নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I want very active debate
২০১৩-১৪ মৌসুমে যখন রিয়াল মাদ্রিদ টটেনহামের গ্যারেথ বেইলকে ৮৫ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে দলে ভিড়াল তখন থেকেই স্পেনে আমার এক নম্বর দল হয়ে গেল। যদিও বাংলাদেশের বাইরে ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডই আমার এক নাম্বার ফুটবল ক্লাব। সেই ২০১৪র ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ান্স লীগের অল স্প্যানিশ ফাইনালেও রিয়াল বনাম এথলেটিকো মাদ্রিদের খেলা হয়েছিল। সেই খেলা সেইরকম আকর্ষণীয় ছিল। বিশেষ করে রিয়ালের আর্জেন্টাইন এঞ্জেল ডি মারিয়া যে খেলা দিছে সেটা জীবনেও ভুলব না। সেই ম্যাচে রিয়ালই ভাল খেলছে। বিশেষ করে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে এথলেটিকোকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে ৪-১ গোলে জয়ী হয়।
পক্ষান্তরে এবার ২০১৬র ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ান্স লীগের ফাইনালে আবার একই স্প্যানিশ দল দ্বয়ের সাক্ষাৎ ঘটলেও দুই বছর আগের মত আকর্ষণীয় ছিল না। যদিও রিয়ালকেই সমর্থন করছি তথাপি এথলেটিকো মাদ্রিদই বেশী চান্স পেয়েছে গোল করার এবং বেশী চাপিয়ে খেলছে। সার্জিও রেমোসের গোল করার পর আর রিয়ালকে সিরিয়াস ভাবে আরো গোল করার তেমন প্রচেষ্টা করতে দেখা যায় নাই। আর এথলেটিকো মাদ্রিদের অপরিপক্কতার কারণে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পেনাল্টি মিস করছে। এথলেটিকো একটু বেশী ফাষ্ট খেললেও তাদের নার্ভের সমস্যা ছিল এটাই রিয়ালের জন্য এডভানটেজ হয়ে দাড়ায়। টনি ক্রোসকে উঠিয়ে নিয়ে রিয়ালের মধ্য মাঠের আক্রমণের ধারটা কমিয়ে দেয় কোচ জিদান। অন্যদিকে এথলেটিকোর কোচ সিমিয়োনি দলকে অনেক কৌশল ও পরামর্শ দিলেও স্নায়ু চাপ মূক্ত হয়ে ফিনিশিং করাতে ব্যার্থ হন। এই কারণেই টাইব্রেকারে ৪র্থ শট মিস করে এথলেটিকোর খেলোয়াড়। সেই তুলনায় রিয়ালের পেনাল্টি শট নেওয়া খেলোয়াড়দের আত্নবিশ্বাসীই দেখাচ্ছিল।
গোলের খেলা ফুটবল। তাই ফাইনালে এভাবে মূল কিংবা অতিরিক্ত সময়েও কাংখিত গোল না হওয়া দর্শক ও ফুটবল ভক্তদের জন্য বিরিক্তিকর। সব সময়ই চাই এই ধরণের ফাইনালে খেলাটা সেই রকম আকর্ষণীয় হৌক।
পরিশেষে যাই হৌক ১১তম ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ান্স লীগ জয়ের জন্য রিয়াল মাদ্রিদকে অভিনন্দন। রিয়ালকে এ কারণেই ভাল লাগে যে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় তথা ফুটবলারদের পেতে তাদের ক্লাব ম্যানেজম্যানট মোটেও কার্পণ্য করে না। সব সময়েই সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। আশা করি রিয়াল ভবিষ্যতেও তাদের সুন্দর ও আকর্ষণীয় ফুটবল খেলা দর্শকদ ও ভক্তদের উপহার দিবে।
০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১:১০
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ৩০ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:১৫
দেশপ্রেমিক পোলা বলেছেন: বিশেষ করে রিয়ালের আর্জেন্টাইন এঞ্জেল ডি মারিয়া যে খেলা দিছে সেটা জীবনেও ভুলব না। আমিও ভুলব না। অথচ সেই ডি মারিয়া কে বেঁচে কিনলো হামেসকে যে কিনা শুধু বসে বসে বেঞ্চ গরম করে। ডি মারিয়া থাকলে রিয়াল আরো শক্তিশালী হতো।
০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১:১৩
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: আসলে সে কলাম্বিয়ার জেমস রুড্রিগুয়েজের জন্যই রিয়াল ছাড়ছে। আর ডি মারিয়াকে পেয়েও ম্যানইউর ভ্যান গাল যা করল তাকে বেওকুফী ছাড়া আর কি বলতে পারি! এই ভ্যান গাল ২০০১-০২ মৌসুমে বার্সায় থাকতে রিভাল্ডোকেও তার সেন্ট্রাল ষ্ট্রাইকিং এর জায়গায় লেফট উইং এ খেলতে বললে তাদের মধ্যে বিরোধ হয়। সে যাই হৌক মেসির পর আমার কাছে ডি মারিয়াই বর্তমানে সেরা খেলোয়াড়।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪
প্রািন্ত বলেছেন: অভিনন্দন রিয়াল মাদ্রিদকে। আসলে রিয়ালের ফুটবল দর্শন মোটেও ভাল নয়। বিলিয়ন বিলিয়ন ইউরো খরচা করে যাদের দলে ভিরিয়েছে, তারা কেউই বিশ্বের সেরা খেলোয়ার নয়। শুধু ক্রিষ্টিয়ানো রোনালদো ছাড়া। এত বিগবাজেটের দল গত বছর শিরোপা বঞ্চিত ছিল। এবার কোনমতে (কিছুটা ভাগ্যের সহায়তায়) একটা শিরোপা জিততে পেরেছে। আগামীতে আরও কঠিন সময় অপেক্ষা করছে রিয়ালের জন্য। আর তাদের খেলা? দেখতে মোটেও দৃষ্টিনন্দন নয়।