আমার ভাতিজি\'র ফেসবুক,,,,,,

১৬ ই মে, ২০১৫ রাত ৩:২৩

প্রচন্ড খরা রোদে যখন ধান কেটে
একটু জিরাতে একটা আম গাছের
তলায় বসলাম একটু জিরিয়ে নেওয়ার
জন্য !

কিছু সময় পর আসল আমার দূর সম্পর্কের
১০ম শ্রেনীতে পড়ুয়া ভাতিজি নার্গিস
হাতে একটা ইয়াবড় এক
সেমসেম (স্যামসাং) মোবাইল.....!

জিগাইলাম,এই নার্গিস এত রোদে
বাড়ির বাহিরে আসছ কেন ?
কাকা ইন্টারনেট চালাচ্ছি,
কিন্তু বাড়িতে নেটোয়ার্ক লস, তাই
বহিরে আসলাম,,,,

আমিঃ ও আচ্ছা তো ইন্টারনেটে কি চালাও ?
.
ভাতিজিঃ কাকা ফেসবুক চালাই।
.
আমিঃ ওমা তাই নাকি! ফেসবুকে কি
কি করা যায় ?
.
ভাতিজিঃ কাকা,সবকিছু করা যায়।
যেমনঃ চ্যাট, ভিডিও আপলোড, অডিও
ভিডিও দেখা, আর ওনেক কিছু লিখা
যায়, পড়াও যায় অনেক কিছু, আরো কত
কি!!!
.
আমিঃ তাই নাকি, দেখি দেখি....

এইবলে একরকম জোর করেই ফোনটা
তার হাত থেকে কেঁড়ে নিলাম আমি,
অমনি ভাতিজি কি ঝাড়ি আমাকে,
আরে!! আমি ইন্টারনেট চালাচ্ছি আর
তুমি এই মুহুর্তে মোবাইলটা কেঁড়ে
নিলে! এটা কি তুমি সাধারন কিছু
পাইছো, ইন্টারনেট সম্পর্কে জানো
কিছু, চালাইছো জীবনে ফেসবুক, এরকম
চেঁচামেচি শুনে আমার ভাবি এসে
বললো আবির যে জিনিস জানোনা
সেই জিনিস নিয়ে টাঁনাটানি করা
একবারেই ঠিক না...!

মা মেয়ের ঝাড়ি শুনে আমারতো
পুরাই আক্কেল গুড়ুম হয়ে গেলো, পিছনে
ফিরে দেখি "আব্বা" আমার দিকে
অগ্নিশর্মার মত চেয়ে আছেন।
সরলমনে না বুজে আরেকবার
অপমানিত হলাম জীবনে।তাও এই
বয়সে আবার "আব্বা" ছোটভাই তাদের
সামনে,সব বিধাতার খেল হিসেবে
ধরে নিলাম !


বিঃদ্রঃ জীবনের বাস্তবতা থেকে
লিখা।যদিও আজ আমি আমার
পরিচয়টা ভালোভাবে উপস্থাপন না
করার জন্য অনেক অপমানিত হলাম......!

০ টি +০/-০