![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নেশা করে বাবা তার, পড়ে থাকে পথে
ছোট ছেলে টান মেরে তোলে কোনোমতে।
আধখানা উঠে আর সবটুকু পড়ে
হেলে দুলে নির্বাক দেখে দিবা খাব
হাতি ঘোড়া নিয়ে সে-চলে রাজপথে!!
ফুঁয়ের পরে ফুঁ দিতেছি
কীসের বনিবনা
গাল যতটা উঠছে ফুলে
পাল ততটা ফুলছে না।
লম্বা জ্যামে অলস বসে থাকা
সেটা কেবল তোমার বেলা সাঝে
ব্যস্ত হয়ে হাত বাড়িয়ে বউ
লেগে গেলো উকূন মারার কাজে!
জোড়হাতে মিনতি করি, বাবা তুই থাম
বিপদের মুখে তুই দাঁড়িয়ে আছিস
না হারালে বুঝবি না, জীবনের দাম!
আর সব অস্থির...
ভালোবাসা কেবলি গোপনে গোপনে
সদাশয় সুস্থির।
ভালোবাসা উপচে যখন পড়ে
সহজে তো যায় না রাখা ধরে
সুযোগ পেলে হাত-পা ছুঁড়ে করতে পারে আদর
ভালোবাসা দুষ্টু ভীষণ আনকোড়া এক বাঁদর!
এইটুকুতে পা ভেজাবো?
মাড়িয়ে যাবো কাদা!
ধ্যাত্তেরি ছাই, লাফিয়ে যাব
মানব কেন বাধা!
জীবন যখন চলে না তবু
ঠেলে-ঠুলে চলে
পায়ে পায়ে রক্ত আর
কাদামাটি জলে।
কারেন্ট গেলে গেছে...
ঘরে যত ধান আছে মা আয় তো নিয়ে দেখি
খুকির কথায় বাড়ির লোকে বলছে ব্যাপার, একি!
কেঁকর কেঁকর ডাক তুলেছে বাঁশ-কঞ্চির ঢেঁকি।
আহা, একবার দেখলাম!
তারপর মুখে নয়-চোখে এলো জল
হারালাম কোথায় আমি? এত চঞ্চল!
সেই দিন কেটে গেলো পঞ্চাশ আগে
অতপর তাকে পেতে এত লোভ জাগে
কত স্মৃতি ভেসে ওঠে বেদিশা-বেহুঁশ
কোথা যেন হারালো সেই...
মায়ের কাছে ছেলে কখনো হয় না বুঝি বুড়ো
এখনও মা মাছটা দিলে খান না তিনি পুরো
আধখানা দেন ছেলের মুখে বাসন থেকে টানি
ছেলের জন্য এখনও মা ফেলেন চোখের পানি।
সবুজ মাঠের অবুজ শিশু ফুল ফসলের সাথী
ধুলো-কাদায় জলে-ডাঙ্গায় বিষম মাতামাতি।
মুক্ত মাঠের লক্ষ্মী এরা স্বাধীন ছেলেমেয়ে
গর্ব করে ফুল-ফসলে তাদের কাছে পেয়ে।
ওদের কিছু কয় না কেহ ওরা মাঠের রাজা
মাঠের গরু ছাগল...
শক্ত মাটি ভেদ করে সে
বেরিয়ে এলো নিজে
কতটা শক্তি ধারণ করে
এটুখানি বিজে!
ক্ষুধার্ত এই মাছিগুলোর মস্ত করুণ দশা;
ফরমালিনের যন্ত্রণাতে যায় না কোথাও বসা
কুমড়োফালি এনেছিলেম গাঁয়ের বাড়ি থেকে
ভনভনাভন উড়ে এসে কুমড়ো ফেলে ঢেকে।
কত মানুষের হৃদয় ছুঁয়েছো
অন্তরে দিয়েছো দোলা
এতই সহজ? চলে গেছ বলে
মুহূর্তেই যায় ভোলা!
তোমার গানের চরণগুলি
গায়ে মেখেছে স্মরণ ধুলি
গুনগুন করে এখনো গাই
প্রদীপ্ত গানগুলা।
©somewhere in net ltd.