নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যান্বেষী

আবেদ আল ইসলাম

আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝঞ্ঝা!

আবেদ আল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

জার্নি বাই ট্রেন...

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪২


কতো ঘটনা-দূর্ঘটনা, কতো মানুষ দেখলাম গত কয়েক বছরে।
আমার প্রথম রেলভ্রমন ২০১২'র মাঝামাঝি সময়ে। উচ্চ শিক্ষার একটা হিল্লে করতে ট্রেনে চড়ে চাটগাঁয়ে এসেছিলাম।

যাইহোক, রেল নিয়ে কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি।

১. হঠাৎ বাড়ীতে যাওয়ার ডাক পড়লো। দ্রুততম সময়ে চট্টগ্রাম স্টেশন এসে হাজির হলাম। টিকেট কাউন্টারে নক করে জানলাম অধমের বরাতে টিকেট নেই। কী আর করা,বাধ্য হয়ে কাউন্টারের আশেপাশে ইতস্তত ঘোরাঘুরি করছিলাম। এমন সময় সুপারম্যানের মতো সামনে এসে দাড়ালো এক ভুঁড়িওয়ালা পুলিশ।
'টিকেট লাগবে কিনা?' -জিজ্ঞেস করলো আমায়।

তার রাইট টাইম এন্ট্রি দেখে আমি তাজ্জব হয়ে গেলাম। আরেব্বাস, সিনেমার পুলিশ আর বাস্তব পুলিশের কী ফরাক!

কাহিনীর এখনো বাকী আছে। বললো- টিকেট নিলে একদাম ২০০ টাকা দিতে হবে।
১১৫ টাকার টিকেট ২০০ টাকা দিতে হবে,তাও আবার পুলিশের মুখে শুনে আমার মুখটা পাংশু হয়ে গেলো। অগত্যা বাবার কষ্টের আয়ের টাকা জনতার বন্ধু পুলিশকে দিয়ে টিকেট নিয়ে শুকনো হাসি দিয়ে বাড়ীর পানে রওনা হলাম।

২.গত রমজানে চিটাগাং যাচ্ছি। সাথে ছোট ভাই আর ভাগ্নে।পড়ালেখার একটা গতি করতে ওদেরকে বড় প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করানোই ছিল যাত্রার উদ্দেশ্য। রমজানের মাঝামাঝি, তাই ট্রেনও দুবলার চরের মতো ফাঁকা। এর মধ্যেও ঈদ বোনাসের নাম করে এবার কাউন্টার থেকেই ৫০ টাকা বেশি নিয়ে নিলো। তারপরেও দুঃখ ছিল না।

ট্রেন ছাড়লো। আমরা গন্তব্যের পানে ছুটে চললাম। আল্লহর অনুগ্রহে শুরুতে সব ঠিক-ঠাকই ছিল। কিন্তু পোড়াকপালে সুখ বেশিক্ষন সইলো না। কোত্থেকে এসে জুটলো হিজড়ার দল। এসেই চাঁদার অঙ্ক নির্ধারন করে দিলো 'মাথাপিছু' কমপক্ষে ১০ টাকা। কোন নড়চড় নেই। বহুকষ্টে ৩ জনে ২০ টাকা দিয়ে মুক্তি পেলাম (মুক্তি কেন বললাম,হিজড়ার পাল্লায় পড়লে টের পাবেন!)।

ওমা! ফেনী পার হবার পর আরেক দল এসে হাজির। বলে কিনা 'এইডা আমার এলাকা;ঐডা অর।'
কী আর করা! আবার গরীবের পকেট খালি হলো।

ফিরতি পথে একই নাটকের পুনঃমঞ্চায়ন। এবার সৌভাগ্যক্রমে (?) ডিউটিরত এক পুলিশকে পেয়ে গেলাম। তার কাছে প্রতিকার চাইলাম। উনার জবাব শুনে আমার আক্কেলগুড়ুম অবস্থা।
হিজড়াদের নাকি চাঁদাবাজির লাইসেন্স আছে!
শুধালাম,"তাদের লাইসেন্স আছে মানলাম,লেকিন আমরা তো বাধ্যগত দাতা নই।"

পুলিশ ভাইটি কিছু না বলে সটকে পড়লেন।

৩. ক'দিন আগে মিষ্টি এক সকালে বাড়ি আসার সময়ের কাহিনী। ট্রেনে এক হকার ছেলে কোমল-কঠিন নানান কিসিমের পানীয় বিক্রি করছে। প্রত্যেকটা বাজার মূল্যের চেয়ে পাঁচ-দশ টাকা বেশি। জিজ্ঞেস করে জানলাম ট্রেনে উঠার জন্য আগেই পুলিশকে ৩০ টাকা বকশিস দিতে হয়েছে। তাই সে 'ঘুষ সংযোজিত মূল্যে' বিক্রি করছে
[কবি এখানে চুপ!]

হায়রে রেলযাত্রা! হায়রে পুলিশ!! হায়রে জনতার বন্ধু!!! এমন বন্ধু থাকলে শত্রুর দরকার আছে কি?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.