নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুটো পুরানো গল্প নতুন করে রংচং করে বলছি।
গল্প-১: ওবামা প্রেসিডেন্ট হবার পর জাপানি প্রধানমন্ত্রী তার সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হতে ওয়াশিংটন যাবেন। কিন্তু তিনি ইংরেজী পারেন না।তো প্রধানমন্ত্রীর দোভাষীরা তাকে দু’টো ইংরেজি শিখিয়ে দিয়ে বললেন আপনি এই দুটো কথা শেষ করে চুপ করে যাবেন বাকিটা আমরা চালিয়ে নেব। আপনি যখন ওবামার সাথে প্রথম হ্যান্ডশেক করবেন তখন জিজ্ঞেস করবেন “How are you” আর যখন ওবামা এর উত্তর দেবেন তখন আপনি বলবেন “Me too”। ব্যাস আপনার কাজ শেষ। যাহোক নির্দিষ্ট দিনে ওবামার সাথে জাপানি প্রধানমন্ত্রির মোলাকাত হল। বাট প্রধানমন্ত্রী একটা ছোট ভুল করে ফেললেন। তিনি “How are you” এর বদলে ওবামাকে জিজ্ঞেস করলেন “Who are you”? প্রশ্ন শুনে ওবামা তো আকাশ থেকে পড়লেন। যাহোক তিনি প্রধানমন্ত্রীকে লজ্জায় না ফেলে কিছুটা কৌতুক করে বললেন “Well, I am Michel's husband”। প্রধানমন্ত্রী মনে করলেন তিনি ঠিক পথে আছেন। উত্তরে তিনি শিখিযে দেয়া দ্বিতীয় বাক্যটি ঝাড়লেন “Me too”।--------------------- অতঃপর ওবামার হার্টফেল।
গল্প ২: আমাদের ক্রিকেট রত্ন ক্যাপ্টেন (---------) এর ইংরেজীর বহর তো সবার জানা। তো কোনো এক ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে। ক্যাপ্টেন -------- ও সেঞ্চুরী করেছেন। তো কমেন্টেটর ম্যাচ শেষে তার কাছে আসলেন প্রতিক্রিয়া নেবার জন্য। ঘটনাক্রমে ক্যাপ্টেন সম্প্রতি বাবা হয়েছেন। তাকে কমেন্টেটর ইংরেজিতে জিজ্ঞেস করলেন “কংগ্রাচুলেশান ক্যাপ্টেন, হোয়াট ইজ ইওর রিঅ্যাকশান বিইং এ প্রাউড ফাদার”? ইংরেজিতে অকাট মুর্খ ক্যাপ্টেন ------- ভাবলেন নিশ্চই তাকে ম্যাচ উইনিং নিয়েই প্রশ্ন করেছেন। তিনি উত্তর দিলেন ”মি এ্যান্ড মাই টীম ইজ সো হ্যাপী। ইনফ্যাক্ট ইট ওয়াজ এ টীম ওয়ার্ক।” স্পেশালি দি ওপেনারস ডিড ভেরী গুড।” কমেন্টেটর অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলেন।
গল্প দুটো অনেক পুরানো এবং অবশ্যই হুবহু বলতে পারলাম না বিধায় মোটামুটি করে বললাম। দয়া করে ভাববেন না অশ্লীল কমেডি হচ্ছে কিনা। না, ঘটনা তা না। গল্প দুটো প্রায়ই আমি ব্যবহার করি ইংরেজীতে দখল থাকার প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে। ইংরেজী না পারলে অবস্থা কি হয় সেটাতো দেখলেনই। ইংরেজীতে দক্ষতা ছাড়া বর্তমানে কোনো প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে চাকরী পাওয়া বা পেলেও সেটা ভালভাবে করার কথা ভাবাও যায় না। সেখানে কিযে ভয়ঙ্কর দুর্বল লোকেরা প্রতিনিয়ত চাকরীর জন্য আসেন তা সত্যিই না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। মাস্টার্স করা ছেলেমেয়েরা আসছে এমনকি কেউ কেউ নিজের ডিগ্রীর নামটা ইংরেজিতে লিখতে পারেন না।বিবিএ করা ছেলে। গরুর উপরে ১০ টা সেনটেন্স লিখতে দিলে পারছেন না। কি ভয়ঙ্কর অবস্থা।
কেউ কেউ বলতে পারেন না না, আপনি সারাদেশের শিক্ষিত মানুষকে এই সামান্য দু’চারজনকে দিয়ে মেজার করছেন কেন? না ভাই, আমি সবার মূল্যায়ন করছি না। আমি শুধু আমার প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি। একজন আইটি ইঞ্জিনিয়ার এসেছিলেন। তাকে চাকরীর একটা ফরমাল দরখাস্ত লিখতে দেয়া হয়েছিল। তার লেখা দেখে আমার সারাদিনের জন্য মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল। বিধায় এই উষ্মাটা তাৎক্ষণিক লিখে ফেললাম।
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৪
বেচারা বলেছেন: কারণ ফান করে হলেও আমরা কারো ব্যক্তিগত নামে কোনো কমেডি করতে পারি না। সেটা উচিৎ নয়।
৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বাট প্রধানমন্ত্রী একটা ছোট ভুল করে ফেললে
ইংরেজি জানা ভাল। খুবই ভাল। কিন্তু মামা, আপনি তো বাংলাই লিখতে পারেন না! 'বাট' বলার কী দরকার ছিল। 'কিন্তু' শব্দটা কি মরে গেছে?
বলার সময় না হয় মানা যায়, কিন্তু যখন লিখছেন, তখন তো সচেতন ছিলেন, তখন এমন ভুল হয় কী করে?
আর ক্যাপটেন তো পাকিস্তানের। বাংলাদেশের নন। মনে হয়, ইঞ্জামামুল হবে।
যাই হোক, পোস্টটা পড়ে মজা পেয়েছি
৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭
বেচারা বলেছেন: একভাষায় অন্য ভাষার শব্দ ব্যবহার কি দোষণীয়? তাহলে তো আমাদের ভাষা হতে হাজার হাজার শব্দ ডিলিট করতে হবে রাখাল কারন ওগুলো তো বিশুদ্ধ বাংলা না, অন্য ভাষা হতে আসা ও বাংলার অংশ হয়ে যাওয়া। হ্যা, আরেকটু সচেতন ও ধীর লিখলে অবশ্য ওটাও করতাম না। বিশেষ একটা পরিস্থিতি ও কারণে দ্রুত লিখেছি। তবে এই লেখা যে আপনি কষ্ট করে পড়েছেন আর চমৎকার মন্তব্য করেছেন সেটা দারুন অভিজ্ঞতা।
ক্যাপ্টেনের গল্পটা কাল্পনিক বিধায় পাকিস্তানের স্থানে বাংলাদেশ হয়। আর তাছাড়া বিষয়টা আমার কাছে কৌতুহল উদ্দিপক লেগেছে তথ্যের বিশুদ্ধতার চেয়ে। আমি যে একটু রং লাগিয়েছি তাতো বলেইছি।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ক্রিকেট ক্যাপ্তান সাহেবের নামডা বা দেশের নামডা উচ্চারণ করতে এত লজ্জা ক্যান?