই শিক্ষিত হোন। কোন লাভ নাই। মুর্খেরা যা বলের সেটাই সত্য। সেটাই ভারতীয় জ্ঞানীরা মেনে চলে। মালাউন কখনো ভালো হয়না। হলে ৪৭ এ বাংলা নামের আলাদা দেশ হত। অথচ এরাই বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন করেছে পূর্ববঙ্গকে বঞ্চিত রাখার জন্য। মুসলিম বলেই পূর্ববংগ অচ্ছুত। আর সেজন্য বাংলা হয়ে যায় মা। আবার মুসইম সংখ্যাগরিষ্ঠ বলেই ৪৭ এ মাকেই কেটে ভাসিয়ে দিয়েছে ইডেন অলারা!

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮

আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: স্বার্থই সব। স্বার্থের কাছে মা হয়ে যায় শতীন। ধন্যবাদ সুন্দর জ্ঞানগর্ব মন্তব্যের জন্য।

৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২

এরশাদ বাদশা বলেছেন: বিজন রয় বলেছেন: প্রকৃতপক্ষেঃ হুজুগে ইন্ডিয়াররা এখন পাকিস্তানকে রেখে আমাদেরকেই বড় প্রতিদন্ধঅ ভাবছে। এটাই আমাদের জয়।
বড়ো আশায় আছি এই বিশ্বকাপেই ভারতীয়দের আরেকটি পরাজয়ের স্বাদ দেবে বাংলাদেশ।

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০২

আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: নিচক একটি খেলার জয় পরাজয় প্রতিশোধের নগণ্য আনন্দ দেয় বটে, ফেলানীদের প্রতিশোধ কখনোই নেয়া হয়না।

৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০১

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনালের আগে আমাদের নিজেদের উন্মত্ত আচরণের কথাও খেয়াল রাখতে হবে। খেলা নিয়ে এই মাতমাতি সত্যিই পীড়া দিচ্ছে।

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭

আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: সেই কথাও বলেছি ভাই। এটা অবশ্যই পীড়াদায়ক। কিন্তু এসব সবই অতি উৎসাহী আমজনতার, দায়িত্বশীল কারো নয়। যেমনটা ভারতীয় আমজনতাও করছে, শুধু করছে না তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধকেও প্তাচ্ছিল্য করছে!!! এরপরে আমপাবলিকের কাউন্টারে জাদেজাদের তাচ্ছিল্য তো মেনে নেয়ার নয়।

৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:২৪

নাজমুস সাকিব অর্ক বলেছেন: ঢাকার মোহাম্মদপুর। এখন বহু বিভক্ত হয়ে ধানমন্ডি, আদাবর ইত্যাদি থানারও জন্ম দিয়েছে। ভারতে, বিশেষত ভারত নিয়ন্ত্রিত বাংলায় যেসব মুসলিম নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়ে পূর্ব পাকিস্তানে আসতেন তাদেরকে মুহাজির (হিজরতকারী) মর্যাদা দিয়ে পাকিস্তান সরকার বসবাস করার জন্য মোহাম্মদপুর এলাকাটি বরাদ্দ দেয়। এলাকার নামকরণ করা হয় ইসলামের সর্বশেষ প্রোফেট মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামানুসারে। দেশ ছেড়ে আসা উদ্বাস্তুদের সাথে আমাদের বন্ধন ছিল ইসলামের, সঙ্গতভাবেই এলাকার নামকরনও হওয়া উচিত ইসলামেরই তাতপর্যবাহী কিছুর নামানুসারে। সামরিক জান্তা আইয়ুব খান মোহাম্মাদপুরে ঢোকার মূল প্রবেশদ্বারের নামকরণ করেন নিজের নামে, আইয়ুব গেট। পরবর্তীতে বাংলাদেশ কায়েম হলে আইয়ুব গেটের নাম পালটিয়ে '৬৯ গন আন্দোলনে আত্মোতসর্গকারী আসাদের নাম প্রতিস্থাপিত করে আসাদ গেট করা হয়।
পূর্ব পাকিস্তানের আশপাশজুড়ে যখনই মুসলিমরা নির্যাতিত হয়েছে, হিন্দুদের আগ্রাসনের মুখে পড়েছে, জমিজমা দখল করা হয়েছে, সামাজিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে কিংবা গোহত্যার দায়ে পরিবারশুদ্ধো লোপাট করে দেয়ার মত আশঙ্কা তৈরী হয়েছে তখন নির্যাতিত মানুষ মাশরেকী পাকিস্তানে এসে আশ্রয় নিত। মুহাজিরদের সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা-সংগঠন তৈরী হয়। ধর্মীয় সংস্থাগুলোও এগিয়ে আসে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রযন্ত্রে সেক্যুলারি ভূত চেপে বসলেও পাবলিক সেন্টিমেটকে মারাত্মকভাবে আহত করবে বিবেচনায় তারাও মুহাজিরদের লোক দেখানো খিদমতে শামিল হত অন্তত।
১৯৭১ সালে, যে আমরা, আমাদের পূর্বপুরুষরা, বিজাতীয় ষড়যন্ত্রে ভুট্টো-ইয়াহিয়ার সাথে আঁতাত করে ইসলামের নামে কায়েম হওয়া পাকিস্তান ভেঙে দিলাম, অসহায়, নির্যাতিত-নিপিড়িত মুসলিমদের আশ্রয়ের দ্বার রুদ্ধ করে দিলাম, ভারতনিবাসী মুসলিমদের বলতে শিখলাম- 'আজ থেকে তোমরা আর আমাদের ভাই নও, আমরা মুসলিম নই, আমরা বাঙালি' আমরা কিভাবে আশা করতে পারি যে তাঁরা আমাদের সমর্থন করবে? এই অসহায় মানুষগুলোর আশ্রয়স্থল পাকিস্তানকে ভেঙে দিয়েছি আমরা, কি ঠেকে পড়েছে ওদের যে পাকিস্তানের মোকাবিলায় আমাদের সমর্থন করবে? হয়ক সেটা ক্রিকেট মাঠে কিংবা রাজনীতির ময়দানে? এখনও কোলকাতার মুসলিম মহল্লাগুলোতে ১৪ই আগস্টে চান-তারার পতাকা ঝোলে কিসের টানে সেটা উপলব্ধি করার হৃদয় আমরা বিসর্জন দিয়েছি। আমরা নিজের হাতে ঐশ্বরিক বন্ধন ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করেছি। ইডেন কোনোদিন মিরপুর হবে না। কোলকাতার মুসলিমরা আমাদের ক্ষমা করে নাই। আজও মুজাফফরবাদের শহীদের রক্ত আমাদের হাতে লেগে আছে। আমরা নিপিড়িত মুসলিমদের সহায় হওয়ার গৌরব থেকে নিজেদের বঞ্ছিত করেছি। হিন্দুরা কোনোদিন আমাদের বন্ধু ছিল না, যে মুসলিমরা আমাদের কৃতজ্ঞ নয়নে দেখত, তারাও আজ ঘৃণায় থুথু দেয়। এই ঘৃণা অর্জন করেছি আমরা নিজেরা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.