![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চাকরিচ্যুত হয়ে পিছিয়ে পড়ার পর কিভাবে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনায় কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারেন? একটি চাকরি হারনোর পর অন্য একটি চাকরি যত দ্রুত সম্ভব পেতে চাইলে, নিজের ওপর যে বিষয়টিতে আস্থা রাখেন, সর্বপ্রথম সেটি নির্ণয় করা অত্যন্ত জরুরি। আপনি হয়তো কথোপকথন ও যোগাযোগের বিষয়টিতে বিশেষভাবে পারদর্শী অথবা আইটি বা প্রযুক্তি সেক্টরে আপনার বেশ ভালো দখল রয়েছে। কিন্তু, যিনি আপনাকে চাকরিটি প্রদান করবেন, অর্থাৎ, আপনার নিয়োগকর্তার কাছে যুক্তিসঙ্গতভাবে নিজের যোগ্যতাকে উপ¯াপন ও প্রমাণের মতো আত্ম-বিশ্বাস ও সমর্থ্য সৃষ্টি করতে হবে আপনার মাঝে। প্রকৃত অর্থেই যে, কাজটির প্রতি যথেষ্ট উৎসাহ ও অবিচল-আগ্রহ রয়েছে, তা প্রকাশ করুন বেশ বিনয়ের সঙ্গে। এ জন্য অবশ্যই প্রথমে আপনাকে শিক্ষাগত ও পেশাগত যোগ্যতার বিবরণ দিয়ে একটি জীবন বৃত্তান্ত বা জবংঁসব তৈরি করতে হবে।
আপনি আপনার পছন্দের পেশা নির্বাচন করে, জবসাইটে আপনার সংরক্ষিত জীবন বৃত্তান্ত পাঠিয়ে দিন বিভিন্ন চাকরি আহবানকারী প্রতিষ্ঠনগুলোতে। যদি আপনাকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়, তবে আপনার সঙ্গে ফোন অথবা ই-মেইল-এর মাধ্যমে যোগাযোগ করা হবে এবং একটি নির্দিষ্ট দিনে ইন্টারভিউতে উপস্থিত থাকতে বলা হবে। আর ইন্টারভিউতে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য দরকারী বিষয়গুলো বারবার অনুশীলন করুন।
জিল ডীন-এর মতে, নেটওয়ার্কিং চাকরি লাভের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়। সম্পর্কোন্নয়ন এবং যোগাযোগ স্থাপন ও রক্ষার ব্যাপারে হেলাফেলার কিঞ্চিৎ অবকাশ নেই। তিনি বলেন, নচেৎ, আপনার প্রতি অফিস-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আগ্রহ সৃষ্টির পরিবর্তে উদাসীনতার মনোভাব সৃষ্টি হবে, যা আপনার জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে না মোটেও। এটাকে আপনি এক ধরনের অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার সঙ্গে তুলনা করতে পারেন। বিভিন্ন মানুষ যাদের সাথে আপনার প্রতিনিয়ত সাক্ষাৎ হয়; যেমন আপনার পরিবারের সদস্য, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন অথবা আপনার পুরনো অফিসের সহকারী, প্রত্যেকের সঙ্গে যথাসম্ভব সদ্ভাব বজায় রাখুন।
চাকরি খুঁজতে গিয়ে তিনি যে কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সেগুলোর মধ্যে একটি হলো নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা। তিনি চাকরি সন্ধানকারীদের উৎসাহিত করেন ঘরের বাইরে বের হয়ে চাকরি খোঁজার জন্য। শুধু ঘরে বসে থেকে চাকরি পাওয়ার ব্যাপারটি নিতান্তই দুঃসাধ্য ও সময়-সাপেক্ষ। তিনি তার অভিজ্ঞতার বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, আমি ই-মেইলের মাধ্যমে বিভিন্ন চাকরি প্রতিষ্ঠানগুলোতে দরখাস্ত করতাম এবং বেশ কয়েকটি ইন্টারভিউতে অংশ নিয়েছিলাম। হঠাৎ একদিন আমার পুরনো দিনের এক বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার পর অচিরেই একটি খ-কালীন চাকরি যোগাড় করতে সক্ষম হই আমি। তিনি বলেন, সেখানে বেশি অর্থ উপার্জনের বা আয়ের কোন সুযোগ ছিলো না আমার। তবে বেশ খানিকটা দুশ্চিন্তামুক্ত ও নিভার হতে পেরেছিলাম আমি। কেননা, দীর্ঘ ২০ মাস বেকার থাকার পর সামান্য হলেও সেটাই আমার প্রথম উপার্জন।
খ-কালীন চাকরিটিতে যোগদানের মাধ্যমে নিজের প্রতি আস্থা ও মনোবল দুটোই ফিরে পেলেন গিলবার্ট। তিনি বলছিলেন, আজও পর্যন্ত সেই বন্ধুর কাছে আমি কৃতজ্ঞ এবং ঋণী যে আমাকে সেই চাকরিটি দেয়ার ব্যাপারে সুপারিশ করেছিলো। কারণ, এ ঘটনাই আমার জীবনের মোড়কে ঘুরিয়ে দেয়। ৬ মাস ওই প্রতিানে কাজ করার পর ফিরে পাওয়া আত্মবিশ্বাস আর অনুপ্রেরণাকে পুঁজি করে একটি ঋঁষষ-ঃরসব বা পূর্ণকালীন চাকরি পেয়ে যান গিলবার্ট। পুনরায় যোগ করলেন তিনি, সুযোগ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৪০
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: এই উপদেশগুলো গিলবার্ট এর দেশেই সম্ভব, বাংলায় না!...এখানে মাস্টার্স পাশ করা দেলেদেরও ১০ হাজার টাকা প্রাথমিক বেতন ধরতে প্রতিষ্ঠানগুলো কুন্ঠিত বোধ করে না। ...আর মাস্টার্স পাশের পর একটি ছেলেটির মানসিক অবস্থা, পারিবারিক চাপ কোন পর্যায়ে উন্নীত হয় তা শুধু ভূক্তভোগীরাই জানে।