![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পিতা-মাতার অসম্ভব আদরের একমাত্র কন্যা মুক্তি।
মুক্তি সপ্তম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণিতে উঠতেই তাকে বিয়ে দেওয়ার জন্যে ব্যস্ত হয়ে ওঠে তার মা-বাবা ও আত্মীয়-স্বজনেরা। গোলগাল চেহারার দোহারা বানের সুন্দরী মুক্তি।
সন্ধ্যার পরে মুক্তির পড়ার টেবিলে নানান অজুহাতে প্রতিবেশী ভাবি, দাদিরা এসে নানান ছলে ইনিয়ে বিনিয়ে তার বিয়ের কথাটা বলে ফেলে। ভাল পাত্র, বংশ-মর্যাদা আর ভবিষ্যৎ কাল্পনিক সুখ-শান্তি বিশ্লেষণ করে বিয়ের জন্য চাপাচাপি শুরু করে দেয়। মুক্তি একটা জবাব করলে দশ মুখের বিশটা কথা ছুটে আসে। মুক্তির কোনো যুক্তিই কেউ কানে তোলে না। মুক্তি শত চেষ্টা করেও মুরব্বিদের আদেশ অনুরোধ উপেক্ষা করতে না পেরে ভবিষ্যৎ সংসার জীবনের কথা মনে করে ফুঁপিয়ে কাঁদে।
অতপর মুক্তি তার মা ও বাবার কাছে গিয়ে এখন বিয়ে না করার কথাটি জানিয়ে ভাল উত্তরের অপেক্ষায় বসে রইল। কিন্তু তাঁরা যে জবাব দিলেন, একমাত্র সন্তান হয়ে পিতা-মাতার জীবনের সবচাইতে বড় শখ ও শেষ ইচ্ছে মেটানোর মতো মর্মভেদী আবদারের কথা শুনে মুক্তি একেবারে চুপ হয়ে যায়।
যন্ত্রণাকাতর মুক্তির নীরবতাকেই স¤মতি মনে করে মুরব্বিরা বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করে ফেলে। মুক্তির ইস্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেল।
বিয়ের আগের দিন তার দুই সহপাঠী তাকে দেখতে এলে সে তাদের কানে কানে পূর্বাপর সকল বৃত্তান্ত বলে দেয়। পিতা মাতার মুখের দিকে তাকিয়ে মুক্তি কোনো সিন ক্রিয়েট করতে চায় নি।
দুই.
বিয়ে বাড়ি। আনন্দ-কোলাহলের মধ্যে বর এসে হাজির। ছাব্বিশ বছর বয়সী অর্ধ শিক্ষিত বর। কাজী সাহেব বিয়ে পড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন। এমন সময় একটা অঘটন ঘটে গেল।
হঠাৎ করে পুলিশ! পুলিশ! বলে আওতা-বেড়া ভেঙে দৌড়ে পালাতে লাগল বিয়েবাড়ির মানুষেরা। কেউ বুঝে দৌড়াচ্ছে কেউ না বুঝে। কুকুরগুলি ঘেউ ঘেউ করে এলোমেলো ছোটাছুটি করছে।
মুক্তির সহপাঠীরা স্থানীয় চেয়ারম্যান ও পুলিশ নিয়ে এসে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত। পুলিশ দেখে বিয়ের আনন্দ-হাসি মূহুর্তেই আতংকে পরিনত হল। চেয়ারম্যান অভয় দিয়ে সবাইকে ডেকে নিয়ে বসলেন। পুলিশ কর্মকর্তা বাল্যবিয়ের নানাবিধ মারাত্নক অপকারিতা ও আইনে এর কঠোর শাস্তির বিধানের কথা শোনালেন। উপস্থিত লোকেরা বাল্যবিয়ের ভয়ানক পরিনতির কথা বুঝতে পেরে মুক্তির জন্য আফসোস করতে লাগল।
মুক্তি তার আত্মবিশ্বাস, বুদ্ধিমত্তা ও ধৈর্যশক্তির বলে বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে সে নিজেকে মুক্ত করল এবং এলাকার অসংখ্য মেয়েকে মুক্তির পথ দেখিয়ে দিল।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:২৮
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
আমার শুভেচ্ছা নিন।
২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৬
শোভন শামস বলেছেন: মানষিকতার পরিবর্তন দরকার
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:২৯
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: অবশ্যই পরিবর্তনের দরকার। কাউকে না কাউকে করতে হবে এটি।
৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০২
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: মেয়েদের ২০, ছেলেদের ২২ - একদম নিশ্চিত আইন করা দরকার! কোন কথা ছাড়া!
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:২৯
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ভাই আপনি ২ বছর করে বাড়িয়ে দিলেন যে!
৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মুক্তির মুক্তি দেখে ভালো লাগলো। সব মুক্তিরাই এভাবে মু্ক্তি পাক।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৩০
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: আসলে আপনি ভুয়া না।
শুভ কামনা।
৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: সবার মুক্তি মিলুক সমস্ত মন্দ থেকে।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৩১
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: আমিন!
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫০
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: বেশ সুন্দর। গল্পটি কমিক স্ট্রিপে, বা গ্রাফিক স্টোরি ন্যারেশনে সুন্দরভাবে ফুটে উঠবে আরও। শুভকামনা আপনার জন্যে!