নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I want very active debate
কলকাতার তারকারা কেন ঢাকামুখী?
সেই ১৯৮৫র কথা। তখন স্কুলে পড়াশোনা কালে বাংলাদেশের এক শ্রেণীর লোকেদের বাসায় গেলে মনে হইত এটা যেন পশ্চিমবঙ্গ। সুনীল, সমরেশ সহ ভারতীয় বাঙালী লেখকদের বইয়ে ভরপুর ছোট খাট একটা লাইব্রেরীই বলা চলে। তারাই ঐ সময়ে ভিসিআরে(VCR) হিন্দি অথবা ইংরেজীর চেয়ে পশ্চিমবঙ্গের বাংলা ছবিই বেশী দেখা পছন্দ করত। আমি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করতাম বাংলাদেশের লেখকদের বই এবং নাটক তারা কেন সেই পরিমাণে দেখেন না যা পশ্চিমবঙ্গের বিষয়ে করেন। তারা বলত পশ্চিমবঙ্গর কোলকাতাই আসল বাংলা ভাষা ও বাংলা সংস্কৃতির কেন্দ্র। তাদের মান নাকি বাংলাদেশের চেয়ে ভাল। আমি মনে করতাম এদের পশ্চিমবঙ্গেই চলে যাওয়া উচিত। তাদের মনোভাবের সাথে ভারতের প্রথম অস্কার বিজয়ী পরিচালক সত্যজিত রায়ের সাথেই মিলে যায়।
সত্যজিত বাবুর পূর্ব পুরুষরা কিশোরগঞ্জের হলেও তার নাড়ীর টান হয়ে উঠে পশ্চিমবঙ্গ। ১৯৭১র পর বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও এর নিজস্ব বাংলা ও সংস্কৃতির প্রতি তার তেমন কদর বা আগ্রহ ছিল না। আর বাংলাদেশের সেই সকল সংস্কৃতিকমনারাতো কোলকাতা বলতে অজ্ঞান।
এই যখন অবস্থা তখন ১৯৯১ কিংবা ১৯৯২তে যখন ভারতের প্রখ্যাত বাংলা গায়িকা হৈমন্তী শুক্লা এক আয়োজিত গানের অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ফাস করে দেন। তিনি বলেন "আজকে আমার এই অনুষ্ঠানে এত শ্রোতা গান শুনতে এসেছে এটা কোলকাতাতে অনেক বছর ধরেই আর হয় না"। এটা যেন সেই সকল বাংলাদেশী সংস্কৃতিমনাদের উপর বিনা মেঘে বজ্রপাত হইল। সেই স্বাধীনতার পর থেকে বেশী কিংবা মোটামুটি হলেও আমাদের লেখক, কবি, সাহিত্যিক সহ নাটক কিংবা চলচিত্রের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা একটা জায়গা করে আছেন। তাদেরকে বাংলাদেশের বাইরের মার্কেট পাওয়ার চিন্তা করতে হয় না। অন্যদিকের ভারতভূক্ত পশ্চিমবঙ্গে হিন্দি সিনেমা সেই ৮০র দশক থেকেই এত দাপট যে স্থানীয় বাংলা সিনেমা মার খেতে থাকে। সেই সাথে ১৯৯২-৯৪র আগে পশ্চিমবঙ্গে কি সরকারী কিংবা বেসরকারী বাংলা টিভি চ্যানেল না থাকায় নাটক কিংবা অন্যান্য বাংলা অনুষ্ঠান তেমন গড়ে উঠতে পারে নাই যেখানে জনপ্রিয় হওয়াতো দূরের কথা।
অন্যদিকে বাংলাদেশে সেই ১৯৯৭র আগ পর্যন্ত কোন বেসরকারী স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল আসার পূর্বেই এক বিটিভিই বহু জনপ্রিয় নাটক, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান সহ আরো ভাল ভাল প্রোগ্রাম নির্মাণ করে। একেতো তখন ভারতের চলচিত্র আমদানী নিষিদ্ধ তার চেয়েও বড় কথা এখানে বিশাল দর্শক ও বাজার আছে। কাজেই ভাল মান সম্পন্ন নাটক, চলচিত্র এখানে জনপ্রিয়তা ও অর্থ দুটাই অর্জন করে। শুধু তাই না এখানে ভারতীয় বাংলা সাহিত্য তথা লেখকদের উপন্যাস-বই এবং সেখানকার চলচিত্রও ভাল ব্যাবসা করে। যদি শুধুই পশ্চিমবঙ্গই একমাত্র বাজার হইত তাইলে সেখানে বছরে ১০-১৫টার বেশী চলচিত্র নির্মাণ হত না। সেই সাথে পশ্চিমবঙ্গের নাটক ও অন্যান্য অনুষ্ঠানও বাংলাদেশের কারণেই ভাল বিজ্ঞাপন পায়। বেশী দর্শক না হলে কোন ভারতীয় কোম্পানীও তেমন বিজ্ঞাপন তথা স্পন্সর করে না।
পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে খোলামেলা তথা যৌনতা এমনকি নগ্নতা না হলে সেই চলচিত্র ভাল ব্যাবসা করতে পারে না। তাই সেখানকার সব নায়ক-নায়িকাদের পক্ষে ঐ সমস্ত চলচিত্রে অভিনয় করা সম্ভব না। এখানেই বাংলাদেশ তাদের জন্য অনেক বড় একটা এডভান্টেজ। বাংলাদেশে শালীন ছবির গুণগত মান ও কাহিনী ভাল হলে সেটা ভাল আয় করবে। এখানে বাংলা ছবিকে অর্থের জন্য খোলামেলা হতে হবে এমন কোন বিষয় নাই। এখনও সিংহভাগ মানুষ বাংলাদেশের চলচিত্রকে সেই শোভন ভাবেই চলতে দেখতে চায়। এখানে কোলকাতার অভিনেতা পরমব্রতের একটি কথা না উল্লেখ করলেই না;
{কলকাতার তারকাদের ঢালিউডমুখী হওয়া নিয়ে উঠে আসা আলোচনার সঙ্গে আংশিক মত দিলেন কলকাতার আরেক অভিনেতা পরমব্রত। কলকাতা থেকে মুঠোফোনে এই অভিনেতা বলেন, ‘এখানকার শিল্পীরা তাঁদের বাজার সৃষ্টির জন্য ঢাকামুখী হচ্ছেন—এটা মনে হতেই পারে। এই ভাবনাটাকে ফেলে দিচ্ছি না। তবে দুই বাংলায় বাংলা ছবির ভালো দিন ফিরিয়ে আনতে পারস্পরিক নির্ভরতার জায়গায় যেতে হবে।’}
http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/1109107
কাজেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যতই মান সম্পন্ন বাংলা ছবি হৌক না কেন দর্শক তথা সেই রকম আয় না হলে লাভ কি? কাজেই হিন্দির দাপটে জর্জরিত ভারতের পশ্চিমবঙ্গর শিল্পিী ও কলাকুশলীরা বাধ্য যে বাংলাদেশের উপর নির্ভর হওয়া। তবে এখানে পরমব্রত একটা অসত্য তথ্য দিলেন। সে শুধু পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশ নির্ভরতা না বলে বলল "পারস্পরিক নির্ভরতা" তথা দুই দেশের নির্ভরতা। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। বাংলাদেশের চলচিত্রকে পশ্চিমবঙ্গের উপর নির্ভর হতে হয় না। বাংলাদেশে নির্মিত চলচিত্র যদি কোন ভারতীয় শিল্পী ও ব্যাক্তিবর্গ জড়িত না থাকে তবে সেটা ভারতে তথা পশ্চিমবঙ্গে সহজে প্রবেশ করতে পারে না। আর বাংলাদেশের প্রাইভেট স্যাটেলাইট চ্যানেল গুলিতো সেখানকার ক্যাবল নেটওয়ার্কে চলে না। এখন যদি বর্তমান সরকার বাংলাদেশে ভারতের চলচিত্র না আমদানী করতে দিত তাইলে আমাদের নিজস্ব বাংলাদেশী চলচিত্র আরো বেশী ব্যাবসা করতে পারত। বর্তমানে স্বাধীন বাংলাদেশ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের চলচিত্র সেই সাথে সাহিত্যর মার্কেট কল্পনাই করা যায় না।
সত্যজিত রায় ছিলেন একজন বিশ্বমানের চলচিত্র ব্যাক্তিত্ব এতে কোন সন্দেহ নাই! কিন্তু উনার দূরদর্শিতা তথা পশ্চিমবঙ্গের নিজস্ব বাংলা সাহিত্য ও চলচিত্র নিয়ে ধারণা মোটেও শক্ত ছিল না। বাংলাদেশের প্রতি তার অনাগ্রহ ছিল। কিন্তু সময়ের ধারাবাহিকতা তার মনোভাবকে সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণ করছে। সাহিত্য, চলচিত্র যতই গুণগত বা ভাল মানসম্পন্ন হৌক না কেন তার বাজার না থাকলে সবই বৃথা। একটা লেখক, চলচিত্র প্রযোজক সময় ও অর্থ ব্যায় করে একটা কিছু তৈরি করবে কিন্তু তার কাংক্ষিত ফলাফল পাবে না সেটা স্বপ্নেও ভাবা সম্ভব না। এটাই বর্তমান পেশাদার চলচিত্রের নির্মাতা, শিল্পী ও কলাকুশলীদের অভিলক্ষ।
বাংলাদেশী হিসেবে আমাদের উচিত এমন কোন কাজ না করা যেটা দেশের স্থানীয় চলচিত্রর ক্ষতি করে। সেই সাথে এর আরো উন্নয়ন করে কিভাবে আরো বেশী দর্শক টানা যায় সেটা সবারই ভেবে দেখা জরুরী!
৩১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:০৮
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্য মান ভাল। তবে তার মানে এই না যে বাংলাদেশ তাদের চেয়ে পিছায়া আছে। বরং হাল আমলে বাংলাদেশই এখন সাহিত্যর দিক দেয়ে ওদের চেয়ে অগ্রসর।
২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:০৪
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: চলচিত্র জগৎটা পুরোই ব্যাবসাকে ঘিরে, এটা মানেন তো?? তাহলে??
তবে খুব সুন্দর একটি প্রসঙ্গের জন্য ধন্যবাদ।।
৩১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:১০
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: সেটা বাংলাদেশ স্বাধীন বলেই সম্ভব হইছে। তাই আমাদের চলচিত্রের স্বার্থে ভারতীয় এবং সার্ক অঞ্চল হতে সিনেমা আমদানী বাতিল হউক।
ধন্যবাদ।
৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:৫১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বরং হাল আমলে বাংলাদেশই এখন সাহিত্যর দিক দেয়ে ওদের চেয়ে অগ্রসর।
কোন দিক থেকে কথাটা বললেন?
একটু ব্যাখ্যা করবেন?
৩১ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:২৪
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: সাহিত্যে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান কোন কোন লেখকরা বাংলাদেশী লেখকদের চেয়েও ভাল বলবেন কি?
যতই বাংলাদেশে পশ্চিমবঙ্গের লেখকদের মার্কেট থাকুক স্থানীয় মার্কেটে চাহিদা কমে গেলে তখন লেখাই আর সহজে হবে না।
৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:১৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সাহিত্যের বেলায় আমরা ওরা ১৯/২০ হলেও চলচ্চিত্রে ওরা আমাদের চেয়ে অনেক বেশী এগিয়ে। ওদেরকে আমরাই আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। এখন ওদের সিরিয়ালকে নকল করে আমরাই ওদের ফলো করছি...
৩১ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:২৭
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ভাই পশ্চিমবঙ্গে তাদের বাংলা চলচিত্রের মার্কেট দূর্বল। আর বাংলাদেশে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের সিরিয়াল দেখার চেয়ে হিন্দি সিরিয়ালই বেশী দেখে। তারপরেও বাংলাদেশের নিজস্ব সিরিয়াল বা সাপ্তাহিক নাটক গুলো পরে যায় নাই।
বাংলাদেশে যারা ভারতীয় সিরিয়াল ও চলচিত্র নকল করে তাদের প্রতি ধিক্কার।
ধন্যবাদ।
৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৬:০৪
অগ্নিবেশ বলেছেন: আঙ্গুর ফল টকের মত পোস্ট।
জনগনের চাহিদাই আসল, ভালো করলে জনগন খাবে আর
খারাপ হলে দূরে ফেলে দেবে। এপার ওপার কোনো ব্যাপারই ই না।
৩১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:১২
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: আমি বলছি যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এখনও ভালমানের শালীন ছবি তৈরি হয়। কিন্তু সেখানকার মানুষ বেশীর ভাগ হিন্দী এবং আরেকটা অংশ পাশ্চাত্যের মূভিই দেখে। তাই সেখানকার বাংলা ছবির প্রযোজকরা ব্যাবসায় লোকসান গুনে কম দর্শকের কারণে। এই কারণেই তাদের বাধ্য হয়ে বাংলাদেশে আসতে হয়। আর বাংলাদেশের চলচিত্রকে কোথাও যেতে হয় না। গেলে সেটা অতিরিক্ত মুনাফা হবে। কিন্তু বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই আভ্যন্তরীন বাজারে প্রযোজকদের দূঃশ্চিন্তা করতে হয় না।
৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৬:৫৬
প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: গত বছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে দেব এসে বলে গেছিলেন দু'দেশের নেতাদের বলবো দু'বাংলাকে এক করে দাও? কেন বললেন আর কেন তারকারা আসে বুঝে নেন? দখল আর বিপ্লব এক দিনে হয় না ?
৩১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:১৭
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: এখন ২০০০ পরবর্তীতে বলে দুই বাংলা এক কর.....যেন মামা বাড়ীর আবদার। তাদেরকে ১৯৪৭র পূর্বে মাওলানা ভাসানী সহ বেশ কয়েকজন বাঙালী মুসলমান নেতারা অনুরোধ করছিল আস আমরা স্বাধীন বাংলা গড়ে তুলি। বাঙালী হিন্দু নেতারা রাজী হলে আমাদের এই অঞ্চল কখনই পূর্ব পাকিস্তান হইত না বরং ১৯৪৭ই স্বাধীন বাংলাদেশ হইত। তাতে আমরা ভারতের চেয়ে অনেক অগ্রসর থাকতাম।
ধন্যবাদ।
৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:১৯
নেয়ামুল নাহিদ বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল লেখা লিখেছেন। তবে এটাও অস্বীকার করা যায় না, পশ্চিমবঙ্গে তুলনামূলক ভালো সিনেমা নির্মাণ হয়। তাদের নির্মাণ - বাংলাদেশের চেয়ে অনেক ভালই বলতে হবে।
তবে এদেশের নির্মাতারাও চেষ্টা করে যাচ্ছে।
৩১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২৮
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: আমি স্বীকার করি পশ্চিমবঙ্গে এখনও ভালমানের শালীন চলচিত্র তৈরি হয়। কিন্তু সেখানকার প্রযোজকরা যদি ছবি নির্মাণের জন্য অর্থ বিনিয়োগ করে লস খায় তাইলে সেখানে ভাল সিনেমা কিভাবে হবে? প্রযোজককেতো মুনাফাও করতে হবে। উদাহরণ স্বরুপ মিঠুন চক্রবর্তীর কথাই বলি। আজ থেকে ২০ বছরেরও আগে জিটিভি চ্যানেলের বাংলা অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকারে একটি প্রশ্ন করা হয় "যে কেন পশ্চিমবঙ্গে বলিউডের মত বেশী চলচিত্র নির্মাণ হয় না?"। জবাবে মিঠুন বলেন "কেউ বিনিয়োগ করে যদি মূল অর্থটাই না তুলতে না পারে তাহলে কিভাবে বেশী বাংলা চলচিত্র নির্মিত হবে?", "বোম্বেতে এ নিয়ে তেমন কোন সমস্যা নাই"। আজকে মিঠুন যদি স্রেফ পশ্চিমবঙ্গের বাংলা চলচিত্র নিয়ে পরে থাকত তাইলে সে কিভাবে সারা ভারতে জনপ্রিয় হইত?
বাংলাদেশের সিনেমা অত ভাল মানের না হউক এখানে দর্শক আছে। তাই বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই প্রযোজকদেরকে চিন্তা করতে হয় না।
ধন্যবাদ।
৮| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:০২
দারাশিকো বলেছেন: আপনার এই লেখাটা বাংলা মুভি ডেটাবেজে দেয়ার অনুরোধ করলাম।
৩১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩০
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ভাই, আপনের অনুরোধে খুশী হইলাম। সে যাই হৌক আপনি আমার এই লেখাটা সামুর লিংক সহকারে ঐ সাইটে প্রকাশ করতে পারেন এতে কোন সমস্যা নাই।
ধন্যবাদ।
৯| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৩০
লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বরং হাল আমলে বাংলাদেশই এখন সাহিত্যর দিক দেয়ে ওদের চেয়ে অগ্রসর।
কোন দিক থেকে কথাটা বললেন?
একটু ব্যাখ্যা করবেন?
পশ্চিমবাংলার সাহিত্য ক্লাসিক লেখকদের নাম ভাংগিয়েই চলছে। বর্তমানে নতুন লেখক তেমন নেই। অন্যদিকে গত কয়েক বছরে আমাদের দেশে একদল তরুণ লেখক প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছেন। চার বছর পর এইবার বইমেলায় গিয়ে একগাদা বই কিনে এনেছি। আমাদের লেখকরা এখন ভালো মানের থ্রিলার, হরর, কমিক্স, ফ্যান্টাসি বই লেখতে পারেন। আগের মতো অনুবাদ আর কপিপেস্ট নির্ভরতা নেই।
৩১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩২
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: BEELZEBUB, দারুণ বলছেন। আসলে আমাদের দেশের কিছু লোকের পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্য, নাটক ও সিনেমা না দেখলে পেটের ভাত হজম হয় না।
অনেক ধন্যবাদ।
১০| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৭
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কলকাতার তারকারা কেন ঢাকামুখী? ওখানে ভাগে কম পড়ে, তাই যদি এখানে কিছু মিলে আর কি! আসলে এ বয়সে কামাই রোজগার না করলে বুড়ো কালে কি করবে? অহেতুক একজনের গোপন কথায় হাত দেওয়ার দরকার কি? সবারতো একটা মান সম্মান আছে! শত হলেও জ্ঞাতি বলে কথা!
৩১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩৪
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ভালই বলছেন ফরিদ ভাই।
অনেক ধন্যবাদ।
১১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫
টারজান০০০০৭ বলেছেন: সত্যজিৎ রায় কাপড় খোলার প্রতিযোগিতা দেইখা আত্মহত্যা করিতেন। তিনি যাহাকে শিল্প বানাইয়াছিলেন উহাই সফ্ট পর্ন হইয়া উনারে নো-বেল পাওয়াইয়া দিতো !
৩১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৭
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: আর বইলেন না ভাই! পাওলি দামকে এক অনুষ্ঠানে বলতে শুনলাম সিনেমায় নগ্ন হওয়াটা কোন ব্যাপারই না। একই অনুষ্ঠানে এক ব্যাক্তিতো বলেই দিলেন পাশ্চাত্যে ওসব হলে আমরা পিছিয়ে থাকব কেন?
https://www.youtube.com/watch?v=3f8ABY8jiU0
ধন্যবাদ।
১২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক দিন পর পেলাম
স্বাজেতর কিছূ ময়ুরপুচ্ছধারী কাক (হীনমনত্যা এবং আত্ম পরিচয়ে গ্লানি অনুভবকারী ব্যাতিত কেউ কলকাতার অন্ধ ভক্ত হতে পারে না।
সেই জাতে উঠার মনোপলি মিথ্যাচারের দিন শেষ!
বাংলাদেশের মাথা থেকে ময়ূরপুচ্ছধারীদের বিদায় হলে বাংলা সাহিত্য-চলচি্চত্র আরো বেগবান হবে!
০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১৬
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: স্বাজেতর কিছূ ময়ুরপুচ্ছধারী কাক (হীনমনত্যা এবং আত্ম পরিচয়ে গ্লানি অনুভবকারী ব্যাতিত কেউ কলকাতার অন্ধ ভক্ত হতে পারে না।
সেই জাতে উঠার মনোপলি মিথ্যাচারের দিন শেষ!
খাটি কথা বলছেন প্রিয় বিদ্রোহী ভৃগু ভাই এবং অনেক ধন্যবাদ।
১৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৬
খোদেজা বলেছেন: সত্যজিত রায়, ঋত্বিক ঘটক এবং মৃণাল সেন বাংলা চলচ্চিত্রের তিন দিকপাল সবাই এপার বাংলার। একজন সাধারণ দর্শক হিসেবে আমার মনে হয় ভাল চলচ্চিত্র তৈরীর একটি সংস্কৃতি হয়তবা সেখানে গড়ে উঠেছে যা পরের প্রজন্ম যেমন ঋতুপর্ণ ঘোষ বা অপর্ণা সেনের চলচ্চিত্রও কোনভাবে প্রভাবিত। তবে বাঙলাদেশেও এখন ভাল সিনেমা হচ্ছে।
সঙ্গীতের ব্যাপারেও ওরা আমাদের দিক থেকে অনেক এগিয়ে আছে, যদিও আমাদের দেশে দর্শক শ্রোতার পরিমান ওদের চেয়ে অনেক বেশী। বেঙ্গল ক্ল্যাসিকেল মিউজিক ফেস্টিভ্যাল বা ফোক ফেস্ট এর দর্শক দেখলেই তা বুঝা যায়।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২২
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: বাংলাদেশ আছে বলেই তারা রোজগার করতে পারছে। নতুবা মিঠুনের মত হিন্দী ছবি করার জন্য ধর্ণা দিতে হইত।
১৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:০৭
আহা রুবন বলেছেন: সাহিত্য আর চলচ্চিত্রের মধ্য অনেক পার্থক্য - ইচ্ছে করলেই চলচ্চিত্রকার কমলকুমারের মত হতে পারেন না - দেখলে দেখুক না দেখলে না দেখুক। তাদের বাজার নিয়ে ভাবতে হয়। ভারতীয়রা আমাদের চেয়ে মার্কেটিং-এ এগিয়ে আছে, তাই ওরা ভবিষ্যতে তার চাহিদা কোন দিকে যাচ্ছে সেটা ভেবেই পা ফেলে। কোলকাতার মুখের আনাগোনার আরও একটি কারণ বাংলাদেশে নায়ক-নায়িকার সংকট চলছে, তাই বাংলাদেশের নির্মাতারা তাদের ধরে আনছেন।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৩৫
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ভারতীয়রা বলতে হিন্দি ও তামিল সহ কিছু ভাষাভাষীরা এগিয়ে আছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের কথা ভিন্ন। সেখানে এখন স্কুল গুলোর উপরের শ্রেণী গুলোর শিক্ষার্থীরা বাংলা ভাষার শেখার চেয়ে ইংরেজীতেই প্রাধান্য দিচ্ছে। কারণ ইংরেজী ভাল না জানলে ভবিষ্যতে তাদের ভাল চাকরী হবে না। মিঠুন চক্রবর্তী আজ থেকে ২০ বছর আগেই পশ্চিমবঙ্গের বাংলা সিনেমার দূর্বলতার কথা বলছে(৭নং কমেন্টের জবাব)।
এটা সত্য নয় যে বাংলাদেশী নায়ক নায়িকাদের সংকট চলছে। ঘটনা হইল পশ্চিমবেঙ্গের বেশীর ভাগ প্রযোজকরা আর লস খেতে ইচ্ছুক না। সেই কারণে সেখানে বাংলা সিনেমা তৈরির সংখ্যা অর্ধেকেরও বেশী কমে গেছে। তাই কোলকাতার নায়ক-নায়িকাদের একটা অংশ মার্কেট হিসেবে বাংলাদেশকেই বেছে নিচ্ছে। বাংলাদেশের প্রযোজকদের এত বাধ্যবাধকতা নাই যে ভারতীয় বাংলা শিল্পীদের দিয়ে কোন ছবি করাতেই হবে। কয়েকজন আনা মানে এই না যে সবাই আনে। আর বাংলাদেশের প্রযোজকদের ভারতীয় শিল্পীদের না আনলেও এই দেশের যারা দর্শক তারা ঠিকই সিনেমা দেখবে। আর অন্য দিকে পশ্চিমবঙ্গে খোলামেলা ও যৌনতার ছবি নাই হইলে সেটা সেখানকার পাব্লিক এখন আর সহজে দেখে না।
এখানে বহু পার্থক্য আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:০০
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বই এবং গানের ব্যাপারে কিন্তু আমি ওপারবঙ্গকেই প্রেফার করবো।। আগে যাও একটু প্রতিযোগীতা ছিল, আজ কি তা আছে??