![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবুঝ শিশুর মতন
পিতা যেমন আদর করে নিচ্ছে মেয়ের যতন।
বয়সভারে নেতিয়ে পড়া মা
ভাতের নলা সামনে ধরে বলছে ছেলে, খা।
এমনি করে এই ছেলেকে কোলে পীঠে করে
রাখতো চোখে চোখে
এ কোল...
কলসি কাঁখে পানি আনে, এঁকে বেঁকে ছন্দময়
গুনগুনিয়ে গান গায়, নাচতে পারে মন্দ নয়।
দুপুরবেলা নূপুর পায়
পুকুরঘাটে গাছের ছায়
খেলার ছলে ঝগড়া করে, কারো সাথে দ্বন্দ্ব না
শ্যামলা মেয়ে লক্ষ্মীসোনা ডাকে সবাই চন্দনা।
সূর্য ডোবে ডোবে
পচিম কোণে রঙের খেলা
আঁধার গেলো পুবে।
ধীরে ধীরে রঙের মিছিল
মিলায় অন্ধকারে
আঁধার আমায় লুফে নিলো
আপন অধিকারে!!
একটি শিশু আপন মনে গাছের ডালে বসে
কী হবে সে মনে মনে দেখছে হিসেব কষে।
পেয়ে গেছি, হবো আমি সুতো ছেঁড়া ঘুড়ি
হাত দুখানি পাখা করে যাচ্ছে শিশু উড়ি।
জোছনা ঢেলে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে...
ইশকুলে যা, বড়ো হবি, চড়বি দামি গাড়ি;
অনেক বড়ো মানুষ হবি করবি দালান বাড়ি।
গরিব মায়ের ছেলের চোখে স্বপ্ন করে খেলা
কী অপরাধ এই শিশুটির কেন এতো হেলা!
পাগলীমায়ের পাগল মতো একটি অবুঝ ছেলে
কোথায় থাকে কী যে করে মাকে দূরে ফেলে।
না খেয়ে মা কোঁচড় ভরে ভিক্ষে করা ভাতে
ইচ্ছে করে ছেলের মুখে খাওয়ায় নিজের হাতে।
ভাতের থালা সামনে দিয়ে...
একদিন তারা মজুরি পেয়ে
কিনেছে নতুন শাড়ী
হাতে দিলে পরে মায়ের মুখে
হাসিটা ফুটবে ভারি!
দেৌড়ে এসে মায়ের পাশে
শাড়ীটা দিয়েছে বেড়ে
কথা বলেনা, অভিমানী মা
গিয়েছে সকল ছেড়ে।
গাছের আগায় ছাগল দেখে পাগল হাসে ফিক
ছড়িয়ে গেলো এই ঘটনা গাঁয়ের চতুর্দিক।
আসছে মানুষ হনহনিয়ে বলছে হ্যারে হ্যারে
যাবে কোথা ছাগলটা ভাই সবুজ মাটি ছেড়ে!
এক দলা মানুষ পড়ে আছে
ঘৃণায় যদি কুঞ্চিত হয় ভুরু!!
সিঁড়ি কেবল উপরে ওঠার নয়
বুঝবে তোমার নীচে নামা শুরু...
সারাদিন বসে, চক টেনে টেনে/পায়ের ছবিটি আঁকে
চক শেষ হয়, আশাটুকু নিয়ে/অপেক্ষায় বসে থাকে।
এই বুঝি তার গজিয়েছে পা/এই বুঝি উঠে দাঁড়ায়
উঠে উঠে সে মাটিতে পড়ে/সম্মুখে হাত বাড়ায়।
বল নিয়ে মাঠে খেলাধুলা...
শেয়ালের মরণ দশা...
যখন দেখে সম্মুখে এক ক্ষুধিত সিংহী বসা;
ইনিয়ে বিনিয়ে এটা সেটা কয়
কথাও ফুটে না মনে বড় ভয়
জড়োসড়ো হয়ে ছোট হয়ে যায় হাতির সামনে মশা!
আমি কি আসি সামনে তোমার...
পিঠে নিয়েছে ছোট বোন আর পেটে লয়েছে ডালা
পিতামাতাহীন দুই ভাইবোন মেটাবে ক্ষুধার জ্বালা!
টাকার পাহাড় গড়েছ যারা রেখো তোমরা স্মরণে
তোমাদের বোঝা বয়ে চলেছে এতটা শিশুর চরণে!
সবুজ মাঠের লক্ষ্মী এরা স্বাধীন ছেলেমেয়ে
গর্ব করে ফুল-ফসলে তাদের কাছে পেয়ে।
ওদের কিছু কয় না কেহ ওরা মাঠের রাজা
মাঠের গরু ছাগল ভেড়া ওদের নীরব প্রজা।
আপন নিয়মে চলছে জগৎ
দেখে না এই দৃশ্য!
সুখ-দুখ আর আবেগ-যন্ত্রণা
বহন করেছে বিশ্ব!!
দুই বন থেকে দুই জন এসে থমকে দাঁড়ায় পথে
কেমন আছিস? বন্ধু আজ ছাড়ছি না কোনোমতে।
একজন করে কুর্ণিশ আর একজন বাড়ায় হাত
রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে তারা করছে মোলাকাত।
কেউ বলে তারা ঝগড়া...
©somewhere in net ltd.