নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আস্তিক এলিয়েন

পরিচয়: হোমো সেপিয়েন্স। জন্মস্থান: মনুষ্য গ্রহ

আস্তিক এলিয়েন › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেই নৈতিকতা পিতা মাতার চাইতে মোটর সাইকেলকে বড় বানায়

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৬



ছেলের আগুনে বাবার মৃত্যু, মায়ের হাতে শিশুপুত্র খুন, ছেলের বঁটির আঘাতে মা খুন !!

পত্রিকার পাতায় এই নিউজগুলো ইদানিং এত বেশি বেশি দেখা যাচ্ছে যে, ব্যপারগুলো যেনো খুবই সাধারণ হয়ে গেছে!!

অথচ কিছুদিন আগেও এসব নিউজ আমাদেরকে হতবাক করে দিতো, বাকরুদ্ধ করে দিতো।

বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত আট মাসে ৪৩ শিশু মা-বাবার হাতে হত্যার শিকার হয়। ১০টি পত্রিকার সংবাদ পর্যালোচনা করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এ প্রতিবেদনে অবশ্য ছেলেমেয়ের হাতে কত মা-বাবা খুন হলেন, এ তথ্য নেই। তবে প্রতিদিনের সংবাদপত্র বা টেলিভিশন চ্যানেলের খবর বলছে, এ সংখ্যাটিও নেহাত কম নয়।

পৃথিবীতে সবচেয়ে কষ্টকর জিনিস নাকি বাবার কাঁধে পুত্রের লাশ। যখন দেখি সামান্য পরকীয়ার কারনে বাবা তার শিশু পুত্রকে কুপিয়ে লাশ বানিয়ে মাটিতে পুঁতে রাখছে। তখন পুত্রের লাশটাকে বাবার কাছে কষ্টের বদলে মনে হয় পরকীয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানো এক শত্রুর লাশ!!!

কোন জিনিস পিতার কাছে পুত্রকে শত্রু বানিয়ে দিলো?
কোন জিনিস মমতাময়ী মায়ের কাছে তার আদরের শিশু সন্তানকে শত্রু বানিয়ে দিলো?
কোন জিনিস পুত্রের কাছে তার জন্মদাতা পিতা-মাতাকে শত্রু বানিয়ে দিলো?
কোন জিনিস সন্তানকে সামান্য মোটর সাইক্যালের জন্য তার পিতাকে হত্যাকারী হতে উৎসাহিত করলো?

এই জিনিসের সন্ধানে চলছে গবেষণার পর গবেষণা। সব গবেষণার ফলাফল অপরিবর্তিত ও সবার জানা। প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা। পারিবারিক শিক্ষা। সামাজিক সচেতনতা। এটাই একমাত্র সমাধান।

এই গবেষককুলের নৈতিকতার নমুনা কেমন? তারা আসলে কোন নৈতিকতার বিস্তার চান??

তারা চান পাঠ্যপুস্তক থেকে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা সম্বলিত গদ্য পদ্য নির্মুল করে, ধর্মীয় শিক্ষার উপর স্টীমরোলার চালিয়ে, পর্দা-হিজাবের বিরুদ্ধে অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা জারি করে, পর্দানশীল নারীদের মিথ্যা জঙ্গি আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তার হয়রানি করে, মিথ্যা জঙ্গিবাদের অভিযোগ চাপিয়ে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার দাওয়াত দানকারী সংগঠন নিষিদ্ধ করে আজব এক নৈতিকতার বিস্তার ঘটাতে চান!!!

নৈতিকতার প্রধান উৎপত্তিস্থল যেই ধর্ম, সেই ধর্মকে নির্মুলের মাধ্যমেই তারা তাদের আজব নৈতিকতার বিস্তার ঘটাতে চান!! ‘ধর্মই নৈতিকতার মূল ভিত্তি’ এটা যে সেকুলার গবেষককুল জানেন না তা নয়; তারা নিজেদের অন্ত:সারশুন্য সেকুলার আদর্শকে সমুন্নত রাখতেই কেবল জেনেও এটাকে অস্বীকার করছে!!

ধর্ম ছাড়া নৈতিকতার কোনো ভিত্তি আছে কি?? ধর্মবিহীন নৈতিকতা মানুষকে শিক্ষা দেয় কোনটা ভালো কোনটা খারাপ। কিন্তু এতটুকু শিক্ষাই কি যথেষ্ট?? সে যদি জানতে পারে যে ভালো কাজের জন্য তাকে পুরষ্কৃত করা হবে আর খারাপ কাজের জন্য তাকে শাস্তি দেয়া হবে। তাহলে সে অবশ্যই ভালো কাজের প্রতি উৎসাহিত হবে আর খারাপ কাজকে ঘৃণা করবে।

যে কোনো ধর্ম বিশ্বাস মানুষকে ভালো কাজের প্রতি উৎসাহিত করে আর খারাপ কাজের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি করে। কারন যেকোনো ধর্ম বিশ্বাসী ব্যাক্তি মাত্রই বিশ্বাস করে যে সকল কাজের জবাবদিহীতা তাকে মৃত্যুর পর করতে হবে। ভালো কাজের জন্য তাকে পুরষ্কৃত করা হবে আর খারাপ কাজের জন্য শাস্তি দেয়া হবে। আর এই বিশ্বাসই তাকে খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করে।

ধর্মকে বাদ দিয়ে এমন আজব নৈতিকতা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা আর ফুটো নৌকায় পানি সেচ করা একই কথা।

ধর্মকে বাদ দিয়ে নৈতিকতা প্রতিষ্ঠার এই ব্যর্থ চেষ্টা সেকুলার বুদ্ধিজীবিকুল যতদিন করবে ততদিন পত্রিকার পাতার এসব শিরোনাম বাড়বে বৈ কমবে না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

খাইরুন নাহার বিনতে খলিল বলেছেন: ধর্মকে বাদ দিয়ে নৈতিকতা প্রতিষ্ঠার এই ব্যর্থ চেষ্টা সেকুলার বুদ্ধিজীবিকুল যতদিন করবে ততদিন পত্রিকার পাতার এসব শিরোনাম বাড়বে বৈ কমবে না।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৪

আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: হুম

২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
পোস্টটা ভালই হচ্ছিল। কিন্তু ধর্ম টেনে আনায় আমার কিছু প্রশ্ন জাগলো।
১। আপনি কোন নির্দিষ্ট ধর্মের কথা বলছেন নাকি যে কোন ধর্মের কথা?
২। ধর্মে বিশ্বাসের প্রতি আলোকপাত করছেন নাকি ধর্মকে মান্য করার প্রতি?
৩। সন্তানের প্রতি ভালবাসা, স্নেহ থাকাটা তো সার্বজনীন। হোক ধর্মকে মেনে চলা ব্যক্তি বা ধর্মকে উপেক্ষা করা ব্যক্তিই। সন্তানের প্রতি ভালবাসাটা তো অন্য রকম। আপনি কি বলতে চাচ্ছেন এই ক্ষেত্রে দুই গোত্রের মাঝে কোন পার্থক্য আছে?
৪। এই যে খুনী পিতা-মাতার কথা বলছেন, তারাও কিন্তু কোন না কোন ধর্মে বিশ্বাসী। ঠিক মেনে চলেনা - কিন্তু ধর্মকে তো বিশ্বাস করেই। তাহলে, এক্ষেত্রে অধার্মিকদের টেনে আনা হচ্ছে কেন?

যাই হোক, আপনার একটা কথা ঠিক। সেটা হল সমস্যাটা নৈতিক, মানসিক দৃষ্টি ভঙ্গির। এটা ধর্মে বিশ্বাস বা অবিশ্বাস, রীতি-নীতি মেনে চলা বা না চলার উপর নির্ভর করে না।

ভাল-খারাপের শিক্ষাটা সকলের জন্যই মৌলিক শিক্ষা। একটা ছেলে/মেয়েকে তার বাচ্চা অবস্থায়ই কিছু জিনিস শেখানো হয়। সেটা হোক যে ধর্মের অনুসারী মানুষই বা ধর্মকে উপেক্ষা করা মানুষই। প্রতিটা বাবা-মা ই তা করে।
পরে, সমাজ এবং সমাজের মানূষও ভাল-খারাপের পার্থক্যটা শেখায়।

খেয়াল করে দেখেন - এখানের কোনটাতেই কিন্তু ধর্ম সম্পৃক্ত না।

এটার মূল সমস্যা হল মানসিকতা। এই মানসিকতার দৃষ্টি-ভঙ্গির পরিবর্তন প্রয়োজন। কিন্তু, এটা করা এত সহজ হবে না।
যদি পদক্ষেপই নেওয়া হোক না - এই একটা ব্যাপার নিজেদেরকেই আত্তয়াস্থ করতে হবে।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩

আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: ১। আমি সব ধর্মের কথাই বলেছি।
২। ইসলাম ধর্মে মুসলিম তাদেরকেই বলে যারা ইসলামের রীতি নীতি জানে, মানে, ঘোষণা করে এবং সে অনুযায়ী জীবন পরিচালিত করে তাদেরকে। সুতরাং সত্যিকার ধর্মে বিশ্বাসী ব্যাক্তি মাত্রই শুধু বিশ্বাস করবে না, সাথে মানবেও। কথা হলো সে যদি বিশ্বাসই না করে তবে মানবে কিভাবে? সুতরাং আমি ধর্মে বিশ্বাসী ব্যাক্তি বলতে বুঝিয়েছি যারা জানে, মানে এবং পালন করে। সব ধর্মের বেলায় এমনটাই। লতিফ সিদ্দিকী কিংবা তসলিমা নামে এবং জন্মসূত্রে মুসলিম হলেও তারা মূলত ইসলাম ধর্ম বিশ্বাসী নয়।
৩। আপনি ঠিক বলেছেন, সন্তানের প্রতি সবারই ভালোবাসা থাকে। সেটা ধর্মে বিশ্বাসী হোক আর অবিশ্বাসী হোক। কিন্তু কথা হলো, শুধু ভালোবাসা থাকাটাই কি যথেষ্ট? একজন মদ্যপ ব্যাক্তি মাতাল ব্যাক্তি কি ভালোবাসা কিংবা সন্তান পিতা পুত্রের মর্ম বুঝে? পরকীয়ায় মত্ত ব্যাক্তির মধ্যে কি সন্তান বা স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা থাকে? ভালোবাসা থাকলে তো সে নিজের স্ত্রীকে রেখে নিজের সন্তানদের কথা চিন্তা না করে অন্যের স্ত্রীর প্রতি আশক্ত হয়?? এটা এমন এক আশক্তি যেটা তার সন্তানকেও শত্রু বানিয়ে দেয়। ভালোবাসার কোনো মূল্য থাকে কি তখন?? এই আশক্তির মূল কারন ইসলাম নিষিদ্ধ পরকীয়া কিংবা মদ পান। একজন সত্যিকারের ধর্মে বিশ্বাসী ব্যাক্তি কখনোই মদ পান কিংবা পরকীয়ায় মত্ত হতে পারে না। কারন সে জানে, বিশ্বাস করে এবং মানে এই দুইটাই ইসলামে হারাম। এগুলো করলে মৃত্যুর পর তাকে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে। এই শাস্তির ভয়ই তাকে এসব কাজ থেকে বিরত থাকতে সহায়তা করে। এটাই মুলত দুই গোত্রের মধ্যে মূল পার্থক্য। তবে এক্ষেত্রে ধর্ম বিশ্বাসীরাও মাঝে মধ্যে ধর্ম নিষিদ্ধ কাজ করে ফেলে, তবে সেটা ধর্মে অবিশ্বাসীদের তুলনায় খুবই নগণ্য।

৪নং এর উত্তর উপরের গুলোতেই চলে আসছে।

একটি সেনাবাহিনী কিংবা অফিস আদালত কিংবা রাষ্ট্রে নির্দিষ্ট কোনো রুলস এন্ড রেগুলেশন না রেখে এবং আইন ভঙ্গের কঠিন শাস্তি না রেখে আপনি যতই তাদেরকে মানসিকতা বদল করার কিংবা দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করার নির্দেশনা দেন না কেনো কেয়ামতের আগ পর্যন্ত সেই সেনাবাহিনী কিংবা অফিস আদালত কিংবা রাষ্ট্র সুশৃঙ্খল হবে না। এটা খুবই সহজ কথা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.