![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রফেসর মনিরুজজামান মিয়া মৃত্যুবরণ করেন. আমরা এই বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি.
নিপাট একজন ভদ্রলোক মানুষ ছিলেন তিনি। ওনার ব্যক্তিগত একটি ট্রজেডি আজ সবার সাথে †শয়ার করতে ইচ্ছা করছে. এতে নব্য প্রেমিকদের জন্য অনেক শিক্ষণীয়
মনিরুজজামান মিয়া যখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তখন সহপাঠিনী এক হিন্দু মেয়ের সংগে তার প্রেম হয়। এক পর্যায়ে তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। পরিকল্পনাটি ছিল অমুক দিন অমুক সময়ে তারা আলাদা আলাদাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেল স্টেশনে আসবেন। এরপর তারা অমুক ট্রেনে চড়ে পালাবেন। পরিকল্পনামতো প্রেমিকা মেয়েটি স্টেশনে আগেভাগে চলে এসেছিল। কিন্তু মনিরুজজামান মিয়া যে পথে আসেন তার আসতে কিছুটা দেরি হয়। এরমাঝে ট্রেন চলে এসেছে স্টেশনে! প্রেমিকা মেয়েটি মনে করে প্রেমিক মনিরুজজামান মিয়া তার সংগে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে! এরপর ঘটে যায় সেই করুন বিয়োগানতক ঘটনা! প্রেমিককে ভুল বুঝে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে মেয়েটি! মনিরুজজামান মিয়া ছুটতে ছুটতে স্টেশনে পৌঁছে মানুষের ভিড দেখেন! ভিড় ঠেলে দেখেন সব শেষ! দেখেন তার প্রেমিকার সদ্য ট্রেনে কাটা রক্তাক্ত লাশ!
এই ঘটনাটি তার জীবনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে! জীবনে আর কখনো বিয়ে করেননি মনিরুজজামান মিয়া! বিড়াল ভালোবাসতো তার প্রেমিকা। প্রেমিকার স্মৃতি ধরে রাখতে বিড়াল পোষা শুরু করেন প্রেমিক মনিরুজজামান মিয়া। তিনি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হন, তখনো তার অনেকগুলো পোষা বিড়াল ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসায়। এই বিড়ালগুলোই ছিল তার প্রেম। তার নিহত প্রেমিকার স্মৃতি।
©somewhere in net ltd.