নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা কিছু ভালো, সত্য ও সুন্দর; তার সাথে।

বরতমআন

সাগর কবির

বরতমআন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রশ্ন উঠেছে নিছক ডাকাতি নাকি অন্য কিছু।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:০৪

মঙ্গলবার ভরদুপুরে ব্যাংকে গ্রাহক সেজে ১০-১৫ জনের ডাকাত দল অতর্কিত গুলি, বোমা, গ্রেনেড হামলা করে ফিল্মিস্টাইলে ব্যাংক লুট করে। ঘটনার ভয়াবহতা দেখে অনুমান করা যাচ্ছে এটি নিছক ডাকাতি নয়। এটি নাশকতা হতে পারে। বড় ধরনের জঙ্গি সংগঠন প্রশিক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালিয়ে দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে এমনটি ঘটিয়েছে। তিনি আরও বলেন, যে ধরনের গ্রেনেড ঘটনাস্থলে পাওয়া গেছে তা সাধারণ ডাকাতরা কখনো ব্যবহার করে না। মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান দুপুরে সাভার মডেল থানায় মামলার অগ্রগতি প্রসঙ্গে বিশেষ ব্রিফিং দিচ্ছিলেন। তিনি বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটল তা মারাত্মক ধরনের অপরাধ। দেশে এ ধরনের ঘটনা এভাবে এর আগে ঘটেনি। টাকার লোভেই এ ঘটনা তা মনে করছি না।’ ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ডাকাতরা ইচ্ছা করলে ভল্ট খুলে কোটি কোটি টাকা নিতে পারত। সেদিকে তারা যায়নি। আত্মরক্ষার্থে ডাকাতদের কথামতো সবাই মেঝেতে শুয়েছে তা সত্ত্বেও ডাকাতরা নির্বিচারে গুলি ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে ব্যাংকের ম্যানেজারসহ অন্যদের। আসলে তাদের উদ্দেশ্যই ছিল হত্যা করা, নাশকতা সৃষ্টি করা। তারা যে ধরনের অস্ত্র ও বিস্ফোরক ব্যবহার করেছে তা বাংলাদেশে আগে ব্যবহার হয়নি। সেদিকে এটি একটি নতুন ডাইমেনশন। ডিআইজি আরও বলেন, ‘আমরা র‌্যাবের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের কর্মকর্তা মেজর খালিদের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাদের জানিয়েছেন, বিদেশ থেকে বিস্ফোরক উপাদান এনে ইমপ্রোভাইজ ডিভাইস তৈরি করা হয়েছে। যে বোমা তারা ছুড়েছে তা অত্যাধুনিক। এগুলো কিন্তু বাইরে থেকে কেনা সম্ভব নয়। লুট করা ৬ লাখ ৮৭ হাজার ১৯৩ টাকার মধ্যে আমরা ৬ লাখ ৭ হাজার ২৫৫ টাকা উদ্ধার করেছি।’

১.
মঙ্গলবার ভরদুপুরে ব্যাংকে গ্রাহক সেজে ১০-১৫ জনের ডাকাত দল অতর্কিত গুলি, বোমা, গ্রেনেড হামলা করে ফিল্মিস্টাইলে ব্যাংক লুট করে। এতে আটজনের মৃত্যু হয়। নিহত আটজনের মধ্যে অজ্ঞাতনামা একজনের মৃত্যু হয়েছে গণপিটুনির কারণে। অন্য সাতটি লাশের মধ্যে নূর মোহাম্মদের শরীরে শটগানের গুলি থাকলেও তার মৃত্যু হয়েছে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে। বাকি ছয়জনও মারা গেছেন ধারালো অস্ত্রের আঘাতে। পুলিশ জানায়, ডাকাতির মিশনে থাকা দুই সদস্য এখন তাদের হাতে আটক। আটক করা হয়েছে এ কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও রক্তমাখা একটি ছুরি। কারা কবে কীভাবে কোথায় ডাকাতির ছক এঁকেছিল সেই তথ্যও তদন্তকারীদের হাতে আসতে শুরু করেছে। এখন অপেক্ষা পলাতক অন্যদের আইনের আওতায় আনা। এমনটাই দাবি করলেন, ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক। ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানান, তারা নিশ্চিত কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এর নেপথ্যে অন্য কারও কোনো ইন্ধন আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন। আশুলিয়ার আশপাশ কাঠগড়া, দুর্গাপুর, ধলপুর, নয়াপাড়া, কান্দাইল, আড়াগাঁও, কুটুরিয়া, পুকুরপাড়, রাঙামাটি, সাভারসহ কয়েকটি এলাকায় চালানো হচ্ছে বিশেষ অভিযান।
২.
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ঘটনার আগে ও পরে ব্যাংকের গোপন ক্যামেরায় (সিসি ক্যামেরা) ভিডিও ফুটেজ থাকলেও ঘটনার সময় রহস্যজনক কারণে ক্যামেরা ছিল বন্ধ। ঘটনার সময় ব্যাংকের গোপন ক্যামেরা (সিসিটিভি) বন্ধ ছিল কেন? ঘটনার আগে ও পরের সব ভিডিও ফুটেজ সিসি ক্যামেরায় থাকলেও ঘটনার সময়কার কোনো ফুটেজ সিসি ক্যামেরায় নেই।
৩.
আটক ডাকাতদলের সদস্য বোরহান উদ্দিনের গায়ে রক্তমাখা পাঞ্জাবি। এতে ডাকাতির ঘটনার রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে। ডাকাতিতে জড়িত আটক দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।
ঘটনার ১০-১২ মিনিট আগে ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রহরী সোহেল কাউকে কিছু না জানিয়ে ব্যাংক থেকে বেরিয়ে যান। একটু পরই ব্যাংকে দুর্ধর্ষ ঘটনা, কিন্তু তাকে আর দেখা যায়নি। জড়িত সন্দেহে পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

৪.
ডাকাতির ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হলেও অত্যাধুনিক গ্রেনেড ব্যবহারের নজির নেই, যার ব্যবহার এখানে দেখা গেল। আটক বোরহান উদ্দিনের গাজীপুরের কালিয়াকৈরে চন্দ্রা এলাকার ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে জামায়াত-শিবিরের বেশ কিছু জিহাদি বই জব্দ করে পুলিশ।
বোরহান জামায়াত-শিবিরের সক্রিয় কর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ। আর এতে ধারণা করা হচ্ছে একদল দুর্বৃত্ত বড় ধরনের নাশকতা ঘটাতে দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করছিল।
৫.
দুর্বৃত্তরা ব্যাংক শাখার আশপাশের কোথাও বাসা নিয়ে বাস করত কি না গুঞ্জন চলছে।
৬.
ব্যাংক ম্যানেজার ওয়ালিউল্লাহ মাত্র তিন দিন আগে চাকরিতে প্রমোশন পেয়েছিলেন। বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ারও কথা ছিল তার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে এটা নাশকতা, অন্যদিকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে নিছক ডাকাতি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, এ ঘটনার ক্লু পাওয়া গেছে।


মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভয়াবহ ঘটনা।

সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক।

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৫৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: এরা মুখোশ ছাড়াই এসেছিল কারণ এরা জানত সিসিটিভি বন্ধ! দি বলা হয় সহজ সুত্র থেকে অস্ত্র পেয়ে অপরিপক্ক বুদ্ধিতে ডাকাতি করতে এসেছিল, মসজিদে মাইকে ডাকাত ডাকাত বলাটা ভাবেইনি তাহলে! শাস্তি এদেশে এখন অপরাধীদের আর হয় টয় না।

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

হাসিবুল ইসলাম বাপ্পী বলেছেন: হম।

৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:০৭

আহসানের ব্লগ বলেছেন: :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.