![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছেলেবেলায় গয়না চরে গিয়েছি ঘোড়াশালে
দখিন দিকে যাত্রা বলে তাল ছিল না পালে
পাড়ে হেঁটে গুন টেনে যায় কষ্টে জোয়ান মাঝি
ওদের সঙ্গে গুন টানতে আমিও ছিলাম রাজি!
ব্যাঙের পিছে ব্যাঙাচি এক বসা
কেউ জানে না তার যে করুণ দশা!
বাইকে চড়ে মামার পিছে ভাগ্নে এলো ঘুরে
শহর দেখার স্বপ্ন আশা হাওয়ায় গেল উড়ে!
আধখানা চাঁদ দেখে কোলের খোকা
কেঁদে-কেটে হয়রান যায় না রোখা।
চাঁদ কেনো আধখানা বাকিখানা কই
এই নিয়ে মা’র সাথে করে হই চই।
বাবা এসে বলে খোকা, কান্না থামাও
পারো যদি চাঁদটাকে নিচেতে নামাও
ডেকে...
এক.
আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি এলো নেমে
জলের ধারায় শীতল হলো দেশ
করোনাকেও নেওনা পুছে মুছে
বিশ্ব থেকে হোক সে নিরুদ্দেশ।
দুই.
উঠোন জুড়ে লাকড়ি ছিল মেলা
মাটির চুলোয় ফুটছে ভাতের হাঁড়ি,
আকাশ থেকে কে দিয়েছে তাড়া
হঠাৎ...
এত কিছু আছে সব আশেপাশে
তদুপরি আরো চাই;
এত কিছু আনি দুই হাতে টানি
বলি তবু কিছু নাই।
কেমন আছো বাপু?
ভালো আছি স্যার
হাত নেই তবু হাসিমুখে বলে;
কোনো অভিযোগ নেই তার!
চলে ফিরে খায় নানা...
আমি যদি পাখি হয়ে আকাশে মেলি ডানা
কেমন করে যাব আমি নেই মোটেও জানা
পাখির মতো ছোঁ মেরে নেয় দুষ্টু কোনো ঝড়ে
হারিয়ে গেলে আমায় তুমি পাবে কেমন করে?
কই হারাবে মা,
তোমার দেখা...
ইঁদুর দেখে বিড়ালগুলো
পাচ্ছে ভীষণ ভয়
শেয়াল দেখে কুকুরগুলো
লেজ গুটিয়ে রয়।
গরু-মহিষ দিচ্ছে হানা
বাঘ-সিংহের পালে
গুঁতো খেয়ে ওল্টে-পুল্টে
পড়ছে নদী-খালে।
পশুর মতন মানুষ যদি
পশুরুপী হতো
লেজ গুটিয়ে সমাজ ছেড়ে
বনে চলে যেতো!
কেমন মজা হতো
সাপের মতো আঁকাবাঁকা পথ/ছুঁয়েছে দিগন্ত রেখা
যত পথ যাই তত না ফুরায়/মেলে না শেষের দেখা!
বাপ দাদা চাচা এ পধ ধরে/গিয়েছে অচিনপুরে
আমিও হাঁটি পথের সীমানা/নয়তো বেশি দূরে!
আমার ছেলে নাতি-পুতি-খুতি/আমাদের মতই হাঁটে
জানি...
পিপাসাতে বুকের ছাতি
করছে নানা ছল
গাছের তলে ঘুমিয়ে আছে
শান্ত ডোবাজল।
নেমে এলো একটি বানর
সরু ডালা বেয়ে
চনমনিয়ে উঠল পরাণ
জলের ছোঁয়া পেয়ে।
চুপ, এক দণ্ড নড়বি না তুই এক্কেবারে চুপ
উকুন ডেলা লিক পুজা\'লে মাথায় দিল ডুব।
কী যে আদর মাখায় তাঁরা, বারান্দাতে বসে
বিনুন দিয়ে উকুন ধরে মাথার জমিন চষে।
ঘরের বাহির হয়না কেহ...
গাছে গাছে মেৌমাছিদের গুন গুনা গুন গানে
ছন্দে নাচে আমের মুকুল লাগছে দোলা প্রাণে।
মেৌমাছিদের গানের সুরে আমের মুকুল ফোটে
হাওয়ার সাথে তাল মিলিয়ে ছন্দে সুবাস ছোটে।
সবুজ গাঁয়ে অবুঝ হাওয়া রোদে-মেঘের...
এই ছ্যারা তুই বাইরে ঘুরছ ক্যারে
অক্ষনে তুই ঘরের ভিতর যা
করোনার ডরে তব্দা সারা দেশ
হোমানে না কাঁপছে হাত পা!
কেনো আসে এইখানে, কেনো ভালোবাসে
কেনো বলে দাও কিছু ঘুরে আশেপাশে!
উদোম ছেলের হাতে দিই যতখানি
ততটুকু তার মুখে নেবে সে টানি
কত বলি দূরে যা রে পারি না তো আর
ততখানি কাছে এসে,...
রিক্সা গাড়ি নেই বলে কি, থাকবে পড়ে মা
আয় কোলে তুই নিয়ে যাব,আছে আমার পা।
এমনি করে হাসপাতালে, করছে যাওয়া আসা
মাকে নিয়ে পূণ্যছেলের, গভীর ভালোবাসা।
দুই বন থেকে দুই জন এসে থমকে দাঁড়ায় পথে
কেমন আছিস বন্ধু আজ ছাড়ছি না কোনোমতে।
একজন করে কুর্ণিশ আর একজন বাড়ায় হাত
রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে তারা করছে মোলাকাত।
কেউ বলে তারা...
©somewhere in net ltd.