নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জয় করবো বাংলাদেশ ।।

বাংলাদেশপন্থী ।।

Aabid

মানুষের স্বভাব হচ্ছে পিছন দিয়ে টেনে ধরা ।সে চায়না তার সামনে দিয়ে কেউ এগিয়ে যাক ।খুব অল্প সংখ্যক মানুষ এই স্বভাবের বাইরে থাকতে পারে ।যুগে যুগে তারাই মহাপুরুষ হয়েছে,হচ্ছে,হয়ে যাবে ।।(প্রথম লাইনটা আমার স্কুল জীবনের প্রিয় শিক্ষক জাবেদ স্যারের ।পরের লাইনগুলি আমার লেখা)

Aabid › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি কিংবদন্তীদের কথা বলছি,
পর্ব-০১ ।।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩১

সক্রেটিস

সক্রেটিসের জন্ম ৪৭০
খিস্টাব্দে গ্রীসের এথেন্সে ।
তিনি জন্মেছিলেন এক
গরীব ঘরে ।
বেঁটে,বিশ্রী টাইপের চেহারার
এই মানুষটা পৃথিবীকে নাড়িয়ে
দিয়েছিলেন ।
ব্যক্তিগত ভাবে সক্রেটিসের
জীবনী আমি তীব্রভাবে
অনুসরণ করি ।

"কেন আমি মুহাম্মাদ (সঃ)
কে আদর্শ না মেনে সক্রেটিসকে
মানি"
উগ্র ধর্মপন্থীদের এ নিয়ে একটা
মাথা ব্যথা আছে ।

ইসলাম ধর্মে হওয়ার কারনে
আমি মনে করি-
সক্রেটিস আল্লাহর একজন
নবী ছিলেন ।

আমি আমার এ ধারণার
প্রতি কঠিন যুক্তিও দেখাতে
পারি ।

আল্লাহর নবী হওয়ার যে
গুণাবলি দরকার তার সবটাই
সক্রেটিসের মাঝে ছিল ।
উল্লেখ্য,নবী ও রাসূলের
মধ্যে কিন্তু পার্থক্য আছে ।
কি পার্থক্য সেটা যদি না
জানেন তাহলে বাজার থেকে
এখুনি চু চু নিপল কিনে এনে
চুষতে থাকেন ।

সক্রেটিস ছিলেন পৃথিবীর
শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের একজন ।
তাঁর শিক্ষাদান পদ্ধতি ছিল
সবার থেকে আলাদা ।
তিনি শিক্ষার বিনিময়ে
কোনো অর্থ নিতেন না ।
আমি কিছুদিন আগে
ভেবেছিলাম,
জানুয়ারী থেকে টিউশনি
শুরু করবো কিন্তু সক্রেটিসের
কথা ভেবে ছেড়ে দেই ।
আমি নিঃসন্দেহে সক্রেটিসের
চেয়ে ভাল জীবনযাপন করছি ।
তাহলে কেন আমি শিক্ষাকে
বিক্রি করে দিবো !

আমি যদি কিছু জেনে থাকি
তাহলে সেটা অন্যকে আপনাতেই
জানিয়ে দিবো ।
সক্রেটিস যেমনটি করতেন ।
তিনি রাঁস্তাঘাট,হাটবাজারে
যেখানেই লোক সমাগম
দেখতেন দাঁড়িয়ে পড়তেন ।
যারা নিজেদের জ্ঞানী ও
পন্ডিত ভাবতেন তাদের
কে প্রশ্ন করতেন-
জ্ঞান কী ?

তারা থতমত খেয়ে যেতো ।
সক্রেটিস ছিল একজন
সেরা তার্কিক ।তার তর্ক
করার স্টাইলটাও ছিল
আলাদা ।
তিনি প্রথমে শুনতেন তারপর
একের পর এক প্রশ্ন করতেন ।
প্রতিপক্ষকে তিনি নাজেহাল
করে ছাড়তেন ।
এতে করে তাঁর অনেক
শত্রু জন্ম নিলো ।
তবে তরুণ সমাজে তাঁর
জনপ্রিয়তা আকাশসম হলো ।
তিনি কোনো বই লিখে
যাননি তবে বই রেখে
গেছেন ।
তাঁর দুটি শ্রেষ্ঠ বই হচ্ছে-
প্লেটো ও এরিস্টটল ।

এই দুজনই সক্রেটিসের নিজ
হাতে গড়া শিষ্য ।
সক্রেটিস মূলত এদের
দ্বারাই পৃথিবী ব্যাপী
ছড়িয়েছেন ।

সক্রেটিস ছিলেন বিনয়ী ।
তাকে কেউ গালাগালি
দিলেও তার মুখে হাসি
থাকতো ।
তিনি কোনদিন কারো
প্রতি রাগ দেখাননি ।
তার স্ত্রীর নাম ছিল
জানথিপি ।
এই মহিলা সক্রেটিসকে খুব
জ্বালাতন করতেন তবু
সক্রেটিস কোনদিন রেগে
যাননি ।
বিবাহিত জীবনে জানথিপি
সক্রেটিসের সাথে খ্যাচর
খ্যাচর করলেও সক্রেটিসকে
তিনি প্রচন্ড ভালবাসতেন ।
সক্রেটিসের মৃত্যুর পর তিনি
পাগলের মতো হয়ে যান ।

সক্রেটিস ছিলেন গণতন্ত্রের
তীব্র সমালোচক ।
গণতন্ত্রকে তিনি অপছন্দ
করতেন ।
তাঁর ভাষ্যমতে-
"একমাত্র যোগ্য ও বিজ্ঞ
লোকদেরই রাষ্ট্রক্ষমতা
পাওয়ার যোগ্যতা থাকবে,
যে ইচ্ছা সে রাষ্ট্রক্ষমতায়
বসাটা অনুচিত..."


সক্রেটিসের ভাগ্য ভালো
যে তিনি আমাদের
বাংলাদেশে জন্ম নেননি ।
যদি নিতেন তাহলে
এতোদিনে ক্রসফায়ারে
অক্কা দিতেন ।
এই নিয়ে একটা লেখা
খুব শিঘ্রই লিখবো ।
যার শিরোনাম-
"সক্রেটিস যদি বাংলাদেশে
জন্ম নিতেন" ।।

সক্রেটিস তার সারাজীবন
একটি মাত্র কোট ব্যবহার
করেছেন ।
শীত,গ্রীষ্ম,বর্ষা সবসময়ই
তিনি একটি কোট পরেই
থাকতেন ।
তিনি সারাজীবন খালি
পায়ে থেকেন ।
গ্রীসের তীব্র তুষারপাতে
যখন সবাই জুতা পরেও
হাঁটতে পারেনি তখন তিনি
খালি পায়ে অনায়সে হেঁটেছেন !
তিনি বলেছেন-
"যারা কুতসিত মনের
অধিকারী তাদের বাহ্যিক
সৌন্দর্য্যের প্রয়োজন হয়,
মনের সৌন্দর্য থাকলে
বাহ্যিক সৌন্দ্যের প্রয়োজন
নেই"

৭২ বত্‍সরের জীবনে
তিনি কোনদিন কোন
ব্যাপারে ভেঙ্গে পড়েননি ।
সক্রেটিসের পরিবার অনেক
অভাবের ভেতর দিয়ে গিয়েছে
তবু কোনদিন তিনি অর্থের
বিনিময়ে শিক্ষা দেননি ।

ইচ্ছে করলে তিনি সেই
সময়ের শ্রেষ্ঠ ধনীদের
একজন হতে পারতেন ।
তাঁর কাজে অনেক রাষ্ট্র
শাসকদের লোভনীয় প্রস্তাব
এসেছিল ।
তিনি তাঁর সব ফিরিয়ে
দিয়েছেন একটি কথা দিয়ে-
"গ্রীসে খুব অল্প পরিমাণ
অর্থ দিয়ে আমি খেতে পারছি
আর খাওয়ার জন্য সুপানি
হিসেবে ঐ তো ঝর্ণা আছে ।
এতো টাকা দিয়ে আমি
কি করবো ?"

তিনি বলেছেন-
বাঁচার জন্য খাও,খাওয়ার
জন্য বেঁচোনা ।

সক্রেটিস তাঁর সময়ের
সব প্রথা,ভ্রান্ত বিশ্বাস,
অন্যায় শাসন,ঘুণে ধরা
সমাজ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে
দাঁড়িয়েছেন ।
তাঁর বিরুদ্ধে চলে যায়
দেশের নামিদামী লোকেরা ।
তাকে দোষী সাব্যস্ত করা
হয় তুচ্ছ বিষয়ে ।

তিনি তাঁর পক্ষে কাউকে
আদালতে আনেননি,
কাঁঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি
তাঁর প্রতিপক্ষকে এমনভাবে
ঘায়েল করে পাঁকড়াও করেন
যে তাঁরাও বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে ।
তবু প্রহসনের মাধ্যমে
সক্রেটিসকে হেমলক বিষপানে
হত্যার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ।
সক্রেটিস হাসি মুখে তা
মেনে নিয়েছিলেন এবং
বলেছিলেন-
"রাষ্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে
দাঁড়িয়ে আমি রাষ্ট্রদ্রোহী
হতে চাইনা ।"

সক্রেটিসকে তার অনুসারীরা
পালানোর সুযোগ করে
দিয়েছিলেন ।
তিনি তা ফিরিয়ে দেন
এবং বলেন-
"আমি যদি এখান থেকে
পালিয়ে যাই তাহলে মানুষ
আমার সব কথাকে মিথ্যা
ভেবে নিবে,আমাকে
অপরাধী ভাববে ।
নিজের মুক্তির জন্য আমি
তা করতে পারিনা ।"

এমন সুন্দর একটা মানুষকে
হেমলক বিষের বাটি তুলে
দিয়েছিলেন তাঁরই ছাত্র
ক্রিটো ।
ক্রিটো বেশ ইতস্তত বোধ
করলে সক্রেটিস তাকে
বললেন-
"তুমি যা করছো রাষ্ট্রের
হুকুমে করছো ।
রাষ্ট্রের হুকুমের বিরুদ্ধে
যেওনা ।"

বিষ পান করে তিনি
স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা
করতে লাগলেন এবং তাঁর
ছাত্র প্লেটো,এরিস্টলের সাথে
কথা বলছিলেন ।
ধীরে ধীরে বিষের ক্রিয়ায়
তার পা ভারী হয়ে আসতে
লাগলো ।
তিনি শুয়ে পড়লেন এবং
তাঁর শেষ বাক্য ছিল-
"একজন আমার কাছে একটা
মুরগী পেতো,তুমি তা দিয়ে
দিও ।"

ধ্যাত্‍ আমার চোখে পানি
চলে এসেছে ।
মনে হচ্ছিল,
আমি সক্রেটিসের পাশেই
আছি ।

সক্রেটিস আমার আদর্শ ।
সক্রেটিস ছিলেন দর্শন
চর্চাকারী ।
আর দর্শনকে বলা হয়
সকল জ্ঞানের উত্‍স ।
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দার্শনিক
সক্রেটিস তার জ্ঞানের
ছাপ পৃথিবীর পাতায় পাতায়
রেখে গেছেন ।

তাঁর সারাজীবন শেষে
তাকে বলা হয়েছিল একটা
বাক্য বলতে ।
তিনি বলেছিলেন-
Know Thyself
(নিজেকে জানো )


ভাল থাকুন সক্রেটিস ।
আমিও আপনার একজন
অনুগামী ছাত্র ।
যদি কখনো পারেন,
স্বপ্নে সে শিক্ষা দিয়ে যাবেন ।
আমি অপেক্ষায় থাকবো....

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

দেবানন্দ মিত্র বলেছেন: সক্রেটিস আমার গুরু, আমার আদর্শ ।

ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান পোষ্টটির জন্য ।

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সক্রেটিস নিয়ে আপনার দাবীতে দ্বিমত নেই।

নিসন্দেহে তিনি ছিলেন গুনিজনদের অন্যতম।
কিন্তু আপনার এই বাক্যে -"কেন আমি মুহাম্মাদ (সঃ) কে আদর্শ না মেনে সক্রেটিসকে মানি" খোদ সক্রেটিসও লজ্জ্বা পেতেন এবং আপনার মতো ছাত্র/ভাক্ত তার আছে ভেবে লজ্জিত হতেন।

কারণ সত্যের ক্রমধারাক্রমের চূড়ান্ত সত্যকে আপনি এড়িয়ে সমসায়িক আংশিক সত্যকেই আকড়ে ধরে গর্ব অনুভব করছেন।!!!

অবশ্য কেউ তার নিজের বোধের সীমাকে অতিক্রম করতে পারেনা। ওখানেই হয়তো আপনার থেমে থাকা! দোয়া রইল যাতে অসীমকে স্পর্শ করার চেতনা উজ্জিবীত হয়।

ভাল থাকুন।

৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯

তার আর পর নেই… বলেছেন: ভাই, এইটা তো কবিতা ছিলনা। তো এইটারে ক্যান এত টাইনা লম্বা করলেন?
আপনি তো মহান ব্রত নিয়েছেন। আর টিউশনি করবেন না। মহৎ ভাবনা। খুশি হইলাম।
খ্যাচর খ্যাচর কি জিনিস??
চু চু নিপল কি আপনি ট্রাই করে দেখছিলেন? কেমন?
মুহাম্মাদ (সঃ) ক্যান এইখানে আসলো?

৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩০

রাজিব২৩০৬৮৪ বলেছেন: ভাইজান জার্মানী যাইবার চায় !!!!!

৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৫

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: পাগল ছাগল কি গাছে ধরে?

৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৯

রিয়াজ সোহাগ বলেছেন: আপনি লিখেছেন
"আল্লাহর নবী হওয়ার যে
গুণাবলি দরকার তার সবটাই
সক্রেটিসের মাঝে ছিল ।"
--------------------------------------
সক্রিটিস নিয়া ভালো অধ্যায়ন করছেন ভালো কিন্তু নবী হওয়ার গুনাবলী জানার মধ্যে ভূল আছে।
আর যারা নবীকে আদর্শ মানে তারা আসলেই চু চু নিপল খায়না (কারণ নিপলে যে দুধ থাকে তাতো আসে পশু থেকে) -- তারা মায়ের দুধ খাইয়া বড় হইছে।

৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৫

হানিফঢাকা বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।

১। ধরেন আমি সক্রেটিস কে জিজ্ঞেস করলাম নবী এবং রাসুলের মধ্যে পার্থক্য কি? সক্রেটিস কি আমাকে এইরকম তাচ্ছিল্য করে উত্তর দেবে যে "যাও বাজার থেকেএখুনি চু চু নিপল কিনে এনে চুষতে থাকেন"

২। সক্রেটিস শিক্ষার বিনিময়ে টাকা নিত না। মানুষকে বিনা মুল্যে জ্ঞান বিতরণ করত। তাকে অনুসরণ করতে গিয়ে আপনি টিউশনি করা ছেড়ে দিলেন। এর মানে কি? আপনি যদি সত্যিকার ভাবেই সক্রেটিসের অনুসারী হতেন তবে আপনি টিউশনি না ছেড়ে দিয়ে বরং বিনা বেতনে টিউশনি করতেন। কারন সক্রেটিস জ্ঞান বিতরণ বন্ধ করেননি।

আপনার এইসব লেখা থেকে অনেক কথা বলা যায়। ভন্ডামি ছাড়ুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.