নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা কিছু ভালো, সত্য ও সুন্দর; তার সাথে।

বরতমআন

সাগর কবির

বরতমআন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পবিত্র শবে বরাত

০২ রা জুন, ২০১৫ রাত ২:২১

আরবি চান্দ্রমাসের মধ্যে বিশেষ ফজিলতপূর্ণ শাবান মাসের মধ্যভাগে রয়েছে লাইলাতুল বরাতের মতো পুণ্যময় রজনী। হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত্রি হাদিসের পরিভাষায় ‘লাইলাতুন নিস্ফ মিন শাবান’ অর্থাৎ ‘শাবানের মধ্যবর্তী রজনী’কে উপমহাদেশে ‘শবে বরাত’ বলা হয়। প্রতিবছরের মতো শবে বরাত মুসলমানদের কাছে রমজান মাসের আগমনী বার্তা নিয়ে আসে। আসন্ন মাহে রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য শাবান একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফজিলতময় মাস। রাসুলুল্লাহ (সা.) অধিক হারে এ সময় দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ! রজব ও শাবান মাসে আমাদের ওপর বরকত নাজিল করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দিন!’ (মুসনাদে আহমাদ)
ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে শাবানের মধ্য রজনীটি আধ্যাত্মিক উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে পুণ্যময় ও মহিমান্বিত বলে বিবেচিত। আল্লাহ তাআলা মানবজাতির জন্য তাঁর অশেষ রহমতের দরজা এ রাতে অবারিত করে দেন। রাত জেগে নফল ইবাদত করে গুনাহখাতা মাফ ও অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ তা কবুল করেন এবং অনুতপ্ত বান্দাদের পাপমুক্ত করে দেন। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘মধ্য শাবানের রাত্রিতে আল্লাহ তাআলা রহমতের ভান্ডার নিয়ে তাঁর সব সৃষ্টির প্রতি এক বিশেষ ভূমিকায় আবির্ভূত হন এবং মুশরিক অথবা হিংসুক ব্যক্তি ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন।’ (তাবারানি) অন্য হাদিসে আছে, ‘আল্লাহ তাআলা ১৫ শাবানের রাতে প্রথম আসমানে অবতরণ করেন এবং এ রজনীতে কেবল মুশরিক ও হিংসুক ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বায়হাকি, ৩/৩৮০)
আল্লাহ তাআলা মানবসমাজ তথা বিশ্বের সব সৃষ্টির পরবর্তী বছরের ভাগ্য এই রাত্রিতে পুনর্নির্ধারণ করেন। তিনি মুমিন বান্দাদের আকুতি ও আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেন, ক্ষমাপ্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিদের উত্তরণের পথ দেখান। এ দিন সূর্যাস্তের পর থেকে তিনি মানুষের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। এ জন্য মুসলমানদের কাছে শবে বরাতের নফল ইবাদত বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন মধ্য শাবানের রজনী আসে তখন তোমরা রাত জেগে ইবাদত করো এবং পরের দিন রোজা রাখো।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০১৫ সকাল ৮:৪৬

আহমেদ রশীদ বলেছেন: প্রত্যেক রাত-ই- আল্লাহর কাছে সমান। সারা বছর যদি আল্লাহ সোবহানা তাআলাকে পাওয়ার জন্য রাতের মধ্যভাগ জাগ্রত হই তাহলে সমস্যা কিসের? আাজ পর্যন্ত কোন আলেম উলামা শবে বরাতের কোন সঠিক হাদিস দিতে পারে নাই। আর যারা শবে বরাতের হাদিস বা উক্তি পেশ করেছে তা কিতাবুল মফিজের অন্তর্ভুক্ত। তবে হ্যাঁ শবে মিরাজের কথা আল্লাহ কোরআনে সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। এটা অস্বিকার করার কিছুই নেই। কিন্তু আজ এই শবে বরাতের ওছিলা করে যুব সমাজ খারাপের দিকে পা বাড়াচ্ছে। সারা রাত জেগে থেকে মাজারে মাজারে হুক্কা টানছে। আর আতশ বাজির কথা নাই বল্লাম। অথচ অনেকেই এই সব অনৈসলামিক কর্ম করে ফজরের নামাজ না পড়েই ঘুমিয়ে পড়ে। অথচ ফরজ নামাজ কতই না মর্তবা। নফলের পিছে ছুটতে যেয়ে ফরজকে ধ্বংস করছে। হাই আফসোস এই সব ফালতু হাদিসের মাধ্যমে মানুষ আজ ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। অথচ মধ্যপ্রাচ্যে এই সবের কোন বালাই নেই। শবে বরাত সম্বন্ধে তারা কোন কিছু জানেই না! আল্লাহ মাফ করুন! আমীন!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.