নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা কিছু ভালো, সত্য ও সুন্দর; তার সাথে।

বরতমআন

সাগর কবির

বরতমআন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নজরুল সঙ্গীতের বিভিন্ন দিক ও তাঁর তুলনামূলক আলোচনা

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫১



কাজী নজরুল ইসলাম তার "নজরুল গীতিকা" নামক গ্রন্থে নিজেই নিজের গানের শ্রেণিবিন্যাস করে গেছেন। এই গ্রন্থে মোট ১১টি শিরোনাম পাওয়া যায়।

১/ ওমর খৈয়াম গীতি

২/ দিওয়ান-ই-হাফিজ গীতি

৩/ জাতীয় সংগীত

৪/ ঠুংরি

৫/ গজল

৬/ টপ্পা

৭/ কীর্তন

৮/ বাউল - ভাটিয়ালী

৯/ ধ্রুপদ

১০/ হাসির গান

১১/ খেয়াল

এই ১১টি পর্যায়ের গানের মধ্যে ঠুংরি, গজল, টপ্পা, কীর্তন, বাউল / ভাটিয়ালী, ধ্রুপদ ও খেয়াল এ গুলকে আঙ্গিক গত ভাবে এবং জাতীয় সংগীত ও হাসির গান কে বিষয় ভিত্তিতে শ্রেণিকরন করেছেন। নজরুলের শ্রেণিবিন্যাসের ভিত্তিতে তার গান কে ২ ভাগে বিন্যাস্ত করা যায়।

১/ বিষয় ভিত্তিক

২/ আঙ্গিক গত

(১) বিষয় ভিত্তিক গানগুলো প্রাত্যহিক জীবন ধারনে প্রচলিত বিষয়ের উপর ভিত্তি করে রচিত বাণী। যেমন,

১/ প্রেম

২/ প্রকৃতি

৩/ প্রেম - প্রকৃতি মিলন

৪/ দেশাত্মবোধক

৫/ রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক

৬/ শ্যামা

৭/ হাসির গান

৮/ মরমী

৯/ ইসলামী

১০/ পল্লী ঐতিহ্যের গান

১১/ বিবিধ



(২) অপর দিকে এই সকল গান গুলোকেই আবার আঙ্গিক গত দিক দিয়েও শ্রেণিকরন করা যায়। যেমন,

১/ ধ্রুপদ

২/ খেয়াল

৩/ ঠুমরী

৪/ টপ্পা

৫/ কীর্তন

৬/ ভজন

৭/ শ্যামা

৮/ হোরী

৯/ ভাটিয়ালী

১০/ ভাওয়াইয়া

১১/ কাজরী

১২/ বাউল

১৩/ ঝুমুর

১৪/ নজরুল সৃষ্ট সংস্কৃত ছন্দের তাল ও গান

১৫/ বিবিধ



নজরুলের দেশাত্মবোধক গানগুলোকে পর্যালোচনা করলে দেশাত্মবোধের যে দিকগুলো প্রতীয়মান হয়, তা নিম্নরুপ।

১/ দেশ বন্দনা মূলক গান

২/ পরাধীনতার বিরুধ্যে সংগ্রামী গান

৩/ শোষণের বিরুধ্যে সোচ্চার গান

৪/ নারী জাগরণ মূলক গান

৫/ মুসলিম জাগরণী - উদ্দীপনা মূলক গান

৬/ দেশাত্মবোধক গান

৭/ সাম্প্রদায়িকতার বিরুধ্যে সোচ্চার গান



নজরুলের মোট ১১৫টি দেশাত্মবোধক গান পাওয়া যায়। ডঃ করুণাময় গোস্বামী' র মতে এর প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। নিম্নে তার কয়েকটি দেশাত্মবোধক গান উল্যেখ করা হল।

১/ ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি

২/ জাগ নারী জাগ বহ্নি শিখা

৩/ এই শিকল পরা ছল

৪/ হে পার্থসারথী

৫/ আমি পূরব দেশের পুরনারী





লোকসংগীতঃ- লোকসংগীত বাংলাদেশের সংগীত রাজ্যের একটি অন্যতম ধারা। এতি মূলত বাংলার নিজস্ব সংগীত। গ্রাম, বাংলার মানুষের জীবনের কথা, সুখ, দুঃখের কথা ফুটে ওঠে এই সংগীতে। নিম্নে নজরুল রচিত কয়েকটি লোকসংগীতের নাম ও অংগ লেখা হল।



গান.................................................................অংগ



১/ আমি ভাই ক্ষ্যাপা বাউল..............................বাউল

২/ পদ্মার ধেউরে...............................................ভাটিয়ালী

৩/ নদীর নাম সই অঞ্জনা.................................ভাওয়াইয়া

৪/ কাজরী গাহিয়া চল.......................................কাজরী

৫/ ও দুঃখের বন্ধুরে..........................................ঝুমুর



শ্যামা সংগীত:

কাজী নজরুল ইসলাম শ্যামা সংগীত রচনার ক্ষেত্রে অসামান্য কৃতিত্ব রেখে গেছেন। মা কালী' কে নিয়ে তিনি প্রচুর গান রচনা করেছেন। তার নিজের সুর করা কয়েকটি শ্যামা সংগীত নিম্নরুপ।

১/ শ্মশানে জাগিছে শ্যামা মা

২/ আমার শ্যামা মায়ের কোলে চরে

৩/ বল মা শ্যামা বল তোর বিগ্রহ কি মায়া জানে

৪/ শক্তের তুই ভক্ত শ্যামা

৫/ থির হয়ে তুই বস দেখি মা

৬/ শ্যামা বলে ডেকেছিলাম

৭/ আমি মা বলে যত ডেকেছি

৮/ শ্মশানে কালী' র নাম শুনেরে। ইত্যাদি।





কাজরীঃ- কাজরী কে কাজলী বলা হয়। ভারতের উত্তর প্রদেশের লোকসংগীতই কাজরী নামে পরিচিত। এই গানে একেকটি দল থাকে অনেকটা কালী কীর্তন দলের মত। মূল গায়ক একটি পদ বলেন এবং কীর্তনের দোহারীর মত লকেরা সমবেত কণ্ঠে গেয়ে ওঠে। নজরুল রচিত একটি কাজরী গান হল,

"শাওন আসিল ফিরে

সে ফিরে এলনা"



ভজনঃ- মূলত ভক্তি রস মিশ্রিত গানই হল ভজন। এই গান ভাব প্রধান। ভক্তি রসে শ্রী ভগবানের চরণে মন-প্রান স্পর্শ করার ভাবই হল এই গানের প্রকৃতি। এরুপ মনোভাব নিয়েই গান পরিবেশন করা হয়ে থাকে। এই গানের ভাষা, সুর সাধারণত সহজ, সরল ও প্রাণবন্ত হয়ে থাকে। নজরুল রচিত ও সুর করা একটি ভজন হল,

"হে মাধব হে মাধব হে মাধব

তমারই প্রাণের বেদনা কব

তমারই শরন লব





মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.