নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আর কটা ভাত মুখে দিয়ে যা
এভাবে ছোটে না বাপ
মায়ের কথায় ভাত না খেলে
জানিস কতটা পাপ?
এই ভাবে মা খাইয়ে ছেলেকে
ইশকুলে পাঠাতো রোজ
ফিরতে যদি দেরি হতো তার
দৌড়ে লাগাতো খোঁজ।
এখন ছেলেটার খবর...
তোরা ছোট লোক, থাকব না আর
দেখিস তোদের সাথে
পেয়ে গেছি আজ, দামি সে খাবার
উঠেছি এবার জাতে।
সত্যি ওকে মারি নি মা
বললো আমায় দে রে...
বাঁশের আগায় হাঁসের ছানা
তাই দিয়েছি পেড়ে!
ঘানির জোয়াল কাঁধে নিয়ে ভাবে গরু মনে
গ্রাম পেরিয়ে শহর ছেড়ে উঠব দূরের বনে।
সরষেগুলো খৈল হয়ে যায় কলুর হাসি ফোটে
চোখের বাঁধন খুলেই বলদ কষ্টে কেঁদে ওঠে।
তোরচে\' আমি অনেকটাই ভাল
এই দেখ আমি হাঁটছি কোনোমতে
আমি চলি লাঠিতে ভর করে
তোর চলা যে চার চাকার এই রথে!
লক্ষ টাকার শপিং করে বলছো সবে শুরু
এমন সময় হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে এক বুড়ো;
বলল আমায় দেন না মাগো
একটা নতুন জামা
রেগে মেগে পুলিশ ডেকে
বললে তাকে থামা।
পুলিশ তাকে ধমক মেরে থামিয়ে দিলো...
চাকায় চাকায় ভাঙ্গা পথে চলবে না আর ট্রাক
হঠাৎ করে আকাশ থেকে এলো আজব ডাক
ডাক শুনেই ট্রাকের মাথা তুলল আকাশ পানে
ট্রাক চালকে বেজায় খুশি ফর্সা ডানে বামে।
ব্যাপারটা কি? গা উড়ে...
এক দলা মানুষ পড়ে আছে নিচে
ঘৃণায় যদি কুঞ্চিত হয় ভুরু!!
সিঁড়ি কেবল উপরে ওঠার নয়
বুঝবে তোমার নীচে নামা শুরু
মায়ের কাছে ছেলে কখনো
হয় না বুঝি বুড়ো
এখনও মা মাছটা দিলে
খান না তিনি পুরো
আধখানা দেন ছেলের মুখে
বাসন থেকে টানি
ছেলের জন্য এখনও মা
ফেলেন চোখের পানি।
উঠোন থেকে একটা লাফে
খোকা গেলো মাঠে
করবে কী আর মেঘ বাদলে
মন বসে না পাঠে।
মাঠের বুকে কাদাপানি
জমবে না আজ খেলা
পাখা হলো হাত দুটো তার
মেঘ হয়েছে ভেলা।
রূপ নিয়ে কীসের এত বড়াই?
রূপটুকু যে তোমার কামাই নয়
গুণ যতটা পেয়েছ করে লড়াই
সেটাই তোমার আসল পরিচয়।
হঠাৎ যখন বায়না ধরে নাতি
দাদা আমায় দাওনা কিনে গাড়ি
এত টাকা পাবে কোথায় দাদা
পাতা টেনে ঘুরায় সারা বাড়ি।
গাড়ি চড়ে বাড়ি জুড়ে ঘুরছে একটানা
অল্পতেই দাদা-নাতি খুশিতে আটখানা।
গামছায় বেঁধে খাবার এনে দিয়েছে বাবার হাতে
সবটুকু খাও একটি ভাতও থাকে না যেন পাতে;
কতোটা খেয়াল বাবার জন্য কতোটা আদর যত্ন
বাবার বুকে গোপন আবাসে মেয়েরা আজব রত্ন!
©somewhere in net ltd.