নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যান্বেষী

আবেদ আল ইসলাম

আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝঞ্ঝা!

আবেদ আল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিশুকে ভালোবাসুন...

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪১

রাসুল (দঃ) এর বাণী,‘সে আমাদের দলভূক্ত নয়,যে ছোটদের দয়া করেনা এবং বড়দের সম্মান করেনা।’

ছবিতে যে বাচ্চাটিকে দেখছেন, তার বয়স কত হতে পারে? ৫/৬ হবে হয়তো। এই বয়সের একটা শিশুর পায়ে শিকল বাঁধা দেখলে কেমন লাগে?
এবার মূল ঘটনায় আসি। দিন কয়েক আগের কথা। বিকাল বেলায় ক্যাম্পাস থেকে ফিরছিলাম।ষোলশহর স্টেশনে নেমে বাসার দিকে হাঁটা দিলাম। সাথে বন্ধু বাকী বিল্লাহ ও আবু সাইদ। হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ চোখে পড়লো রেলওয়ের পাশের ঝুপড়ি ঘরের পাশে একটা ছোট্ট শিশুর পায়ে শিকল বাঁধা। তারপরেও হাঁটতে থকলাম,কারন আমরা এখন এসবে অভ্যস্ত হয়ে গেছি কিনা!
কিছুদূর যাওয়ার পর মনে হলো কিছু একটা করা দরকার। এ সময় সাঈদ বললো, ‘চল ওদেরকে কিছু বলা দরকার’। ঘটনাস্থলে ফিরে গেলাম আমরা। গিয়ে দেখি নির্মম ঠাট্টা চলছে সেখানে,কুশীলব কিছু বয়স্ক মানুষ। মাঝ বয়সী একজন বলছে, ‘অই ছেমরি,হাটতে পারতি না,ফাল দে’।
মেজাজ পুরাই খারাপ হয়ে গেলো। 'কে শিকল পরিয়েছে’,জানতে চাইলাম।
‘আমি বানছি,কুনু সমইস্যা?’ গা-ছাড়া ভাব নিয়ে বললো বছর তিরিশের এক লোক।
এদিকে সাইদ তো পুরাই গরম,যাকে বলে একেবারে ‘তেলে বেগুনে জ্বলে উঠা’।গরম গরম অনেক কথা শুনিয়ে বললো, ‘এ রকম আর দেখলে পুলিশ নিয়ে আসবো’। এতে কাজ হয়েছে মনে হলো। এ টা ভেবে স্বস্তি পেলাম যে,মানুষ এখনো পুলিশকে শ্রদ্ধা (নাকি ভয়!)করে।এবার সবাই বললো যে তার মা’ই বেঁধেছে তাকে। মাকে এরি মধ্যে খবর দেয়া হয়ে গেছে। তিনি জানালেন-বাচ্চা বেশি দুষ্টুমি করে,তাই এই ব্যবস্থা। আমরা তাকে ভালোভাবে বুঝালাম। এবার তিনি বুঝতে পারলেন বলে মনে হলো। আমরা একবুক তৃপ্তি নিয়ে বাসার পানে রওয়ানা হলাম।

অনুরোধ:- ছোট বয়সের যে কোন আঘাত তাদেরকে সারাজীবন তাড়িত করে। তাই শিশুদের প্রতি দয়ালু হোন। মনে রাখবেন, ‘আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ’।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪৯

মানবী বলেছেন: আপনারা এই নির্মমতা এড়িয়ে মুখ বুজে চলে যাননি দেখে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।

আমাদের আশেপাশে এধরনের নিষ্ঠুরতা নির্মমতা দেখে "এমন তো প্রতিদিনই হচ্ছে" ভেবে পাশকাটিয়ে যাওয়াটা যে কতোবড় কাপুরুষের কাজ তা অণুধাবনেও আমাদের অধিকাংশ অক্ষম। শুধু এক মুহুর্তের জন্য ভুক্তভোগী নির্যাতোতের স্থানে নিজেকে ভাবতে সক্ষম হলে নির্মমতাটা স্পষ্ট হয়ে উঠে।

অনেক অনেক ভালো থাকুন Abed al islam।
অন্যায় আর নিষ্ঠুরতার প্রতিবাদে এমনিভাবে সদা জাগ্রত থাকুন, নিরাপদ থাকুন প্রার্থনা রইলো।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৩৪

আবেদ আল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, মানবী।

২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আবেদ,
একটি ছোট ধরনের ভাল কাজ করেছেন, এটা মনে করার কারন নেই। আপনাদের এই আপাত: ছোট কাজটি এতটাই উত্তম ও উন্নত যে, সমাজ সংশোধনের ক্ষেত্রে এর রয়েছে সুদূরপ্রসারী প্রভাব।

আর, বাচ্চা বলে কথা নয়। সকল মানুষের ন্যূনতম মানবাধিকার ভোগ করার অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্যই ইসলামেরও আগমন।

দৃষ্টান্ত হয়ে থাক আপনাদের অনুকরনীয় এসব কাজ।

আর, প্রচেষ্টা অব্যহত রাখুন প্রতিনিয়ত আরও বেশি ভাল কাজে এগিয়ে আসার; যাতে অনুপ্রানিত হতে পারেন অন্যরা।

ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.