নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আরিফ। এক্দশ-দ্বাদশ শেণীতে লেখাপড়া করছি।ব্লগিং আমার নেশা। সময় পেলে কিছু লেখার চেষ্টা করি। প্রযুক্তি বিষয় নিয়ে লেখালেখি করি। যা জানি মানুষকে জানাতে চেষ্টা করি, আর যা জানিনা তা জানতে চেষ্টা করি। নিজের লক্ষ্য স্হির রেখে সামনে এগিয়ে যেতে চাই...

Atsboyarif

আমি এগিয়ে যেতে চাই।অনেক বিশাল স্বপ্ন দেখি,স্বপ্ন দেখা দোষের কিছু নয়।লক্ষ্য স্হির রেখে বুহুদূর চলতে চাই।

Atsboyarif › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইস্যু ভিত্তিক বাংলাদেশে কিছু লেখার প্রয়াস!

০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৫৩

Non-Counter, Counter, Encounter;

Non-Counter : প্রাথমিক কোন বিষয় যা প্রথম পর্যায়ে মানুষের দৃষ্টিতে আছে।

Counter : নন-কাউন্টারের তীব্র সমালোচনা।

Encounter : নন-কাউন্টার এবং কাউন্টারে দৃষ্টান্তমূলক সমালোচনা (সমাজে এই উপাদানটার বড়ই অভাব)

প্রথম পক্ষ, সাধারনত কোন বিষয় মানুষের দৃষ্টিতে নিয়ে আসে। তবে সেখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল ঘটনা ততক্ষণ পর্যন্ত যাচাই সম্ভব না যতক্ষণ পর্যন্ত তা আইনী প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হচ্ছে এবং ঘটনার পূর্ণ সত্যতা ততক্ষণ পর্যন্ত ভ্যারিয়েবল থাকে।

দ্বিতীয় পক্ষ যারা সাধারনত নেগেটিভ রিভিউ দিয়ে থাকে কারন বর্তমানে ফেসবুকে ততাকথিত শিক্ষিত ( পাঠ্য-পুস্তকের বহিস্ত জ্ঞানহীন) মানুষের সংখ্যা ফেসবুকে অত্যাধিক যারা প্রত্যক্ষ ধর্ষক না হলেও ধর্ষণকে সমর্থন করে। তারা ধর্ষণের যুক্তিহীন নানা বিষয়ের দিকে আঙ্গুল তুলে। এবং এই মানুষগুলো খুবই খারাপ। তারা নিজেদের মস্তিষ্কের জায়গায় গোবর ট্রান্সপারেন্ট করে।

আলোচনার বিষয় যদিও ধর্ষণ নয় তবুও উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করতে হচ্ছে।

অপরপক্ষে যাদের সমাজে ভ্যালু বেশি কিন্তু এই রকম যুক্তি দাঁড় করানো মানুষের অভাব তাদের যুক্তিই হল এনকাউন্টার। তারা সাধারনত নন-কাউন্টার এবং এনকাউন্টারের মধ্যবর্তী অবস্থানে থাকে যাদের কাজকর্ম আপনার আমার মত বাইক্যা (ভিত্তিহীন) সমালোচনা নয় বরং দৃষ্টান্ত মূলক সমালোচনা।

সমাজে অহর অহর ধর্ষণের ঘটনা আজকাল প্রায় দেখা যাচ্ছে। বনানী ইস্যু নিয়ে কিছুই বলিনি কারন ব্যপারটার মধ্যে ঘাপলা ছিল কিন্তু যখন অপরাধীরাই এবং তাদের ড্রাইভার, বডি-গার্ড ধর্ষণ নিশ্চিত করলো সেখানে আপনার আমার কিছু বলারই অধিকার নেই সমালোচনা তো দূরের কথা। আর এখানে মধ্যবর্তী অবস্থানে থেকে গুরু দায়িত্ব পালন করেছে কিছু প্রতিষ্ঠান, গ্রুপ ধন্যবাদ সে সকল গ্রুপ, প্রতিষ্ঠানকে।

স্বভাবত, বনানীর ঘটনাতে সবার দৃষ্টিতে মেয়ে দুটোর দোষই সবার চোখে পড়বে যেহেতু আমাদের রয়েছে ধর্ম, সংষ্কৃতি, সভ্যতা ইত্যাদি। কিন্তু ধর্ষকরা তাদের দোষ স্বীকার করেছে বিধায় মেয়েগুলো নির্দোষ প্রমানিত হচ্ছে কিন্তু ভবিষ্যতে এই রকম ঘটনা ঘটবে না তার নিশ্চয়তা কি! অথবা কোন মেয়ে স্বেচ্চায় অনৈতিক কাজ করে ধর্ষণ ক্লেইম করবে না তা বা নিশ্চয়তা কি। যদিও অনেক সময় ফাইল, ফুটেজ, ম্যাসেজ ইত্যাদি থাকে কিন্তু যদি কোন মতে প্রমাণ না থাকে তবে তো ছেলে ফেঁসে যাবে।

আসেন এই বার কিছু ওন (own) কাউন্টার দেয়...

১. প্রথমত, অবাধ মেলামেশা বন্ধ করতে হবে।

২. জাস্ট ফ্রেন্ড (সো-কল্ড) টাইপের রিলেশন রাখা যাবেনা তবে ফ্রেন্ড রিলেশন রাখা যাবে।

৩. যেহেতু দেশটি ৯২% মুসলিম তাই পোশাকটা একটা ফ্যক্টর যদিও খুব সামান্য কারন মানসিকতাই বড় বিষয়। পোশাক ফ্যাক্টর হলেও অন্য ধর্মের মেয়েরা ধর্ষণের পেছনে দায় কি! সেটায় মানসিকতা (সিক মেন্টালিটি)

৪. ধর্ম চর্চা করতে হবে।

৫. পর্ণ ফেন্টাসি দূর করতে হবে।

৬. রেল লাইন, রাস্তারধার, ফুট ওভার ব্রিজে ইত্যাদি বখাটেদের হেবিটেশন সেটা উচ্ছেদ করতে হবে।

৭. পারিবারিক অনুশাসন।

৮. মেয়েদের অবস্থান শক্ত করতে হবে।

৯. নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা। (ঘরে আমার যেমন মা, বোন আছে ঠিক আপনারও মা, বোন আছে।)

১০. এবং সর্বশেষ আত্নসচেতনতা।

এটি একটি সচেতনতামূলক লেখা। :)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.