নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The blogger is here.

আইউব আহমেদ খাঁন

twitter.com/KhaanOfficial

আইউব আহমেদ খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তচিন্তার নামে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত কাম্য নয়, তার প্রতিবাদে কাউকে মেরে ফেলাও কাম্য নয় !!

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২৫

কেউ নাস্তিক হতেই পারে, সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা তাকে ঐ অধিকার দিয়েছে, কিন্তু কেউ ধর্মদ্রোহী অথবা ধর্ম বিরোধী হতে পারে না। যদিও বাংলাদেশে এখন ধর্ম বিরুদ্ধ কথা বলা বিশেষ করে ইসলাম বিরুদ্ধ কথা বলাটা ফ্যাশনে পরিচিত হয়েছে এবং ধর্ম বিরোধী কথা বলে নিজেকে উদার ও সুশীল প্রমাণের চেষ্টা করে অনেকে। আর এইটা হলো স্মার্টনেসের নতুন ট্রেন্ডজ। এইবার প্রসঙ্গে আসি, গতকাল রাতে বইমেলা প্রাঙ্গণের বাহিরে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে ব্লগার অভিজিৎ খুন হয়েছে এবং তার স্ত্রী আহত হয়েছে । অভিজিৎ মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, তিনি শিক্ষাবিদ অজয় রায়ের ছেলে এবং এমেরিকান সিটিজেন। আমি নিজে দেখেছি তিনি প্রিয় নবীকে নিয়ে কি চরম কটাক্ষ করেছেন, ব্লগ রুল ভঙ্গ হবে তাই তা উল্লেখ করলাম না, রাসুল প্রেমী যেকোন মুসলিমের মনে তা তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে। তবে এই ধরনের হত্যাকান্ড কাম্য নয়, অবশ্য দিনর পর দিন যখন মানুষের ধর্মীয় অনুভুতিকে ক্ষতবিক্ষত করা হচ্ছে উদারতার সাইনবোর্ড টাংগিয়ে কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্র তার প্রতিকার করছে না তখন এই ধরনের হত্যাকান্ড একসময় স্বাভাবিক হয়ে দাড়াবে বলেই বিশ্বাস করি। কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে কুখ্যাত অপরাধীরও কি এইভাবে মৃত্যু কাম্য ? কিন্তু ব্লগার অভিজিৎ অপরাধী ছিলেন না ছিলেন জাস্ট একজন ভিন্নমতালম্বি । ভিন্নমত থাকতেই পারে কিন্তু ভিন্নমতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কখনো চরমপন্থা হতে পারে না। চরমপন্থা কখনো সমাধানের পথ অথবা প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না। কিন্তু একটা জিনিস ভাববার বিষয় যখন একজন মুসলিম দেখে তার প্রিয় নবীকে নিয়ে কটাক্ষ হচ্ছে অথবা আল্লাহর একত্ববাদ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে অথবা কোনও হিন্দু যদি দেখে তার পরম পূজনীয় কৃষ্ণ অথবা দুর্গা কে নিয়ে কটাক্ষ করা হচ্ছে অথবা একজন খ্রিস্টান যখন দেখবে তার যিশুকে ছোট করা হচ্ছে তখন তাদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত লাগে না? আমি বিশ্বাস করি লাগে, আপনি কি তা অস্বীকার করতে পারেন ? কিন্তু যাই-হউক-না-কেন এই ক্রমবর্ধমান প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী কি আমরাই সৃষ্টি করছি না? এর দায় দায়িত্ব কি এই রাষ্ট্র অস্বীকার করতে পারে ? আর আমার একটা নিজস্ব পর্যবেক্ষন হলো , ধর্ম সম্পর্কে কটূক্তি করার সুযোগ দিয়ে সরকার মূলত সাধারন মানুষ এর মধ্যে চরমপন্থা জাগিয়ে তুলছে!! এতে সরকার কোন ফায়দা লুটতে পারলেও রাষ্ট্রের ভিত্তিগুলো দিনে দিনে দুর্বল হচ্ছে। আর জানেন তো মানুষ কখন চরমপন্থায় আকৃষ্ট হয়? যখন একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থার মধ্যে জবাবদিহিতা এবং বিচার হীনতার সংস্কৃতি সৃষ্টি হয়।



আইউব

-Follow on twitter @AyuubPresents,

-Instagram/ayuubkhaan

-fb.com/ayubkhan999

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৪৬

নাজমুল আহসান সৈকত বলেছেন: আপনার সাথে একমত পোষণ করছি

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৫৬

আইউব আহমেদ খাঁন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৫৭

অারমান বলেছেন: যখন আল্লাহ ও রাসূল স: কে নিকৃষ্ট ভাষায় গালিগালাজ করে তখন এই চেতনাধারীদের চেতনা কোথায় থাকে?

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩৭

আইউব আহমেদ খাঁন বলেছেন: কই আবার ? চেতনা তখন এমেরিকার হনুলুলুতে অবকাশ যাপনে থাকে !! হায়রে চেতনা তুই আমাদেরকে বড় ই প্যরা দিতেছস !! আমি মনে করি আল্লাহ ও প্রিয় রাসূল কে কটূক্তি করার সুযোগ দিয়ে রাষ্ট্র অথবা সরকার মূলত মানুষ এর মধ্যে চরমপন্থা জাগিয়ে তুলছে !! আর জানেন তো মানুষ কখন চরম্পন্থায় আকৃষ্ট হয়? যখন একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থার মধ্যে জবাবদিহিতা, এবং বিচার হীনতার সংস্কৃতি সৃষ্টি হয়।
আরমান আপনাকে ধন্যবাদ।

৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৩৮

সালমান মাহফুজ বলেছেন: চেতনায় আঘাত দিয়েছে, অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে-- সবি ঠিক আছে । আপনারও পালটা আঘাত করার অধিকার আছে । তাই বলে সেটা চাপাতি দিয়ে নয় । কলমের জবাব হবে কলমে ।

৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:৩২

রাফা বলেছেন: আমি সমর্থণ না করলেই কি হত্যা করা মেনে নিতে হবে?আপনি কি হত্যা করে ধর্মের স্বপক্ষে থাকলেন নাকি....!

০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৪৬

আইউব আহমেদ খাঁন বলেছেন: এইভাবে হত্যা কোন বিবেকবান মানুষ ই সমর্থন করে না। কিন্তু সবার রাগ/জেদ/ক্ষোভ সমান নয় । কোন প্রেমিকের সামনে তার প্রেমিকাকে কোন খারাপ ছেলে কটাক্ষ করলে কোন প্রেমিক হয়তো জাস্ট খারাপ ছেলেটার সামনে থেকে দূরে সরে যাবে। আর কোন প্রেমিক আছে খারাপ ছেলেটাকে সামর্থ অনুযায়ী উত্তমমধ্যম দিবে!! সবাই সহিষ্ণু হয় না কিছু মানুষ আছে খুব প্রতিক্রিয়া দেখায়। অভিজিৎ এর হত্যাকারীরা ঐরকম প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী। তবে, অভিজিৎ সাহেবের একটা লেখা পরে আমার খুব খারাপ লেগেছে, মুক্ত চিন্তা সবসময় অসীম কল্যাণকর হয় বলে জানি , কিন্তু গায়ে পরে এইভাবে একটা ধর্মের একজন প্রধান নবীকে নিয়ে কটাক্ষ কিভাবে সম্ভব ? মুক্ত চিন্তা মানে যদি এই হয় তাহলে ভাই দরকার নাই আমার মুক্তচিন্তা।

৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:০৫

আততায়ী আলতাইয়ার বলেছেন: এই হত্যাকান্ডের পর একদল মুক্তমনা দ্বিগুন উৎসাহে আভিজিৎ রায়ের পথ অনুসরন করে দ্বিগুন উৎসাহে ইসলাম নিয়ে থার্ড ক্লাস ভাষায় প্রগতিশীলতার উচ্চমার্গে চড়ে বসবে। আর দেশের অধিকাংশ মুসলিম মাহমুদুর রহমানের পথ অনুসরন করে অভিজিতের ঐসব গর্হিত লেখার চুল চেরা বিশ্লেষন করে এই অন্যায় হত্যাকান্ড কে প্রতক্ষ্য পরোক্ষ নৈতিক সমর্থন দিয়ে নিজেদের মাথামোটা অবিবেচক প্রমানে অগ্রনী ভূমিকা রাখবে। আমরা মুসলিমরা আজ অন্যায় ভাবে নাস্তিক হত্যায় যেভাবে ফারাবিদের প্রশ্রয় দিচ্ছি আসন্ন ভবিষ্যতে এই ফারাবিরাই আমাদের মুসলমানিত্বে দৈর্ঘ্য প্রস্থ ঘনত্ব মাপা শুরু করবে এবং বাংলাদেশ কে পাকিস্তানের মত একটা অসুস্থ রাষ্ট্রের পরিনতির দিকে নিয়ে যাবে। অভিজিতদের নোংরামির বিরোধীতার জন্য যদি এই অন্যায় হত্যাকান্ডকে সমর্থন করতে হয় তাহলে ইনসাফ ন্যায়বিচার এই শব্দ গুলোর আর কোন মূল্য থাকে না। একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবা উচিত ইসলাম বিরোধীদের এভাবে ব্যাক্তি উদ্যোগে অন্যায় ভাবে হত্যাকরায় ইসলামের ও মুসলিমের আল্টিমেট কোন লাভ কি হচ্ছে। একটি মুসলিম দেশ হিসাবে আমরা নিজের দেশকে কি পাকিস্তানের মত ডাস্টবিনে দেখতে চাই নাকি মালয়শিয়ার মত সমৃদ্ধ দেখতে সেটা আবার ভাবতে হবে। অভিজিত্‍ এর হত্যা এককথায় অন্যায় তাই অভিজিতের হত্যার নিন্দা ও কঠিন বিচার দাবী করে আসছি। কিন্তু গতকাল থেকে মিডিয়া ও শুশিল সমাজ যেভাবে অভিজিত রায়কে নিয়ে প্রগতিশীলতা ও শুশিলতার প্রতীক বানিয়ে ফেলছে তাতে অতীত খুড়ে আবার না জানি গন্ধ না বেরিয়ে যায়। ফারাবির মত উন্মাদেরা যেমন অসহিঞ্চুতা করে ইসলামের বদনাম কামাচ্ছে সমাজে সংঘাত সৃষ্টি করছে সেই সংঘাতে মডিফিকশনে অভিজিতদের দায় কোন অংশে কম নয়। শুশিলতা মানে এই নয় যে আপনি একজনকে নিয়ে একতরফা ভাবে গায়ে পড়ে আজেবাজে মন্তব্য করে যাবেন আর উক্ত ব্যাক্তি তা হজম করে যাবে। ফারাবীদের মত উগ্র মুর্খ উন্মাদদের যেমন প্রচলিত আইনে কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার তেমনি ধর্ম নিয়ে কুটক্তির বিরুদ্ধে কঠিন আইন প্রনয়ন ও সময়ের দাবী। ধর্মের মত সেন্সিটিভ ইস্যু নিয়ে আজেবাজে কথা বললে কোন রিএক্যাকশন হবে না এটা ভাবাও একধরনের মূর্খতা। আমাদের দলমত নির্বিশেষে অন্যায়কে অন্যায় হিসাবে চিন্হিত করতে হবে, আজকাল আমাদের মধ্যে এমন প্রবনতা দেখা দিচ্ছে যে আমরা মতবিরোধীদের অন্যায় ভাবে নিহত হওয়াকে নৈতিক স্বীকৃতি দিয়ে ফেলছি যার সূদুর প্রসারী ভাবে খুব খারাপ। যার সব চেয়ে বড় উদাহরন RAB এক সময় মানুষ RAB এর বিচারবহির্ভুত হত্যাকে নৈতিক সাপোরট দিতো যার পুষ্টিতে RAB আজ একটা ফ্র্যাঙ্কেস্টাইন হয়ে গেছে এভাবে ফারাবিরা একসময় ফ্র্যাঙ্কেস্টাইন হয়ে যাবে মোল্লা ওমরদের মত

০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭

আইউব আহমেদ খাঁন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার দীর্ঘ লেখায় এথিকস আছে , আছে নৈতিকতার সাথে লেখার দায়বদ্ধতা । কিন্তু এতটুকু এথিকস যদি অভিজিৎ সাহেবের থাকত তাহলে সম্ভবত তিনি মুক্ত চিন্তার নামে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে ক্ষত বিক্ষত করতেন না । তবে আমি কিন্তু আপনার সাথে একমত "চরমপন্থা কখনো সমাধানের পথ অথবা প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না।" আর ইসলামের কোন পর্যায়ে ই সম্ভবত এইভাবে একজন মানুষকে মেরে ফেলাকে সমর্থন করেন না। তবে আমার একটা কৌতুহল আছে, অভিজিৎ সাহেব এর কি নবীজির সাথে কোন ব্যাক্তিগত শত্রুতা ছিল ? এইটা সম্ভব না। দুজনের জন্ম সালের গ্যাপ প্রায় ১৫০০ বছর । কিন্তু অভিজিৎ সাহেব এতো ক্ষ্যাপলেন কেন নবীজির উপর ? আরে ভাই পাশের বাড়ীর হিন্দু ভদ্র লোক সাথে ঝগড়া লাগলেও এর চেয়ে অনেক মার্জিত ভাষায় আমি কথা বলব !! কিন্তু উনার এমন গায়ে পড়ে খ্যপার কারন কি ? এইটা জানার জন্য একটা থিসিস এর দরকার আছে !!

৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:১১

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: আমি মুক্তচিন্তায় সবসময় সমর্থন করি, কিন্তু সে চিন্তাকে ভাষায় প্রকাশ করার আগে ১০ বার চিন্তা ভাবনা করা দরকার - তাও মনে করি। কলম দিয়ে সমাজের যে ক্ষতি করা যায়, তলোয়ার এমনকি এটম বোমা দিয়েও তা করা যায়না।

০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:২৮

আইউব আহমেদ খাঁন বলেছেন: নীল আকাশ আপনাকে ধন্যবাদ । আমি আপনার সাথে একমত "কলম দিয়ে সমাজের যে ক্ষতি করা যায়, তলোয়ার এমনকি এটম বোমা দিয়েও তা করা যায়না।"

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.