![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসাবে তুরস্ককে বিশ্বদরবারে তুলে ধরার জন্য সেখানে সংবিধান থেকে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসাবে তুলে দেওয়া হয়। বাংলাদেশেও ঠিক একই কারন দেখিয়ে রাষ্ট্রধর্ম থেকে ইসলামকে বাতিলের চক্রান্ত চলছে। তুরষ্কে ১৯২৮ সালের ১০ এপ্রিল সংবিধান হতে ধর্ম সংক্রান্ত সব কথাই বাদ দেয়ার মাধ্যমে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হতে বাতিল করা হয়। তারপর সেখানে যে পরিবর্তনগুলো দেখা যায় তা ছিলো রীতিমতো উদ্বেগের। অবশ্য ইসলাম নির্মুলের কিছু উদ্যোগ রাষ্ট্রধর্ম বাতিলের আগ থেকেই শুরু করা হয়। তবে সেই পথ বাধামুক্ত হয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের পর।
১) ১৯২৫ সালে বিদ্যালয় হতে কুরআন ও ধর্মশিক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়।
২) ধর্ম মন্ত্রণালয়, মাদরাসা-মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং হজ্জ-ওমরা নিষিদ্ধ করা হয়।
৩) বড় বড় মসজিদগুলোতে নামায বন্ধ করে দিয়ে সেগুলোকে জাদুঘর হিসেবে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। তুরস্কের সর্ববৃহৎ মসজিদ ‘আয়া ছুফিয়া’কে রূপান্তরিত করেছিলেন সরকারি জাদুঘরে।
৪) নারীদের জন্য হিজাব পরিধান বন্ধ করে দেওয়া হয়। সরকারি নির্দেশে তুর্কী পুলিশ রাস্তায় বের হওয়া মুসলিম মহিলাদের ওড়না কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলত।
৫) ১৯২৮ সালের ৩রা অক্টোবর আরবীর অক্ষর নিষিদ্ধ করে ল্যাটিন বর্ণমালা চালু করা হয়। আরবিতে কুরআন পড়া, নামাজ পড়া ও আজান দেওয়া নিষিদ্ধ হয়।
৬) তুর্কী ভাষা আরবী হরফে না লিখে ল্যাটিন হরফে লিখতে হতো।
৭) সাপ্তাহিক ছুটি হিসেবে রবিবারকে নির্ধারণ করা হয়।
৮) তুরস্কবাসীকে ভিন্ন ধরণের পোষাক পরতে বাধ্য করা হয়।
৮) মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদকে বর্জনীয় ঘোষনা করা হয়।
৯) তুরস্কের অধীন আজারবাইজানকে রাশিয়ার কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
১০) বক্তৃতা এবং বিবৃতিতে নিয়মিত ইসলাম ও ইসলামী পরিভাষাসমূহ নিয়ে মিথ্যাচার ও কুৎসা রটনা করে সেগুলো বর্জনের প্রতি সবাইকে আদেশ-নিষেধ করা হয়।
১১) সরকারী লোকদের জামায়াতে নামায পড়া নিষিদ্ধ হয়।
১২) ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী সালাম দেওয়াও নিষিদ্ধ করা হয় । এর পরিবর্তে সুপ্রভাত (Good Morning) বিদায় (Good Bye) ও হ্যান্ডশেক রেওয়াজ প্রবর্তিত হয়।
১৩) ১৯২৫ সালের ২৫শে নভেম্বর ফেজ ও পাগড়িকে জাতীয় পোশাক হিসেবে বাতিল করা হয় এবং হ্যাটসহ ইউরোপীয় পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গ্রহণ করা হয়।
১৪) হিজরী ক্যালেন্ডার তার কাছে অগ্রহণযোগ্য ছিল । এজন্য ১৯২৫ সালের ২৬শে ডিসেম্বর হিজরী সনের পরিবর্তে ইংরেজদের তৈরী করা ক্যালেন্ডার (গেগ্রিয়ান ক্যালেন্ডার) চালু করেন । এর ফলে মুসলিম জগতের সাথে তুরস্কের দৃঢ়বন্ধন ছিন্ন হয়ে যায়।
১৫) ইসলামে মূর্তি অগ্রহণযোগ্য । তারপরও ১৯২৬ সালের ৩রা অক্টোবর ইস্তাম্বুলে কামালের মর্মর পাথরের তৈরী মূর্তি স্হাপন করা হয়। তুরস্কে এ দৃশ্য সর্বপ্রথম। ১৯২৬সালের ৪ঠা নভেম্বর আঙ্কারার যাদুঘরের সম্মুখে আরও একটি মূর্তি স্থাপিত হয়। এভাবে তুরস্কের সর্বত্র তার মুর্তি স্হাপন করা হলো। ছাত্র-ছাত্রীদের তার ছবি আঁকা বা মুর্তি বানানো পাঠ্যসুচীর অংশ করা হয় ।(বাংলাদেশের ক্ষেত্রে মুর্তিকে ভাস্কর্য বলা হয় )।
১৬) ১৯৩৪ সালের ২৬শে নভেম্বর একটি আইনের মাধ্যমে সব তুর্কি নাগরিককে আহমদ, মুস্তফা প্রভৃতি আরবী নাম রাখা নিষিদ্ধ করা হয় ও যাদের এধরনের নাম ছিল তা বাদ দিয়ে প্রাচীন তুর্ক নাম গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়।
১৭) আলেমদের প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙ্গে দেয়া হয় এবং আলেমদেরকে প্রজতন্ত্রের শত্রু হিসিবে চিহ্নিত করা হয়। কোন আলেম তার বিরুদ্ধাচরণ করলে তাকে সাথে সাথে হত্যা করা হয়।
১৮) ১৯২৪ সালে ওয়াকফ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইমাম, মুযাজ্জিন ও আলেমদের অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত করা হয়।
সূত্র:
১। আধুনিক তুরস্কের ইতিহাস লেখক : ড. আব্দুল কাদের
২। উইকিপেডিয়া
২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৮
আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: এই উদ্দেশ্যেই পোষ্ট করা। যারা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের ভয়ংকর ফলাফল সম্পর্কে বেখেয়াল, কিংবা এটাকে গুরুত্বই দিচ্ছেনা, তাদেরকে সজাগ করতেই এই পোষ্ট।
২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩১
কলম বাবু বলেছেন: মুমিনরা চিরকাল ই ধর্মান্ধ থাকবে
২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:২০
আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: আপনি নিজেকে সেনাবাহিনীর সৈনিক দাবি করবেন অথচ সেনাবাহিনীর কোনো নিয়ম নীতি মানবেননা এমনটা করলে কি আপনি সৈনিক থাকবেন?? আর যদি কেউ সবগুলো নিয়ম নীতি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মানে তাকে কি নীতান্ধ বলবেন???
ইসলামের সকল নিয়ম কানুন মানলেই কেবল সে মুসলমান, ঐ সেনাবাহিনীর মতই। সুতরাং তাকেও ধর্মান্ধ বলাটা ছাগলামি কিংবা ইসলাম বিদ্ধেষী মনোভাবের বহি:প্রকাশ।
৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫২
কালীদাস বলেছেন: ১১, ১২ কি ঐ বই থেকে পাওয়া?
সারা দুনিয়া এখন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ফলো করে। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ফলো করলে ইসলামি দুনিয়া থেকে বিছিন্ন হয়ে যেতে হয়?
২৮ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:৩৫
আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: তখন মুসলিম দেশগুলো হিজরী ক্যালেন্ডার ব্যবহার করতো। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ধীরে ধীরে এখন সবাই গ্রেগরিয়ান ব্যবহার করছে। কিন্তু তখন তিনি শুধু ইসলাম বিদ্ধেষ থেকেই হিজরী বন্ধ করেন। কেউ বাধ্য হয়ে কিছু কাজ করে আর কেউ ইচ্ছে করেই চক্রান্ত করে সেই কাজটাই করে। এই দুই কাজ দেখতে এক হলেও উদ্দেশ্যের মাঝে আকাশ পাতাল তপাৎ।
৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১০
ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: ১৯২৬ আর ২০১৬ এর মধ্যে যথেষ্ট পানি গড়িয়ে গেছে ।।
২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:২২
আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: আসলেই পানি অনেক গড়িয়েছে। কারণ তখন স্বৈরাচারদের বিরোধীতার সুযোগ ছিলো। কিন্তু এখন রাস্তায় নামলেই গুলি, কথা বললেই গুম। অনেক আপডেট হয়েছে বটে।
৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: রাষ্ট্রধর্ম বাদ দেওয়া হলেও এমন কিছু ঘটবে না বাংলাদেশে । কারণ, কামাল পাশার মত দুর্দন্ড প্রতাপশালী বীর এই দেশে জন্ম হবে না ।
২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:২৫
আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: হা হা হা.... শেখ হাসিনা কামাল পাশার চেয়ে কম দোর্দন্ড প্রতাপশালী নন। নির্বাচন ছাড়াই যিনি ক্ষমতায় বসে আছেন। কেউ প্রতিবাদ করার সাহসও পাচ্ছেনা জীবনের ভয়ে, সে কি কম প্রতাপশালী??
৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:০০
ত্রিমাত্রিক বলেছেন: তুরস্কের সংবিধানে কোন সময় রাষ্ট্রধর্মই ছিল না। তুলে দেওয়ার প্রশ্ন আসে কোথা থেকে?
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অক্ষশক্তির (জার্মানী, অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরী) সাথে যোগ দেয় অটোম্যান সাম্রাজ্য (ওসমানিয়া খেলাফাত)। ভার্সাই চুক্তির মাধ্যমে জার্মানী এক প্রকার পরাজয় মেনে নেয়। তবে জার্মানদের থেকে অটোম্যানদের ক্ষতির পরিমান অনেক বেশি ছিল।.১৯২০ সালে সেভ্রেস চুক্তির মাধ্যমে অটোম্যান সাম্রাজ্যকে ভাগ করে ফেলা হয়। মিত্র বাহিনীর (ব্রিটিশ, ফ্রান্স, রাশিয়া, গ্রীস, সার্বিয়া, ইটালী, রাশিয়া.........) হাতে চলে যায় বেশির ভাগ ভূমি। ব্রিটিশরা দখল করে নেয় , ফিলিস্তিন, ইরাক। ফ্রান্স দেখল করে নেয় লেবানন, সিরিয়া। বর্তমান ইস্তানবুল ও তুর্কিদের হাত থেকে চলে যায় ব্রিটিশ, ইটালী, গ্রীসের কাছে। শুধু বাকী থাকে এনাটোলিয়া তাও পুরাটা না। যা বর্তমান তুরস্কের আয়তনের চার ভাগের এক ভাগের মত। এবং অটোম্যান সম্রাজের আয়তনের ১০ ভাগের এক ভাগের থেকেও কম। আরবরা ব্রিটিশদের সাহায্য নিয়ে মক্কা-মদিনা, জর্ডান নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় (হ্যাঁ মুসলিম হয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করছে)
ঐ সংকটকালে মোস্তফা কামাল (তখনো আতাতুর্ক হননি) ও আরো কিছু তুর্কি মিলে ঐ লজ্জাজনক সেভ্রেস চুক্রির বিরোধিতা করে। শুরু হয়ে যায় তুর্কিদের স্বাধীনতার যুদ্ধ। এটা তুরস্কের ন্যাশন্যাল মুভমেন্ট নামেও পরিচিত।
অটোম্যান সুলতান নিজের গদি রক্ষা করার জন্য মোস্তফা কামালের বিরোধিতা করেন।তখন মোস্তফা কামালকে একসাথে যুদ্ধ করতে হয় গ্রীস, ব্রিটিশ, ইটালী, ফ্রান্স, আর্মেনিয়া, জর্জিয়া এবং অটোম্যানদের সাথে।
১৯২৩ সালে মোস্তফা কামাল জয়ী হন। প্রতিষ্ঠিত হয় বর্তমান তুরস্ক। লুসান চুক্তির মাধ্যমে নতুন সীমানা নির্ধারিত করা হয়। বিলুপ্তি ঘটে অটোম্যান সাম্রাজ্যের। সিরিয়া, ইরাক যথাক্রমে ফ্রান্স ও ব্রিটিশদের দখলেই থাকে। তুরস্ক ফিরে পায় ঐতিয্যবাহী ইস্তানবুল পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিনের আরো কিছু অংশ। লুসান চুক্তির সীমানই বর্তমান তুরস্কের সীমানা।
সদ্য প্রতিষ্ঠিত তুরস্কে নতুন ভাবে সংবিধান রচিত হয়। অটোম্যানদের অনেক নিয়ম পরিবর্তন করে ফেলা হয় । সোজ্যা কথায় তুরস্ককে মোস্তফা কামাল ইউরোপিয়ান স্টাইলে গঠন করতে চেয়েছিলেন। এটা সত্যি মোস্তফা কামাল ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তন করে পশ্চিমা সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলেন।
এখন বলেন তুরস্কের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম কবে ছিল?
ওসমানিয়া খেলাফাত (অটোম্যান সাম্রাজ্য) আর তুরস্ক কখনোই এক না।
ইসলামের জন্য মোস্তফা কামালের অবদান শূন্যের কাছাকাছি। তুরস্কের জন্য মোস্তফা কামালের অবদান শতভাগ। তুরস্কই যদি না থাকত তুরস্কে ইসলাম কোথায় থাকত। মোস্তফা কামাল যদি ইসলামকে ধ্বংসই করে দিত তাহলে আজকে তুরস্কে ৯৯% মুসলিম কিভাবে থাকে?
মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে তুরস্ক সামরিক দিক দিয়ে সবচেয়ে শক্তিশালী। আরবদের মত তেল-গ্যাসের খনি না থেকেও তুরস্ক আজকে উন্নত বিশ্বের দেশ।
মোস্তফা কামাল ইউরোপিয়ান আদলে তুরস্ক প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে অটোম্যান সাম্রাজের ইসলামিক সমাজ ব্যবস্থার অনেক পরিবর্তন করেছিলেন এটা সত্য। আপনি যে পয়েন্ট গুলো বলঅলেন সেগুলোর বেশির ভাগই মিথ্যা। আসলে বিরোধিতা করার জন্য।
১) শিশুদের ইসলামী শিক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়।
*** সত্য না। তবে সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষা ছিল না। তবে বর্তমান একে পার্টি ক্ষমতায় এসে ধর্মীয় শিক্ষা যোগ করেছে।
২) ধর্ম মন্ত্রণালয়, মাদরাসা-মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং হজ্জ-ওমরা নিষিদ্ধ করা হয়।
*** আধুনিক তুরস্কে ধর্ম মন্ত্রনালয়ই ছিল না। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ইউনিফিকেশন করা হয়েছিল। রাষ্টীয়ভাবে ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা ছিল না। মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া হয়নি। হজ্জ-ওমরাও নিষিদ্ধ ছিল না।
৩) বড় বড় মসজিদগুলোতে নামায বন্ধ করে
দিয়ে সেগুলোকে জাদুঘর হিসেবে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। তুরস্কের সর্ববৃহৎ মসজিদ ‘আয়া ছুফিয়া’কে রূপান্তরিত করেছিলেন সরকারি জাদুঘরে।
***১৪৫৩ সালে সুলতান ফাতেহ রোমান সাম্রাজ্য জয় করেন। রোমানদের তাদের মূল ভবন হাজিয়া-সুফিয়াকে মসজিদে রূপান্তরিত করেন। পরে মোস্তফা কামাল হাজিয়া-সুফিয়াকে জাদুঘর বানান।
বড় বড় মসজিদ বন্ধ করে সেগুলোকে জাদুঘর বানানো হয়েছে এটা মিথ্যা কথা।
৪) নারীদের জন্য হিজাব পরিধান বন্ধ করে দেওয়া হয়। সরকারি নির্দেশে তুর্কী পুলিশ রাস্তায় বের হওয়া মুসলিম মহিলাদের ওড়না কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলত।
***শুধু সরকারী প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধা করা হয়। অন্য কোথাও না।
বর্তমানে সেই নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া হয়েছে।
৫) আরবী অক্ষরের ব্যবহার নিষিদ্ধ হয় আরবীতে কুরআন পড়া, নামাজ পড়া ও আজান দেওয়া নিষিদ্ধ হয়।
***অটোম্যানদের সময় তুর্কি ভাষা লেখা শুরু হয় আরবিতে। অটোম্যানদের পতনের পর সেটা গ্রীক হরফে লেখা শুরু হয়। এখনো গ্রীক হরফেই লেখা হয়।
আরবীতে কোরআন, নামাজ নিষিদ্ধ হয়নি।
৬) তুর্কী ভাষা আরবী হরফে না লিখে ল্যাটিন হরফে লিখতে হতো।
***জন্মলগ্ন থেকে তুর্কি ভাষা আরবি হরফে লেখা হতে না। অটোম্যানরা সেটার প্রচলন করে। তাদের পতনের পর সেটা গ্রীকে রূপান্তরিত করা হয়।
৭) সাপ্তাহিক ছুটি হিসেবে রবিবারকে নির্ধারণ করা হয়।
*** হ্যাঁ এটা সত্য। বর্তমানে অনেক মুসলিম দেশেই এটা আছে। যেমনঃ ইন্দোনেশিয়া, মালয়শিয়া, পাকিস্থান, মরক্কো।
৮) তুরস্কবাসীকে ভিন্ন ধরণের পোষাক পরতে বাধ্য করা হয়।
***বাধ্য করা হয়নি। পশ্চিমা পোষাক পরতে উৎসাহিত করা হত। আর ধর্মীয় পোশাকে নিরুৎসাহিত।
৮) মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদকে বর্জনীয় ঘোষনা করা হয়।
*** মিথ্যা।
৯) তুরস্কের অধীন আজারবাইজানকে রাশিয়ার কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
*** ডাহা মিথ্যা। অটোম্যানদের পতনের অনেক আগেই আজারবাইজান পার্সিয়ানদের হাতে চলে যায়। পরে রাশিয়ান সাম্রাজ্যের কাছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়েই ১৯১৮ সালে আজারবাইজান স্বাধীন হয়। সোভিয়ত ইউনিয়ন গঠিত হওয়ার পর ১৯২০ লেনিন আজারবাইজান দখন করে। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর আজারবাইজান আবার স্বাধীনতা ফিরে পায়।
এখানে বিক্রি করার কথা আসে কোথা থেকে?
১০) বক্তৃতা এবং বিবৃতিতে নিয়মিত ইসলাম ও ইসলামী পরিভাষাসমূহ নিয়ে মিথ্যাচার ও কুৎসা রটনা করে সেগুলো বর্জনের প্রতি সবাইকে আদেশ-নিষেধ করা হয়।
***এটাও একটা কুৎসা।
১১) সরকারী লোকদের জামাতে নামায পড়া নিষিদ্ধ হয়।
***জামাতে নামাজ পড়া নিষিদ্ধ করা হয় এমন তথ্য আমি পাই নাই। রেফারেন্স দিলে ভাল হত।
১২) ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী সালাম দেওয়াও নিষিদ্ধ করা হয় । এর পরিবর্তে সুপ্রভাত (Good Morning) বিদায় (Good Bye) ও হ্যান্ডশেক রেওয়াজ প্রবর্তিত হয়।
*** সালাম নিষিদ্ধ করা হয় নি।
১৩) ইমাম-মুফতীদের পাগড়ি ও জুব্বা পরা নিষিদ্ধ করা হয়।
***শুধু সরকারী অফিস, আদালতে হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়েছিল সেটা এখন উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে।
১৪) হিজরী সন উঠিয়ে দিয়ে ইংরেজী সন চালু করা হয়
*** সত্য। আমাদের দেশেও ইংরেজী সন।
১৬) আরবী ভাষায় নাম রাখা নিষিদ্ধ হয়। এর বদলে তুর্কী ভাষায় বাধ্যতামূলক নাম রাখতে হয়।
*** এটাও মিথ্যা।
১৭) আলেমদের প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙ্গে দেয়া হয় এবং আলেমদেরকে প্রজতন্ত্রে শত্রু হিসিবে চিহ্নিত করা হয়। কোন আলেম তার বিরুদ্ধাচরণ করলে তাকে সাথে হত্যা করা হয়। এছাড়া ওয়াকফ সম্পত্তি কেড়ে নিয়ে আলেমদের অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত করা হয়।
*** সত্য না।
২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:১৫
আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: বহু শতাব্দি ধরে তুরস্ক ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতির কেন্দ্রস্থল ছিল। ১১০০ খৃষ্টাব্দ থেকে ১৯২২ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত তুরস্কে ওসমানীয় খেলাফত বিদ্যমান ছিল। এই সময়ে তারা শরিয়া ও কাওয়ানিন এ হুকুমকে ভিত্তি করে ইসলামী আইনের Codification এর কাজ সম্পাদন করেন এবং খেলাফতের অধীন প্রত্যেকটি রাষ্ট্রে তা মেজিলি কোড নামে আরবী ভাষায় অনুবাদ করে প্রতিপালনের জন্য প্রেরণ করা হয়। ঠিক এই সময়ে অর্থাৎ ১৯২১-২২ সালে সেখানে খেলাফতবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। পাশ্চাত্যের অনুপ্রেরণায় তুর্কী মুসলমানরা দুটি শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়ে। একটি শিবিরের দাবী ছিল তুরস্ককে পাশ্চাত্যের আদর্শ গ্রহণ করতে হবে। পাশ্চত্যের শিল্প কারখানা ও প্রযুক্তি আত্মস্থ করার মাধ্যমে পাশ্চাত্যায়ন শুধু নয়, তার রীতিনীতি, জীবনাচার, পোষাক আশাক এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোও গ্রহণ করতে হবে। পক্ষান্তরে ইসলামপন্থী শিবিরের মত ছিল আমরা পাশ্চাত্যের শিল্পায়ন প্রক্রিয়া ও প্রযুক্তিকে অবশ্যই গ্রহণ করবো কিন্তু তাদের মুল্যবোধ আমল আখলাক, রীতিনীতি এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে কিছুতেই গ্রহণ করতে পারি না। কেননা ইসলাম এ ক্ষেত্রে প্রচুর প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে যাদের ফলপ্রসূতা ও কার্যকারিতা অনেক বেশি কামাল আতাতুর্কের নেতৃত্বাধীন পাশ্চাত্যপন্থীরা এক্ষেত্রে জয়লাভ করে এবং ইসলামপন্থীরা শুধু পরাজিতই হননি, অমানবিক নির্যাতনেরও শিকার হয়েছেন। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় আচার অনুষ্ঠান থেকে ইসলাম নির্বাসিত হয়। আরবী ভাষার চর্চা নিষিদ্ধ করা হয়। শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ইসলামকে বিতাড়িত করা হয় এবং মেয়েদের জন্য পর্দা নিষিদ্ধ হয়। মিনিস্কার্ট চালু হয় এবং মাথার ঘোমটা ও স্কার্ফ তুলে দেয়া হয়। সেক্যুলারিজমের সর্ব নিকৃষ্ট রূপ Laicism কে জাতীয় আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করা হয়। ইসলামী শিক্ষার প্রসার ও প্রচার নিষিদ্ধ হয়ে যায়। ইসলামের নামে যাবতীয় সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান হারাম করে দেয়া হয়। এমনকি মুসলমানদের ছেলে মেয়েদের আরবী ও ইসলামী নামকরণও নিষিদ্ধ করে দেয়া হয় এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি স্তরে বৈপ্লবিক সংস্কার সাধন করা হয়। তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে ইসলামের প্রতি কামাল পাশা ও তার অনুসারীদের আচরণে তার শত্রু বিধর্মীরাও মাথা নত করতে বাধ্য হবেন। তুর্কী প্রজাতন্ত্র তার সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনকে ইসলামের প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য তার বিশাল সেনাবাহিনীকে এমনভাবে ব্যবহার করেছে যা এমনকি ধর্ম নিরপেক্ষ কোনো অমুসলিম রাষ্ট্রও করেনি। ইস্তাম্বুলের বসফরাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকা বিনার্জ তোফবাক তুর্কী প্রজাতন্ত্রের সেক্যুলার বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে গিয়ে ১৯৯৯ সালের ২০ শে জুন দায়ান সেন্টারে উপস্থাপিত Contemporary Turkey : Challenges of Change শীর্ষক একটি প্রবন্ধে বলেছেন, "Some years ago I was staying at a TelAviv hotel and in the dining hall there was a sign which said "Please refrain from smoking on the Sabbath." I thought to myself where a similas sign posted in any Fivestar hotel in Istambul asking guests to refrain from smoking or eating during Ramadan we might have a military coup the next day. This would be something unthinkable just as it is unthinkable that the Turkish Lira or the French Franc would even bear the slogan of the American dollar : 'In God we Trust".
অর্থাৎ কয়েক বছর আমি তেল আবিবের একটি হোটেলে অবস্থান করছিলাম। যেখানে ডাইনিং হলে একটি সাইনবোর্ড লাগানো ছিল। তাতে লেখা ছিল অনুগ্রহ করে শনিবার দিন ধুমপান থেকে বিরত থাকুন। আমি মনে মনে ভাবলাম, রমজান মাসে দিনের বেলায় ধুমপান অথবা পানাহার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে এ ধরনের কোনো সাইনবোর্ড যদি ইস্তাম্বুলের কোন পাঁচতারা হোটেলে লাগানো হতো তাহলে পরদিন ভোরেই সেখানে একটি সামরিক অভ্যুত্থান হয়ে যেতো। মার্কিন ডলারের বুকে মুদ্রিত ‘‘আমরা খোদায় বিশ্বাস করি’’ এই শ্লোগানটি যেমন তুর্কী লিরা বা ফরাসী ফ্রা এ মুদ্রন অসম্ভব তেমনি এ ধরনের সাইনবোর্ড ও তুরস্কে অকল্পনীয়।
ইসলামের ব্যাপারে তুরস্কের সেনাবাহিনী কত অসহিষ্ণু এই ছোট দৃষ্টান্তটি থেকে তা অনুমান করা যায়। রাষ্ট্রের যাবতীয় অর্গানকে ইসলাম, ইসলামী শিক্ষা সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহারের ফলে এই দেশটির সাধারণ মানুষের মধ্যে ইসলামবিরোধী একটি ধারণা গড়ে উঠে।
আপনি বলেছেন- মোস্তফা কামাল যদি ইসলামকে ধ্বংসই করে দিত তাহলে আজকে তুরস্কে ৯৯% মুসলিম কিভাবে থাকে?
হা হা হা.। মুসলমানের ঘরে জন্ম নিলেই মুসলমান বলেনা। যারা ইসলামের বিধান মানেনা, কাউকে পালন করতেও বাধা দেয় তারা আবার কিরকম মুসলমান?? তারা লতিফ সিদ্দিকী টাইপের মুসলমান!! আমি নিজেকে সৈনিক দাবি করবো, অথচ সেনাবাহিনীর কোনো নিয়ম মানবোনা, বরং বিরোধীতা করবো তাহলে আমি সৈনিক থাকবো?? মুসলমান ব্যপারটাও সেরকমই জনাব।
যারা বলছেন রাষ্ট্রধর্ম বাতিল হলে ইসলামের কিছু হবে না। তারা মুসলমান কাকে বলে সেটাই জানেনা। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের চিন্তা কারো মাথায় এমনি এমনি আসেনা, ইসলাম বিদ্ধেষী মনোভাব থেকেই আসে। কারণ দেশে এমন কোনো তীব্র দাবি উঠেনি যে ৯০ শতাংশ মুসলিম জনগনের আবেগ অনুভুতির সাথে জড়িত এমন একটি বিষয়কে সংবিধান থেকে বাদ দিতে হবে। (যদিও এখনো বাতিল হয়নি)।
আপনি এই লেখাটা পড়লে অনেক কিছু পাবেন (এখানে ক্লিক করুন)
৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:২৯
ত্রিমাত্রিক বলেছেন: আপনার মত এই টাইপ লেখা আরেক জায়গায় ছিল। সেখানে এই কমেন্ট করেছিলাম। তাই এখানের কোটেশনে কিছু ভুল হয়েছে।
৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:১৩
বিজন রয় বলেছেন: সর্বনাশ।
৯| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:২৯
আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: ত্রিমাত্রিক: বলেছেন, শুধু সরকারী প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধা করা হয়েছিলো
এটা সত্য নয়, সর্বত্রই হিজাব তথা মাথার স্কার্ফ নিষিদ্ধ ছিলো। এখানে দেখুন
১০| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৩৭
এ আর ১৫ বলেছেন: State religion concept contradict with concept secularism. Hijab and Niqab aren't obligation of the religion so if Turkey gov ban those then nothing wrong. Day by bay these dressing become popular to the criminals for hiding them.
দিন দিন তো হিজাব বোরকাধারির সংখ্যা বাড়ছে সেই সাথে এই পোষাকে নিজেকে আড়াল করে অপরাধ রাহাজানি বাড়ছে । মুখ আড়াল করে নিকাব পরা যাবে না তাদের কে চেনা যেতে হবে তারা চেহারা লুকাতে পারবে না -- 'হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীগণকে, কন্যাগণকে ও মুমিনদের নারীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদের চেনা সহজ হবে। ফলে তাদের উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।' (সূরা আহযাব : ৫৯)------ এই আয়াতে বলা আছে -- এতে তাদের চেনা সহজ হবে --- তার মানে নিকাব পোড়লে তাকে চেনা সহজে যাবে না -- তাই মুখে নিকাব পরা যাবে না . যদি কোন শিক্ষা প্রতিস্টান নিকাব পরা নিষেধ করে তাহোলে ঠিক কাজ করেছে এবং কোরান সম্মত কাজ করেছে ।
মাথার চুল ঢেকে হিজাব পরার কোন নির্দেশ কোরানে নেই --হিজাব একটা ট্রেডিশন এবং এটা মোটেও ধর্মীয় বাদ্ধকতা নয়
হিজাবের পক্ষে সুরা আল নুরের ৩১ তম (২৪--৩১) আয়াতের এই অংশটুকে হিজাব পরার আল্লাহর নির্দেশ হিসাবে দবি করা হয় --- ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে ---এখানে বলা হয়েছে -- তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে - মাথার ওড়না বক্ষে ফেলে রাখলে তা হবে হিজাব ।। অনেক বাংলা বা ইংলিশ অনুবাদে মাথার ওড়না বা ভেইল হিসাবে উল্লেখ আছে। কিন্তু এটা যে কত বড় মিথ্যাচার তার নমুনা দেখুন। এই আয়াতে আরবিতে খিমার শব্দটি ব্যবহার হয়েছে যার অর্থ আচ্ছাদন বা কভার যেমন পর্দা একটা কভার বা টেবিল ক্লথ যা টেবিলকে ডেকে আরাখে , জামা পরিধেয় বস্ত্র যা শরীর ডেকে রাখে তাই খিমার । শাল মাথার ওড়না শাড়ীর আচল ব্লাঊজ এই সবই খিমারের আওতায় পরে কারন এগুলো কভার বা আচ্ছাদন করতে পারে । সুতরাং খিমার শব্দের অর্থ শুধু মাথার ওড়না বা ভেইলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় কিন্তু কিছু হাদিসের বিকৃত ব্যাখার মাধ্যমে খিমারের অর্থ মাথার ওড়না হিসাবে বহু কোরানের অনুবাদে উল্লেখ করা হয়েছে ।
খিমার মানে মাথার ওড়না এর পিছনের যুক্তি কি ??? নবীর স্ত্রী বা কণ্যারা বা মুসলিম মহিলারা হিজাব পরতো তাই খিমার শব্দের অর্থ মাথার ওড়না -- এই ভাবে খিমার শব্দের অর্থকে মাথার ওড়নার মধ্যে সিমিত করে ফেলা হোল। ইসলাম আসার আগে আরবের মানুষ হিজাব পরতো এবং শরীর সম্পূর্ন ডেকে রাখতো বা এখনো রাখে যার মূল কারন মাত্রারিক্ত গরম হতে শরীরকে রক্ষা করা । মরুভূমির সাভাবিক তাপ মাত্রা যেখানে ৪৫ ডিগ্রী হতে ৫৫ ডিগ্রী পর্যন্ত ভেরি করে সেখানে মানুষ বাধ্য হয়ে মাথা সহ দেহ ডেকে রাখে জীবন রখা করার জন্য। ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা পেতে মানুষ যেমন শীত বস্ত্র পরে তেমনি মরুভূমির অত্যাধিক গরম হতে রক্ষা পেতে মানুষকে ডোলা কাপড় পরতে হয় এবং মাথা ডেকে রাখতে হয়। ডোলা কাপড় শরীর থেকে নির্গত ঘাম হতে সৃষ্ঠ ময়েসচারকে ধরে রাখে যা শরীরের ত্বককে বার্ন হতে রক্ষা করে । হিজাব মরুভূমির আবহাওয়ার প্রটেকশন ক্লদিং হিসাবে ইসলাম আগমনের বহু আগে থেকেই ব্যবহার হচ্ছে এবং অমুসলিমরা তা ব্যবহার করে ।
হিজাব একটা ট্রেডিশন এবং এটা মোটেও ধর্মীয় বাদ্ধকতা নয়.
২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৪২
আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: ইসলামে নারীদের সতর যতটুকু যেভাবে ঢাকতে বলেছে কাপড় দিয়ে সেভাবে ঢাকলেই হলো। এখন সেটাকে হিজাব বলুক কিংবা বোরখা বলুক কিংবা অন্যকিছু বলুক, মোদ্দাকথা পর্দা করা ফরয।
বর্তমানে তো হিজাবকে ফ্যাশন বানিয়ে ফেলা হয়েছে। যেই হিজাবে পর্দা পুরোপুরি পালন হয়না সেই হিজাবকে ত্যাগ করে যেই হিজাবে পর্দা পুরোপুরি পালন হয় সেই হিজাবকে গ্রহণ করা উচিত।
১১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৫১
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: আস্তিক এলিয়েন, নামটা কি আরবী? নামটা রাখতে আপনাকে বাধ্য করেছে?
২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪৫
আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: হা হা হা.... এটা নিয়ে এখনো আইন হয়নাই। অনলাইনে নাম রাখার এমন আইন হবে কিনা জানিনা। তবে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল হলে অফলাইনে এমন আইন হইতে সময়ের ব্যপার। তাছাড়া যুগ চেইঞ্জ হইছে, এখন আবদুল করিম নাম রেখেই নাস্তিক্য প্রচার করা যায়। তাই নাম রাখার মত এমন আজাইরা আইন ধূর্ত শাসকগোষ্ঠী করবে না। উপরে মুসলিম নাম রেখে ভেতর থেকেই ইসলাম নির্মুলের সকল আয়োজন করবে। বর্তমানে পত্রিকাগুলোতে ইসলাম নিয়ে একটা পেজ থাকে, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল হলে সেটাও আর থাকবে না। রেডিও টিভিতে আজান দেওয়াও বন্ধ হবে। েইসলাম বিদ্ধেষী যেকোনো আইন প্রণয়ন সহজ হবে। কারন আইন প্রণয়নের প্রধান বাধা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এখন আর নেই। এভাবে একের পর এক ধাপের মাধ্যমে ইসলাম জিনিসটাই গায়েব হয়ে যাবে। সবাই হয়ে যাবে শাহরিয়ার কবিরদের মত জন্মসূত্রে নামে মুসলমান।
১২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৫২
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: হায় হায়...তাইলে আমাদের কী হবে...আমাদেরও সব ঈমান-আক্বিদা ধ্বংস হবে যাবে..হায় হায়...সব গেল!...
বাই দ্যা ওয়ে, বাংলাদেশের মুসলমানি করানো হোক...!
২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১০
আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: বাংলাদেশের মুসলমানি করানো আছে। আপনারটা করানো প্রয়োজন।
১৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০৭
হাসান নাঈম বলেছেন: রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের চিন্তা কারো মাথায় এমনি এমনি আসেনা, ইসলাম বিদ্ধেষী মনোভাব থেকেই আসে। কারণ দেশে এমন কোনো তীব্র দাবি উঠেনি যে ৯০ শতাংশ মুসলিম জনগনের আবেগ অনুভুতির সাথে জড়িত এমন একটি বিষয়কে সংবিধান থেকে বাদ দিতে হবে।
২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১৩
আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: হুমম
১৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০৯
রাজু বলেছেন: ভালোই বলেচেন ভাই.
২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১৩
আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩
রানার ব্লগ বলেছেন: ভাবতেছি আমি যে মুসলিম এইডা কপালে খোঁদাই করে নিব, বলা যায় না কোন না কোন সময় কেউ না কেউ কইতেও পারে তোমার কপালে মুসলিম লেখা নাই তাই তুমি মুসলিম না। বিদায় হও!!!!
২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫১
আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: মুসলিম কপালে খোদাই করার জিনিস না, আচার, ব্যবহার, রীতি নীতি ইসলামের বিধি বিধান মানা থেকেই বুঝা যায় কে মুসলিম কে মুসলিম না। যারা মেকি মুসলিম সাজার চেষ্টা করে তারাই কপালে খোদাই করার চিন্তা করে।
১৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:০২
রানার ব্লগ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার বৃহৎ প্রবন্দের উত্তর আপনি নিজেই দিয়ে দিলেন।
পৃথিবীতে মোট ৫৬ টি স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র আছে, ৫ টি বাদে বাকি ৫১ টি রাষ্ট্রের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম নয়, এখন চিন্তার বিষয় তারা কি মুসলিম আছে না তারা কাফের মোনাফেক হয়ে গেছে।
২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২২
আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: আজাইরা তথ্য পান কই????
পৃথিবীর যে সব দেশে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে নির্দ্দিষ্ট একটি ধর্ম বহাল রয়েছে......
যে সকল দেশে রাষ্ট্রধর্ম --- ইসলাম
১) বাংলাদেশ
২) জিবুতি
৩) ইরাক
৪) পাকিস্তান
৫) ফিলিস্তিন
৬) তিউনিসিয়া
৭) আফগানিস্তান
৮) আল জেরিয়া
৯) ব্রুনেই
১০) কোমোরোস
১১) জর্দান
১২) লিবিয়া
১৩) মালদ্বীপ
১৪) মালয়েশিয়া
১৫) মৌরিতানিয়া
১৬) মরক্কো
১৭) মিশর
১৮) কাতার
১৯) সৌদী আরব
২০) সোমালিয়া
২১) সংযুক্ত আরব আমিরাত
২২) ইরান
২৩) ওমান
২৪) কুয়েত
২৫) ইয়েমেন
২৬) বাহরাইন
যে সকল দেশে রাষ্ট্রধর্ম --- খ্রিস্টান
১) কোস্টা রিকা
২) লিশটেনস্টাইন
৩) মাল্টা
৪) মোনাকো
৫) ভ্যাটিকান
৬) অ্যানডোরা
৭) আর্জেন্টিনা
৮) ডোমিনিকান রিপাবলিক
৯) এল সালভাদর
১০) পানামা
১১) প্যারাগুয়ে
১২) পেরু
১৩) পোল্যান্ড
১৪) স্পেন
১৫) গ্রীস
১৬) জর্জিয়া
১৭) বুলগেরিয়া
১৮) ইংল্যান্ড
১৯) ডেনমার্ক
২০) আইসল্যান্ড
২১) নরওয়ে
২২) ফিনল্যান্ড
২৩) সুইডেন
২৪) টোঙ্গা
২৫) টুভালু
২৬) স্কটল্যান্ড
২৭) ফ্রান্স
২৮) হাঙ্গেরী
যে সকল দেশে রাষ্ট্রধর্ম --- বৌদ্ধ
১) কম্বোডিয়া
২) শ্রীলঙ্কা
৩) থাইল্যান্ড
৪) মায়ানমার
৫) ভূটান
যে সকল দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইহুদীধর্ম
১) ইসরায়েল
সূত্র: Encyclopedia
আমি কোথায় বলেছি যে, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম না থাকলে সে দেশের সবাই কাফের মুশরিক হয়ে যায়???
আমি বলেছি, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের মাধ্যমে ইসলামকে নির্মুলের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কারন রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের চিন্তা কারো মাথায় এমনি এমনি আসেনা, ইসলাম বিদ্ধেষী মনোভাব থেকেই আসে। দেশে এমন কোনো তীব্র দাবি উঠেনি যে ৯০ শতাংশ মুসলিম জনগনের আবেগ অনুভুতির সাথে জড়িত এমন একটি বিষয়কে সংবিধান থেকে বাদ দিতে হবে।
দেশে ইসলাম বিরোধী সকল নীতিমালা প্রণয়নের পথে একমাত্র বাধা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। এজন্যই সেটাকে বাতিলের চক্রান্ত চলছে।
আর যেসব মুসলিম দেশে ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে নেই, সেসকল দেশে আগে থেকেই নেই, আগে থেকে থাকার পর বাতিল করার মানে কি সেটা বুঝাতেই তুরষ্কের উদাহরণ দিয়েছি। আশাকরি বুঝেছেন।
১৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬
এস বি সুমন বলেছেন: অাপনারা যারা ইসলামের জন্য মায়াকান্না করতেছেন, রাষ্ট্র ধর্মনিরপেক্ষ হলে নাকি ইসলামের ভার্জিনিটি নষ্ট হয়ে যাবে বলে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখতে তৎপর হয়ে উঠেছেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই ১৯৭১ এ কি ইসলামের জন্য যুদ্ধ হয়েছিল ? নাকি একটা অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের জন্য যুদ্ধ হয়েছিল? যারা ইসলামের জন্য যুদ্ধ করেছে তারা তো মা বোনদের ফাকিস্তানী জাতভাইদের হাতে তুলে দিয়েছিল ইসলাম কায়েমের জন্য। অার অারবের জাতভাইয়েরা তখন সুরা ফুকাফুকি নিয়ে ব্যাস্ত ছিল।
১৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩১
এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি বোলছেন --- ইসলামে নারীদের সতর যতটুকু যেভাবে ঢাকতে বলেছে কাপড় দিয়ে সেভাবে ঢাকলেই হলো। এখন সেটাকে হিজাব বলুক কিংবা বোরখা বলুক কিংবা অন্যকিছু বলুক, মোদ্দাকথা পর্দা করা ফরয।
বর্তমানে তো হিজাবকে ফ্যাশন বানিয়ে ফেলা হয়েছে। যেই হিজাবে পর্দা পুরোপুরি পালন হয়না সেই হিজাবকে ত্যাগ করে যেই হিজাবে পর্দা পুরোপুরি পালন হয় সেই হিজাবকে গ্রহণ করা উচিত।---------- জী জী সেই হিজাব মানি মাথা চুল ঢাকা বা মুখ ঢাকার নিকাব নয় । তুরস্ক কি শালিন পোষাক নিষিদ্ধ করেছে নাকি নিষিদ্ধ করেছে মুখ গোপন করার নিকাব এবং মাথা চুল ঢাকার ভেইল কোন টা । আল্লাহ তো সুরা আযাবের ৫৯ তম আয়াতে চেহারা গোপন করার জন্য মানা করেছন বলেছেন তাদের চেনা সহজ হবে তাহোলে তুরস্ক সরকার নিকাব নিষিদ্ধ করে কি অন্যায় করলো । মাথার ভেইল দিয়ে চুল ঢেকে বুক ঢাকার যে অপব্যাখা করা হয়েছে সেটা তো আগেই বলা হয়েছে । খিমার দিয়ে বুক ঢাকতে বলা হয়েছে । খিমার মানি তো মাথার ভেইল বা ওড়না নহে । তাহোলে মাথার ভেইল নামক হিজাব নিষিদ্ধ করলে কি কোন অন্যায় করেছে ???
১৯| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২২
সালমা শারমিন বলেছেন: আমার প্রশ্ন হল, কেউ যদি মাথাই কিছু দিয়ে ঢেকে রাখে, অথবা বোরখা পরে, সেটা নিষিদ্ধ করতে হচ্ছে কেন? কেন আমার নিজের জিনিস অরক্ষিত রাখতে আমাকে বাধ্য করা হবে? কেন? কেন? কেন? কেউ ছোট ড্রেস পরতে বাধা দিলে যদি কারও অধিকার কেড়ে নেয়া হয়, তাহলে বোরখা পরতে বাধা দিলে কেন অধিকার এর প্রশ্ন আসছে না?কেন? কেন? কেন?
দেশেতো আরও অনেক সমস্যা আছে। সমস্যায় সমস্যায় মানুষ জর্জরিত। সেই সমস্যা গুলো নিয়ে কেন মাথা না ঘামিয়ে, যা করলে নতুন সমস্যা তৈরি হতে পারে, তাই করা হচ্ছে? কেন? কেন? কেন?
অনেকেই বলছেন স্বাধিনতা যুদ্ধের সময় ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে যুদ্ধ করেছেন,কথা ঠিক ! অবশ্যই ঠিক।
যারা যুদ্ধ করেছে, তারা কি এখন এসে বলেছে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম বাদ দিয়ে দিতে? বলেনাই, তবে কেন এমন হচ্ছে?
আমার ব্যক্তিগত মতামত, হঠাৎ রাষ্ট্র ধর্ম বাদ দিয়ে দিলে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ইসলাম নিয়ে কিছু আন্দোলন মিছিল মিটিং হবে। তারপর বহিঃর্বিশ্বের কাছে প্রচার হবে বাংলাদেশ বিশাল মৌলবাদী রাষ্ট্র। জঙ্গি ঠেকাও। আর এর ফাঁকে মুস্টিমেয় একটা গোষ্ঠি সুবিধা নিয়ে ভাগবে..........আরও অনেক কিছুর সম্ভাবনাই আছে, ঠিক বলা যায় না। কারন আমাদের এই বাংলাদেশ, সব সম্ভবের দেশ।
২০| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮
সালমা শারমিন বলেছেন: এ আর ১৫ @ 'হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীগণকে, কন্যাগণকে ও মুমিনদের নারীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদের চেনা সহজ হবে। ফলে তাদের উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।' (সূরা আহযাব : ৫৯)
"এতে তাদের চেনা সহজ হবে" এখানে চেনা সহজ হবে বলতে কি বুঝিয়েছেন? চাদরের কিয়দাংশ টেনে দিলে আপনি তাদের দেখে কি চিনতে পারবেন? একটু ক্লিয়ার করে বলবেন?
২১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০
তাজুল ইসলাম জুয়েল 007 বলেছেন: চমৎকার একটি আলোচনা! বা আপোসে যুক্তি-তর্ক।
আশা করি সকল পক্ষই উপকৃত হয়েছেন, যদি মাইন্ড নিরপেক্ষ থাকে।
সকলকে ধন্যবাদ।
২২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৩
কঙ্কাল দ্বীপ বলেছেন: ভালো, তথ্যবহুল লেখা। মূল লেখা এবং কমেন্টগুলো থেকে অনেক কিছু শিখলাম। তবে ভাই, ত্রিমাত্রিক ভাইয়ের যেসব পয়েন্টগুলোর সাথে আপনার লেখা সাংঘর্ষিক, সেই পয়েন্টগুলোর যুক্তিখন্ডন গুলো করে দিলে ভালো হতো। এবং সেই সাথে ওনার দুএকটি পয়েন্ট যদি ঠিক হয়ে ও থাকে (যেমন ৯ নম্বর পয়েন্টে আজারবাইজানের ইস্যু) সেগুলো স্বীকার করে নিলে আপনার লেখাটি আরও শক্তিশালী হতো।
২৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩১
প্রামানিক বলেছেন: পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি পড়ে ভাল লাগল। ধন্যবাদ
২৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৭
ত্রিমাত্রিক বলেছেন: ১১০০ খৃষ্টাব্দ থেকে ১৯২২ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত তুরস্কে ওসমানীয় খেলাফত বিদ্যমান ছিল।
ওসমানিয়া খেলাফাতের প্রতিষ্ঠাতা ওসমান এর জন্ম হইছে ১২৫৮ সালে। ১১০০ সালে ওসমানিয়া খেলাফাত পাইলেন কই?
ওসমানিয়া খেলাফাত শুরু হয়ে ১২৯৯ সাল থেকে।
১৯২১-২২ সালে সেখানে খেলাফতবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। পাশ্চাত্যের অনুপ্রেরণায় তুর্কী মুসলমানরা দুটি শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়ে। একটি শিবিরের দাবী ছিল তুরস্ককে পাশ্চাত্যের আদর্শ গ্রহণ করতে হবে।
একেবারে ডাহা মিথ্যা।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের পর ওসমানিয়ার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। সেভ্রেস চুক্তির মাধ্যমে খেলাফাত ভেঙ্গে টুকরা টুকরা করা হয়। শুধু এনাটোলিয়ার কিছু অংশ খেলাফাতের দখলে থাকে। ইস্তানবুল, ইজমির, সিরিয়া, ফিলিস্তন ইরাক, জর্ডান, বর্তমান তুরস্কের পূর্ব, পশ্চিম, ও দক্ষিনের অনেক জায়গা মিত্রবাহিনীর ভাগাভাগি করে নিজেদের দেখলে নেয়। আরবরা ব্রিটিশ ও ফ্রান্সকে সহায়তা করে।
এই সেভ্রেস চুক্তি মোস্তফা কামাল মেনে নেয়নি। জাতীয়তাবাদের চেতনা নিয়ে তুরস্কের স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু করেন। তখন খেলাফাতের পক্ষে দাঁড়ায় কারা যানেন? ব্রিটিশ, ফ্রান্স, ইটালী, গ্রীস, আর্মেনিয়া.........
আহরে আমার কি ইসলামী খেলাফাতরে!!!
পশ্চিমাদের এতই যদি দরদ থাকতে তাহলে সেভ্রেস চুক্তি দিয়ে খেলাফাত ভাঙ্গল কেন?
ব্রিটিশদের ডিভাইড এন্ড কনকোয়ার রুল ঐ বলদ খলিফা না বুঝলে মোস্তফা কামাল ঠিকই বুঝেছিল।
২৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১০
ত্রিমাত্রিক বলেছেন: এক বিশেষ প্রানী ছাড়া দৈনিক সংগ্রাম ও আমাদের দেশ পত্রিকার রেফারেন্স কেউ দেয় না, বিশ্বাসও করে না
২৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩২
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বর্তমানে তুরস্ক অন্যতম একটি সফল রাষ্ট্র! রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম না হয়েও
২৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:১৭
ত্রিমাত্রিক বলেছেন: আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বর্তমানে তুরস্ক অন্যতম একটি সফল রাষ্ট্র! রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম না হয়েও
তেল, গ্যাস, কয়লা কোন রকম প্রাকৃতিক রিসোর্স ছাড়াই। অন্য কোন মুসলিম দেশ তুরস্কের ধারে কাছেও নাই।
সামরিক দিক দিয়েও তুরস্কের উন্নতি ঈষার্নীয়। উন্নত প্রযুক্তির ম্যালিটারি প্রযুক্তি নিজেরাই উৎপাদন করছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫২
শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: তুরস্কের ইতিহাস আমাদেরকে আরও সোচ্চার হতে সাহায্য করে।